‘জ্বালানি তেলের দাম ৫ টাকা কমানো জনগণের সঙ্গে তামাশার শামিল’

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

জ্বালানি তেলের মূল্য লিটার প্রতি ৫ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত জনগণের সাথে চরম তামাশা বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।

আজ মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, ডিজেল, পেট্রোল, অকটেন ও কেরোসিন তেলের প্রায় ৪৬% মূল্যবৃদ্ধির পর জনগণের প্রতিবাদ ও অসন্তোষের কারণে সরকার লিটার প্রতি ৫ টাকা কমানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা জনগণের সাথে তামাশা ও প্রতারণার শামিল।

তারা বলেন, বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়ায় গত ৭ জুলাই বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী দেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ইঙ্গিত দেন। আমাদের প্রশ্ন, বিশ্ববাজারে যখন দাম কমে, তখন কি মন্ত্রীরা কমানোর ইঙ্গিত দেন? বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়লেই তারা বাড়ানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে যান, এটা ঠিক না।

তারা আরো বলেন, গ্যাস, বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর জনতার রুদ্ররোষ আঁচ করতে পেরে সরকার তেলের মূল্য কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু প্রায ৫০% বাড়ানোর পর লিটার প্রতি ৫ টাকা কমানোর নামে নতুন করে লুটপাটের ফন্দিফিকির করছে। সরকারের এ সিদ্ধান্ত অমানবিক।




দুর্গাপুরে সরকারি নতুন অফিস আদেশ মানছেন না অনেকেই

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

সারাদেশে বিদ্যুৎ এর ঘাটতি ও কৃষিখাতে বিদ্যুৎ নিশ্চয়তার লক্ষে গত ২৪ আগস্ট থেকে সরকারি অফিস আদালতের সময় সকাল ৮টা থেকে শুরু করার কথা থাকলেও নেত্রকোনার দুর্গাপুুরে ঘটছে উল্টো চিত্র। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার অফিসপাড়াতে গিয়ে এমনটাই দেখা গেছে।

এ নিয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল ৮.৪৫ থেকে ৯.৩০ পর্যন্ত সরকারি অনেক অফিসের দরজা বন্ধ রয়েছে। আবার কিছু কিছু অফিসের দরজা খোলা থাকলেও দেখা মেলেনি কর্মকর্তার। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সকাল ৮.০০ ঘটিকায় নিজ কার্যালয়ে প্রবেশ করলেও কর্মচারীগনের উপস্থিতি দেখাগেছে অনেক পরে। যে অফিস গুলোতে কর্মকর্তাগনের দেখা মেলেনি সেগুলো হলো, উপজেলা নির্বাচন অফিস, সমবায়, পরিসংখ্যান, আনসার ভিডিপি, সমাজ সেবা, মৎস্য, যুব উন্নয়ন, প্রাথমিক শিক্ষা, খাদ্য কর্মকর্তা ও প্রানি সম্পদ অফিস। এছাড়া দুপুরের খাবারের উদ্দেশ্যে বের হলেও আর অফিসে ফিরে আসেন না অনেকেই। যে সকল কর্মকর্তা উপজেলার বাইরে অবস্থান করেন, প্রতি বৃহস্পতিবার বারটা বাজলেই ব্যাগ হাতে নিয়ে নিজ বাড়ীর উদ্দেশ্যে ছুটে যান। রোববার কর্মস্থলে ফিরলেও তখন দুপুর গড়িয়ে যায়। এ নিয়ে তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, সময়মতো গাড়ী পাইনি, রাস্তায় জ্যাম ছিল, অথবা শরীরটা একটু খারাপ। যা কিনা প্রতি রবিবার একই চিত্র দেখা।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান বলেন, নতুন সরকারি আদেশের বিষয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী সহ সবাই অবগত আছেন, সময় মতো অফিসে উপস্থিত হওয়ার জন্য নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে, এরপরও অনিয়মের প্রমান পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।