নেত্রকোনা ১ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী- রোটারিয়ান আতাউর রহমান খান আঁখির

dnb news:

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ১৫৭ নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতিকের মনোনয়ন প্রত্যাশী অন্তত: ডজন পেড়িয়ে যাবে। অনেক আগে থেকেই যার যার অবস্থান থেকে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।

তম্মধ্যে এই আসনের কলমাকান্দা উপজেলার কৈলাটী গ্রামের বাসিন্দা রোটারিয়ান মোঃ আতাউর রহমান খান আঁখির দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ দলীয় নেতা-কর্মীসহ দুই উপজেলার সাধারণ মানুষের সাথে মিশে আছেন তিনি। বন্যাসহ যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে থেকে ঘর,শুকনো খাবার,নগদ অর্থ সহ বিভিন্ন প্রকার সাহায্য সহযোগিতা করে থাকেন তিনি,তার যথেষ্ট প্রমানও রয়েছে। তাছাড়া প্রতি বছর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,এতিমখানায় ফলজ ও বনজ গাছের চারা রোপন করারও দৃষ্টান্ত রয়েছে। তিনি কেন্দ্রীয়ভাবে একজন সফল ব্যবসায়ী,স্থানীয়ভাবে কোন ব্যবসার সাথে জরিত নন। তিনি কলমাকান্দা উপজেলার জন্মগতভাবে আওয়ামী এবং সনামধন্য সম্ভান্ত পরিবারের সন্তান, আঁচার-আঁচরণের দিকথেকেও প্রসংসার দাবী রাখেন সে এবং দৈর্যশীল,পারিবারিকভাবে তারা ৫ভাই ৫বোন সে দ্বিতীয়, তাঁর স্ত্রী একজন আইনজীবি, সবাই উচ্চ শিক্ষিত এবং প্রতিষ্ঠিত। তাঁর পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সুলতান আহম্দে খান(প্রাক্তন ইউপি চেয়ারম্যান)এবং একজন প্রবীন আওয়ামীলীগার। তার রাজনীতির সংক্ষিপ্ত পরিচয়ে দেখাগেছে সে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, ঢাকা কলেজ। সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, কেন্দ্রীয় কমিটি। তাছাড়া লিডারশীপ ফর সোসাল ডেভেলপমেন্ট এর চেয়ারম্যান এবং ম্যাকটেক্স গ্রুপ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এর দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫৭ নেত্রকোনা-১(দুর্গাপুর-কলমাকান্দা)আসনে তিনিই আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতিকের মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্যতার অধীকারী,দুই উপজেলার বেশীরভাগ মানুষের প্রত্যাশা এবং দাবী তাঁকেই মনোনয়ন দেয়া হউক।

দুই উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে সাধারণ মানুষের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত শেষে দুর্গাপুর প্রেসক্লাবে স্খানীয় সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মনোনয়ন প্রাপ্তি প্রত্যাশায় তার কর্মকান্ডের সংক্ষিপ্ত ফিরিস্থি তুলে ধরেণ। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমার যোগ্যতার মাপকাঠি বিবেচনা করে নেত্রী আমাকে মনোনয়ন দিবেন বলে আমি আশাবাদী। মনোনয়ন পেলে সকলের সহযোগিতায় আমি বিজয় ছিনিয়ে আনতে পারবো বলে বিশ্বাস করি। পরে তিনি আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেণ।

এ সময় তাঁর সাথে ছিলেন উলামালীগ সাবেক সম্পাদক মোঃ আব্দুল্লা আলমামুন (সাহান), পৌর আওয়ামী লীগ সদস্য ফয়জুর রহমান বাবুল,ছাত্রলীগ কর্মী হ্নদয় হাসান, অ্যাডভোকেট জাকির খান, মোঃ এমদাদ খান প্রমুখ।




