সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারের আগে অনুমতির বিধান বাতিলের রায় প্রকাশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গ্রেফতারের আগে অনুমতি নেয়ার বিধান বাতিলের রায় প্রকাশ করা হয়েছে।

বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের স্বাক্ষরের পর শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ১৭ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়।

গত ২৫ আগস্ট সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারে কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি নেয়ার বিধান সংক্রান্ত সরকারি চাকরি আইনের ৪১(১) ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে তা বাতিল ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এদিকে, গত বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারে পূর্বানুমতি লাগবে না বলে হাইকোর্ট যে রায় দেন তা স্থগিত করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে শুনানি আগামী ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।

২০১৮ সালের নভেম্বরে সরকারি চাকরি আইন প্রণয়ন করা হয়। এরপর ২০১৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর এক গেজেটে বলা হয় ১ অক্টোবর থেকে এ আইন কার্যকর হবে। সরকারি কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধাসংক্রান্ত আইনের ৪১(১) ধারাটি সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদের পরিপন্থি উল্লেখ করে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়।

ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি হাইকোর্ট রুল জারি করেন। রুলে সরকারি চাকরি আইনের ৪১(১) ধারাটি কেন সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদের পরিপন্থি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। ওই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে রায় দেন হাইকোর্ট বিভাগ।

হাইকোর্টে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী একলাস উদ্দিন ভূঁইয়া, রিপন বাড়ৈ ও সঞ্জয় মণ্ডল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।

সরকারি চাকরি আইনে ফৌজদারি অভিযোগে অভিযুক্ত কর্মচারীর ক্ষেত্রে ব্যবস্থাদি-সংক্রান্ত আইনের ৪১(১) ধারার ভাষ্য: ‘কোনো সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব পালনের সঙ্গে সম্পর্কিত অভিযোগে করা ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক অভিযোগপত্র গৃহীত হওয়ার আগে তাকে গ্রেফতার করতে হলে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি নিতে হবে।’

অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, সংবিধান অনুসারে সব নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান। সরকারি চাকরি আইনের ধারাটি বৈষম্যমূলক।

মনজিল মোরসেদ হাইকোর্টের রায়ের পর সাংবাদিকদের বলেন, আদালত রায়ে সরকারি চাকরি আইন-২০১৮-এর ৪১(১) ধারা বেআইনি, সংবিধান পরিপন্থি, মৌলিক অধিকার পরিপন্থি বলে ঘোষণা করেছেন।

আদালত বলেন, সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদে আছে, আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান, তা সুনির্দিষ্টভাবে বলা আছে। তারপরও ৪১(১) ধারা করে সেখানে সরকারি কর্মচারীদের আলাদাভাবে একটি সুরক্ষা দেয়া হয়েছে। তা কোনোভাবেই সংবিধানসম্মত নয়। এ আইন একটি মেলাফাইড (অসৎ) উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। সরকারি কর্মচারীদের সুরক্ষা দিতে এ আইনের ৪১(১) ধারা সংযোজন করা হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ রায়ের ফলে তাদের গ্রেফতারের আগে এখন আর অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন নেই।




স্কুল পরিদর্শন হবে হোয়াটস্অ্যাপেই!

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো হোয়াটস্অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে পরিদর্শনের উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের মনিটরিং ও মূল্যায়ন বিভাগের কর্মকর্তারা হোয়াটস্অ্যাপে শিক্ষকদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শ্রেণি কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবেন। এসময় তারা স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য নেবেন। এসময় কতজন শিক্ষক উপস্থিত ও অনুপস্থিত আছেন, শ্রেণিকক্ষের অবস্থা, পাঠদান ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এসব তথ্য জানিয়ে সব বিভাগীয় উপপরিচালককে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

 

চিঠিতে অধিদপ্তর বলছে, শিক্ষার সার্বিক মান ও বিদ্যালয়ে শিক্ষা উপযোগী পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে মনিটরিং ও মূল্যায়ন বিভাগের সব কর্মকর্তাকে সারাদেশে বিদ্যালয় চলার সময়ে হোয়াটস্অ্যাপের মাধ্যমে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে যুক্ত থেকে শ্রেণি কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করার জন্য মহাপরিচালক নির্দেশ দিয়েছেন। অধিদপ্তরের মনিটরিং ও মূল্যায়ন বিভাগের কর্মকর্তারা অনলাইনে হোয়াটস্অ্যাপের মাধ্যমে বিদ্যালয় পরিদর্শন করবেন। এ কার্যক্রমে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের সার্বিক সহযোগিতা এবং তথ্য দিতে হবে।

অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, অনলাইন পরিদর্শন কার্যক্রম হোয়াটস্অ্যাপের মাধ্যমে করা হবে। এর জন্য সারাদেশে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের নিজ নিজ স্মার্ট ফোনে হোয়াটস্অ্যাপ ডাউনলোড করবেন এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে প্রধান শিক্ষক বরাবরে পাঠানো মোবাইল ডাটার মাধ্যমে স্কুল চলাকালীন ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে তথ্য দিতে হবে।

প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের অধিদপ্তরের মনিটরিং ও মূল্যায়ন বিভাগের কর্মরত সব কর্মকর্তার ফোন নম্বর হোয়াটস্অ্যাপে সেভ করে রাখতে হবে। স্কুলের সময় হোয়াটস্অ্যাপে কোন কর্মকর্তা ফোন করলে ফোন রিসিভ করতে হবে। কোন কারণে ফোন রিসিভ করতে না পারলে কলব্যাক করতে হবে। সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আবশ্যিকভাবে কর্মস্থলে পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) সঙ্গে রাখতে হবে।

জানা গেছে, হোয়াটস্অ্যাপে যুক্ত হয়ে কর্মকর্তারা স্কুলের নাম, ক্লাস্টার, ক্লাস্টারের দায়িত্ব প্রাপ্ত সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নাম, প্রধান শিক্ষকের নামসহ স্কুল সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য নেবেন। আর বিদ্যালয়ে মোট পদ, কর্মরত পদ, উপস্থিত শিক্ষকের সংখ্যা, অনুপস্থিত শিক্ষকের সংখ্যা, সংযুক্ত শিক্ষকের সংখ্যা এবং অনুপস্থিতির কারণ জেনে নির্ধারিত ছকে অন্তর্ভুক্ত করবেন। আর স্কুল প্রাঙ্গনের পরিচ্ছন্ন আছে কি না, মনিটরিং বোর্ড আছে কিনা, শিক্ষার্থীদের পোশাক পরিচ্ছন্ন কিনা, শ্রেণিকক্ষ পরিচ্ছন্ন কিনা, শিক্ষকদের কক্ষ পরিচ্ছন্ন কিনা এবং রুটিন অনুযায়ী ক্লাস হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করবেন। আর কতজন শিক্ষা উপস্থিত ও কতজন অনুপস্থিত সে বিষয়ে তথ্য নেবেন।




একই পরিবারের ৪ জনের ইসলাম গ্রহণ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে এক হিন্দু পরিবারের চার জন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জুম্মার নামাজের পূর্বে সিদ্ধিরগঞ্জ জেলেপাড়া এলাকায় হযরত শাহজালাল (রহ:) জামে মসজিদে এসে তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।

এসময় ওই মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা কামরুজ্জামান তাদেরকে কালেমা পাঠ করান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন হযরত শাহজালাল (রহ) জামে মসজিদ কমিটির প্রধান উপদেষ্টা মো. শাহজাহান, মো. শহিদউল্লাহ, ডা. ইবরাহিম আ. আউয়াল, মো. মোখলেছুর রহমানসহ অসংখ্য মুসল্লী।

অ্যাফিডেভিট সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৮ নং ওয়ার্ডের নতুন আইলপাড়া এলাকার সুবল চন্দ্র দাস (৩৬) ইসলাম ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে রফিকুল আলম, তার স্ত্রী লক্ষী রানী দাসের (২৮) স্থলে মরিয়ম বেগম, তার ছোট মেয়ে অরাদ্ব দাসের (০৬) স্থলে আয়েশা জান্নাত আক্তার ও তার বড় ছেলে লিয়ন দাসের (১০) স্থলে মো. বায়েজিদ নাম রেখে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।

রফিকুল আলম জানান, আমরা স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে, অন্যের বিনা প্ররোচনায় পবিত্র ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি। কেউ আমাকে ভয় দেখিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করে নি। আমরা বাকিটা জীবন ইসলাম ধর্মের সমস্ত বিধি-বিধান মেনে চলবো। হযরত শাহজালাল (রহ:) জামে মসজিদ কমিটি প্রধান উপদেষ্টা মো. শাহজাহান জানান, রফিকুল ইসলাম আজ থেকে আমাদের ভাই। এখন থেকে তাদের সকল ধরণের বিপদে আপদে আমরা সবাই তাদের পাশে দাঁড়াবো। সার্বিকভাবে আমরা তার পরিবারকে সহযোগিতা করবো।