যেকোনো পরিস্থিতিতে সর্বশক্তি দিয়ে ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে থাকবে ইরান

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সংসদ স্পিকার মোহাম্মাদ বাকের কলিবফ বলেছেন, যেকোনো পরিস্থিতিতে সর্বশক্তি দিয়ে ফিলিস্তিনি জনগণ ও প্রতিরোধ সংগ্রামের পাশে থাকবে তেহরান। তিনি আজ (বুধবার) ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন ইসলামি জিহাদের মহাসচিব জিয়াদ আন-নাখালার সঙ্গে ফোনালাপে এ কথা বলেন।

কলিবফ আরও বলেন, ইসলামি জিহাদ হচ্ছে ফিলিস্তিনের সবচেয়ে প্রভাবশালী সংগঠনগুলোর একটি এবং এই সংগঠন দখলদার শক্তির মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

এ সময় ইসলামি জিহাদের মহাসচিব ফিলিস্তিনিদের সংগ্রামের প্রতি ইরানের অব্যাহত সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সর্বশেষ লড়াইয়ে ইহুদিবাদী ইসরাইল বাধ্য হয়ে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে এবং ইসলামি জিহাদের শর্তগুলো মেনে নিয়েছে।

তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের ভেতরে ও বাইরে প্রতিরোধ সংস্থাগুলোর ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের কারণেই সাম্প্রতিক লড়াইয়ে বড় ধরণের সাফল্য এসেছে। জিয়াদ আন-নাখালা আরও বলেন, সর্বশেষ যুদ্ধে ইসলামি জিহাদ প্রমাণ করেছে তারা বড় ধরণের দীর্ঘ মেয়াদি যুদ্ধে ইসরাইলের মোকাবেলা করার সক্ষমতা রাখে এবং ইসরাইলকে শক্ত আঘাত করতে পারে।

গত শুক্রবার বিকেল থেকে গাজা উপত্যকায় হামলা শুরু করে ইহুদিবাদী ইসরাইল। এর ফলে ১৫ শিশু ও দুই নারীসহ অন্তত ৪৫ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। এরপর ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠনগুলো ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে পাল্টা জবাব দেওয়ায় ইসরাইল যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে বাধ্য হয়। সোমবার ভোর থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।




বুস্টার ডোজের আওতায় ৪ কোটি ১১ লক্ষাধিক মানুষ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দেশে এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধী টিকার বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ৪ কোটি ১১ লাখ ৩৮ হাজার ৬০৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ১ লাখ ৬৪ হাজার ২০০ জন।

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন শাখার (এমআইএস) পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার) দেশে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ৮ হাজার ১৬৭ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২৯ হাজার ৮৩৫ জন। আর একই সময়ে বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ১ লাখ ৬৪ হাজার ২০০ জন। তাদের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়, এখন পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১২ কোটি ৯৭ লাখ ৯২ হাজার ২৪৫ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১২ কোটি ৮ লাখ ১৫ হাজার ৩৫৭ জন। এ সময়ে টিকার বুস্টার (তৃতীয়) ডোজ পেয়েছেন চার কোটি ১১ লাখ ৩৮ হাজার ৬০৬ জন।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি করোনা টিকার নিবন্ধন এবং ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে মানুষকে টিকা দেওয়া শুরু হয়। বর্তমানে টিকা নেওয়ার সর্বনিম্ন বয়সসীমা ১৮ বছর।




সরকার নয়, বিএনপিরই রাজনীতি থেকে বিদায়ের সময় এসেছে: কাদের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

সরকার নয়, নেতিবাচক রাজনীতি ও নির্বাচন বিমুখতার জন্য বিএনপিরই রাজনীতি থেকে বিদায় নেওয়ার সময় এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বুধবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এক বক্তব্যের জবাবে বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতা পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের ক্ষমতার উৎস এ দেশের জনগণ এবং ক্ষমতা দেওয়ার মালিক মহান আল্লাহ।

