দুর্গাপুরে অবরোধ বিরোধী মিছিল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বিএনপি-জামায়াতের টানা অবরোধ ও জ¦ালাও-পোড়া কর্মকান্ডের প্রতিবাদে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে অবরোধ বিরোধী মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় আ‘লীগের কার্যনিবাহী কমিটির সদস্য, উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং এর নির্দেশে পৌর শহর ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় আ‘লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম, বাবুল মিয়া, মজিবুর রহমান ফকির, রোকনুজ্জামান রোকন, মতিউর রহমান, আজিজুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা টিটু পত্রনবীস, বাবন সরকার, ছাত্রলীগ নেতা, কায়েস, আনিসুজ্জামান রনি, জহিরুল হক, সোহেল রানা, মামুনুর রশিদ প্রমুখ। মিছিলে অংশগ্রহনকারী নেতা-কর্মীরা অবরোধ বিরোধী বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনে নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করার আহবান জানান।

মিছিল শেষে বিভিন্ন এলাকায় পথসভায় বক্তারা বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশব্যাপী যে ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে রাজপথে থেকে আমরা তা প্রতিহত করবো। দেশের সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা‘র হাত ধরে বাংলাদেশে যে নজীর বিহীন উন্নয়ন হয়েছে, তা নস্যাৎ করতেই জ¦ালাও-পোড়াও চালাচ্ছে স্বাধীনতা বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা। দেশের জনগন হরতাল অবরোদ প্রত্যাখান করেছে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা সহ কেন্দ্রীয় আ‘লীগ নেতা রেমন্ড আরেং এর নির্দেশে আমরা এসকল ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি প্রতিহত করবো।




ফিলিস্তিনি শ্রমিকদের সরিয়ে ১ লাখ ভারতীয় শ্রমিক নেওয়ার পরিকল্পনা ইসরাইলের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইহুদিবাদী ইসরাইলি নির্মাণ সংস্থাগুলো তাদের সরকারকে বলেছে যে তারা ৯০ হাজার ফিলিস্তিনির পরিবর্তে ১ লাখ ভারতীয় শ্রমিক নিয়োগ করতে চায়। তাদের এ জন্য অনুমতি দেওয়া হোক।

গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরাইলে কর্মরত ৯০ হাজার ফিলিস্তিনি শ্রমিকের পারমিট বাতিল করা হয়েছে। এ কারণে ইসরাইলে নির্মাণ সংক্রান্ত যাবতীয় কাজে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। প্রসঙ্গত, ভারতীয় শ্রমিকরা উপসাগরীয় দেশগুলোতে আধুনিক শহর গড়ে তুলেছেন, এজন্য ইসরাইলি সংস্থাগুলো তাদের পরিশ্রমে আস্থা রেখেছে। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের পাঠানো হবে কী না তা স্পষ্ট হয়নি।

গণমাধ্যমে প্রকাশ- ইসরাইলি বিল্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হাইম ফিগলিন বলেছেন, ‘আমরা ভারতের সঙ্গে আলোচনা করছি। আমরা শ্রমিকদের অনুমোদনের জন্য ইসরাইল সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছি। ভারত থেকে আমাদের ৫০ হাজার/এক লাখ শ্রমিক দরকার। ভারতীয় শ্রমিকরা ইসরাইলে গেলে সেখানে বড় পরিসরে কর্মসংস্থান হবে। এ ছাড়া তাদের পাঠানো অর্থ অর্থনীতিতে অবদান রাখবে।

কিন্তু ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই বিষয়ে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। ভারত শ্রমিকদের ইসরাইলে যেতে দেবে কিনা তা এখনও জানা যায়নি, তাও আবার এমন সময়ে যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চল থেকে ভারতীয়দের সরিয়ে নেওয়ার অপারেশন অজয় এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। ফিগলিন বলেছেন, ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলের নির্মাণ শিল্পের প্রায় ২৫ শতাংশ। এর মধ্যে ১০ শতাংশই গাজা থেকে এসেছেন। বাকিরা পশ্চিম তীরের।

