ঢাবিতে পর্দানশীন শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাসহ সবধরনের হয়রানি বন্ধ করতে হবে: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্দানশীন শিক্ষার্থীদের ভাইভা পরীক্ষাসহ সবধরনের হয়রানি বন্ধ করার দাবি জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ‘পর্দা করায়’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে ভাইভা পরীক্ষায় হয়রানি ও অনুপস্থিত দেখানোর ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। তিনি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তা বন্ধের আহ্বান জানান।

এক বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব বলেন, বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে নারীরা বোরকা পরবে, এটাই স্বাভাবিক। একজন শিক্ষার্থীর স্বাধীনতা কোথায়? সে হিজাব করতে পারবে না, তার নাগরিক অধিকার কোথায়? ওই নারী শিক্ষার্থীকে যে মানসিক নির্যাতন করা হলো, তার বিচার করতে হবে। তাকে ভাইবায় উপস্থিত দেখাতে হবে।

অন্যথায় বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে ধর্মীয় আবেগ-অনুভুতিতে আঘাত হানার দায়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা নেয়া হবে। তথাকথিতরা বলে থাকেন, সবার ধর্ম পালনের স্বাধীনতা আছে। কিন্তু কোথায় সেই স্বাধীনতা? দাঁড়ি-টুপি দেখলেই বলা হয় জঙ্গি। এটি কোন ধরনের স্বাধীনতা? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠাতা একজন মুসলিম।

মুসলমানদের স্বার্থের কথা ভেবেই এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। অথচ আজ মুসলমানরাই অবজ্ঞার শিকার। বোরকাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফরমাল ড্রেস ঘোষণা, বায়োমেট্রিকস পদ্ধতিতে শনাক্ত, ওই শিক্ষার্থীকে ভাইভায় উপস্থিত দেখানো এবং কেউ ধর্মীয় পোশাকের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ বন্ধ করতে হবে।

অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ আরো বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উন্মুক্ত সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্র। এখানে হাজার হাজার শিক্ষার্থী পর্দা করেন। বিভিন্নভাবে তাদের হেনস্তা করা হয়। বোরকা, দাড়ি-টুপি দেখলেই তাকে জঙ্গি তকমা দেয়া হয়। এ ধরনের মানসিকতা পরিহার করতে হবে। সংবিধানে একজন নাগরিককে সকল ধরনের অধিকার দেয়া আছে।

একজন নারী যদি শর্ট পোশাক পরলে এটা তার স্বাধীনতা হয়, তাহলে একজন নারী বোরকা পরলে এটা তার স্বাধীনতা কেন হবে না? বিশ্ববিদ্যালয়ে লেলিন, কালমার্কস, মাও সেতুং-এর আদর্শ চর্চার হতে পারলে ইসলামের চর্চা কেন হতে পারবে না? তার জবাব সংশ্লিষ্টদের দিতে হবে। কেউ ধর্মীয় বিধিনিষেধ মেনে চললে তার সঙ্গে কেন এমন আচরণ করা হবে? ঢাবি প্রতিষ্ঠা হয়েছে মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষাকে কেন্দ্র করে।

 

-এম আর




এবার উখিয়া সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালীর আঞ্জুমানপাড়া সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমার থেকে আসা গোলাগুলির শব্দ শোনা যাছে। এ নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে মর্টার শেলের মতো ভারী অস্ত্রের গোলার শব্দ শোনা যায়। বিষয়টি রাইজিংবিডিকে নিশ্চিত করেছেন পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী।

ইউপি চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন বলেন, ‘আঞ্জুমান সীমান্ত এলাকার ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার পূর্বে গুলির আওয়াজ শুনতে পায় স্থানীয়রা। দুপুর পর্যন্ত থেমে থেমে গোলাবর্ষণ হয়। এ বিষয়ে আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অবহিত করেছি। সীমান্তে বিজিবির নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু আমার সীমান্ত এলাকার মানুষ অনেক বেশি আতঙ্কে রয়েছে।’

পালংখালী আঞ্জুমানপাড়া সীমান্তের বাসিন্দা আব্দুল আজিজ বলেন, ‘মিয়ানমারের অভ্যন্তরে থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। আমাদের এলাকার মানুষের মধ্যে উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।’

বেশ কয়েকদিন ধরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। এই প্রেক্ষাপটে একাধিক মর্টার শেল বাংলাদেশে এসে পড়ে। এ নিয়ে বাংলাদেশ কড়া প্রতিবাদ পাঠায় মিয়ানমারে। এবার কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেল।




দুর্গাপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু

আল নোমান শান্ত : স্টাফ নিপোর্টার

নেত্রকোণার দুর্গাপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে নাইম মিয়া নামে ১৯ মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

(২০ সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বাকলজোড়া ইউনিয়নের পাটলী গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। শিশু নাইম ওই গ্রামের আলমগীর মিয়ার ছেলে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,পরিবারের লোকজন ঘরের কাজে ব্যস্থ এ-সময় শিশু নাইম বাড়ির উঠানে বল নিয়ে খেলা করছিল। কিছুক্ষণ পরে বাড়ির লোকজন শিশুটিকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। একপর্যায়ে বাড়ির পাশে পুকুরে খোঁজাখুঁজি করলে শিশুটির মৃতদেহ পাওয়া যায়। এলাকাবাসীর ধারনা খেলার সময় বল টি পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। তখন নাইম বলটি পানি থেকে আনতে যাওয়ায়,এক পর্যায়ে নাইম পুকুরের পানিতে ডুবে যায়।

ইউপি সদস্য ফজলু রহমান জানান, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। আমি শুনা মাত্রই নিহতের বাড়িতে যাওয়ার জন্য বের হয়েছি।

দুর্গাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সৌরভ সাহা বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি।