ফিলিস্তিনে লাইভ গণহত্যা করা হচ্ছে …

পশ্চিমা বিশ্ব একযোগে ‘হামাসকে সন্ত্রাসী’ বলে অভিযুক্ত করে। যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পক্ষে প্রকাশ্যে সমর্থন জানায়। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের ওপর যে ঐতিহাসিক অবিচার, যে কারণে ফিলিস্তিনিরা আক্রমণ চালাচ্ছে, সে ব্যাপারে তারা সম্পূর্ণ নীরব। ফিলিস্তিনে এখন লাইভ গণহত্যা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম- মুক্তিযুদ্ধ-৭১ আয়োজিত ‘মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত, গাজার চলমান গণহত্যা ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।

বক্তারা বলেন, ফিলিস্তিনিদের পুরোপুরি নিধন করার লক্ষ্যে পরিকল্পিত সামরিক অভিযান চালাচ্ছে ইসরাইল। গাজা ভূখণ্ডে তারা খাদ্যদ্রব্যসহ সবধরনের সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।

গত ছয় মাস ধরে একদিকে চলছে নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের হত্যার মহোৎসব, অন্যদিকে পরিকল্পিতভাবে খাদ্যের অভাব যা বাকিদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। সবশেষ হিসাব মতে, ইসরায়েলি আগ্রাসনে ৩০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবীব। এ সময় তিনি বলেন, ইসরাইল প্রতিষ্ঠার সময় ১৯৪৮ সালে প্রথমবারের বারের মতো ৭ লাখ ফিলিস্তিনিকে নিজেদের ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়। কারণ ইহুদি জনগোষ্ঠির ঘরবাড়ির বানানোর জায়গা দিতে হবে।

সে সময়ের যুদ্ধে নতুন করে ৪১ হাজার ৩শ ফিলিস্তিনিকে উচ্ছেদ করা হয়। এরপরের আরব-ইসরাইল যুদ্ধে দুই পক্ষেরই হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়। ১৯৮২ সালের লেবানন যুদ্ধে ইসরায়েল এবং পিএলও বা ফিলিস্তিনের পক্ষে নিহত হয় হাজার মানুষ। এরপর প্রথম দফায় নিহত হয় হাজারো ফিলিস্তিনি এবং বেশ কিছু ইসরাইলি।

তিনি বলেন, সর্বশেষ হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ শুরু হয় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যা এখনো চলছে। যুদ্ধে প্রথমদিকে হামাস বা ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে ইসরায়েলে ঢুকে পড়ে। বেশ কিছু ইসরাইলি লোকজন হামাসের হাতে বন্দি হয়। পশ্চিমা বিশ্ব একযোগে হামাসকে আক্রমণকারী বা সন্ত্রাসী বলে অভিযুক্ত করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের পক্ষে প্রকাশ্যে সমর্থন জানায়।

সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মোহাম্মদ সামাদ বলেন, আজকে ফিলিস্তিন ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপজুড়ে এত মিছিল হচ্ছে কিন্তু সেটা যুক্তরাষ্ট্র কানেই তুলছে না। আজকে যদি ফিলিস্তিন ও ইসরাইল দুটি রাষ্ট্র হয়ে দাঁড়াতো তাহলে এই সমস্যা অনেকটাই সমাধান হয়ে যেতো। পৃথিবীতে কিছু আছে রাষ্ট্র, কিছু আছে টেরিটরি। সেই হিসেবে ফিলিস্তিন কোনো রাষ্ট্র নয়। ফিলিস্তিন হচ্ছে একটা টেরিটরি। আর ইসরাইল হচ্ছে একটা রাষ্ট্র। এই ইসরাইল রাষ্ট্রকে সমর্থন দিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এটা বাইডেনের অবস্থান দেখেই বোঝা যায়।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্টস কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মান্নান বলেন, বিশ্বে এখন লাইভ গণহত্যা হচ্ছে, যেটা হচ্ছে ফিলিস্তিনে।

ইহুদিরা কিন্তু কখনো মুসলিমদের থেকে মার খায়নি, তবুও তাদের সংঘাত চলছে। ইহুদিরা মার খেয়েছে ইউরোপে, খ্রিষ্টানদের দ্বারা। ইসরায়েলকে বলা হয় আমেরিকার ৫১তম রাষ্ট্র, যেটি মধ্যপ্রাচ্যে।

আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেন না থাকলে ইসরাইল কখনো এত শক্তিশালী হতো না।

সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের কার্যনির্বাহী সভাপতি বীর মুক্তিযাদ্ধা মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমেদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক ও সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মাবুদ।




ওষুধ শিল্প চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে ২০২৬ সাল থেকে……

দেশের ওষুধ শিল্পের চ্যালেঞ্জ শুরু হবে ২০২৬ সাল থেকে। কারণ ওই সময় উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ হবে বাংলাদেশ। তখন থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রাপ্তিতে ঘাটতিসহ দাম বেড়ে যাবে। এজন্য এখনই সরকারকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে।’

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) এশিয়া ফার্মা এক্সপো ও এশিয়া ল্যাব এক্সপোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির নেতারা।
তারা বলেন, বর্তমানে দেশের চাহিদার ৯৮ শতাংশ পূরণ করছে দেশীয় ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানির উৎপাদিত ওষুধ। যার বাজার মূল্য প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার। ২০২৫ সালের মধ্যে এটিকে সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলারে নেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে।

ওষুধ শিল্পের চ্যালেঞ্জের বিষয়ে সমিতির নেতারা বলেন, ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ হবে বাংলাদেশ। তখন থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রাপ্তিতে ঘাটতিসহ দাম বেড়ে যাবে। তাই এখন থেকেই সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