এদিকে, চলমান যুদ্ধের মধ্যে আচমকা শ্রমিকের চাহিদা বৃদ্ধি পেলেও, ইসরাইল আগে থেকেই ভারতীয় শ্রমিকদের এনে ফিলিস্তিনি শ্রমিকদের সরাতে চেয়েছিল। জানা গেছে, চলতি বছরের মে মাসে ভারত ইসরাইলের সাথে একটি সমঝোতা করেছিল, যাতে ৪২ হাজার ভারতীয় শ্রমিককে ইসরাইলে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হবে। নার্সিংয়ের পাশাপাশি নির্মাণ ক্ষেত্রেও কাজ করবেন এসব মানুষ। মে মাসে ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেনের ভারত সফরের সময় এই সমঝোতা হয়েছিল। তারপর প্রথমবারের মতো ইসরাইলের নির্মাণ খাত ভারতীয়দের জন্য উন্মুক্ত হয়। এই চুক্তি সইয়ের আগে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রস্তুতি চলছিল।

বিশ্লেষকদের মতে, ভারভারত ও ইসরাইলের মধ্যে শ্রমিকদের বা পরিসেবা ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের পাঠানোর চুক্তি শান্তিকালীন সময়ে করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে ইসরাইলের পক্ষ থেকে শ্রমিকের যে দাবি তা কর্মসংস্থানের চেয়ে ফিলিস্তিনি শ্রমিকদের শিক্ষা দেওয়ার জন্যই বেশি। বেশিরভাগ ফিলিস্তিনি শ্রমিক কাজে ফিরতে চাইলেও ইসরাইল তাদের ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করায় তারা কাজ হারিয়েছেন।#

সুত্র: পার্সটুডে




নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সিইসি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে জানানো হয়েছে। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে প্রস্তুত নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশনের সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি এবং তফশিলের সম্ভাব্য দিনক্ষণ জানাতে বঙ্গভবনে যান সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা বঙ্গভবনে যান। আগামী নির্বাচন নিয়ে তারা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা করেন।

ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আনুষ্ঠানিক তফশিল ঘোষণার আগে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের রেওয়াজ রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে দুপুর ১২টায় ইসি সদস্যরা বঙ্গভবনে যান।




সন্ত্রাসী ইসরায়েলের ১৩৬ ট্যাংক ধ্বংস, ১০০০ সেনা নিহত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

গত ২৭ অক্টোবর রবিবার সকাল থেকে গাজা উপত্যকায় বিভিন্ন অঞ্চলে দখলদার ইসরায়েল সেনারা স্থল অভিযান শুরু করে৷
হামাস সেনারা ও তুমুল প্রতিরোধ গড়ে তুলে৷ আকাশ পথে বিমান হামলা করে ঘর বাড়ি ধ্বসিয়ে দিয়ে গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করে হামাসকে নির্মূল করতে তারা যতটা সহজ ভেবেছিল, আসলে অতটা সহজ নয়৷ হামাস যোদ্ধাদের শক্ত প্রতিরোধ এবং ফাঁদে পড়ে দখলদার সেনারা এখন বিপর্যস্ত৷

প্রতিদিনই প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির শিকার হচ্ছে৷ যদিও তারা হতাহতের সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে৷ ইসরায়েলের অফিসিয়াল হিসেবে স্থলঅভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত নিহত সেনার সংশ্যা ৩৪, ৭ ই অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত নিহত সেনার সংখ্যা ৩৫০, সাজোয়া যান ও ট্যাংক ধ্বংস হয়েছে ৩৬টি৷ কিন্ত গতকাল (৮/১১/২৩ বুধবার) আলজাজিরা ও স্টেপ নিউজ এজেন্সীর প্রতিবেদন উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য৷

প্রতিবেদনটির তথ্যানুযায়ী স্থলঅভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে ৮/১১/২৩ পর্যন্ত ১৩৬ টি সামরিক যান ধ্বংস করেছে হামাস সেনারা৷ ৭অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার দখলদার ইসরায়েলি সেনাকে হত্যা করেছে৷ সামরিক গবেষক ও বিশ্লেষকদের থ্যানুযায়ী প্রতিটি ট্যাংকে ৩/৪ করে সেনা থাকে, সাজোয়া যানে থাকে অন্তত ১০/১৫ জন করে৷ সে হিসেবে হতাহতের সংখ্যা হিসেব করলে আরো বেশি হয়৷

