নেত্রকোনা ১ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী- রোটারিয়ান আতাউর রহমান খান আঁখির

dnb news:

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ১৫৭ নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতিকের মনোনয়ন প্রত্যাশী অন্তত: ডজন পেড়িয়ে যাবে। অনেক আগে থেকেই যার যার অবস্থান থেকে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।

তম্মধ্যে এই আসনের কলমাকান্দা উপজেলার কৈলাটী গ্রামের বাসিন্দা রোটারিয়ান মোঃ আতাউর রহমান খান আঁখির দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ দলীয় নেতা-কর্মীসহ দুই উপজেলার সাধারণ মানুষের সাথে মিশে আছেন তিনি। বন্যাসহ যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে থেকে ঘর,শুকনো খাবার,নগদ অর্থ সহ বিভিন্ন প্রকার সাহায্য সহযোগিতা করে থাকেন তিনি,তার যথেষ্ট প্রমানও রয়েছে। তাছাড়া প্রতি বছর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,এতিমখানায় ফলজ ও বনজ গাছের চারা রোপন করারও দৃষ্টান্ত রয়েছে। তিনি কেন্দ্রীয়ভাবে একজন সফল ব্যবসায়ী,স্থানীয়ভাবে কোন ব্যবসার সাথে জরিত নন। তিনি কলমাকান্দা উপজেলার জন্মগতভাবে আওয়ামী এবং সনামধন্য সম্ভান্ত পরিবারের সন্তান, আঁচার-আঁচরণের দিকথেকেও প্রসংসার দাবী রাখেন সে এবং দৈর্যশীল,পারিবারিকভাবে তারা ৫ভাই ৫বোন সে দ্বিতীয়, তাঁর স্ত্রী একজন আইনজীবি, সবাই উচ্চ শিক্ষিত এবং প্রতিষ্ঠিত। তাঁর পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সুলতান আহম্দে খান(প্রাক্তন ইউপি চেয়ারম্যান)এবং একজন প্রবীন আওয়ামীলীগার। তার রাজনীতির সংক্ষিপ্ত পরিচয়ে দেখাগেছে সে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, ঢাকা কলেজ। সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, কেন্দ্রীয় কমিটি। তাছাড়া লিডারশীপ ফর সোসাল ডেভেলপমেন্ট এর চেয়ারম্যান এবং ম্যাকটেক্স গ্রুপ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এর দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫৭ নেত্রকোনা-১(দুর্গাপুর-কলমাকান্দা)আসনে তিনিই আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতিকের মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্যতার অধীকারী,দুই উপজেলার বেশীরভাগ মানুষের প্রত্যাশা এবং দাবী তাঁকেই মনোনয়ন দেয়া হউক।

দুই উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে সাধারণ মানুষের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত শেষে দুর্গাপুর প্রেসক্লাবে স্খানীয় সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মনোনয়ন প্রাপ্তি প্রত্যাশায় তার কর্মকান্ডের সংক্ষিপ্ত ফিরিস্থি তুলে ধরেণ। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমার যোগ্যতার মাপকাঠি বিবেচনা করে নেত্রী আমাকে মনোনয়ন দিবেন বলে আমি আশাবাদী। মনোনয়ন পেলে সকলের সহযোগিতায় আমি বিজয় ছিনিয়ে আনতে পারবো বলে বিশ্বাস করি। পরে তিনি আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেণ।

এ সময় তাঁর সাথে ছিলেন উলামালীগ সাবেক সম্পাদক মোঃ আব্দুল্লা আলমামুন (সাহান), পৌর আওয়ামী লীগ সদস্য ফয়জুর রহমান বাবুল,ছাত্রলীগ কর্মী হ্নদয় হাসান, অ্যাডভোকেট জাকির খান, মোঃ এমদাদ খান প্রমুখ।




