কয়েকদিনের বৃষ্টিতে চরাঞ্চলে সরিষা ক্ষেতে পানি, শঙ্কায় কৃষক

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে কয়েকদিনের বৃষ্টিতে মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের চরাঞ্চলে সরিষা ক্ষেতে পানি জমেছে। অনেক জমির গাছ থেকে ঝরে পড়ছে সরিষা। এতে সরিষার আবাদ নিয়ে ক্ষতির শঙ্কা করছেন কৃষক।

কৃষকেরা জানান, আগাম সরিষা ক্ষেতে ফুল এসেছে। বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে অনেক ক্ষেতেই সরিষা গাছ নুয়ে পড়েছে। ফুল ও ফল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

আজিমনগর, লেছড়াগঞ্জ, সুতালড়ী ইউনিয়নসহ চরাঞ্চলে টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে অনেক জমির সরিষাগাছ পড়ে গেছে। কিছু নিচু জমিতে পানিও জমেছে বলেও জানান এসব এলাকার কৃষক।

উপজেলার বয়ড়া ইউনিয়নের মীরডাঙ্গি চরের সরিষাচাষি কুব্বাত বলেন, ‘দুই বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। বৃষ্টিতে আগাম বোনা কিছু সরিষার ক্ষতি হয়েছে।’

আজিমনগর ইউনিয়নের এনায়েতপুর গ্রামের চাষি লতিফ পাল বলেন, ‘ছয় বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেছি। বৃষ্টির ফলে কিছু জমির সরিষার ফুল পড়ে গেছে। ফুল না থাকলে তো আর ফসল হবে না।’

একই এলাকার আরেক চাষি শহিদ ব্যাপারী বলেন, ‘এ বছর একশ দেড় বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেছি। বৃষ্টির কারণে সরিষার চারা গাছগুলো নুয়ে পড়েছে। টানা বৃষ্টিতে ক্ষতির মুখে পড়েছি।’

হরিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. তৌহিদুজ্জামান বলেন, ‘চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১১ হাজার ৬৪৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরিষা ভালো হয়েছে। বৃষ্টির কারণে বেশির ভাগ জমি সরিষার জন্য ভালো হয়েছে। তবে আগাম সরিষা কম চাষ হওয়ায় সরিষার ক্ষতিও কম হয়েছে। তবে চরাঞ্চলে কী পরিমাণ সরিষার ক্ষতি হয়েছে, এর প্রতিবেদন এখনো পাইনি। খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’




গাজায় হতাহত ৬৬ হাজার, ৪৫ শতাংশই শিশু

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় নিহত ও আহতের সংখ্যা ৬৬ হাজারের বেশি। এদের মধ্যে ৪৫ শতাংশই শিশু। এছাড়া গাজায় দুই মাসের বেশি সময় ধরে হামলায় ৩৬ শতাংশ বাড়ি ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েল। সেখানকার পরিস্থিতি মারাত্মক বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করেও যুদ্ধ থামাতে ব্যর্থ হয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় নিহত হয়েছে ১৭ হাজার ৭০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছে অন্তত ৪৮ হাজার ৭৮০ জন। খবর আল জাজিরার

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা বলেছেন, ‘গাজার জনগণের বিরুদ্ধে অপরাধ ও গণহত্যা সব বর্ণনার বাইরে। আমেরিকান ও ইউরোপীয় সমর্থনে ফিলিস্তিনের অস্তিত্বের অবসান ঘটানো অমানবিক।’

আশরাফ আল-কুদরা বলেছেন, ইসরায়েলের অবিরাম বোমাবর্ষণে প্রতিদিন শত শত মানুষ নিহত হচ্ছে এবং হাজার হাজার আহত হচ্ছে। নিহতদের প্রায় অর্ধেক শিশু।

তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলিরা যেসব এলাকাকে নিরাপদ বলে দাবি করছে সেগুলোকেই বারবার লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। এটি এখনও গাজা উপত্যকা জুড়ে ঘটছে – কোনও নিরাপদ জায়গা নেই।

