কৃত্রিম বৃষ্টিতে শিশুদের নিয়ে ভিজলেন ডিএনসিসি মেয়র

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বায়ুদূষণ রোধ ও তীব্র তাপপ্রবাহে শহরকে ঠান্ডা রাখতে নগরীতে স্প্রে ক্যাননের মাধ্যমে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’র ব্যবস্থা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। সংস্থাটির চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিনের পরামর্শে এ ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’র ব্যবস্থা করা হয়। এ সময় ঢাকা উত্তরের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামসহ পথচারী ও শিশুদের  ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’তে ভিজে আনন্দ করতে দেখা যায়।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ সরণিতে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রায় এক মাস ধরে ঢাকাসহ সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে। এ তাপপ্রবাহ থেকে নাগরিকদের কিছুটা স্বস্তি দিতে কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করার পরামর্শ দিয়েছেন ডিএনসিসিতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান অ্যাড্রিয়েন আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেজিলিয়েন্স সেন্টারের চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন। সে অনুযায়ী অনুযায়ী ডিএনসিসির দুটি স্প্রে ক্যাননের মাধ্যমে কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

মেয়র আতিক বলেন, ‘দুটি গাড়ি দিয়ে প্রতিদিন চার লাখ লিটার পানি আমরা ছিটাব। বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে পানি দেওয়া হবে। তবে গাড়িগুলো অলিগলিতে যেতে পারবে না, মেইন রোডে থাকবে। আর সড়কে পানি ছিটানোর জন্য ১০টি ব্রাউজারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একেক ব্রাউজারে ১৫ হাজার লিটার করে পানি ধরে।’

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের পার্কগুলোতে কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্টদের বলেছি। আমরা আশা করি, আগামী সাত দিনের মধ্যে পার্কগুলোতে কৃত্রিম পানির ব্যবস্থা করতে পারব। এ ছাড়া আমাদের প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি করে বিশুদ্ধ পানির ভ্যান থাকবে। ছোট ছোট ভ্যানগুলো নিয়ে অলিগলিতে পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। নগরের মানুষ ভ্যান থেকে বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করতে পারবেন। এগুলোও আমাদের চিফ হিট অফিসারের পরামর্শে করা হয়েছে।’




দুর্গাপুর থানার ওসির বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের অভিযোগ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুর থানার ওসি উত্তম চন্দ্র দেব এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে নির্বাচন কমিশন বরাবর অভিযোগ করেছেন উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহন কারী ৬ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। শনিবার দুপুরে দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অভিযোগের কপি দায়ের করেন চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।

৬ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে অভিযোগ পাঠ করেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দ্ল্লুাহ্ হক। অভিযোগে তারা বলেন, আমরা আগামী ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী। আমরা মনে করি, দুর্গাপুর থানার ওসি আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এক প্রার্থীর পক্ষে পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ শুরু করে বিভিন্ন উস্কানীমুলক কথা বলে নির্বাচনের পরিবেশ অবনতি ঘটাতে চাচ্ছেন। আমরা তার এরকম কার্যক্রমে শঙ্কিত। থানার ওসির এরকম আচরণের কারনে নির্বাচনের সুষ্ঠ পরিবেশ থাকবে না বলে আমরা মনে করছি। এমন ঘটতে থাকলে আমরা আইনগত সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবো। ওসির এরকম কর্মকান্ডের কারনে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট হলে আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি হবে। ওসি উত্তম চন্দ্র দেব কে দুর্গাপুর থেকে অবসারণ করার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার এর নিকট দাবী জানাই।

এসময়, চেয়ারম্যান প্রার্থী পারভীন আক্তার, কামাল পাশা, সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ, মোহাম্মদ নুরুল হুদা, ফারুক আহমেদ সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগন সহ উপজেলা আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীগন উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দুর্গাপুর থানার ওসি উত্তম চন্দ্র দেব বলেন, আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষতার মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিতের লক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাজ করে যাচ্ছি। আমি কোন প্রকার পক্ষপাতিত্ব করছি বলে আমার জানা নেই।

উল্লেখ্য, আগামী ৮ই মে দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ৩ এবং ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে ৩জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।

 




গাজা ইস্যুতে পদত্যাগ করলেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা

ডিএনবি নিউজ আন্তঃ ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরবি ভাষার মুখপাত্র হালা রাহারিত দেশটির গাজা নীতির বিরোধিতা করে পদত্যাগ করেছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। একইদিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম লিঙ্কডইনে এক পোস্টে এ তথ্য নিজেই নিশ্চিত করেছেন রাহারিত। ফিলিস্তিনের গাজায় অবরুদ্ধ ইসরায়েলের হামলায় ওয়াশিংটনের নীতির বিরোধিতা করে আসছিলেন তিনি।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

