সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার  ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা।

জুনেদ আহমেদ, সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম আবুল হোসেনের ভাই ভাতিজা কর্তৃক কলেজ অধ্যক্ষকে পেটানোর ঘটনার একদিন পর নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে  পরিষদের ১০ সদস্য তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছেন।
সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট এ অনাস্থা প্রস্তাব দাখিল করেন তারা। শিক্ষককে মারধোরের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে  নিন্দার ঝড় উঠেছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় উপজেলা শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ সোমবার এক প্রতিবাদ সভা ও করেছেন। তারা আগামী বুধবার মানববন্ধন কর্মসূচি পালনেরও ডাক দিয়েছেন।
অন্যদিকে একই পরিষদের ১০ ইউপি সদস্য অনাস্থা প্রস্তাব দাখিল করেছেন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম ,বকুল আক্তার, আবদুল কাদির, আল আমিন, আবু হানিফ, মোশাররফ হোসেন, আবদুল কাদির-২, নুরুল ইসলাম, ছফিউল্লাহ, জয়নব বিবি অনাস্থা প্রস্তাব দাখিল করেন।
অনাস্থা প্রস্তাবের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান এম আবুল হোসেন বলেন, অনাস্থা প্রস্তাবের বিষয়টি আমার জানা নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা প্রিয়াংকা বলেন, বাংলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে অনিয়মের  অভিযোগ এনে ১০ ইউপি সদস্যের একটি অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



সুনামগঞ্জের  ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়কে সিএনজি ভাড়া বৃদ্ধি ও  যাত্রী হয়রানীর প্রতিবাদে নাগরিক সভা অনুষ্ঠিত