দামের বিষয়ে ওষুধ শিল্প সমিতি জানায়, ওষুধের দাম বাড়ানো হয়নি, তবে বেশ কিছু ওষুধের দামে সমন্বয় করা হয়েছে।

ওষুধ শিল্প সমিতির সভাপতি ও ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুল মুক্তাদির জানান, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ২০২৬ সাল থেকে দেশের ওষুধ শিল্প চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে- এ বিষয়টি তার কাছে অজানা ছিল। সবার সঙ্গে কথা বলে ওষুধের দাম সহজলভ্য করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।




উত্তর গাজায় ৬ শিশুর মৃত্যু, অন্যদের অবস্থা আশঙ্কাজনক

উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান ও আল-শিফা হাসপাতালে পানিশূন্যতা ও অপুষ্টিতে ছয় শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অন্যদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

এদিকে হামাসের সিনিয়র কর্মকর্তা বাসেম নাইম বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে একটি সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিশ্চিত করতে এখনও অনেক পথ বাকি রয়েছে।

জাতিসংঘের হিউম্যানেটারিয়ান এজেন্সি জানিয়েছে, মানবিক সংস্থাগুলো গাজায় প্রবেশ করতে পারছে না। তাছাড়া তারাও হামলার শিকার হচ্ছেন।

গত ৭ অক্টোবরের পর ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ২৯ হাজার ৯৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৭০ হাজারের বেশি।

মূলত অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হতাহতের সংখ্যা বাড়ছেই। সেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসন থামছেই না।

এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তিনি আশা করছেন যে, আগামী সোমবারের মধ্যে নতুন যুদ্ধবিরতি হতে পারে। তিনি আরও বলেন, আমার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আমাকে বলেছেন যে, আমরা যুদ্ধবিরতির কাছাকাছি আছি।




সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে ১৮১ জনের নিয়োগ, আবেদন করতে ফি লাগবে ২২৩ টাকা

বাগেরহাট জেলার সিভিল সার্জনের কার্যালয় এবং এর অধীনে বিভিন্ন স্বাস্থ্যপ্রতিষ্ঠানসমূহে ০৭টি পদে ১৮১ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা আগামী ১৯ মার্চ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

 

প্রতিষ্ঠানের নাম: সিভিল সার্জনের কার্যালয়, বাগেরহাট

চাকরির ধরন: অস্থায়ী
প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ। তবে বাগেরহাট জেলার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
কর্মস্থল: বাগেরহাট

বয়স: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখ ১৮-৩০ বছর। বিশেষ ক্ষেত্রে ৩২ বছর

আবেদনের নিয়ম: আগ্রহীরা এই লিঙ্ক এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের সঙ্গে ৩০০-৩০০ সাইজের ছবি ও ৩০০-৮০ সাইজের স্বাক্ষর স্ক্যান করে যুক্ত করতে হবে।

আবেদনের শেষ সময়: ১৯ মার্চ ২০২৪ তারিখ বিকেল ০৪টা পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

সূত্র: জনকণ্ঠ, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪




সাকিব-তামিম যদি ভুয়া হয় তাহলে আমরা কী: প্রশ্ন মুশফিকুর রহমানের

শুধু মিরপুরের শেরে বাংলা নয়, সিলেট ও চট্টগ্রামের গ্যালারিতেও আজকাল প্রায়ই সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালকে নিয়ে নানা ব্যঙ্গবিদ্রুপ ও তির্যক কথাবার্তা শোনা যায়।

ক্রিকেটারদের মাঠের পারফরমেন্স ভালো হলে প্রশংসা আর খারাপ খেললে তিরস্কার, খেলার মাঠের চিরচেনা দৃশ্য। পৃথিবীর সব দেশেই এ রীতি প্রচলিত। কিন্তু দেশের সেরা ও সফলতম তারকাদের ‘ভুয়া-ভুয়া’ বলার নজির সারা পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া যাবে কি না সন্দেহ।

কিন্তু এবারের বিপিএলে সে ‘ভুয়া- ভুয়া’ স্লোগানটাই বেশি শোনা গেছে। আজ বুধবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচের আগেও দর্শকদের একটা অংশ ‘সাকিব ভুয়া-ভুয়া’ লিখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড বহন করে এসে উপস্থিত হন শেরে বাংলায়। যদিও ওই প্ল্যাকার্ড নিয়ে তাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

তারপরও মুখে ‘সাকিব ভুয়া’ স্লোগান ছিল অনেকের। দেশের সেরা তারকাদের নিয়ে এমন ব্যঙ্গবিদ্রুপ ও দুয়োধ্বনি বেশ দৃষ্টিকটু ও শুনতেও খারাপ লাগে।

এসব বন্ধের কোনো উদ্যোগ এখনো নেওয়া হয়নি। তবে আজ বুধবার রাতে রংপুর রাইডার্স ও ফরচুন বরিশালের ম্যাচের পর এক প্রশ্নের জবাবে সাকিব-তামিমের দীর্ঘদিনের সঙ্গী মুশফিকুর রহিম এমন ‘ভুয়া-ভুয়া’ বলাকে রীতিমতো অনৈতিক কাজ বলে মন্তব্য করেছেন।

মুশফিক প্রেস কনফারেন্স বলেন, ‘এমন ব্যঙ্গ করা থেকে বিরত থাকা উচিত। এগুলো রীতিমতো অনৈতিক কাজ।’

সাকিব আর তামিমকে দেশের ক্রিকেটের দুই সেরা ও সফলতম তারকা হিসেবে অভিহিত করে মুশফিক বলে ওঠেন, ‘সাকিব আর তামিম যদি ভুয়া হয়, তাহলে আমরা কী?????????????