গাজার কর্মকর্তা জানান, ‘ইসরায়েলের আগ্রাসনের শিকারদের ৭০ শতাংশ শিশু ও নারী। তারা যেসব বাড়িতে বাচ্চারা থাকে সেগুলোকে টার্গেট করছে। হতাহতদের প্রায় ৪৫ শতাংশ শিশু। এটা পৃথিবীর আর কোথাও দেখা যায় না।’

মধ্য ও দক্ষিণ গাজার দুটি হাসপাতাল গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় নিহত ১৩৩ জনের মৃতদেহ পেয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় শহর দেইর এল-বালাহের আল-আকসা হাসপাতালে ৭১টি মৃতদেহ আনা হয়েছে। হাসপাতালটিতে ১৬০ জন আহত ব্যক্তিকেও আনা হয়।

এছাড়া দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে ৬২ জনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এই হাসপাতালএখনও দক্ষিণ গাজায় পরিচালিত প্রধান চিকিৎসা সুবিধাগুলোর একটি। এছাড়াও ৯৯ জন আহত ব্যক্তিকে সেখানে আনা হয়।

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) বলছে, মাঝারি ক্ষুধায় পতিত হয়েছে গাজার ৫২ শতাংশ এলাকার মানুষ। সেখানকার ৯১ শতাংশ পরিবার ক্ষুধার্ত অবস্থায় বিছানায় যায় এবং ৬৩ শতাংশ মানুষ সারাদিনই কোনো খাবার না খেয়ে থাকার কথা জানিয়েছে। গাজার উত্তরাঞ্চলে এই অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ।

ডব্লিউএফপি জানিয়েছে, গাজায় খাদ্য সরবরাহের চেইন ভেঙে পড়েছে। এছাড়া গাজায় কাজ করা জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ এর মুখপাত্র আদনা আবু হাসনা জানিয়েছেন, গাজায় অনাহারে থাকা মানুষের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘আমি আজ চারটি আশ্রয়কেন্দ্রে ছিলাম- এর মধ্যে একটি খান ইউনিসের সবচেয়ে বড় আশ্রয়কেন্দ্রে, সেখানে প্রায় ৩৫ হাজার বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি। আমি আপনাকে বলতে পারি যে রাফাহ এবং খান ইউনিস এবং উত্তরাঞ্চলে বহু ক্ষুধার্ত মানুষ রয়েছে।’

এদিকে ইসরায়েলের নির্বিচারে হামলার মধ্যে তাদেরকে আরও ১০৬ মিলিয়ন ডলারের ট্যাঙ্ক কার্তুজ বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা সহায়তা এবং অস্ত্র বিক্রি উভয় ক্ষেত্রেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সরবরাহ করে।

বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলকে যুদ্ধে প্রয়োজনীয় অস্ত্র সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি অব্যাহত রেখেছে। তবে মার্কিন আইনপ্রণেতারা এই বিষয়টি আবারও বিবেচনা করে দেখার আহ্বান জানিয়েছে।

জাতিসংঘ বলেছে যে, গত সপ্তাহে তারা উত্তর গাজা এবং গাজা শহরের স্কুলগুলোতে বা তার আশেপাশে কমপক্ষে ১৩টি হামলা রেকর্ড করেছে। এছাড়াও হাসপাতালে বা কাছাকাছি অন্তত ১৫টি হামলার ঘটনা ঘটেছে।

ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস জানিয়েছে, এই স্কুলগুলো হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত বেসামরিক মানুষকে আশ্রয় দিচ্ছে।

বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বেইট লাহিয়ার বেশ কয়েকটি স্কুলে হামলা চালিয়েছে এবং বয়স্ক পুরুষ, ছেলে এবং একজন সুপরিচিত ফিলিস্তিনি সাংবাদিকসহ কয়েকশ পুরুষ ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলোতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ফিলিস্তিনি বন্দীদের চোখ বেঁধে এবং উলঙ্গ করে রাখে। প্রচণ্ড ঠাণ্ডার মধ্যে বস্ত্রহীন অবস্থায় তাদেরকে ট্রাকে করে অজানা গন্তব্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এদিকে গাজায় স্থল অভিযানে ইসরায়েলি সৈন্যের মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৯৯ জন হয়েছে। শনিবার দক্ষিণ গাজায় যুদ্ধের সময় আরও চার সেনা নিহত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সেনাবাহিনী।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে যে, ৩১ অক্টোবর গাজায় বড় স্থল অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে ৯৯ সেনা নিহত হয়েছে। এর মধ্যে সম্প্রতি যুদ্ধবিরতি শেষের পর থেকে অন্তত ২৭ জন সেনা নিহত হয়েছে।




