পাঠ্যপুস্তকে ভুল খুঁজতে দুই কমিটি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

পাঠ্যপুস্তকের ভুল এবং ভুল যারা করেছেন তাদের খুঁজে বের করতে দুটি কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে একটি কমিটি সাত সদস্যের, অপরটি পাঁচ সদস্যের।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রথম কমিটিকে ৩০ কর্মদিবস ও দ্বিতীয় কমিটিকে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে। রোববার (২৯ জানুয়ারি) শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি কমিটি দুটির অনুমোদন দেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সাত সদস্যের কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. ওয়াহেদুজ্জামান চানকে। এ কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা গবেষণা বিভাগের শিক্ষক আব্দুল হালিম এবং বিএফ শাহিন কলেজের শিক্ষক আব্দুল মান্নান। পাঠ্যপুস্তকের ভুলত্রুটি ও বিতর্কিত বিষয় খুঁজে বের করে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে।

আর অন্য কিমিটির আহ্বায়ক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খালেদা আক্তার। এ কমিটি ভুল-ভ্রান্তির জন্য জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) কোন্ কোন্ কর্মকর্তা জড়িত তাদের খুঁজে বের করবে। এ কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে হবে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে।

মন্ত্রণালয়ের সূত্রটি জানিয়েছে, রোববার বিকেলে কমিটি দুটির অনুমোদন দেয়া হলেও, দাফতরিক কাজ শেষ করে অফিস আদেশ জারি করা সম্ভব হয়নি। সোমবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।

এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি নতুন শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবইয়ে ভুলভ্রান্তি, তথ্য বিকৃতি ও ধর্মীয় উসকানি সংশোধনসহ জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে উচ্চপর্যায়ের দুটি তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা দেন। যার একটিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সম্পৃক্ত থাকবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি।




দুর্গাপুরে বোরো মৌসুমে লোডশেডিংয়ে দিশেহারা কৃষক

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলায় বোরো মৌসুমে বিদ্যুতের অভাবে সেচ কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। গড়ে পাঁচ ঘণ্টা করেও বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না তারা। এতে বোরো আবাদে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন চাষীরা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে বিভিন্ন জাতের ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা ১৭ হাজার ২শ ৫০ হেক্টর।

এ উপজেলার কৃষকরা জানান, দিন-রাতে ৪ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ না পাওয়ায় কৃষকেরা বোরো জমিতে সেচ দিতে পারছেন না। বিদ্যুৎ পাওয়ার অপেক্ষায় সারাদিন জমিতে বসে থাকতে হচ্ছে। এভাবে চললে বোরো ধান ঘরে তুলতে পারবেন কি না,এ নিয়ে তারা শঙ্কিত।

কৃষক আব্দুল গনি বলেন,লোডশেডিংয়ের কারণে গ্রামের সব কৃষক বোরো আবাদ নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। রাতে অল্প বিদ্যুৎ থাকলেও দিনের বেলায় থাকে না বললেই চলে। যেটুকু সময় পায় কে আগে কার জমিতে পানি দিবে তা নিয়ে ঝামেলা লেগে যায়। গত চার দিনে আমার পাঁচ কাটা জমি ভেঁজাতে পারেনি।

কৃষক আব্দুল হান্নান বলেন,আমরা কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। আমাদের অন্য কোনো কাজ নেই। এখন বিদ্যুৎ এর অভাবে সেচ দিতে পারছি না। চাষাবাদ না করতে পারলে পরিবার নিয়ে কষ্টে পড়তে হবে। বেশি সময় বিদ্যুৎ পেলে আমরা এ কষ্ট থেকে রক্ষা পেতাম।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, এবার বিভিন্ন জাতের ইরি-বোরা ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা ১৭ হাজার ২শ ৫০ হেক্টর। এ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার হেক্টরের মতো রোপন করা হয়েছে। তবে বিদ্যুতের অভাবে সেচ না দিতে পেরে কৃষকেরা চিন্তিত। রাত ১১টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ রাখবেন বলে জানিয়েছিলেন কিন্তু স্বাভাবিক বিদ্যুৎ না পেয়ে গতকালও অনেকজন কৃষক আসছিলো আমাদের কাছে।

দুর্গাপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ দিলওয়ার হোসেন জানান,আমরা যতটুকু বিদ্যুৎ সরবরাহ পেয়ে থাকি তার চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ বিতরন করা সম্ভব হয়না। চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ না পেয়েই আমাদের লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। চাহিদার তিন ভাগের এক ভাগ দিতে পারছি আমরা। যেটুকু আমাকে বরাদ্দ দেওয়া হয় শেষ হয়ে গেলে লাইন বন্ধ হয়ে যায়। চলতি বোরোর মৌসুমে রাতে ৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছেন কৃষকরা। আমরা দেওয়ার চেষ্টা করি তবে চাহিদার তুলনায় কম পাওয়ায় দিতে পারছি না। বোরো মৌসুমে অস্বিভাবিক লোড শেডিং এর বিষয়ে আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিনিয়ত জানাচ্ছি।




আবেগঘন পোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়লেন ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ খ্যাত ইবিট লিও

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

মালয়েশিয়ার সাধারণ মানুষের কাছে ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’খ্যাত আলোচিত দাঈ ও সমাজকর্মী ওস্তাদ ইবিট লিও ঢাকা ছেড়েছেন। গতরাত আনুমানিক ১১টার দিকে তিনি একটি বিশেষ ফ্লাইটে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।

এর আগে তিনি গত বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশে এসেছিলেন। বাংলাদেশে এসে তিনি খোলা রিক্সায় ঘুরে বেড়ানোর একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছিলেন ‘Alhamdulillah. I Love ❤️ Bangladesh.’ এরপর তার বিভিন্ন ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে যতটুকু জানা যায়, তিনি এ দুই দিনের সফরে বাংলাদেশের বিভিন্ন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।

সফর শেষে তিনি বাংলাদেশ ছাড়ার সময় এক আবেগঘন পোস্ট দেন নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে। এতে তিনি লিখেন, ‘আমার জন্য দোয়া করবেন , আমি মালয়েশিয়াতে ফিরে যাচ্ছি ৷ আমি আমার অন্তর থেকে ধন্যবাদ জানাই বাংলাদেশের মানুষদের প্রতি , আমাকে এত আন্তরিকতা এবং ভালোবাসা দেওয়ার জন্য ৷ আমি যত দূরেই থাকি না কেন আপনারা সবাই আমার অন্তরে আছেন এবং থাকবেন ৷ আমরা সবাই একটি পরিবার।’

আলোচিত দাঈ ইবিট লিও একজন মালয়েশিয়ান চাইনিজ মুসলিম। তিনি মালয়েশিয়ার মুসলিম উদ্যোক্তা এবং ধর্ম প্রচারক হিসেবে সব মহলে এভিট লিও নামে পরিচিত। তার পুরো নাম-ইবিট ইরাওয়ান বিন ইব্রাহিম লিও। ১৯৮৪ সালের ২১ ডিসেম্বর মালয়েশিয়ার পাহাং রাজ্যে তিনি জন্মগ্রহণ করেছেন। তার পিতার নাম মুয়াডজম শাহে লিউ ইউ পাউ। ১১ জন ভাই-বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়। দ্বীনকে অনুসরণ করে ১২ বছর বয়সে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন।

তিনি স্কুল (সেকোলাহ) কেবাংসান বুকিত রিদান, সেকোলাহ মেননগাহ কেবাংসান মুয়াডজম শাহ, পাহাং সেকোলাহ মেননগাহ টেকনিক জহুর বারু, এবং সেকোলা মেননগাহ কেবাংসান আবদুল রহমান তালিব, পাহাং থেকে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন এবং ইউনিভার্সিটি পুত্রা মালয়েশিয়া থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

ইবিট লিও দাতু ডা. হাজী মোহাম্মদ ফাদজিল্লাহ কামসাহ এবং অধ্যাপক হানিম তাহিরের পরিচালনায় এক্সেল প্রশিক্ষণের মোটিভেশনাল স্পিকার। তিনি সকলের প্রেরণাদানকারী, ইসলাম আগামা, ইসলাম ইতু ইন্দাহ, উসরাহ নূরানী, এবং আইকেআইএম এবং সিনার রেডিওর নিয়মিত বক্তা।

ইবিট লিও ২০১৫ সালে ‘মওলিদুর রসুল’ জাতীয় পুরস্কার এবং ২০২০ সালের ১৫ আগস্ট জাতীয় যুব দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে সমাজ বিনির্মাণে এবং মহামারি করোনার সময়ে মানব কল্যাণে বিশেষ অবদান রাখায় জাতীয় যুব দিবসের বিশেষ সম্মানে ভূষিত করেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী তানশ্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন। এছাড়াও মানব কল্যাণে অবদান রাখায় সরকার কর্তৃক বিভিন্ন সময় তিনি একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন।




এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের রাজনীতি বন্ধ চান ডিসিরা

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের রাজনীতি বন্ধ চান ডিসিরা
এমপিওভুক্ত (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীরা এখন মূল বেতনের পুরোটা সরকার থেকে পান। এর সঙ্গে সামান্য কিছু ভাতা দেওয়া হয় তাঁদের। তবে বেসরকারি হওয়ায় তাঁরা সরাসরি রাজনীতি করার সুযোগ পান। এই সুযোগ বন্ধ হওয়া উচিত বলে মনে করছেন জেলা প্রশাসকেরা (ডিসি)।

তাই সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালার মতো এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্যও সুনির্দিষ্ট বিধিমালা করার প্রস্তাব এসেছে ডিসিদের পক্ষ থেকে।

২৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক সম্মেলন (ডিসি সম্মেলন)। সেখানে আলোচনার জন্য এ প্রস্তাব দিয়েছেন ডিসিরা। এ ছাড়া উপজেলা শিক্ষা কমিটিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) চেয়ারম্যান করাসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সম্পর্কে এ রকম অন্তত ২৪৪টি প্রস্তাব এসেছে ডিসিদের পক্ষ থেকে। সম্মেলনে তিন দিনে ২৪টি অধিবেশনে এসব প্রস্তাবসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। তার ভিত্তিতেই নেওয়া হবে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত।

আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে এটাই শেষ ডিসি সম্মেলন। এই সম্মেলনে সরকারপ্রধান থেকে শুরু করে মন্ত্রী ও সচিবেরা সরাসরি উপস্থিত থেকে ডিসিদের সঙ্গে কথা বলেন এবং বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।




দুর্গাপুর পৌরসভা উপ নির্বাচনের প্রচারণা শেষ, এবার হিসাব কষার পালা

image-here

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরসভা মেয়র পদে উপ-নির্বাচনের প্রচারণা শেষ, এবার হিসাব কষার পালা, ১২ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহন ৩ প্রার্থীর মধ্যে যিনি ভোটারদের মন জয় করতে পারবেন তিনিই হবেন আগামী ৩ বছরের জন্য পৌরপিতা।
ভোটারদের মধ্যে চলছে নানা গুঞ্জন,কাকে বাছাই করে নিবেন তারা। যারা প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন তারা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত সাবেক মেয়র আলহাজ্ব মাওলানা মো. আবদুস ছালাম (নৌকা প্রতীক), স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রক্তন মেয়র শুভেন্দু সরকার পিন্টু (নারিকেল গাছ) ও ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মুহাম্মদ আবদুল মান্নান (হাতপাখা)।
এদিকে অভিজ্ঞ মহল এবং সাধারন ভোটাররা বলছেন ভোটের লড়াই হবে ত্রি-মুখি । এবার মেয়র নির্বাচিত হবেন খুব কমভোটে।
পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ২০,৭৮১ জন পুরুষ ভোটার ১০,০৬৬ জন ও মহিলা ভোটার ১০,৭১৫ জন। এবার ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ হবে বলে জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল লতিফ শেখ। উল্লেখ্য: গত ১৯ অক্টোবর ২০২২ দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র আলা উদ্দিন আলাল মৃত্যবরণ করায় শুন্য পদে আগামী ১২ জানুয়ারি ২০২৩ উপণ্ডনির্বাচন ঘোষণা করেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। সেই লক্ষে আগামী বৃহস্পতিবার উপণ্ডনির্বাচনের ভোট গ্রহন।




দুর্গাপুরে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোণার দুর্গাপুরে সন্ত্রাসী হামলায় মাদ্রাসা, বসতবাড়ী ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগে এক মানববন্ধন হয়েছে। রোববার বিকেলে কাকৈরগড়া ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের জনগন দুর্গাপুর প্রেসক্লাব চত্ত্বরে এ মানববন্ধন করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত (০৭ জানুয়ারি) শনিবার বিকেলে শাহাবুদ্দিন, মোতালেবসহ ১৪ জনের নেতৃত্বে বহিরাগত ৩০-৩৫ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র সহ পিস্তল হাতে নিয়ে ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির মাধ্যমে এক বাড়িতে প্রবেশ করে হত্যার উদ্দেশে আক্রমণ চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা বাড়ির গেইট, টিনের চাল ও ঘরের দরজা ভেঙ্গে ওয়্যারড্রপ থেকে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা ও সাড়ে চার ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়া যায়। এছাড়া যাওয়ার সময় ওই বাড়ী সংলগ্ন কওমী মহিলা মাদরাসা ও আসবাপত্র কুপিয়ে তছনছ সহ ব্যপক ক্ষতিসাধন করে যায়।

এনিয়ে শওকত হাসান বলেন, শাহাবুদ্দিন, মোতালেব সহ ১২-১৩ জনের নেতৃত্বে ও বহিরাগত ৩০-৩৫ জন সন্ত্রাসী আমাদের বসত ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর, নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট করে নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা যাওয়ার সময় অসুস্থ মা ও বাবাকে কিল, ঘুষি দিয়ে জখম করে এ বিষয়ে মামলা মোকদ্দমা করলে পরবর্তীতে খুন করে ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। রানা (১৯),
রবিকুল (১৮), ইমন (১৮) ও তুহিন (১৮) নামে চারজনকে আটক করলেও বর্তমানে আমরা নিরাপত্তাহনিতায় ভুগছি।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান শিব্বির আহামেদ তালুকদার বলেন, এমন ঘটনা আমার ইউনিয়নের আগে কখনও ঘটনি। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। খবর পাওয়ার পর আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম এবং ভুক্তভোগীদের আইনি সহায়তা নেয়ার পরামর্শ
দিয়েছি। এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার ওসি মোহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর ৪ জনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে সন্ত্রাসী শাহাব উদ্দিন এবং আব্দুল মোতালেবসহ সকল সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে রোববার বিকেলে প্রেসক্লাব চত্বরে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী।




আগামীকাল খুলনা যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ব্যক্তিগত সফরে খুলনা যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে সড়কপথে খুলনায় যাওয়ার কথা রয়েছে।

এদিন প্রধানমন্ত্রী খানজাহান আলী সেতু (রূপসা সেতু) পার হয়ে আড়ংঘাটা বাইপাস ধরে দিঘলিয়া ঘাটে পৌঁছাবেন। ঘাট পার হয়ে তিনি দিঘলিয়ার নগরঘাট এলাকায় তার মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে কেনা পাট গোডাউন পরিদর্শন করবেন। এর আগে, ২০১৮ সালের ৩ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনা সফর করেন।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) সকালে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগত সফরে খুলনায় আসছেন। এটা তার রাষ্ট্রীয় সফর নয়, সে কারণে দলের কোনো নেতাকর্মীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে কি না, এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

এদিকে আওয়ামী লীগের দলীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, দিঘলিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকদের দেখা করার কথা রয়েছে।

উল্লেখ্য, স্বাধীনতার পূর্বে প্রধানমন্ত্রীর মা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে দিঘলিয়ার ভৈরব নদের কোলঘেষে নগরঘাট এলাকায় ১ একর ৪৪ শতক (৪ বিঘা) জমিতে পাট গোডাউন ও এক কক্ষ বিশিষ্ট ঘরসহ জমি কেনা রয়েছে। এই পাট গোডাউন পরিদর্শন করতেই তিনি সেখানে যাচ্ছেন।




দুর্গাপুরে আদিবাসী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

 

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

টংক আন্দোলনের মহান নেতা, মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা, শ্রমিক-কৃষক-মেহনতী মানুষের মুক্তি সংগ্রাম এবং সমাজতন্ত্রের মহান নেতা, বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কমরেড মনি সিংহ স্মরণে সাতদিন ব্যাপী মনিসিংহ মেলা উপলক্ষে আলোচনা সভা উপলক্ষে আদিবাসী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার মেলার ষষ্ঠ দিনে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সমাবেশে আদিবাসী ইউনিয়ন নেত্রকোনা জেলা কমিটির সভাপতি পঙ্কজ মারাক এর সভাপতিত্বে সাধারন সম্পাদক নিরন্তর বনোয়ারীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি‘র বক্তব্য রাখেন, নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খানম মজলিশ। বিশেষ অতিথি‘র আলোচনা করেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ফকরুজ্জামান জুয়েল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজিব-উল আহসান, কমরেড মণি সিংহের একমাত্র সন্তান, সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডাঃ দিবালোক সিংহ, সহকারি কমিশনার (ভুমি) মো. আরিফুল ইসলাম প্রমুখ। আলোচনা শেষে আদিবাসী সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি আয়োজিত মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।