পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বৈঠকে পিটার হাস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন ।বৈঠকটি শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে ।

যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে শ্রম ইস্যুতে তাদের নীতি জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে। ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস বাংলাদেশ সরকারকে এ ব্যাপারে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

তবে পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে পিটার হাসের আজকের বৈঠকের বিষয় সম্পর্কে এখনো জানা যায়নি। উল্লেখ্য, ১১ দিন ছুটি কাটিয়ে গত সোমবার ঢাকায় ফিরেছেন পিটার হাস।




আওয়ামী লীগের কোনো জোট বা সঙ্গী দরকার নেই: কাদের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

আওয়ামী লীগের কোনো জোট বা সঙ্গী দরকার নেই মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গীর দরকার নেই, আমাদের শক্তি জনগণ। দুস্কর্মের বন্ধু খুঁজে বেড়ায় বিএনপি।

তিনি বলেন, ‘সময়ের প্রয়োজনে কৌশল পরিবর্তন করে এগোচ্ছে আওয়ামী লীগ। নেত্রীর গাইডলাইন ফলো করে ডামি প্রার্থী হতে বাধা নেই।’

সোমবার সকালে শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ চত্বরে ডা. মিলনের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

দেশে নির্বাচনী আমেজ শুরু হয়ে মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছেন। নির্বাচনে দেশের মানুষ ও নেতা কর্মীদের আগ্রহ আছে।

বিএনপির নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে। এখন তারা নির্বাচন বানচাল করার নানা পাঁয়তারা করছে। সেজন্য তারা নানা জায়গায় চোরাগোপ্তা হামলা করছে। তাদের নির্বাচন বানচাল করার স্বপ্ন পূরণ হবে না। বিক্ষিপ্ত বোমাবাজি করে নির্বাচন বন্ধ করা যাবে না। নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে যে উৎসাহ তাতে বোমাবাজি, অগ্নিসন্ত্রাস করে নির্বাচন ঠেকানো যাবে না।




‘দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে ভোটকেন্দ্রে যাবেন না’

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে হলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নির্বাচনে যাবে না। ২০১৪-১৮ সালে আমরা দেখেছি দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়নি। তাই এই নির্বাচনও দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু হবে না। তাই আমরা দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

একই সাথে চরমোনাই পীর দেশবাসীর প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আপনারা ভোটকেন্দ্রে যাবেন না।

চরমোনাই পীর তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমান সরকারের তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ফিলিস্তিনের পক্ষের ভূমিকাসমূহ জানেন না। অথচ আমরা ফিলিস্তিনের পক্ষে সব সময়ই সোচ্চার ছিলাম। তিনি আওয়ামীলীগের শাসনামলে বাংলাদেশের পাসপোর্ট থেকে “এক্সসেপ্ট ইসরায়েল” উঠিয়ে দেয়ার প্রতিবাদ করে বলেন, এই সরকার ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করে যাচ্ছে তারাই অন্যদের ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলা নিয়ে সমালোচনা করছে। যা খুবই হাস্যকর।

আজ বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে ঐতিহাসিক চরমোনাই ময়দানে অনুষ্ঠিত বার্ষিক অগ্রহায়ণ মাহফিলের দ্বিতীয় দিনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

উদ্বোধনী বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, দেশে এখন নিরব দুর্ভিক্ষ চলছে। অর্থনৈতিক সংকট আজ বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে। এই সংকট, অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা ও অশান্তি এজন্য দায়ী বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার। আ.লীগের সীমাহীন ক্ষমতালিপ্সার কারণে দেশে আজ চরম সংকট। এরা দেশকে ভালোবাসেনা তাই দেশের মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে জগদ্দল পাথরের মত টিকে থাকতে চায়। এই অবৈধ সরকার বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং প্রত্যেকটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে।

তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসবিবের দিল্লি সফরের সমালোচনা করে বলেন, দিল্লী কী বাংলাদেশের রাজধানী? সেখানে গিয়ে কেন অন্যান্য দেশের কুটনৈতিকদের সাথে বৈঠক করতে হবে?