লিঙ্কডইন পোস্টে হালা রাহারিত বলেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মানজনক পদে ১৮ বছর চাকরি করার পর ২০২৪ সালের এপ্রিলে আমি পদত্যাগ করেছি। গাজা ইস্যুতে মার্কিন সরকারের নীতিই এর কারণ।’

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, একসময় মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত সংস্থা দুবাই রিজিওনাল মিডিয়া হাবের উপপরিচালক ছিলেন হালা রাহারিত। আরব বিশ্বের সংবাদমাধ্যমগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে সংস্থাটি। ২০০৬ সালে রাজনৈতিক ও মানবাধিকার কর্মকর্তা এবং আরবি ভাষার মুখপাত্র হিসেবে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন তিনি।

অবশ্য হালা রাহারিতই প্রথম কোনো কর্মকর্তা নন, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের গাজা নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে পদত্যাগ করেছেন। গত মার্চে একই কারণে পদত্যাগ করেছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রণালয়ের মানবাধিকার ব্যুরোর কর্মকর্তা অ্যানেলি শেলিন। তার আগে গত জানুয়ারিতে পদত্যাগ করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা তারিক হাবাশ।

গাজা ইস্যুতে পদত্যাগ করা প্রথম মার্কিন কর্মকর্তার নাম জশ পল। তিনিও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ছিলেন। গত বছরের অক্টোবরে চাকরি থেকে অব্যাহতি নেন তিনি।

গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়। এর পর থেকে গাজায় বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ।




রাফাহতে হামলার আগে হামাসকে ‘শেষ সুযোগ’ দিচ্ছে ইসরায়েল

ডিএনবি নিউজ আন্তঃ ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার শেষ নিরাপদস্থান রাফাহতে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। এরমধ্যে গতকাল শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বৈঠকে বসে ইসরায়েলি ও মিসরের একটি উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি দল।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, মিসরীয় প্রতিনিধি দলকে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাফাহতে হামলা চালানোর আগে হামাসকে তারা ‘শেষ সুযোগ’ দেবে। আর এই সুযোগের মধ্যে তাদের সঙ্গে হামাসের জিম্মি চুক্তি করতে হবে। নয়ত যে কোনো সময় রাফাহতে তাদের সেনারা প্রবেশ করবে।

দখলদার ইসরায়েলের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হিব্রু সংবাদমাধ্যম ইয়েনেতকে জানিয়েছেন, মিসরীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাদের ভালো আলোচনা হয়েছে।

তিনি আরও জানিয়েছেন, হামাসকে চুক্তিতে পৌঁছাতে চাপ দিতে মিসরীয় প্রতিনিধিরা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। অপরদিকে তারা জানিয়েছেন রাফাহতে সেনা পাঠানোর জন্য তারা প্রস্তুত রয়েছে।

এই কর্মকর্তা বলেছেন, “আমরা রাফাহতে যাওয়ার আগে এটি শেষ সুযোগ। আমরা বলেছি হয় চুক্তি করতে হবে নয়ত রাফাহতে হামলা চালানো হবে।”

হামাসের গাজা শাখার প্রধান ইয়াহিয়া সিনাওয়ার বর্তমানে রাফাহতে রয়েছেন বলে ধারণা ইসরায়েলিদের।

এদিকে গত কয়েক মাস ধরে জিম্মি চুক্তির যে আলোচনা চলছিল সেখানে বলা হয়েছিল, হামাস প্রথম ধাপে ৪০ জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দেবে। তবে এখন এই সংখ্যা আরও নিচে নামিয়ে আনতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল। তবে হামাস প্রথম ধাপে ২০ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার যে নতুন প্রস্তাব দিয়েছে সেটি ইসরায়েলিরা মেনে নেবে না বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।

দখলদার ইসরায়েল জিম্মি চুক্তি চাইলেও তারা গাজায় যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ করতে চায় না। তবে হামাস জানিয়েছে যদি ইসরায়েল কোনো ধরনের জিম্মি চুক্তি করতে চায় তাহলে অবশ্যই তাদের স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হতে হবে।

টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, রাফাহতে হামলা চালানোর জন্য ইসরায়েলি সেনারা প্রস্তুত রয়েছে। তবে ইসরায়েলি সরকার এটি আটকে রেখেছে। কারণ তারা রাফাহতে হামলা চালানোর বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় করে করতে চায়। এছাড়া আন্তর্জাতিক চাপের বিষয়টিও মাথায় রাখছে ইসরায়েল।

সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, রাফাহতে বর্তমানে হামাসের যে চার ব্যাটালিয়ন যোদ্ধা রয়েছে সেটির চেয়ে ইসরায়েল এখন গাজা ও মিসরের সীমান্তকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। কারণ তাদের শঙ্কা মিসর সীমান্ত দিয়ে হামাসের কাছে আরও অস্ত্র আসতে পারে এবং তারা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে। এ কারণে মিসর হয়ে যেন গাজায় কোনো অস্ত্র না আসে এই বিষয়টিকে তারা বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল