দুর্গাপুরে অটো চালকের লাশ মিলল ব্রিজের নিচে

dnd news :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ব্রিজের নিচ থেকে এরশাদুল হক (৪০) নামের এক অটো চালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৭ জুন) সকালে উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের বড়বাট্টা গ্রামের একটি ব্রিজের নিচ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত এরশাদুল হক একই ইউনিয়নের শুকনাকুড়ি গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে। সে পেশায় অটো চালক ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,সকালে বড়বাট্রা গ্রামের ডেওটুকোন সড়কের গাবিনা নামক একটি ব্রিজের নিচে পানিতে লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে মৃতের লাশ উদ্ধার করে।

দুর্গাপুর থানার উপ-পরিদর্শক মো. সাদেক মিয়া বলেন,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে বলেও জানান তিনি।




ঢাকা ছাড়ছে ঘরমুখো মানুষ, ছুটির প্রথম দিনে কমলাপুরে ভিড়

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

পবিত্র ঈদুল আজহা বৃহস্পতিবার। পরিবারের সঙ্গে কোরবানির ঈদ উদযাপনে গত কদিন ধরেই ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। তবে আজ মঙ্গলবার সরকারি ছুটির প্রথম দিনে গত কয়েকদিনের তুলনায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ঘরমুখো মানুষের ভিড় বেশি দেখা গেছে।

রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, একদিকে ছুটি শুরু, অন্যদিকে ট্রেনে নিরাপদ ভ্রমণ হওয়ায় সবাই ঘরে ফিরতে কমলাপুরমুখী হচ্ছেন। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এমন ভিড় হতে পারে বলে জানান তারা।

ঈদুল আজহার আগে সরকারি চাকরিজীবীদের শেষ কর্মদিবস ছিল গতকাল সোমবার। অফিস শেষ করেই অনেক মানুষকে ঢাকা ছাড়তে দেখা গেছে। তবে আজ সকাল থেকেই আসল চাপ পড়েছে কমলাপুরে।

যাত্রীদের চাপ বেশি থাকলেও রেল স্টেশনে সুশৃঙ্খল পরিবেশ দেখা গেছে। টিকিটবিহীন যাত্রীদের ক্ষেত্রে এবার কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। কোনো যাত্রী বিনাটিকিটে স্টেশন এলাকায় প্রবেশ করতে পারছেন না।

আজ প্রায় ৬০ হাজার মানুষ ট্রেনযোগে বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন বলে জানা গেছে। কমলাপুর স্টেশন থেকে লোকাল-আন্তঃনগর মিলে ৫২ জোড়া ট্রেন চলাচল করবে। এছাড়া, রয়েছে এক জোড়া ঈদ স্পেশাল ট্রেন। আর বিমানবন্দর স্টেশন থেকে আরও দুই জোড়া ঈদ স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে আজ।

এবারের ঈদযাত্রায় এখন পর্যন্ত তেমন অভিযোগ না এলেও মঙ্গলবার দিনের শুরুর ট্রেন বিলম্ব হওয়া ক্ষোভ জানিয়েছেন যাত্রীরা।

ঈদুল ফিতরের মতো এবার ঈদুল আজহাতেও ট্রেনের অগ্রিম টিকিট শতভাগ অনলাইনে বিক্রি করে রেল কর্তৃপক্ষ। এর আগে গত ১৪ জুন থেকে আন্তঃনগর ট্রেনের ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। রেলওয়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১৪ জুন দেওয়া হয় ২৪ জুনের টিকিট। একইভাবে ১৫ জুন দেওয়া হয় ২৫ জুনের, ১৬ জুন ২৬ জুনের, ১৭ জুন ২৭ জুনের এবং ১৮ জুন দেওয়া হয় ২৮ জুনের অগ্রিম টিকিট।

আর ঈদযাত্রার ট্রেনের ফিরতি অগ্রিম টিকিট দেওয়া শুরু হয় ২২ জুন থেকে। সেই হিসাবে ২২ জুন দেওয়া হয় ২ জুলাইয়ের টিকিট। যথাক্রমে ২৩ জুন ৩ জুলাইয়ের, ২৪ জুন ৪ জুলাইয়ের, ২৫ জুন ৫ জুলাইয়ের ও ২৬ জুন ৬ জুলাইয়ের টিকিট দেওয়া হয় ফিরতি ট্রেনের টিকিট।

এবারও ঈদযাত্রায় আসনবিহীন বা স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি হবে মোট আসনের ২৫ শতাংশ। ঢাকা, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, বিমানবন্দর ও জয়দেবপুর স্টেশন থেকে এসব টিকিট পাওয়া যাবে। শুধু যাত্রা শুরুর দিন আসনবিহীন টিকিট স্টেশনের কাউন্টার থেকে কেনা যাবে। এবার ঈদযাত্রায় ঢাকা থেকে আন্তঃনগর ট্রেনে প্রতিদিন প্রায় ২৯ হাজার আসনের টিকিট বিক্রি হবে। আর কমিউটার ও আন্তঃনগর মিলে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ ঢাকা ছাড়বেন আজ।

এবার ট্রেনের অগ্রিম টিকিট শতভাগ অনলাইনে দেওয়া হলেও টিকিট বিক্রিতে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়। অনলাইনে দুই ভাগে দেওয়া হয় অগ্রিম টিকিট। ঈদযাত্রায় পশ্চিমাঞ্চলে চলাচল করা সব আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট অনলাইনে পাওয়া যায় সকাল ৮টা থেকে। আর দুপুর ১২টা থেকে পূর্বাঞ্চলে চলাচল করা ট্রেনের টিকিট অনলাইনে বিক্রি হয়।