খানাখন্দ-কাঁদায় সড়কের বেহাল দশা, জনভোগান্তি চরমে

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি:
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি আঞ্চলিক মহাসড়কের বিরিশিরি হতে শান্তিপুর এলাকা পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশায় চরম জনভোগান্তি দেখা দিয়েছে। এই ভোগান্তি এক দিনের নয়,বছরের পর বছরের।
প্রধান এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিনই লাখো মানুষের জেলা শহর,বিভাগসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত। এই দুর্ভোগের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সড়কের খানাখন্দ-কাদা ও যানজট। ভেজা ও অতিবোঝাই বালু পরিবহনে সড়ক নষ্ট হয়ে বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ আর বড় বড় গর্ত। এতে প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই থাকছে। অন্যদিকে এইসব বালুর গাড়ি থেকে চুইয়ে পড়া পানিতে সবসময়ই সড়কটি কাদাপানিতে একাকার থাকে। ফলে সবাইকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এ সড়ক দিয়ে যেমন যেতে হয় জেলাশহর ও বিভাগ শহরে অপরপথে যেতে হয় উপজেলা সদর,অফিস-আদালতসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। তাছাড়া সোমেশ্বরী নদী,সাদামাটির পাহাড় ও পাহাড়ি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে এখানে সারাবছরই বেড়াতে আসেন বিপুলসংখ্যক পর্যটক। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ভোগান্তিতে পোহাতে হচ্ছে তাঁদেরও।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এ পথের উপজেলার ১২ কিলোমিটার সড়কের প্রায় ৬ কিলোমিটার সড়কই বেহাল। খানাখন্দ আর কোথাও কোথাও প্রায় দুই ফুট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেই গর্তে জমেছে পানি। আর পুরো সড়ক জুড়ে কাদা আর কাদা। যেন পা ফেলাই দায়। ওই সড়কটি দিয়েই শত শত যানবাহনসহ মানুষ চরম দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করছেন।
এদিকে সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতায় সড়ক সংস্কারের অংশ হিসেবে ২৪শত মিটার পৃথক পৃথক স্থানে আরসিসি সড়ক নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে। তবে সড়কের কিছু স্থানে এক পাশের কাজ শেষ হলেও ফেলে রাখা হয়েছে অন্যপাশের অংশটি। এতে সড়কের একপাশ দিয়ে যানবাহন চলাচলে দীর্ঘ সময়ের যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অসংখ্য যানবাহন চলাচল থাকায় সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক রেখে এক সঙ্গে দুইপাশের কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব না।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভেজা ও অতিরিক্ত বালু বহন করায় সড়কের বারটা বেজে গেছে। সর্বদাই কাদায় ডুবে থাকছে এবং দীর্ঘ সময় যানজট লেগে থাকে। এতে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আমিন জানান, কাঁদা আর ট্রাকের জ্যামে অতিষ্ঠ সবাই। আমার বাড়ি লক্ষীপুর থেকে দুর্গাপুর যেতে ২০ মিনিটের রাস্তা এখন দুই ঘন্টাও লাগে। এই দুরাবস্থা যেন দেখার কেউ নেই।
আব্দুল আলী জানান, সড়কটি দিয়ে অসুস্থ রোগী নিয়ে উপজেলা সদর হাসপাতালে যেতে হয়। তাছাড়াও জরুরি রোগীদের ময়মনসিংহ নিয়েও যেতে হয়। কিন্তু সড়কের এই অবস্থায় সময় মতো পৌঁছানোটাই ঝুঁকি হয়ে যায়।
এইচএসসি পরিক্ষার্থী উজ্জ্বল মিয়া জানান,বাড়ি থেকে সকাল সাড়ে ছয়টায় বের হই। সড়কের এই পরিস্থিতিতে অটোরিক্সাও যেতে চায় না । যার কারণে খুব কষ্ট হচ্ছে আর কতক্ষনে কেন্দ্রে পৌঁছাবো এই টেনশনে থাকি।
এ প্রসঙ্গে নেত্রকোনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ আলনূর সালেহীন জানান, ওই সড়কে বালুর ট্রাক চলাচলে রাস্তা টিকিয়ে রাখায় মুসকিল হয়ে পড়েছে। মানুষের কষ্ট তো থাকছেই। সড়কের পৃথক পৃথক স্থানে মোট ২৪শত মিটার আর সিসি’র কাজ চলমান রয়েছে।
আরও জানান,সড়কের এক পাশের কাজ শেষ করে ২৮দিন পর অপর পাশের কাজ ধরতে হচ্ছে। এ সড়কে অনেক গাড়ি চলাচল রয়েছে তাই সড়ক বন্ধ রেখে কাজ করা যায় না।