বিএনপির মতো জনবিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক দলের মুখের কথায় জনগণের এখন আর কোনো আস্থা নেই। বিএনপি সরকার পরিচালনায় যেমন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে, বিরোধীদল হিসেবেও চরম দায়িত্বহীনতার নজির স্থাপন করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি প্রায় প্রতিদিনই মিটিং-মিছিল করছে, সমাবেশ করছে। অথচ তারা অভিযোগ করছে, তাদের নাকি সভা-সমাবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না, তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। নিজেদের ব্যর্থতা ও নানা অপকর্মের দায় সরকারের ওপর চাপানোর অপচেষ্টা করা তাদের পুরোনো স্বভাব। তিনি বলেন, মিথ্যার মোড়কে বিএনপির অগণতান্ত্রিক রাজনীতির স্বরূপ জনগণের কাছে এখন স্পষ্ট। তাদের শাসনামলেই তো দেশ মগের মুল্লুকে রূপান্তরিত হয়েছিল।

ধর্মীয় উগ্রবাদ আর সাম্প্রদায়িকতার ডাল-পালার বিস্তার ঘটেছিল, সার চাইতে গিয়ে কৃষকরা প্রাণ দিয়েছিলেন। ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বিএনপির শাসনামলে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছিল, সংখ্যালঘু নির্যাতনের রেকর্ড করেছিল। ‘বিএনপি আবারও দেশকে সেই অরাজকতায় ডুবিয়ে দিতে চায়। জনগণ বর্ণচোরা বিএনপিকে চেনে, জনগণ সেই সুযোগ তাদের আর দেবে না’ যোগ করেন তিনি।




শোক দিবসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ভবন ও বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।

আজ বুধবার সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে এ সংক্রান্ত নির্দেশনার কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, জাতীয় পতাকা বিধি অনুসরণে পতাকার রং হবে গাঢ় সবুজ এবং ১০:৬ দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের আয়তাকার ক্ষেত্রের গাঢ় সবুজ রঙের মাঝখানে লাল বৃত্ত থাকবে। বৃত্তের ব্যাসার্ধ হবে পতাকার দৈর্ঘ্যের এক-পঞ্চমাংশ। ভবনে উত্তোলনের জন্য পতাকার তিন ধরনের মাপ হচ্ছে দশ ফুট বাই ছয় ফুট, পাঁচ ফুট বাই তিন ফুট এবং আড়াই ফুট বাই দেড় ফুট।

আরও বলা হয়, সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সময় প্রথমে পতাকা দণ্ডের সর্বোচ্চ চূড়া পর্যন্ত উত্তোলন করতে হবে। এরপর নামিয়ে অর্ধনমিত অবস্থায় বাঁধতে হবে। দিনশেষে পতাকা নামানোর সময় আবার দণ্ডের সর্বোচ্চ চূড়া পর্যন্ত উঠাতে হবে, তারপর ধীরে ধীরে নামাতে হবে।




বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারত করতে ময়মনসিংহ থেকে হেঁটে টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছেন বৃদ্ধা

ডিএনিবি নিউজ ডেস্ক:

ময়মনসিংহের ফুলপুর থেকে হেঁটে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কবর জিয়ারত করতে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন মো. মোস্তফা নামের (৭৫) এক বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি। মোস্তফা ফুলপুর উপজেলার পয়ারী ইউনিয়নের সাহাপুর গ্রামের মৃত সোনা মিয়ার ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য।

গত সোমবার (৮ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে ফুলপুর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে মহাসড়ক দিয়ে হেঁটে বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে এই বৃদ্ধা। মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) রাত ৯টা পর্যন্ত হেঁটে জেলার ভালুকা উপজেলার ভরাডোবা বাজার পর্যন্ত পৌঁছান। সেখানেই রাত্রিযাপন করেন।

বুধবার (১০ আগস্ট) সকালে মোস্তফা মিয়ার ছেলে মো. মনিরুজ্জামান বলেন, বাবা ফজরের নামাজ পড়ে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে ভালুকা থেকে রওনা দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা থেকেই হেঁটে তার কবর জিয়ারত করতে যাচ্ছেন বাবা।

এলাকায় প্রচার রয়েছে- ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর থেকে আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা জুতা পরতেন না। দীর্ঘ ২৫ বছর বছর তিনি জুতা না পরে কাটিয়েছেন। এমনকি তিনি খালি পায়ে বিয়েও করতে গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিচারের রায় ঘোষিত হলে ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনের পাঁচবারের সংসদ সদস্য ভাষা সৈনিক মরহুম এম শামছুল হক তাকে জুতা কিনে দেন।




