দুর্গাপুরে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন, অভিযুক্ত ভাই মজিবুর আটক

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে জমি নিয়ে দ্ব›েদ্বর জেরে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছোট ভাইকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল রবিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অভিযুক্ত ছোট ভাই মজিবুর রহমান কে আটক করা হয়। সে অসুস্থ অবস্থায় সেখানে চিকিৎসাধীন থাকায় তাকে পুলিশ পাহারায় রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত বড় ভাইয়ের নাম নুরুল আমিন। আর অভিযুক্ত ছোট ভাই হলেন মজিবুর রহমান। তারা দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের মউ গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে,রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল নয়টার দিকে দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের মউ গ্রামে জমি নিয়ে দ্ব›েদ্বর জেরে বড় ভাই নুরুল আমিনের বুকে দেশীয় অস্ত্র (ডেগার) দিয়ে আঘাত করে ছোট ভাই মজিবুর রহমান। এতে বুকে গুরুতর জখম হয় নুরুল আমিনের। পরে স্থানীয়রা ও পরিবারের সদস্যরা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর পরপরই থানা পুলিশ তৎপর হয়ে আসামি ধরতে অভিযান চালায়। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওইদিন অর্থাৎ গতকাল রবিবার রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় অভিযুক্ত ছোট ভাই মজিবুর রহমানকে আটক করে পুলিশ। তবে সে অসুস্থ হয়ে সেখানে চিকিৎসাধীন থাকায় তাকে পুলিশ পাহারায় রাখা হয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ঘাতক মজিবুর রহমানকে এক নম্বর আসামী করে মোট চার জনের নাম উল্লেখ করে দুর্গাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নিহতের ছেলে মো. সোহেল মিয়া।
নিহতের ছেলে মো. সোহেল মিয়া জানান,গত দুই বছর ধরে চাচাদের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এই নিয়ে স্থানীয়ভাবে দেন দরবার হলেও কোনো সুরাহা আসেনি।
তিনি আরো বলেন, “গতকাল সকালে আমি ক্ষেতের আইল বাঁধতে ছিলাম তখন আব্বা আইলের উপর দাঁড়িয়ে রইছিল। এইসময় আব্বার ছোট ভাই মজিবুর ডেগার দিয়ে আব্বার বুকে ফার মারে। আমি আমার আব্বার খুনের বিচার চাই।”
এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ সাদেকুজ্জামান জানান,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযুক্ত মজিবুরকে ময়মনসিংহ হাসপাতালে আটক করা হয়েছে। তবে সে অসুস্থ অবস্থায় সেখানে চিকিৎসাধীন থাকায় আদালতকে অবহিত করে পুলিশ পাহারায় রাখা হয়েছে। এ মামলার বাকি আসামীদের ধরতে চেষ্টা অব্যাহত আছে।

আল নোমান শান্ত




বিশ্ব ইজতেমার প্যান্ডেল তৈরির কাজ শুরু হলো

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত বিশ্ব ইজতেমার প্যান্ডেল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। গতকাল রবিবার যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল আনুষ্ঠানিকভাবে এ কাজের উদ্বোধন করেন।

প্রতিমন্ত্রী বিশ্ব ইজতেমা মাঠে প্যান্ডেলের খুঁটি পুঁতে এই কাজের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন শেষে তিনি বলেন, ‘আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব ইজতেমা। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে বিশ্ব ইজতেমা সম্পন্ন করতে সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। নির্ধারিত সময়ে সব কাজ শেষ করতে এখন থেকেই প্যান্ডেলের কাজ শুরু হলো।

মাওলানা যোবায়ের আহমেদ পন্থীদের আয়োজনে ২০২৪ সালের ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।

মাওলানা সাদ পন্থীদের দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি।

এর আগে ১৫ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক মাওলানা যোবায়ের আহমেদ পন্থীদের প্রথম পর্ব ও মাওলানা সাদ পন্থীদের দ্বিতীয় পর্বের তারিখ জানানো হয়।




এবার সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী ১৮৯৬

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

সারাদেশে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার শেষে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়াল এক হাজার ৮৯৬ জনে।

রবিবার নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

জাহাংগীর আলম বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিল করেন দুই হাজার ৭১৬ প্রার্থী। বাছাইয়ে বাতিল হন ৭৩১ জন, আপিল দায়ের করেন ৫৬০ জন। আপিল মঞ্জুর হয় ২৮৬ জনের ও আপিল নামঞ্জুর হয় ২৭৪ জনের।
তিনি আরও বলেন, আজ সারাদেশে মনোনয়ন প্রত্যাহার হয়েছে ৩৪৭টি, স্থগিত আছে পাঁচটি। প্রার্থিতা প্রত্যাহার শেষে ২৭টি দল ও স্বতন্ত্র মিলে এখন মোট বৈধ প্রার্থী এক হাজার ৮৯৬ জন।




যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছে, ইসরায়েলকে যে শর্ত দিলো হামাস

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নতুন যুদ্ধবিরতির লক্ষ্য নিয়ে দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের আলোচনা চলছে। এই আলোচনায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্র।

মিসরের দুটি সূত্র বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে রোববার (১৭ ডিসেম্বর) জানিয়েছে, ইসরায়েল এবং হামাস উভয়ই নতুন যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির চুক্তি চায়। তবে কিভাবে এটি কার্যকর হবে সে বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে।

সূত্রগুলোর বরাতে জানা গেছে, হামাস ইসরায়েলকে দুটি শর্ত দিয়েছে। প্রথমটি হলো— তারা বলছে কোন জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে সেই তালিকা তারাই তৈরি করবে। দ্বিতীয়টি হলো— ইসরায়েলি সেনাদের পূর্ব নির্ধারিত অবস্থানে পিছিয়ে যেতে হবে।

ইসরায়েল হামাসের তালিকা তৈরির বিষয়টিতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্রগুলো। তবে তারা এজন্য একটি সময়সীমা ও তালিকা দেখানোর দাবি জানিয়েছে। মূলত যুদ্ধবিরতির সময় নির্ধারণ করার জন্য ইসরায়েল এমন দাবি করেছে।

তবে সেনাদের পূর্ব নির্ধারিত অবস্থানে প্রত্যাহার করে নেওয়ার যে শর্ত হামাস দিয়েছে, সেটি ইসরায়েল প্রত্যাখ্যান করেছে।

গত শুক্রবার গাজা সিটিতে ভুলক্রমে তিন জিম্মিকে গুলি করে হত্যা করে ইসরায়েলি সেনারা। ওই জিম্মিদের মৃত্যুর পর হামাসের সঙ্গে নতুন করে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি-বন্দি বিনিময় চুক্তি করার জন্য বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভার ওপর চাপ তৈরি হয়। এরপরই হামাসের সঙ্গে নতুন চুক্তির আলোচনা শুরু করে দখলদার ইসরায়েল।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স আরও জানিয়েছে, মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার দাবি জানিয়েছে, গাজায় সাধারণ মানুষের কাছে ব্যাপকভাবে ত্রাণ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে ইসরায়েলকে। এজন্য একটি বর্ডার ক্রসিং খুলে দিতে বলেছে দেশটি।

সূত্র: রয়টার্স