তিনি বলেন- দিল্লী ওবায়দুল কাদের সাহেবদের রাজধানী হতে পারে। ভারতবর্ষের কাছে হাসিনা সরকারকে পূণরায় ক্ষমতায় বসানোর অনুরোধ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মিডিয়া ব্রিফিংয়ের সমালোচনা করে গাজী আতাউর রহমান আরো বলেন, এদের কথা-বার্তা ও আচরণে মনে হচ্ছে বাংলাদেশ কোন স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র নয়। বাংলাদেশের জনগন আর এক মূহুর্তও এই অবৈধ সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায়না। সুতরাং- আমাদের মুহতারাম আমীরের ঘোষিত দাবির আলোকে দ্রুততম সময়ে অবৈধ সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় দেশের চলমান সংকট আরো তীব্রতর হওয়ার আশঙ্কা করছি।

একই সাথে তিনি সারাদেশ থেকে আগত ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশনা দিতে গিয়ে বলেন, আমাদের এখন প্রথম কাজ হলো এই অবৈধ সরকারের পতন ঘটানোর আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করা এবং একই সাথে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ যেহেতু নির্বাচনমুখী দল সেহেতু আমাদের নির্বাচনের প্রস্তুতিও রাখতে হবে। যদি নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হয় তবে আমীরের নির্দেশ অনুযায়ী নির্বাচনে ঝাপিয়ে পরে হাতপাখাকে বিজয়ী করতে হবে।

ওলামা সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ আলম, জামিয়া ইসলামিয়া মদিনাতুল উলুম তিলপাপাড়া-ঢাকা এর মুহাতামীম মাওলানা ইউনুছ ঢালী প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।

আজ বাদ ফজর মূল বয়ানের তৃতীয় বয়ান পেশ করেন আমীরুল মুজাহদীন আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই এবং আজ বাদ মাগরীব মূল বয়ানের তৃতীয় বয়ান পেশ করবেন নায়েবে আমীরুল মুজাহিদীন আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই।

আগামীকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় মাহফিল স্টেজে সারাদেশ থেকে আসা ছাত্রদের নিয়ে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার চরমোনাই ময়দানে দেশের সর্ববৃহৎ জুমার জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এতে দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লীগণ অংশগ্রহণ করবেন।

এদিকে মাহফিলে অংশগ্রহণকারী মুসল্লীদের মধ্যে (একজন) ফতুল্লা-নারায়ণগঞ্জ নিবাসী মোঃ কারামত আলী (৭৫) পিতা- মৃত মারফত আলী গতকাল ২২ নভেম্বর রাত ৭.৪৫ মিনিটে ইন্তেকাল করেন। মরহুমের নামাজে জানাজা শেষে লাশ তার স্বজনদের হাতে হস্তান্তর করা হয়। চরমোনাই অস্থায়ী মাহফিল হাসপাতালে গতকাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫শতাধিক মুসল্লীর চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।




যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে হামাসের যেসব শর্ত মানতে বাধ্য হল ইসরায়েল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি অনুমোদন করেছে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা। এরপর বিষয়টি নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। তারাও জিম্মিদের বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দিদের মুক্তির কথা জানিয়েছে। বুধবার (২২ নভেম্বর) বিবিসির এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের তথ্য কেন্দ্র জানিয়েছে, চুক্তির আওতায় হামাস ৫০ জিম্মিকে মুক্তি দেবে। অন্যদিকে এর বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগার থেকে ১৫০ ফিলিস্তিনি মুক্তি পাবেন। এ পর্বে মুক্তিপ্রাপ্তরা হবেন নারী ও শিশুরা।

হামাস জানিয়েছে, চুক্তিতে আরও বেশ কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যারমধ্যে অন্যতম হলো গাজায় প্রতিদিন শত শত মানবিক সহায়তার ট্রাক ও চিকিৎসা সরঞ্জাম ও জ্বালানি প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলে এ যু্‌দ্ধবিরতির সময়ে গাজার কোথাও আক্রমণ বা কাউকে আটক করতে পারবে না। এ ছাড়া চারে দিনের এ যুদ্ধবিরতিতে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে প্রতিদিন ছয় ঘণ্টা করে বিমান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে হবে। এ সময়টা হবে স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত।

এর আগে টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় অনুমোদন করেছে ইসরায়েল। দেশটির মন্ত্রিসভা বুধবার (২২ নভেম্বর) ভোরে এক অভূতপূর্ব ভোটের মাধ্যমে এ প্রক্রিয়ার অনুমোদন করেছে। এ চুক্তির আওতায় ৫০ জিম্মিকে মুক্তির বিষয়টি ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করা হয়েছে। তবে চুক্তির বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি।