দুর্গাপুরে যুবলীগ নেতার জমি দখল, প্রাণনাশের হুমকিতে সংবাদ সম্মেলন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে অবৈধভাবে জমি দখল, প্রাণনাশের হুমকি ও পথরোধ করে মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি রেজাউল আলম। বুধবার দুপুরে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

যুবলীগ সভাপতি রেজাউল আলম বলেন, আমার ডিগ্রিপ্রাপ্ত ভূমি জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ আমার সাথে শক্রুতা পোষণ করে নানা ভয়ভীতি দেখাচ্ছে দুর্গাপুর ইউনিয়নের মাসকান্দা গ্রামের মোঃ সাইদুর রহমান, আঃ মোতালেব, মোঃ আব্দুস সাত্তার, আল আমিন, মোহাম্মদ আলী, নুরুল আমিন। বিগত ২৪ এপ্রিল রাত অনুমান ২টার দিকে আমি দুর্গাপুর হইতে বাড়িতে যাওয়ার সময় পথরোধ করে আমাকে মারপিট শুরু করে। এ সময় আমার মোটরসাইকেল ও পকেটে থাকা ত্রিশ হাজার পাঁচশত টাকা ছিনিয়ে নেয়।

আমার ডাকচিৎকারে আশেপাশের লোকজন আসতে থাকলে ওরা পালিয়ে যাওয়ার সময় আমাকে খুন করার হুমকি দিয়ে গেলে প্রানের ভয়ে আমি বাড়ী চলে যাই। পরবর্তিতে আমি আমার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণকে উক্ত ঘটনা অবগত করলে চেয়ারম্যান মহোদয় প্রতিপক্ষদের এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ওরা ছিনিয়ে নেয়া মোটরসাইকেল ও টাকা ফেরৎ দিবে বলে প্রতিশ্রæতি দেয়। ছিনতাইকৃত মোটরসাইকেল ও টাকা ফেরৎ দিতে নানা টালবাহানা শুরু করলে আমি নিরুপায় হয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, দুর্গাপুর বরাবর একটি মামলা দায়ের করি যাহা এখনো বিচারাধীন রয়েছে।

পরবর্তীতে আমার জমি দখল নিয়ে প্রতিপক্ষগণকে বিবাদী করে বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, দুর্গাপুরে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা দায়ের করলে আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবারের লোকজন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক ইউপি সদস্য আঃ ছোবাহান, কৃষক মো. আব্দুল হাশেম মিয়া, এলাকাবাসী আবুল হাশেম, মোঃ মুসলিম উদ্দিন প্রমুখ।




সন্ত্রাসীদের গুলিতে উখিয়ায় ২ রোহিঙ্গা নেতা নিহত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

কক্সবাজারের উখিয়া ক‌্যাম্পে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই রোহিঙ্গা নেতা নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) রাত পৌনে ১২টার দিকে ক্যাম্প ১৫ এর সি/৯ ব্লকের দুর্গম পাহাড়ের ঢালে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, উখিয়া ক্যাম্প ১৫ ব্লক সি/১ এর আব্দুর রহিমের ছেলে আবু তালেব (৪০) ও একই ক্যাম্পের সি/৯ এর ইমাম হোসেনের ছেলে সৈয়দ হোসেন (৩৫)। বুধবার (১০ আগস্ট) সকালে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরান হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে দুষ্কৃতকারীরা তাদেরকে গুলি করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে জামতলী এমএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৈয়দ হোসেনকে চিকিৎসক সেখানেই মৃত ঘোষণা করেন। আবু তালেবকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুতুপালং হাসপাতালে পাঠান। পরবর্তীতে সেখানে তার মৃত্যু হয়। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।




মন্ত্রীর মর্যাদা পাচ্ছেন দুই সিটি মেয়র।

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রকে মন্ত্রীর পদমর্যাদা দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জের মেয়ররা পাবেন প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে রোববার (০৭ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও সচিবালয়কে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্বাহী সেলের মহাপরিচালক আল মামুন মুর্শেদের সই করা নির্দেশনায় ওই চার সিটির মেয়রদের নামের পাশে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা প্রদানপূর্বক গেজেট প্রকাশে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এ নির্দেশনার ফলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এখন থেকে মন্ত্রীর পদমর্যাদা পাবেন।