গাজা উপত্যকায় যুদ্ধাবসান ও শান্তি সম্মেলনের ডাক ফিলিস্তিন প্রেসিডেন্টের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইসরায়েলের সঙ্গে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে যুদ্ধাবসান চেয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। একই সঙ্গে তিনি স্বাধীন সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলনের ডাক দিয়েছেন।

শুক্রবার পশ্চিম তীরের রামাল্লাহ শহরে নিজ কার্যালয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এই আহ্বান জানিয়েছেন ৮৭ বছর বয়সী মাহমুদ আব্বাস।

মাহমুদ আব্বাস বলেন, ‘আমি সবসময়ই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পক্ষে। আমার প্রস্তাব-একটি আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলন আহ্বান করে বৈশ্বিক পৃষ্ঠপোষকতায় গাজা উপত্যকা, পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমের সমন্বয়ে স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ঘোষণা করা হোক।’
‘তবে সবার আগে প্রয়োজন গাজায় যুদ্ধপরিস্থিতির অবসান ঘটানো। কারণ অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় গত দু’মাসে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব-সংঘাত খুবই বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং গাজার যুদ্ধের আঁচ ব্যাপকভাবে টের পাচ্ছেন পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিরাও। পশ্চিম তীরের শহরে শহরে ইহুদি বসতকারীদের সঙ্গে সংঘাত বাড়ছে ফিলিস্তিনিদের।’

‘আমি মনে করি, একটি আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলন কেবল গাজার যুদ্ধাবসান কিংবা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই নয়, বরং ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের পরস্পরের প্রতি বৈরী মনোভাব দূর করতেও সহায়ক হবে।’

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট বলেন, গাজায় ২০০৬ সালের নির্বাচনে পরাজিত ও পরে হামাসের বৈরীতার শিকার হয়েছে পিএ। কিন্তু উপত্যকার সরকারি প্রশাসনিক ও পরিষেবা কর্মকর্তা-কর্মীদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য খাতে ব্যয়ের জন্য এখনও প্রতি মাসে ১৪ কোটি ডলার গাজায় পাঠাচ্ছে পিএ। এমনকি গাজার মন্ত্রিসভায় পিএর তিনজন সদস্যও রয়েছেন।

‘গাজা আর এখন আগের মতো নেই। সেখানাকার স্কুল, হাসপাতাল, অবকাঠামো, ভবন, পথঘাট, মসজিদ-সব ধ্বংস হয়ে গেছে। কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। এই যুদ্ধ শেষে গাজাকে পুনর্গঠন করতে হবে এবং সে সময় আমাদের বিপুল পরিমাণ সহায়তার প্রয়োজন হবে।’

প্রসঙ্গত, ৭ অক্টোবরের হামাসের হামলার জেরে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত ১৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু।

সূত্র : রয়টার্স।




৯২৫ দিন পর মুক্তি পেলেন ইসলামী বক্তা মাওলানা আমির হামজা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:
গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন মাওলানা আমির হামজা। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ১২টায় কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তার মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা।

তিনি জানান, কারাগারে মাওলানা আমির হামজার জামিনের কাগজপত্র পৌঁছানোর পর যাচাই বাছাই শেষে তাকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার পর তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৪ মে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের একটি টিম। এরপর মাওলানা আমির হামজাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।




নির্বাচন পর্যবেক্ষণে নিবন্ধন পেলো ৯৬ দেশি সংস্থা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য আর ২৯ দেশীয় প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন দিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনসংযোগ শাখা থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে আরও ৬৭টি সংস্থাকে পাঁচ বছরের জন্য নিবন্ধন দেয় ইসি। সবমিলিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট পর্যবেক্ষণ করবে ৯৬ দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা।