হাবরিউ মিডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চুক্তির আগে বিরোধিতা করলেও দেশটির অতি ডানপন্থি ইহুদিবাদী দল এর পক্ষে ভোট দিয়েছে। অন্যদিকে জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী ইতামার বেন গভিরের দল ওতজমা ইয়েহুদিত এ চুক্তির বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।

বুধবার সকালে এ ব্রিফিংয়ে ইসরায়েলের সরকার জানিয়েছে, এ চুক্তির আওতায় ৫০ জন ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তির আশা করা হচ্ছে। যেখানে বেশিরভাগই হবে নারী ও শিশু। এর আওতায় প্রতিদিন ১২ থেকে ১৩ জনের একটি করে দল মুক্তি পাবে।




কাল থেকে চরমোনাই’র বার্ষিক মাহফিল শুরু. আখেরি মোনাজাত ২৫ নভেম্বর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণে আগামী বুধবার (২২ নভেম্বর) জোহরের পর বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের বয়ানের মধ্য দিয়ে চরমোনাইয়ের তিনদিনব্যাপী বার্ষিক মাহফিল আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হবে।
এবারের মাহফিলে আগত দেশি-বিদেশি শ্রোতাদের জন্য ইতোমধ্যে দুটি মাঠ প্রস্তুত করা হয়েছে। আগত শ্রোতাদের যাতে মাহফিল শুনতে সমস্যা না হয় সেজন্য টানানো হয়েছে সামিয়ানা, লাগানো হয়েছে প্রয়োজনীয় লাইট ও মাইক। ব্যবস্থা করা হয়েছে পর্যাপ্ত বাথরুমেরও।

সড়ক পথে গাড়ি রিজার্ভ করে যারা আসবেন তাদের গাড়ি পার্কিংয়ের নির্ধারিত যায়গা প্রস্তুত করা হয়েছে।
এদিকে, গত ১০ নভেম্বর থেকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শ্রোতারা রিজার্ভ ও ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে মাহফিল মাঠে উপস্থিত হতে শুরু করেছেন। লঞ্চ ও ট্রলারে করে মানুষের আগমন শুরু হয়েছে ১৮ নভেম্বর থেকে।

গতকাল ২০ নভেম্বর ও আজ ২১ নভেম্বর ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন নদী বন্দর থেকে রিজার্ভ লঞ্চে এ শ্রোতাদের উল্লেখযোগ্য অংশ মাহফিলস্থলে উপস্থিত হবেন।

চরমোনাই বার্ষিক মাহফিল বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ ইসলামী জমায়েত। নিজের আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে নেককার ও আদর্শ মানুষ হিসেবে নিজকে গড়ে তুলতে ১৯২৪ সাল থেকে চরমোনাই মাহফিলে মুসল্লিদের আগমন শুরু হয়।

তিনদিনের মাহফিলে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম ও নায়েবে আমীরুল মুজাহিদিন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম সাতটি বয়ান শ্রোতাদেরকে দ্বীনের পথে পরিপূর্ণভাবে চলার জন্য উদ্বুদ্ধ করে। এছাড়া দেশ-বিদেশের উল্লেখযোগ্য ওলামা মাশায়েখদের বয়ান শ্রোতাদেরকে দ্বীনের পথে চলতে উৎসাহ যোগায়।

মাহফিলের দ্বিতীয় দিন বেলা ১০টা ৩০ মিনিটে এ চরমোনাই মাহফিলে আগত ওলামা মাশায়েখ ও বুদ্ধিজীবীদেরকে নিয়ে ওলামা মাশায়েখ বুদ্ধিজীবী সম্মেলন, তৃতীয় দিন বেলা ১০টা ৩০ মিনিটে আগত ছাত্রদের নিয়ে ছাত্র সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এছাড়া মঞ্চের বাইরে সুবিধাজনক স্থান ও সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম সমাবেশ, শিক্ষকদের নিয়ে শিক্ষক সমাবেশ, যুবকদের নিয়ে যুব সমাবেশ, শ্রমজীবী মানুষের অংশগ্রহণে শ্রমিক সমাবেশ, মুয়াল্লালিমদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়।

মাহফিলে আগত শ্রোতাদেরকে তিন দিনে হাতে কলমে নামাজসহ জরুরি মাসআলা-মাসায়েল প্রশিক্ষণ, সুরা ক্বেরাত প্রশিক্ষণসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। কয়েক হাজার ভাগে ভাগ করে বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন মাদরাসাসমূহের মোয়াল্লিমদের মাধ্যমে এই হাতে কলমে প্রশিক্ষণের কাজ করা হয়।

মাহফিলে শ্রোতাদের জরুরি চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য ১০০ বেডের অস্থায়ী হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা ও রোগীদের বিনমূল্যে ঔষধ দেয়া হয়।

আগামী ২৫ নভেম্বর সকাল ৮-৯ টার দিকে আখেরি বয়ানের আনুষ্ঠানিকতা শেষে চরমোনাই পীরের মোনাজাতের মাধ্যমে তিনদিন ব্যাপী মাহফিলের কার্যক্রম সমাপ্ত করবেন।




বিএনপি ভোটে এলে আলোচনা করবে ইসি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বিএনপি নির্বাচনে ফিরতে চাইলে নির্বাচন কমিশন আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বেগম রাশেদা সুলতানা।

সোমবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

নির্বাচন কমিশনারের কাছে এক সাংবাদিক জানতে চান, বিএনপিসহ অনেক দল এখনো নির্বাচন প্রক্রিয়ার বাইরে আছে। তারা যদি ভোটে ফিরতে চায়, এই তফসিলে কি ফেরা সম্ভব বা নাকি বিএনপির জন্য বিশেষ বিবেচনা থাকবে?

জবাবে রাশেদা সুলতানা বলেন, আমার জানা মতে পূর্বেও ওনারা একটু পরেই নির্বাচনে এসেছিলেন এবং সুযোগটা পেয়েছিলেন। এবারও ওনারা যদি ফিরতে চান, কীভাবে কী করা যাবে নিশ্চয়ই আমরা আলোচনা করব। ওনারা সিদ্ধান্ত নিলে, আসতে চাইলে অবশ্যই আমরা ওয়েলকাম করব। ওনারা আসতে চাইলেন আর আমরা ফিরিয়ে দেব, এমনটা হবে না।

তিনি বলেন, বিস্তারিত এখন কিছুই বলব না। ওনারা যদি আসেন আমরা কমিশনাররা বসব, আইনকানুন দেখব। তারপর যেটা সিদ্ধান্ত হয়, হবে। অগ্রিম কিছু বলতে পারব না।

তার মানে আপনারা বিবেচনা করবেন– প্রতি উত্তরে রাশেদা বলেন, এলে তো বিবেচনা করবই, অবশ্যই করব। আমরা তো চাই সব দল এসে একটা সুন্দর নির্বাচন হোক।

এই বিবেচনার মধ্যে কী পন্থা আছে জানতে চাইলে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, কী পন্থা আছে এই মুহূর্তে আমি বিস্তারিত বলতে পারব না। ২০১৮ সালের নির্বাচনে আমার জানা মতে ওনারা এসেছিলেন। ওই নির্বাচনে ওনাদের জন্য একটু স্পেস তৈরি করা হয়েছিল। আমরা যেভাবে আইনে আছে, সেভাবেই করব। আমি ডিটেইল আর কিছু বলব না।

জাতীয় পার্টি তফসিল পেছানোর জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন জানিয়েছে। তফসিল একটু পেছানো যায় কি না– এ প্রশ্নের জবাবে রাশেদা বলেন, এ বিষয়ে আমরা কিছুই বলব না। অগ্রিম বলার সময় এখনো আসেনি। যখন আসবে, যেটা হবে, সেটাই বলব। পরিস্থিতি যখন আসবে, পরিস্থিতি দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। অগ্রিম এ বিষয়ে কোনও কথাই বলব না। বলা উচিত নয়। ওনারা এলে আমরা ওয়েলকাম করব। এটার জন্য, ওনাদের জন্য আইন অনুযায়ী যেভাবে পথ সৃষ্টি করতে হবে সেভাবে করব। কিন্তু আগেই বলব না।