জুনেদ আহমেদ, সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলায় কোন কারণ ছাড়াই অযৌক্তিকভাবে ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়কে সিএনজি ভাড়া বৃদ্ধি, যাত্রী হয়রানী ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে যাত্রী সাধারনের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার কালারুকা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ইউপি চেয়ারম্যান অদুদ আলমের সভাপতিত্বে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আগামী ৩ দিনের মধ্যে বর্ধিত ভাড়া বাতিল না করা হলে যাত্রী সাধারন ও এলাকাবাসীদের সাথে নিয়ে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি প্রদান করেন বক্তারা। বিষয়টি সমন্বয় করার জন্য গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে যাত্রীকল্যাণ পরিষদ নামে ৪৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
প্রতিবাদ সভায় বক্তরা বলেন, ছাতক থেকে গোবিন্দগঞ্জ পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়ক হলেও ছাতক সিএনজি ষ্টেশন থেকে গোবিন্দগঞ্জ পর্যন্ত মুলত ১২ কিলোমিটার সড়ক ব্যবহৃত হয় যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে। এই ১২ কি.মি. সড়কে বিভিন্ন অজুহাতে ১৩ টাকার ভাড়া বর্তমানে ৩০ টাকায় উন্নীত করা হয়। যা চলে আসছে গত কয়েক বছর ধরে। সম্প্রতি কোন কারন ছাড়াই আকষ্মিক ছাতক থেকে গোবিন্দগঞ্জ পযর্ন্ত ভাড়া বাড়িয়ে ৪০ টাকা করা হয়। সিএনজি সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা তাদের ইচ্ছেমতো ভাড়া বাড়িয়ে যাত্রী সাধারনের উপর অতিরিক্ত চাপিয়ে দিয়েছেন। ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে যাত্রী সাধারনের সাথে সিএনজি চালকদের প্রায়ই বাক-বিতন্ডার ঘটনা ঘটছে।
সিএনজি চালকরা তাদের নির্ধারিত বর্ধিত ভাড়া আদায়ে যাত্রীদের হয়রানী ও লাঞ্চিত করে আসছে। ভাড়া বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সরকারী নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা না করে সিএনজি সংগঠনের নেতারা তাদের মতো করে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ভাড়া বৃদ্ধি করে যাচ্ছে। সিএনজি চালকদের নৈরাজ্যের কাছে অনেকটা জিম্মী হয়ে পড়েছেন যাত্রী সাধারন। অযৌক্তিক সিএনজি ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে পত্র-পত্রিকায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় উঠলে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ছাতক-গোবিন্দঞ্জের সিএনজি ভাড়া কমিয়ে ৩৫ টাকায় নামিয়ে আনা হয়। পুলিশ প্রশাসনের চাপে তাদের নির্ধারন করা ছাতক-গোবিন্দঞ্জের ভাড়া থেকে ৫ টাকা কমালেও ছাতক-মাধবপুর, ছাতক-কালারুকা, ছাতক-হাসনাবাদ ও ছাতক-তাজপুরের জন্য তাদের বৃদ্ধি করা ভাড়া বহাল রেখেছে।
এতে করে কোন যাত্রী যদি ছাতক থেকে মাধবপুর, কালারুকা, হাসনাবাদ ও তাজপুর নেমে গোবিন্দগঞ্জ পর্যন্ত যেতে চায় তবে তাদের নির্ধারিত ভাড়া পরিশোধ করতে ওই যাত্রীকে  অন্তত ৫০ টাকা গুনতে হবে। সিএনজি সংগঠনের বর্ধিত ভাড়া থেকে ৫ টাকা কমালেও শুভংকরের ফাঁকির মতো অন্যান্য স্থানের  তাদের নির্ধারিত ভাড়াই বহাল রেখেছে। বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বর্ধিত ভাড়া দিয়ে তারা সিএনজিতে উঠবেন না এবং সড়কে সিএনজি চলাচল করতে দেবেন না। বিষয়টি আগামী ৩দিনের মধ্যে সমাধান না হলে ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়ক অবরোধ করার হুমকি দেন তারা।
বিষয়টি সমন্বয় করার জন্য ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আফতাব উদ্দিনকে আহবায়ক ও কামরুজ্জামানকে সদস্য সচিব করে ৪৩ সদস্য বিশিষ্টি যাত্রীকল্যাণ পরিষদের একটি কমিটি গঠন করা হয়।
যুবনেতা বুরহান উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, ইউপি সদস্য তাজ উদ্দিন, সদর আমিন, দুলাল মিয়া, ছায়েদ আহমদ জাবেদ, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আফতাব উদ্দিন, ব্যবসায়ী আমরু মিয়া, কামরুল হাসান, সাবেক মেম্বার লুতফুর রহমান মানিক, মখলিছ আলী, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ নজমুল হোসেন, আমিরুল হক, ছালিক মিয়া, আব্দুল কাইয়ূম, ছাত্রলীগের নেতা আতিকুর রহমান রিয়াদ ও তোফায়েল আহমদ মিনার প্রমুখ।



দুর্গাপুরে তাল বীজ রোপণ করেছে ‘‘রিক্সাচালক তারা মিয়া’’

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বজ্রাঘাত ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে পরিবেশ বান্ধব দুই‘শ তাল গাছের বীজ রোপণের উদ্যোগ নিয়েছে মানবতার ফেরিওয়ালা নামে খ্যাত ‘‘রিক্সাচালক তারা মিয়া’’। বুধবার দিনব্যাপি পৌরশহরের বিভিন্ন এলাকা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ বীজ রোপন করা হয়।

রিক্সাচালক তারা মিয়া বলেন, তাল গাছ অনেক উঁচু হওয়ায় বজ্রাঘাত ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়-ক্ষতি নিরসনে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এছাড়া মাটির ক্ষয় রোধ, প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় তালগাছের জুড়ি নেই। এর পাশাপাশি ঘরের খুঁটি ও হাতপাখা তৈরিতে তালগাছের ব্যবহার হয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। তাল পাতার পাখা আমাদের ঐতিহ্যের একটি অংশ। এমন উপকারী একটি গাছের বৃদ্ধি ও সংরক্ষণের কথা মাথায় রেখে, আমার স্বল্প আয় থেকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কবরস্থান ও শশ্মানঘাটে তাল বীজ রোপনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছি।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দুর্গাপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজে অধ্যক্ষ ফারুক আহমেদ তালুকদার, সহকারী অধ্যাপক আব্দুল আজিজ, সিনিয়র প্রভাষক আকবর আলী আকন্দ, নুর আহমেদ তালুকদার, শামীম আহমেদ, আবু সাদেক প্রমুখ।