সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

গভীর সঞ্চারণশীল মেঘ (বজ্রমেঘ) সৃষ্টি হওয়ায় উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর স্থায়ী সতর্ক সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

অন্যদিকে, দেশের উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টির প্রবণতা কমে গিয়ে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রামে ও দক্ষিণাঞ্চলের বরিশালে বৃষ্টি বেড়েছে। কোথাও ভারি আবার কোথাও হালকা বৃষ্টির এ প্রবণতা বুধবারও (৩ আগস্ট) অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।

মঙ্গলবার (২ আগস্ট) সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ১০৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, ফেনীতে। চট্টগ্রাম বিভাগের ১২টি বৃষ্টি পরিমাপক অঞ্চলের সবগুলোতেই মঙ্গলবার বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে কক্সবাজারে ৫৫ ও রাঙ্গামাটিতে ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বরিশালে ৭৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তবে রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ ছিল প্রায় বৃষ্টিহীন। শুধু দিনাজপুর ও বগুড়ায় এক মিলিমিটার করে বৃষ্টি হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, রংপুর ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে

এ সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানান এ আবহাওয়াবিদ।

মঙ্গলবাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল মোংলায়। বুধবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল সীতাকুণ্ডে, ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালার সৃষ্টি হচ্ছে। সমুদ্র বন্দর, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এজন্য উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

সতর্কবার্তায়— চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।




রাজধানীতে কলেরা টিকার দ্বিতীয় ডোজ শুরু

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

রাজধানীতে কলেরার দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া শুরু করেছে আইসিডিডিআরবি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে আজ বুধবার থেকে রাজধানীর ৫টি এলাকায় শুরু হয় টিকা কার্যক্রম। প্রতিদিন সকাল ৮ থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দেওয়া হবে কলেরা টিকা। কর্মসূচি চলবে ১০ আগস্ট পর্যন্ত।

তবে শুক্রবার (৫ আগস্ট) ও মঙ্গলবার (৯ আগস্ট, আশুরার দিন) টিকা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, দক্ষিণখান, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী ও সবুজবাগ এলাকায় প্রথম ডোজ কলেরা টিকা গ্রহণকারী ২৩ লাখ ৬৫ হাজার ৫৮৫ জনকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা প্রদান করা হবে। যারা ২৬ জুন থেকে ২ জুলাইয়ের মধ্যে প্রথম ডোজ কলেরা টিকা নিয়েছেন, তারা নিজ নিজ কেন্দ্রে টিকা কার্ড দেখিয়ে দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারবেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত ইউভিকল প্লাস নামের কলেরার টিকা দক্ষিণ কোরিয়ার ইউবায়োলোজিক্স কো. লিমিটেডের তৈরি। যা এক বছর থেকে তদূর্ধ্ব বয়সীদের প্রদান করা হবে।

অন্তঃসত্ত্বা নারী এবং যারা বিগত ১৪ দিনের মধ্যে অন্য কোনো টিকা গ্রহণ করেছেন; তারা ছাড়া সবাই এই টিকা গ্রহণ করতে পারবেন। এই টিকা নেওয়ার ১৪ দিনের মধ্যে অন্য কোনো টিকা নেওয়া যাবে না।