রাশেদা সুলাতানা বলেন, সংকট সৃষ্টি হওয়ার আগেই যদি ওনারা আসেন? কাজেই এখনই কিছু বলব না। অতীতে যেভাবে হয়েছে আমরা দেখব। যদি সময় বাড়ানো প্রয়োজন হয়, আমরা বাড়াব। যদি বাড়ানোর প্রয়োজন না হয়, এভাবেই হয়, তাহলে হবে। কোনো অসুবিধা নেই। যদি এই তফসিলের মধ্যেই আসে, তাহলে তো তফসিলে হাত দেওয়ার দরকার নেই।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, নিশ্চয়ই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের এখনো স্পেস আছে। মাঠের রাজনীতিতে যখন বিভাজন তৈরি হয়েছে, তখন শান্ত নাকি অশান্ত তা আমার বলতে হবে না। আপনারাই দেখতে পাচ্ছেন। জনগণও দেখতে পাচ্ছে। পরিবেশ অশান্ত আছে, তাই বলে শান্ত হবে না– এমন তো কোনো কথা নেই। যেকোনো মুহূর্তে শান্ত হতে পারে।

তিনি দলগুলোর উদ্দেশে বলেন, আমাদের প্রতি আস্থা রাখুন। আসুন, নির্বাচন করুন। নিঃসন্দেহে আপনারা একটা ভালো, সুষ্ঠু, সুন্দর নির্বাচন করার সুযোগ পাবেন। ভোটাররা এসে স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তাদের যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেবেন। নিশ্চয়ই আমরা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করব।




গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ১৩ হাজার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

গাজায় ইসরায়েলি হামলা চলতে গত ৭ অক্টোবর থেকে। প্রায় দেড় মাস ধরে অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৩ হাজার ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে সাড়ে ৫ হাজারের বেশি শিশু এবং নারী সাড়ে ৩ হাজারের বেশি। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় গাজা প্রশাসনের জনসংযোগ বিভাগ এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা প্রশাসনের জনসংযোগ বিভাগ এক বিবৃতিতে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় হতাহতদের সংখ্যা জানিয়েছে। সেই বিবৃতি অনুসারে, গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৩ হাজার। এ সময়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে সাড়ে ৫ হাজারের বেশি শিশু ও সাড়ে ৩ হাজার নারী।

গাজা জনসংযোগ বিভাগের তথ্য অনুসারে, এই সময়ের মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছে অন্তত ৩০ হাজার গাজাবাসী। আহতদের মধ্যে ৭৫ শতাংশই নারী ও শিশু। এ ছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় এখন পর্যন্ত ৬ হাজারের বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে তারা সবাই ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন।

অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনী অন্তত ৮৩টি মসজিদ পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে এবং ১৬৬টি মসজিদ তাদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই সময়ে তিনটি গির্জাতেও হামলা চালানো হয়েছে। গাজার ২৫টি হাসপাতাল ও ৫২টি চিকিৎসাকেন্দ্র পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েল।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪৩ হাজার আবাসন ইউনিট পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং ২ লাখ ২৫ হাজার ইউনিট কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই হিসেবে গাজা উপত্যকার মোট আবাসন ইউনিটের অন্তত ৬৬ শতাংশ ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত অথবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।




ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মালবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট রেলপথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকামুখী মালবাহী কন্টেইনার ট্রেনের একটি ওয়াগনের চারটি চাকা লাইনচ্যুত হয়েছে।

রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার জসিম মিয়া জানান, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা মালবাহী ট্রেনটির ঢাকা যাওয়ার পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে এলাকায় এসে একটি ওয়াগনের চার চাকা লাইনচ্যুত হয়। লাইনের কিছু ত্রুটির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনার কারণে রেললাইন ও স্লিপারেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে ঢাকামুখী ডাউন লাইন ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, তবে ডাউন লাইন দিয়ে ধীরগতিতে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস আখাউড়া জংশনে দাঁড়ানো আছে। আখাউড়া জংশন থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন এলে দ্রুত ডাউন লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হবে।




ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা করল বাংলাদেশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর চালানো যুদ্ধাপরাধ তদন্তে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) নালিশ করেছে বাংলাদেশসহ পাঁচটি দেশ। এসব দেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধপরাধের অভিযোগ আমলে নিয়ে সেগুলো যেন তদন্ত করা হয়।