আল নোমান শান্ত
০১৮১৪৬১৭৮৩৪




১৯ অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির আভাস

dnb news :

দেশের ১৯টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্বদিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেটের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্বদিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে বুধবার (২ আগস্ট) রাতে আবহাওয়ার সবশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।




‘হাফেজ রেজাউল হত্যাকারীদের শাস্তি ও পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে’

dnb news desk :

বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও ঢাকা মহানগর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেছেন, হাফেজ রেজাউল করীম একজন পথচারী ও নিরীহ নিরপরাধ মাদ্রাসাছাত্র। সে কোন দলীয় রাজনীতির সাথে যুক্ত নয়। তারপরেও তার উপরে যারা হামলা করে হত্যা করেছে তারা মানবতার শত্রু। শান্তি সমাবেশে নিজেরা নিজেরা সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার ঘটনারও নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। ঘৃণিত এই হত্যাকাণ্ডের চারদিন পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার তো দূরের কথা, সরকারের সরাষ্ট্রমন্ত্রী কিংবা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কারো থেকে এখন পর্যন্ত দোষীদের গ্রেফতার এবং বিচারের কোন আশ্বাসবাণীও শোনা যায়নি। অবিলম্বে রেজাউল করীম হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। শহীদ রেজাউল করীমের পরিবারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনসমূহের শান্তি সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় নিরীহ মাদ্রাসাছাত্র হাফেজ রেজাউল করিমের হত্যার বিচার ও যথাযথ ক্ষতিপূরণের দাবিতে বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র আন্দোলন কর্তৃক আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মঙ্গলবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি হাফেজ জাকির বিল্লাহর সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খেলাফত আন্দোলনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোফাচ্ছির হোসাইন, ঢাকা মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী আবুল হাসান কাসেমী, ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীনুর আলম, ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগর সভাপতি হাফেজ আব্দুর রহমান, জামিয়া নূরিয়া শাখা সভাপতি মেরাজুল ইসলাম, সহসভাপতি আলী হোসাইন প্রমূখ।




ডেঙ্গু এখন চোখ রাঙা”েছ দুর্গাপুরে

dnb news :

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি :

দেশের বিভিন্ন জায়গার মতো এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু এখন চোখ রাঙা”েছ নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলায়। কেবল ঢাকা থেকে আসা নই এখন ¯’ানীয়ভাবেও আক্রান্ত হ”েছন মানুষ। দিন দিন বাড়ছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ফলে রোগটির ভয়াবহতা ঝুঁকির দিকে এগো”েছ।

উপজেলা স্বা¯’্য কমপ্লেক্সে সূত্রে জানা যায়,গত তিন সপ্তাহে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৯ জন। তার মধ্যে ১৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ পর্যন্ত সু¯’ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১২ জন। এরই মধ্যে শিশুসহ ২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। অন্যদিকে হাসপাতালের বহি বিভাগের ২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তি বাসায় চিকিৎসা নি”েছন। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে হাসপাতালটিতে ৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। তবে এখনো কোনো রোগী মারা যায়নি।

এদিকে ৫০ শয্যার এই হাসপাতালটিতে প্রতিদিনই প্রায় ৮০ জনের উপরে রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নি”েছন। এরই মধ্যে দেখা দিয়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। যার কারণে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা কোন ওয়ার্ড না থাকায় সাধারণ ওয়ার্ডেই আলাদা বেডে মশারি টানিয়ে চলছে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা। তবে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা আরো বাড়লে বিকল্প ব্যব¯’া নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

উপজেলার বালিচান্দা গ্রাম থেকে আসা ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত পারভীন আক্তার (৩০)। তার মা সালেহা বেগম জানান,গত কয়েকদিন ধরে জ্বর ও পাতলা পায়খানা। ¯’ানীয়ভাবে ঔষধে না কমলে হাসপাতালে আসেন এবং চিকিৎসকের পরামর্শে পরিক্ষা নিরিক্ষার পর জানতে পরেন পারভীন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। তাৎক্ষণিক হাসপাতালে ভর্তি করেন।