ইসি জানায়, গত ১৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত ২য় বিজ্ঞপ্তির আলোকে নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে অন্তর্ভুক্তির আবেদনগুলো যথাযথভাবে যাচাই-বাছাইয়ে এ সংক্রান্ত নীতিমালার ৪.৪ (ক) অনুচ্ছেদের আলোকে নিম্নে বর্ণিত ২৯টি প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে কারো কোনো দাবি/আপত্তি/অভিযোগ থাকলে তা জানাতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। কোনো কিছু থাকলে তা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে নির্বাচন কমিশন সচিব বরাবর লিখিতভাবে জানাতে হয়। তবে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর এই সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে কোনো দাবি ও আপত্তি না থাকায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানায় ইসি।

এর আগে, ইসি নির্বাচিত ৬৭ সংস্থাকে পাঁচ বছরের জন্য নিবন্ধন দেয়। ২০২৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব ধরনের নির্বাচন তারা পর্যবেক্ষণ করতে পারবে। নতুন করে এই ২৯ পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধন পাওয়ায় মোট ৯৬টি সংস্থা আগামী পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচন পর্যবেক্ষণের অনুমতি পেল।




গাজা ইস্যুতে নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিলেন জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

গাজা ইস্যুতে জাতিসংঘের ইতিহাসে এক নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিয়েছেন সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় জাতিসংঘ সনদের ৯৯ ধারা জারি করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এই ধারা যে-কোনো বৈশ্বিক সংকট সমাধানে জাতিসংঘ মহাসচিবের সবচেয়ে শক্তিশালী কূটনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে বিবেচিত।

গতকাল (বুধবার) জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান প্রধান জ্যাভিয়ার লোপেজ ডোমিঙ্গুয়েজের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে জাতিসংঘ সনদের ৯৯ অনুচ্ছেদ জারির আহ্বান জানিয়েছেন অ্যান্তোনিও গুতেরেস। এই ধারায় বলা আছে, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে এমন বিষয়ে যে-কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, একটি মানবিক বিপর্যয় এড়াতে নিরাপত্তা পরিষদকে চাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন গুতেরেস। সেই সঙ্গে গাজায় অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি ৫ বছরের জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন অ্যান্তোনিও গুতেরেস। এরপর সদস্য দেশগুলোর সম্মতিতে ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে দ্বিতীয় মেয়াদে একই দায়িত্ব পান তিনি। জাতিসংঘ মহাসচিবের দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো ৯৯ ধারা প্রয়োগের আহ্বান জানালেন গুতেরেস।

ইহুদিবাদী ইসরাইল ও তার অপকর্মের সহযোগী বিশ্বমোড়ল আমেরিকা যখন গাজা উপত্যকার ওপর নৃশংস হামলা চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর তখন জাতিসংঘ মহাসচিবের এ পদক্ষেপ মার্কিন সরকারের কাছে ‘চরম বিব্রতকর’ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। গুতেরেস এই প্রথম গাজা যুদ্ধের ব্যাপারে সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা ও ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিপক্ষে অবস্থান নেন নি।

এর আগে গত ২৩ অক্টোবর তিনি এক বক্তব্যে বলেছিলেন, হামাস শুধু শুধু ৭ অক্টোবরের অভিযান চালায় নি। নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের উদ্দেশে গুতেরেস বলেন, “ফিলিস্তিনি জনগণ ৫৬ বছর ধরে শ্বাসরুদ্ধকর দখলদারিত্বের শিকার হয়েছে। তারা দেখেছে যে, তাদের ভূমি প্রতিনিয়ত বসতি দ্বারা দখল হয়ে যাচ্ছে ও সহিংসতায় জর্জরিত, তাদের অর্থনীতি স্তিমিত, তাদের মানুষ বাস্তুচ্যুত এবং তাদের বাড়িঘর বিধ্বস্ত। তাদের এমন দুর্দশায় রাজনৈতিক সমাধানের আশা লোপ পাওয়ার পরই তারা ইসরাইলের অভ্যন্তরে অভিযান চালিয়েছে।”#

পার্সটুডে




আজ দুর্গাপুর মুক্ত দিবস পালিত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

৬ ডিসেম্বর দুর্গাপুর মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সনের এই দিনে বাংলার দামাল ছেলেদের রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে নেত্রকোণার সীমান্তবর্তী দুর্গাপুর উপজেলাকে মুক্ত করেছিলেন। এ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, স্কুল-কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নানা কর্মসুচীর মাধ্যমে এদিবস পালন করেছে।

এ উপলক্ষে সকাল ১১টায় উপজেলা চত্বরে সর্বস্তরের অংশগ্রহনে পায়রা উড়িয়ে এক বর্নাঢ্য র‌্যালি পৌরশহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুল ইসলাম প্রিন্স এর সভাপতিত্বে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন‘র সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান (ভার:) পারভিন আক্তার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার সোহরাব হোসেন তালুকদার, উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সভাপতি ওসমান গণি তালুকদার, সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক, ওসি উত্তম কুমার দেব, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক জামাল তালুকদার, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ হক, মো. এমদাদুল হক খান, ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাদেকুল ইসলাম, মো. এমদাদুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহেদ আলী, মো. সিরাজুল হক, আব্দুল জব্বার প্রমূখ।

বক্তারা বলেন, পাকিস্তানি মেজর সুলতানের নেতৃত্বে বিরিশিরিতে একটি শক্তিশালী পাকসেনা ঘাঁটি গড়ে উঠেছিল। এখান থেকেই বাংলার কুখ্যাত দালাল, আলবদর, রাজাকারদের সহযোগিতায় নিয়ন্ত্রন করতো দুর্গাপুর ও কলমাকান্দার সীমান্ত এলাকা গুলো। সেইসাথে বুদ্ধিজীবি মানুষদের ধরে এনে রাতের আঁধারে বিরিশিরি‘র বধ্যভূমিতে নৃশংসভাবে হত্যা করা হতো। সর্বপ্রথম যাদের হত্যা করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে নেত্রকোনা সরকারি কলেজের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক শহীদ আরজ আলী, এমকেসিএম পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল আওয়াল, দুর্গাপুরের তদানিন্তন এমএনএ গৌরাঙ্গ চন্দ্র সাহা, কুল্লাগড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আলী হোসেন, শিক্ষক আশুতোষ সান্যাল, কাকৈরগড়া ইউনিয়নের শিক্ষক জালাল উদ্দিন তালুকদার, সমাজসেবক ধীরেন্দ্র নাথ পত্রনবীশ, সুসং ডিগ্রি কলেজের ছাত্র দিলদার হোসেন, বিল্লাল হোসেন, কৃষক ইমাম হোসেন ও ছোট্রনী সহ নাম অজানা অনেককেই। এছাড়া ৫ মে গাঁওকান্দিয়া গ্রামে ১৯ জন মুক্তিযোদ্ধাকে এক সাথে হত্যা করেছিলো পাকসেনারা।

বিজয়পুর সংলগ্ন স্থানে মুক্তিবাহিনীরা একটি ব্রাশফায়ারে ১০ জন পাকসেনাকে হত্যা করে আনন্দ উল্লাসে জয় বাংলা ধ্বনি উচ্চারণ করে এগিয়ে আসতে থাকলে ওঁৎ পেতে থাকা পাকসেনাদের গুলিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তোষ বিশ্বাস শহীদ হয়েছিলেন। তারই নামানুসারে দুর্গাপুর সদরে নির্মিত হয় দুর্গাপুর শহীদ সন্তোষ পার্ক।