আর সাধারণ ফিলিস্তিনিদের পক্ষ হয়ে পাঁচ দেশের আন্তর্জাতিক আদালতের দারস্থ হওয়ার বিষয়কে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘আমরা আইসিসিতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে করা অভিযোগকে স্বাগত জানাই। ফিলিস্তিনিরা সবচেয়ে ভয়াবহ বছর পার করার পর এবং রোমান সংবিধিতে থাকা অপরাধ সংঘটিত হওয়ার মাধ্যমে ফিলিস্তিনে মানবিক বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার পর এ ধরনের অভিযোগ করা হলো।’

বাংলাদেশ ছাড়া ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নালিশ করা অন্য দেশগুলো হলো— দক্ষিণ আফ্রিকা, বলিভিয়া, কমোরোস এবং জিবুতি।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) আইসিসির জ্যেষ্ঠ প্রসিকিউটর করিম আহমেদ খান জানিয়েছেন, ৫ দেশের প্রতিনিধিদের এই যৌথ আবেদন গ্রহণ করেছে আইসিসি।

ইসরায়েল আইসিসির সদস্য নয়, এই আদালতকে স্বীকৃতিও দেয়নি এখন পর্যন্ত; তবে ফিলিস্তিন আইসিসির সদস্য।

করিম খান জানিয়েছেন, ২০০২ সালে যে রোমান সংবিধির ওপর ভিত্তি করে আইসিসি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেই সংবিধি অনুযায়ী কোনো সদস্যরাষ্ট্র যদি বাইরের কোনো রাষ্ট্রের হামলার শিকার হয় এবং ওই হামলাকারী রাষ্ট্র যদি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত সনদে স্বাক্ষরকারী কিংবা স্বীকৃতি দানকারী দেশ না ও হয়— তাহলেও ওই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারবে আইসিসি।

ইউক্রেনীয় শিশুদের জোরপূর্বক রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়ায় গত বছর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। যদিও রাশিয়া এই আদালতের সদস্য নয়। তবে যেসব দেশ এটির সদস্য— সেসব দেশে যদি পুতিন যান তাহলে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের হাতে সোপর্দ করতে হবে।

সূত্র: আল জাজিরা




সংঘাত বন্ধে বিশ্ব নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

জাতিগুলোর মধ্যে আস্থার ঘাটতি এবং আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধার অভাব ইউরোপে চলমান যুদ্ধ এবং ফিলিস্তিনকে গণহত্যার দিকে নিয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে সংঘাত বন্ধে বিশ্ব নেতাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Google news
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত ‘দ্বিতীয় ভয়েস অফ গ্লোবাল সাউথ সামিট’-এ অংশ নিয়ে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন তিনি। ভারত ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে ১২৫টি দেশের অংশগ্রহণে এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের শীর্ষ সম্মেলনের থিম, ‘সবার সাথে সকলের প্রবৃদ্ধির জন্য সকলের বিশ্বাসের সঙ্গে’ সবচেয়ে সময়োপযোগী কারণ, আমাদের বিশ্ব আজ যে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে, তা হল ‘বিশ্বাসের ঘাটতি’।

তিনি আরও বলেন, ‘যেমনটা আছে আমাদের বিশ্বের অসহনীয় দারিদ্র্য, অবাঞ্ছিত বৈষম্য, অসহনীয় সন্ত্রাসবাদ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিপর্যয়মূলক হুমকি।’

এছাড়াও, শেখ হাসিনা বলেন, গ্লোবাল সাউথের জনগণের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ এবং ক্রমবর্ধমান দুর্ভোগ হিসেবে এখন নিষেধাজ্ঞা এবং পাল্টা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘এই সংকটময় মুহূর্তে বিশ্বকে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং ‘প্রত্যেকের প্রবৃদ্ধি’ অর্জনের জন্য ‘প্রত্যেকের বিশ্বাস’ শক্তিশালী করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী নির্মম হত্যাযজ্ঞের মুখে অসহায় ফিলিস্তিনিদের মর্মান্তিক, অমানবিক পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

‘এখন সময় আমাদের সকলের এক বিশ্ব হিসেবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এবং সংঘাতের অবসান দাবি করার,’ বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী ‘দ্বিতীয় ভয়েস অফ গ্লোবাল সাউথ সামিট-২০২৩’ আহ্বান করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, ‘জি-২০ প্রেসিডেন্সির মাধ্যমে ক্রমাগত গ্লোবাল সাউথের আওয়াজ তুলে ধরার জন্য আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই।’