এছাড়াও সিদ্ধান্ত হয়েছে, চট্টগ্রাম সিটির মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পাবেন। এর আগে ঢাকার সাবেক দুই মেয়র মন্ত্রীর পদমর্যাদা ভোগ করেছেন।

২০১৫ সালের নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন এবং ঢাকা উত্তর সিটিতে (প্রয়াত) আনিসুল হক মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর ২০১৬ সালের ২১ জুন তাদের মন্ত্রীর পদমর্যাদা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল

পরে আনিসুল হক মারা যাওয়ার পর ২০১৯ সালের উপনির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ওই মেয়াদে ৯ মাস ডিএনসিসির মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন আতিকুল ইসলাম। তিনিও তখন মন্ত্রীর মর্যাদা পেয়েছিলেন।




নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মুল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে দুর্গাপুরে মানববন্ধন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

‘‘দাম কমাও-জান বাঁচাও’’ এ প্রতিপাদ্যে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সার, ডিজেল-পেট্রোলসহ সকল নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মুল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সিপিবি দুর্গাপুর উপজেলা কমিটি এক মানববন্ধন করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে সর্বস্তরের অংশগ্রহনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ উপলক্ষে স্থানীয় প্রেসক্লাব মোড়ে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টি সিপিবি দুর্গাপুর উপজেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক রুপন কুমার সরকার এর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সিপিবি উপজেলা কমিটির সভাপতি কমরেড আলকাছ উদ্দিন মীর, উপজেলা কৃষক সমিতির সভাপতি আব্দুল মালেক সরকার, সম্পাদক মোরশেদ আলম, ক্ষেতমজুর সমিতির আহবায়ক মোঃ রহমত আলী, উপজেলা যুব ইউনিয়ন সভাপতি নজরুল ইসলাম, ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি আল-আমিন চৌধুরী প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, বৈশ্বিক মহামারী করোনার প্রকোপ ও সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় দেশে প্রচুর মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে, নতুন কোন কর্মসংস্থান এর সৃষ্টি না হওয়ায় দারিদ্রতার হার বেড়েছে। এরই মধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয়পন্য ও দ্রব্যমুল্যের দাম বৃদ্ধি পেলে সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ না খেয়ে মরবে। অবিলম্বে সার, ডিজেল-পেট্রোল, চাল, ডাল, তেল সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্যের দাম কমানোর দাবী জানানো হয়।




আজ পবিত্র আশুরা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

আজ ১০ মহররম, পবিত্র আশুরা। আরবি ‘আশারা’ শব্দের অর্থ দশ। আর আশুরা মানে দশম। সৃষ্টির শুরু থেকে মহররমের ১০ তারিখ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এ জন্য আশুরার মর্যাদা ও মাহাত্ম্য উত্তরোত্তর বাড়ছে।

হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম শান্তি ও সম্প্রীতির ধর্ম ইসলামের মহান আদর্শকে সমুন্নত রাখতে হজরত ইমাম হুসাইন রা. এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের আত্মত্যাগ মানবতার ইতিহাসে সমুজ্জ্বল হয়ে আছে। কারবালার এই শোকাবহ ঘটনা ও পবিত্র আশুরার শাশ্বত বাণী সবাইকে অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে এবং সত্য ও সুন্দরের পথে চলতে প্রেরণা জোগায়।

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, রাসুল সা. যখন আশুরার রোজা রাখছিলেন এবং অন্যদের রোজা রাখতে বলেছিলেন তখন সাহাবারা বললেন, হে আল্লাহর রাসুল!

এ দিনকে তো ইহুদি-নাসারারা সম্মান করে? তখন নবীজি এ কথা শুনে বললেন, ইনশাআল্লাহ, আগামী বছর আমরা নবম তারিখেও রোজা রাখব। বর্ণনাকারী বললেন, এখনো আগামী বছর আসেনি, এমতাবস্থায় রাসুলুল্লাহ সা.-এর ইন্তেকাল হয়ে যায়। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৫৫৬)

এ জন্য ইবনে আব্বাস রা. বলতেন, তোমরা ৯ তারিখ এবং ১০ তারিখ রোজা রাখো এবং ইয়াহুদিদের বিরোধিতা করো। (জামে তিরমিজি, হাদিস : ৭৫৫) এছাড়াও আল্লাহর রহমত ও ক্ষমার আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নফল নামাজ, দান-খয়রাত, জিকির-আজকারের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করবেন।