সমাজ ও রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ইসলামের বিকল্প নেই: চরমোনাই পীর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, মুসলিম উম্মাহ এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে ঢাবিতে ছাত্র-ছাত্রীদের নামাজের জায়গা ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। ইসলামী শিক্ষাকে ঐচ্ছিক করে দিয়ে ইসলামী শিক্ষা ধ্বংসের পাঁয়তারা চলছে। অপরদিকে ডারউইনের মতবাদ শিক্ষা সূচিতে পাঠ্য হিসেবে অর্ন্তভূক্ত করে জাতিকে নাস্তিক বানানোর চক্রান্ত চলছে।

মঙ্গলবার বিকেলে খাগড়াছড়ি জেলা অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলা শাখা আয়োজিত ওলামা ও সুধী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চরমোনাই পীর বলেন, ওলামায়ে কেরাম জাতির শ্রেষ্ঠ ও জাগ্রত বিবেক, নায়েবে নবী। সমাজ ও রাষ্ট্রে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শ দীনে হক তথা কুরআন সুন্নাহর আইন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আলেমদেরকেই নেতৃত্ব দিতে হবে।

তিনি বলেন, রাষ্ট্র্রের অবস্থা অত্যন্ত করুন। সুশাসনের অভাবে মানুষ অসহায় জীবন যাপন করে। অধিকার বঞ্চিত মানুষ অধিকার ফিরে পেতে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করছে। অত্যাচারিত অসহায় ও মজলুম মানুষের আহাজারিতে আকাশ বাতাস প্রকম্পিত হচ্ছে। এ প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তন করে একটি ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ওলামায়ে কেরামগণকেই নেতৃত্ব দিতে হবে। সমাজের নেতৃত্ব দেয়ার দায়িত্ব আলেমদের।

‘আজ যেখানে আলেম সমাজ তথা আল্লাহভীরু জনপ্রতিনিধি নেতৃত্ব দিচ্ছেন সেখানকার মানুষ অনেক ভাল আছেন। আজ যদি রাষ্ট্রের প্রতিটি সেক্টরে আলেম সমাজের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা হয়, তখন সব শ্রেণি ও পেশার মানুষ সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। ওলামায়ে কেরামগণ পিছিয়ে থাকায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন দুর্নীতিবাজ নেতানেত্রীগণ। ফলে যা হবার তাই হচ্ছে। এ উপলব্ধি যত তাড়াতাড়ি আলেমগণ করতে পারবেন, ততই সমাজ, রাষ্ট্র ও জনগণের কল্যাণ হবে। জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি আলেম সমাজের অবদান রাখতে হবে।’




সাজেদা চৌধুরীর আসন শূন্য ঘোষণা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

সদ্য প্রয়াত সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর নির্বাচনি আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সাজেদা চৌধুরীর নির্বাচনি এলাকা ফরিদপুর-২ আসনকে শূন্য ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সংসদ সচিবালয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য ও একাদশ জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ১১ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করায় একাদশ জাতীয় সংসদের-২১২ ও ফরিদপুর-২ আসনটি ওই দিন (১১ সেপ্টেম্বর) শূন্য হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা।




২ লাখ ইভিএম কিনতে প্রস্তাব উঠছে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বর্তমানে ইসির হাতে দেড় লাখ ইভিএম রয়েছে। যার ফলে আরও প্রায় ২ লাখ ইভিএম প্রয়োজন।

আজ মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) কমিশনের বৈঠকে এ- সংক্রান্ত একটি প্রকল্প প্রস্তাবের খসড়া তোলা হবে। কমিশনের মতামত নিয়ে প্রস্তাবটি চূড়ান্ত করার পর তা অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বেলা ১১টায় নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

জানা গেছে, ইভিএমের নতুন প্রকল্প প্রস্তাব বৈঠকের আলোচ্য সূচিতে রাখা হয়েছে। আলোচনায় প্রস্তাবটি অনুমোদন হলে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে প্রকল্প অনুমোদনের জন্য।

জাতীয় নির্বাচন ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। যার ফলে প্রকল্প দ্রুত পাস না হলে ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার সময় আর থাকবে না নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটির হাতে।




দুর্গাপুরে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের দায়ে জরিমানা

আল নোমান শান্ত, স্টাফ রিপোর্টার

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের দায়ে তিনটি নৌকাকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) সোমেশ্বরী নদীর ১নং ঘাটের শ্মশান ঘাট এলাকার নদীতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের সময় এসব নৌকাগুলোকে ধরেন করেন থানা পুলিশ। পরে এসব নৌকার শ্রমিকদেরকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা ও কঠোরভাবে সর্তক করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান।

এ অভিযানে সহযোগিতায় ছিলেন, থানা উপ-পরিদর্শক শফিউল্লাহ মির্জা।

জানা গেছে, দুপুরে ১নং ঘাটের শ্মশান ঘাট এলাকায় বেশকিছু নৌকা অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন করছে এ খবরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান এর নির্দেশনায় থানা পুলিশ গেলে তাদের উপস্থিতিতে বাকি গুলো পালিয়ে গেলে ৩টি নৌকাকে ধরা হলে পরে তাদের জরিমানা ও কঠোরভাবে সর্তক করা হয় এবং পাথরগুলো নদীতে ফেলে নৌকাগুলোকে ছেড়ে দেওয়া হয়।