নেদারল্যান্ডসে পবিত্র কুরআন পোড়ানোর চেষ্টা, মুসলিম যুবকের দুঃসাহসিক বাধা

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

নেদারল্যান্ডসের উগ্র ডানপন্থী দল পেগিডা’র নেতা, ইসলামবিদ্বেষী এডউইন ওয়াগেনসভেল্ড পবিত্র কুরআন পোড়ানোর চেষ্টাকালে কয়েকজন মুসলিম যুবক তাতে বাধা দিয়েছেন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডেইলি গেলডারল্যান্ডার জানিয়েছে, নেদারল্যান্ডসের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ গেলডারল্যান্ডের রাজধানী আর্নহেমে শহরের জান্সপ্লেইন এলাকায় পুলিশের উপস্থিতিতে পবিত্র কুরআন পোড়ানোর চেষ্টা করেন এডউইন ওয়াগেনসভেল্ড। পুলিশি নিরাপত্তাকে ভেদ করে এক মুসলিম এডউইন ওয়াগেনসভেল্ডের মুখে লাথি মারে। পরে আবার কুরআন পোড়ানোর চেষ্টা করলে আবারও মুসলিম যুবকরা তেড়ে আসতে থাকে। এসময় ভয়ে এডউইন কাপুরুষের মতো দৌড়ে পুলিশের গাড়িতে চড়ে পালিয়ে যায়।

এদিকে, এ ঘটনায় শহরের মুসলিম অধিবাসীরা ক্ষোভ জানিয়েছেন। অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আর্নহেম শহরের মুসলিম মেয়র আহমেদ মারকুচও।

ইসলামবিদ্বেষী এডউইন ওয়াগেনসভেল্ড এর আগে ২০২৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত তুরস্কের দূতাবাসের সামনে পবিত্র কুরআন ছিঁড়ে ফেলে তা পদদলিত করে। এছাড়া, নেদারল্যান্ডসে অবস্থিত পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া ও ডেনমার্কের দূতাবাসের সামনে একাধিকবার কুরআন ছিঁড়ে ফেলে।#

পার্সটুডে




ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের নতুন সভাপতি ও সেক্রেটারির নাম ঘোষণা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নুরুল বশর আজিজীকে সভাপতি, ইউসুফ আহমাদ মানসূরকে সহ-সভাপতি ও মুনতাসির আহমদকে সেক্রেটারি করে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের ২০২৪ সেশনের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

আজ বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটে অনুষ্ঠিত ইসলামী ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সম্মেলনে নতুন দায়িত্বশীলদের নাম ঘোষণা করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি রেজাউল করীম।

সদ্য সাবেক সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন চরমোনাই পীর মুফতী রেজাউল করীম।

এছাড়াও বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম (শায়েখে চরমোনাই), মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ও  আলহাজ্ব মুহাম্মাদ আমিনুল ইসলাম, কে এম আতিকুর রহমান, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূমসহ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, আদর্শ রাষ্ট্র গড়তে আদর্শ‌ মানুষ প্রয়োজন। ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রতিটি কর্মীদের নৈতিকতা, যোগ্যতা, দক্ষতা ও আদর্শের দিক থেকে উত্তম মানে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। দ্বীন বিজয়ের সংগ্রামে ত্যাগের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।

উল্লেখ্য, নুরুল বশর আজিজী ২০২৩ সেশনে সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। নতুন সহসভাপতি ইউসুফ আহমাদ মানসূর ছিলেন একই সেশনের সেক্রেটারি। এছাড়াও নতুন সেক্রেটারি মুনতাসির আহমদ ২০২৩ সেশনে কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।




হাড় কাঁপানো শীতেও  ইরি-বোরো চাষে ব্যস্ত কৃষকরা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় মাঘ মাসের শুরুতেই ঘনকুয়াশা, হিমেল হাওয়া ও কনকনে শীত উপক্ষো করে ইরি-বোরো ধান চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। স্থানীয় কৃষাণ-কৃষানিরা নিজেদের খাবার জোগার করতে ধান চাষের জন্য মাঠে নেমেছেন। মাঠের পর মাঠ জুড়ে কেউ চারা তুলছেন, কেউ জমি তৈরির কাজ করছেন আবার কেউবা ক্ষেতে পানি সেচের জন্য শ্যালো মেশিনে সেচ দিচ্ছেন। এনিয়ে বুধবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকাসহ সীমান্তবর্তী আদিবাসী এলাকা গুলোতে গিয়ে এমনটাই দেখা গেছে।
এ নিয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন জাতের ইরি-বোরা ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা প্রায় ১৮ হাজার ৬শত হেক্টর। শীতের তীব্রতার কারনে এ পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার হেক্টরের মতো রোপন হয়েছে। উপজেলার কুল্লাগড়া, দুর্গাপুর, গাওকান্দিয়া, চন্ডিগড়, বাকলজোড়া ও কাকৈরগড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ধুম পড়েছে বোরো আবাদের। স্থানীয় জাতের বীজের চেয়ে হাইব্রীড এবং উচ্চ ফলনশীল উপসী ধান আবাদে আগ্রহ প্রকাশ করছেন এলাকার কৃষকগন।
গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের কৃষক এইচ এম সাইদুল ইসলাম বলেন, আগাম বন্যা হওয়ার আশঙ্কায় এবার আগে-ভাগেই ধানের ক্ষেত তৈরী করে চারা রোপন শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত সার, কিটনাশক ও ডিজেলের সমস্যায় পড়তে হয়নি। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ আমাদের এলাকায় বোরো আবাদ ভালো করার জন্য সব সময়ই পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। অত্র এলাকায় গত আমন ফসল বাম্পার হওয়ায় খুব আগ্রহ নিয়ে বোরো আবাদ শুরু করেছি। আশা করছি এবারেও বাম্পার ফলন হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার নিপা বিশ^াস  বলেন, এবার বিভিন্ন জাতের ইরি-বোরা ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা প্রায় ১৮ হাজার ৬শত হেক্টর। শীতের তীব্রতা থাকলেও এ পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার হেক্টরের মতো রোপন করা হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রীড এবং উচ্চ ফলনশীল উপসী ধান আবাদে আগ্রহ প্রকাশ করছেন কৃষকগন। এবার শৈত্য প্রবাহ, ঘনকুয়াসা ও হাড় কাঁপানো শীতের মধ্যেও বীজ তলার কোন ক্ষতি হয়নি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ইরি বোরো চারা রোপনের লক্ষ্য মাত্রা শেষ করা যাবে বলে তিনি আশা করছেন।