দুর্গাপুরে সাহিত্য সমাজের সভাপতি সারোয়ার, সাধারন সম্পাদক জীবন রংদী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সাহিত্য সমাজের দ্বি-বার্ষিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় পৌর শহরের পথ পাঠাগারের অস্থায়ী কার্যালয়ে কমিটি গঠনের লক্ষ্যে এক মতবিনিময় সভা হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে নাজমুল হুদা সারোয়ারকে সভাপতি ও জীবন কুমার নন্দীকে সাধারণ সম্পাদক করে ৯ সদস্য বিশিষ্ট কার্য্য নির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সহ সভাপতি মঞ্জুরুল হক সৌরভ, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জুয়েল রানা, অর্থ সম্পাদক বাচ্চু মিয়া, সাহিত্য সম্পাদক গোপাল চক্রবর্তী, নির্বাহী সদস্য সজীম শাইন, মো. জালাল রনি, নির্মল রবিদাস।

প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নাজমুল হুদা সারোযার বলেন, দুর্গাপুর সাহিত্য সমাজ ২০০৬ সাল থেকে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। আমাদের সংগঠন সমাজের মানুষকে সচেতন করতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সাহিত্য চর্চা এবং লেখালেখি করার প্রেরণা যোগায়।




ময়মনসিংহে চলন্ত অবস্থায় খুলে গেল বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে আন্তঃনগর বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের দুটি বগি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে জামালপুর চট্টগ্রাম রেলপথের ঈশ্বরগঞ্জ স্টেশন অতিক্রম করার পর এই ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, সোমবার চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে আন্তঃনগর বিজয় এক্সপ্রেস জামালপুরের উদ্দেশে যাত্রা করে। পথিমধ্যে সোমবার রাতে ট্রেনটি জামালপুর-চট্টগ্রাম রেলপথের ঈশ্বরগঞ্জ স্টেশন অতিক্রম করার পর ট্রেনের সর্বশেষ ১৬ ও ১৭ নম্বর বগির হুক খুলে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে ট্রেনের পরিচালক গৌরীপুর স্টেশনের আউটার সিগন্যাল এলাকায় এসে টের পায়।

পরে ওই ট্রেনের পরিচালক উল্টো পথে ট্রেন নিয়ে বিচ্ছিন্ন বগি ট্রেনের সাথে যুক্ত করে নিয়ে গৌরীপুর স্টেশনে এসে যাত্রাবিরতি করে। পরে সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে জামালপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

ট্রেনের পরিচালক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম বলেন, গৌরীপুর ও ঈশ্বরগঞ্জ স্টেশনের মাঝামাঝি এলাকায় চলন্ত ট্রেনের দুটি বগির হুক খুলে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে ট্রেন থামানের পর উল্টো পথে ট্রেন নিয়ে বিচ্ছিন্ন বগি যুক্ত করে গৌরীপুর স্টেশনে নিয়ে আসি। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।




ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে তানজানিয়ায় অন্তত ৪৭ মৃত্যু

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

তানজানিয়ার উত্তরাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যায় ও ভূমিধসে অন্তত ৪৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া সংস্থার কর্মকর্তারা। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮০ জন মানুষ। দেশটির হানাং পর্বতের ঢালের কাছে এই ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবং উদ্ধার প্রচেষ্টায় সহায়তার জন্য জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করেন প্রেসিডেন্ট সামিয়া হাসান। প্রতিকূল আবহাওয়ায় ওই অঞ্চলের ঘরবাড়ি ও অবকাঠামোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিবিসি আরও জানায়, বন্যাকে পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক বিপদ বলা হয়ে থাকে। বন্যায় প্রতি বছর দেশটিতে কয়েক হাজার মানুষ ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়ে থাকেন। মূলত পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলো ২০২৩ সালে বন্যা এবং ভূমিধসে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর সেটি আবার আংশিকভাবে আবহাওয়ার এল নিনোর কারণে।

উল্লেখ্য, গত মাসে দেশটিতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের ফলে রাজধানী দারুস সালাম এবং কিগোমা, কাগেরা, গেইতা ও উনগুজা এলাকায় প্রাণহানি এবং বহু সম্পত্তি ধ্বংস হয়ে গেছে। দেশের কিছু অংশের ফসলও ভেসে গেছে এবং মানুষের জীবন-জীবিকার ওপর প্রভাব পড়েছে। এদিকে চলতি মাসেও এই বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলে তানজানিয়ার আবহাওয়া সংস্থা থেকে সতর্ক করা হয়েছে ।