খানাখন্দ-কাঁদায় সড়কের বেহাল দশা, জনভোগান্তি চরমে

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি:
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি আঞ্চলিক মহাসড়কের বিরিশিরি হতে শান্তিপুর এলাকা পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশায় চরম জনভোগান্তি দেখা দিয়েছে। এই ভোগান্তি এক দিনের নয়,বছরের পর বছরের।
প্রধান এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিনই লাখো মানুষের জেলা শহর,বিভাগসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত। এই দুর্ভোগের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সড়কের খানাখন্দ-কাদা ও যানজট। ভেজা ও অতিবোঝাই বালু পরিবহনে সড়ক নষ্ট হয়ে বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ আর বড় বড় গর্ত। এতে প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই থাকছে। অন্যদিকে এইসব বালুর গাড়ি থেকে চুইয়ে পড়া পানিতে সবসময়ই সড়কটি কাদাপানিতে একাকার থাকে। ফলে সবাইকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এ সড়ক দিয়ে যেমন যেতে হয় জেলাশহর ও বিভাগ শহরে অপরপথে যেতে হয় উপজেলা সদর,অফিস-আদালতসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। তাছাড়া সোমেশ্বরী নদী,সাদামাটির পাহাড় ও পাহাড়ি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে এখানে সারাবছরই বেড়াতে আসেন বিপুলসংখ্যক পর্যটক। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ভোগান্তিতে পোহাতে হচ্ছে তাঁদেরও।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এ পথের উপজেলার ১২ কিলোমিটার সড়কের প্রায় ৬ কিলোমিটার সড়কই বেহাল। খানাখন্দ আর কোথাও কোথাও প্রায় দুই ফুট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেই গর্তে জমেছে পানি। আর পুরো সড়ক জুড়ে কাদা আর কাদা। যেন পা ফেলাই দায়। ওই সড়কটি দিয়েই শত শত যানবাহনসহ মানুষ চরম দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করছেন।
এদিকে সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতায় সড়ক সংস্কারের অংশ হিসেবে ২৪শত মিটার পৃথক পৃথক স্থানে আরসিসি সড়ক নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে। তবে সড়কের কিছু স্থানে এক পাশের কাজ শেষ হলেও ফেলে রাখা হয়েছে অন্যপাশের অংশটি। এতে সড়কের একপাশ দিয়ে যানবাহন চলাচলে দীর্ঘ সময়ের যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অসংখ্য যানবাহন চলাচল থাকায় সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক রেখে এক সঙ্গে দুইপাশের কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব না।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভেজা ও অতিরিক্ত বালু বহন করায় সড়কের বারটা বেজে গেছে। সর্বদাই কাদায় ডুবে থাকছে এবং দীর্ঘ সময় যানজট লেগে থাকে। এতে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আমিন জানান, কাঁদা আর ট্রাকের জ্যামে অতিষ্ঠ সবাই। আমার বাড়ি লক্ষীপুর থেকে দুর্গাপুর যেতে ২০ মিনিটের রাস্তা এখন দুই ঘন্টাও লাগে। এই দুরাবস্থা যেন দেখার কেউ নেই।
আব্দুল আলী জানান, সড়কটি দিয়ে অসুস্থ রোগী নিয়ে উপজেলা সদর হাসপাতালে যেতে হয়। তাছাড়াও জরুরি রোগীদের ময়মনসিংহ নিয়েও যেতে হয়। কিন্তু সড়কের এই অবস্থায় সময় মতো পৌঁছানোটাই ঝুঁকি হয়ে যায়।
এইচএসসি পরিক্ষার্থী উজ্জ্বল মিয়া জানান,বাড়ি থেকে সকাল সাড়ে ছয়টায় বের হই। সড়কের এই পরিস্থিতিতে অটোরিক্সাও যেতে চায় না । যার কারণে খুব কষ্ট হচ্ছে আর কতক্ষনে কেন্দ্রে পৌঁছাবো এই টেনশনে থাকি।
এ প্রসঙ্গে নেত্রকোনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ আলনূর সালেহীন জানান, ওই সড়কে বালুর ট্রাক চলাচলে রাস্তা টিকিয়ে রাখায় মুসকিল হয়ে পড়েছে। মানুষের কষ্ট তো থাকছেই। সড়কের পৃথক পৃথক স্থানে মোট ২৪শত মিটার আর সিসি’র কাজ চলমান রয়েছে।
আরও জানান,সড়কের এক পাশের কাজ শেষ করে ২৮দিন পর অপর পাশের কাজ ধরতে হচ্ছে। এ সড়কে অনেক গাড়ি চলাচল রয়েছে তাই সড়ক বন্ধ রেখে কাজ করা যায় না।

আল নোমান শান্ত
০১৮১৪৬১৭৮৩৪