কৃষ্ণপুর গ্রাম থেকে আসা কিশোর মোশারফ জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে জ্বর ও পাতলা পায়খানা। এরপর গত শনিবার হাসপাতালে এসে পরিক্ষা নিরিক্ষার পর ডেঙ্গু আক্রান্ত জানতে পারেন।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বা¯’্য ও প:প: কর্মকর্তা ডাঃ সজীব রায় কালের কন্ঠকে বলেন,৫০ শয্যাবিশিষ্ট এই হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের জন্য নারী-পুরুষ আলাদা আলাদা ওয়ার্ড খোলার জায়গা নেই। আমাদের নির্দেশনা দেওয়া আছে আলাদা বেডে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার প্রদানের। তবে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা আরো বাড়লে বিকল্প ব্যব¯’া নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন,সারাদেশেই এখন ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে অবশ্যই সচেতনতার বিকল্প নেই। নিজ নিজ উদ্যেগে সচেতনতা বাড়াতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিষ্কার-পরি”ছন্ন থাকার পাশাপাশি বাড়ির আশপাশে কোথাও যাতে পানি জমে না থাকে সে দিকে লক্ষ রাখতে সচেতন করা হ”েছ বলে জানান তিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান কালের কন্ঠকে বলেন,ডেঙ্গু মোকাবেলায় ইতিমধ্যে মিটিং করা হয়েছে। এডিস মশা প্রতিরোধে পৌরমেয়রসহ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের স্ব-স্ব এলাকা পরিস্কার-পরিছন্ন করতে বলা হয়েছে। এছাড়াও মশা নিধক যন্ত্র দিয়ে স্প্রে করা হ”েছ বলেও জানান তিনি।

আল নোমান শান্ত
০১ আগষ্ট ২০২৩




দুর্গাপুরে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ খেলা অনুষ্ঠিত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে উপজেলা পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট সমাপনী খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকেলে এমকেসিএম পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ খেলা সম্পন্ন হয়।

খেলায় বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে শশারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ২-০ গোলে হারিয়ে সাগরদিঘী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন এবং বঙ্গমাতা গোল্ডকাপে বারমারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ২-০ গোলে হারিয়ে নয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হয়। খেলায় ১২৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় অংশগ্রহন করে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সহকারি কমিশনার (ভুমি) মো. আরিফুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা সজিব রায়, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. বজলুর রহমান আনসারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহেদ, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক জামাল তালুকদার সহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, প্রধান শিক্ষকগন উপস্থিত ছিলেন।




খুলনায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

খুলনার লবণচরা থানা এলাকায় সোহাগ পাটোয়ারী নামের এক যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।

সোমবার (৩১ জুলাই) দিবাগত রাত ১২ টার দিকে দুুর্বৃত্তরা তাকে ৪ নং কাশেম সড়ক সবুজপল্লী এলাকার প্রধান সড়কের পাশে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। রাত সোয়া ১টার দিকে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

নিহত সোহাগ পাটোয়ারী জনৈক মালেক পাটোয়ারীর ছেলে। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লবণচরা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. এনামুল হক।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সোহাগ পাটোয়ারী পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করত। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে এলাকাবাসীর ধারণা।

লবণচরা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. এনামুল হক বলেন, রাত ১২টার দিকে ফোন করে সোহাগকে ডেকে নেয় দুর্বৃত্তরা। সবুজপল্লী প্রধান সড়কের পাশে পৌঁছামাত্র ওৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা চা-পাতি ও ছুরি দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন অংশ কুপিয়ে গুরুতর জখম করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশে উপ পুলিশ কমিশনার দক্ষিণ মো. তাজুল ইসলাম বলেন, হত্যাকান্ডে ৪ জন উপস্থিত ছিলেন। তাদের সকলকে শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন সোহাগকে ফোন করে বাসা থেকে ডেকে নেয়। বাকি ৩ জন তাকে চা-পাতি ও ছুরি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে কুপিয়ে জখম করে। তারা মৃত ব্যক্তির হাত ও পায়ের রগকেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। হত্যাকান্ডের ব্যাপারে অনেক তথ্য পাওয়া গেছে তবে তদন্তের স্বার্থে তা প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না।