সম্মেলনের উদ্বোধনের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন: ‘এটাই সময় গ্লোবাল সাউথের দেশগুলোকে বৃহত্তর বৈশ্বিক মঙ্গলের জন্য, এক পরিবার, এক ভবিষ্যতের জন্য এক সুরে কথা বলতে হবে। আমাদেরকে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে ‘পাঁচটি সি’ এর পথপ্রদর্শক নীতি নিয়ে। যেগুলো হচ্ছে: সমাবর্তন, সহযোগিতা, যোগাযোগ, সৃজনশীলতা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি।’

শেখ হাসিনা তার ভাষণে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের হামাস যোদ্ধাদের মধ্যে সংঘাতে বেসামরিক মানুষের মৃত্যুর পাশাপাশি গত ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধাদের ইসরায়েলে হামলার নিন্দা জানান।

মোদি আরও বলেন, ভারত ফিলিস্তিনের মানুষের জন্য মানবিক সাহায্য পাঠিয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, গ্লোবাল সাউথ আমাদের ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত।

তিনি বলেন, ‘তবে, আমরা প্রায়শই বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক চ্যালেঞ্জের ঝুঁকিতে থাকি।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘প্রত্যেকের বিশ্বাস’ এর ওপর ভিত্তি করে আরও ন্যায়সঙ্গত এবং শান্তিপূর্ণ বিশ্ব তৈরি করতে গ্লোবাল সাউথের জন্য আরও জায়গা এবং বলার অনুমতি দিয়ে এগুলোকে সমাধান করা দরকার।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এ ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন: ‘বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা, বিনামূল্যে আবাসন, কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং জলবায়ু অভিযোজন অর্জনের বিষয়ে আমাদের অভিজ্ঞতাগুলো গ্লোবাল সাউথের সাথে ভাগ করে নিতে প্রস্তুত।’

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী গ্লোবাল সাউথ ও বিশ্বের উন্নতির জন্য পাঁচটি সুপারিশ করেছেন। সুপারিশগুলো হলো:
প্রথম: শান্তির প্রচারের প্রবল সমর্থক হিসেবে আমি বিশ্বাস করি মানবতার সার্বিক কল্যাণের জন্য বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা অত্যাবশ্যক।

গ্লোবাল সাউথকে অবশ্যই একতরফা নিষেধাজ্ঞা এবং পাল্টা নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ফ্রন্ট বজায় রাখতে হবে।

দ্বিতীয়: নারী, বিশ্ব জনসংখ্যার অর্ধেক হিসেবে অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং প্রাণবন্ত সমাজ গঠনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সবচেয়ে বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালনকারী নারী নেত্রী হিসেবে আমি নিশ্চিতভাবে জানি যে নারীর ক্ষমতায়ন একটি উজ্জ্বল এবং আরও ন্যায়সঙ্গত ভবিষ্যতের জন্য একটি কৌশলগত প্রয়োজন।

তৃতীয়: বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য সমস্ত প্রচেষ্টা অত্যাবশ্যক।

গ্লোবাল সাউথে জলবায়ু অভিযোজনের জন্য বর্ধিত অর্থায়ন এবং প্রাসঙ্গিক প্রযুক্তি স্থানান্তর অপরিহার্য।

চতুর্থত, প্রধান জনশক্তি রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে গ্লোবাল সাউথের উচিত সকলের জন্য উন্নত জীবন প্রদানের জন্য এবং আয়োজক ও স্বদেশ উভয় দেশেই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখতে উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় অভিবাসনকে প্রবাহিত করা।

পঞ্চম, স্বল্পোন্নত দেশগুলো কভিড-১৯ এবং বিশ্বের বিভিন্ন অংশে সংঘাতের ফলে বিভিন্ন অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে।

পরিশেষে, আমি বিশ্ব মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য সাউথ-সাউথ এবং ট্রায়াঙ্গুলার সহযোগিতার গুরুত্বের ওপর জোর দিচ্ছি। আমি উন্নয়ন অংশীদার, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং স্টেকহোল্ডারদের উদারভাবে একটি উন্নত ভবিষ্যতের জন্য গ্লোবাল সাউথকে সমর্থন করার আহ্বান জানাই।