মারকাভা ব্যাটেল ট্যাংক ইসরাইলের স্টান্ডার্ড ব্যাটেল ট্যাংক।এবং এটাকে ইসরাইলের সমর সক্ষমতার বা দম্ভের প্রতীক হিসাবে গন্য করা হয় ।১৯৮০ সালে সার্ভিসে আসার পর থেকে প্রায় ২২ বছর এই ট্যাংক ছিলো অজেয়। কিন্ত হামাস যোদ্ধাদের রকেট ও মর্টার শেলের আঘাতে তা এমনভাবে ধ্বংস হচ্ছে যা রিতীমত দখলদারদের অবাক করে দিয়েছে৷ সামরিক বিশ্লেষকরা ও ভেবে পাচ্ছেনা যে এটা কী করে সম্ভব? তবে কি আল্লাহ হামাস মুজাহীদদেরকে সাহায্য করছেন? এমনই তথ্য ওঠে এসেছে বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ এবং সাংবাদিক ও খোদ ইহুদী কমাণ্ডারদের বক্তব্য থেকে৷ তাদের দাবী, যখনি ইসরায়েল সেনারা গাযায় প্রবেশ করতে যাচ্ছে তখনি কোথা থেকে হঠাৎ যোদ্ধারা বের হয়ে ট্যাংক গুড়িয়ে দিয়ে উধাও হয়ে যাচ্ছে৷ তারা শুধু তাদের ছায়া ই দেখতে পাচ্ছে৷

গতকাল আলজাজিরা তার ইউটিউব চ্যানেলে ইজ্জুদ্দী আল-কাসাম ব্রিগেডের সামরিক মুখপাত্র, “আবু উবাইদা”র একটি ১০মিঃ ভিডিও বার্তা শেয়ার করে৷ তিনি বলেন,
আলহামমদুলিল্লাহ, আল্লাহর রহমত এবং তাঁর সাহায্য আমাদের মুজাহিদরা দখলদারদের ১৩৬ টি যুদ্ধযান পুরোপুরি বা অনেকাংশে ধ্বংসে করেছে৷ প্রচুর সংখ্যক দখলদার সেনাকে হত্যা করেছে৷

আমাদের মুজাহিদরা বিরত্বের সাথে গাজার উত্তর-পশ্চিম এবং দক্ষিণে সমস্ত স্থল আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই এবং মোকাবিলা করতে থাকবে। ফাঁদে ফেলে তারা জিরো পয়েন্ট দুরত্ব থেকে ট্যাংক ধ্বংস করছে৷ মর্টার শেল ও রকেটের আঘাতে বিল্ডিং ও দেয়ালের পাশে লুকিয়ে থাকা সৈন্যদেরকে হত্যা করছে৷ আমাদের মুজাহিদরা শত্রুদের সম্মুখ ও পিছন দিক থেকে আক্রমণ করে বিপর্যস্ত করে তুলছে৷

তিনি আরো বলেন, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের ৩৩ দিন পরেও আল-কাসাম মুজাহিদরা এখনও মোকাবিলা করতে সক্ষম৷ আমাদের মুজাহীদরা দখলদারদের আগ্রাসন প্রতিহত করার জন্য ময়দানে প্রদর্শন বীরত্ব প্রদর্শন করেছে তা প্রত্যেক আরব মুসলিম এবং পৃথিবীর সকল স্বাধীন মুসলিমদের জন্য গর্ব৷

তিনি প্রতিরোধের জন্য বিশ্বমুসলিমদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা পশ্চিম তীর, গাজা এবং জেরুজালেমে এবং সমস্ত ফ্রন্ট এবং অঙ্গনে দখলদারদের প্রতি আমাদের ক্রোধ প্রতিরোধের আসন্ন নতুন কিছু ঘটার ঘোষণা করছি।”

সরকারী হিসাব মতে ৭ অক্টোবর থেকে নিয়ে এ পর্যন্ত ১৫৩৮ জনেরও বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়েছে এবং ৫৪৩১জন আহত হয়েছে। বন্দি হয়েছে ২৪২ জনেরও বেশি৷ এই বন্দিদের বিনিময়ে হামাস যোদ্ধারা দখলদারদের কাছে বন্দী থাকা শিশু ও মহিলা সহ ৬০০০ফিলিস্তিনি বন্দীদের বিনিময় করতে চায়।

যুদ্ধের ৩৩তম দিনেও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় গণহত্যা এবং ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ চালাচ্ছে, যাতে যুদ্ধের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ৪২৩৭ জন শিশু এবং ২৭১৯ জন মহিলা সহ ১০৩২৮ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছে এবং প্রায় ২৬০০০আহত হয়েছে।
এদিকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ১৬৩ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছে এবং ২২১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সূত্র: আল-জাজিরা