দুর্গাপুরে আস্ সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের ত্রাণ সামগ্রী বিতরন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোণার দুর্গাপুরে ভয়াল বন্যার কবলে পড়া দুর্গত মানুষদের সহায়তায় শায়েখ আহমদুল্লাহ পরিচালিত আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন ধরনের খাদ্যপণ্য বিতরণ করা হয় শনিবার ।

শায়েখ আহমদুল্লাহর বিশ্বস্ত সহচর ও আস্ সুন্নাহ ফাউন্ডেশন নেত্রকোণা জেলা প্রতিনিধি মাওঃ আরিফুল ইসলামের সার্বিক তত্ত্বাবধানে স্থানীয় আলেম উলামা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের সহযোগিতায় স্বেচ্ছাসেবক টিমের মাধ্যমে দুর্গাপুরের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় এসব ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের কালিকাবর, গাঁওকান্দিয়া, চৈতাটি, গৌরাখালী ও জাগিরপাড়া গ্রামের প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে এসব ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়ন ও চন্ডিগড় ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে প্রায় ১৫ মেট্রিকটন ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হয়েছে।

সহায়তা হিসেবে প্রত্যেক পরিবারকে ৫ কেজি চাল, মসুর ডাল ১ কেজি, আলু ২ কেজি, চিড়া ১ কেজি, লবণ ১ কেজি, খেজুর ১ কেজি, সয়াবিন তেল ১ লিটার, মরিচের গুঁড়া ১০০ গ্রাম, হলুদের গুঁড়া ১০০ গ্রাম, ধনিয়ার গুঁড়া ১০০ গ্রাম, ৭৫ গ্রাম সাবান, ওরস্যালাইন ১০টা ও  পেঁয়াজ ১ কেজি করে প্রদান করা হচ্ছে।




দুর্গাপুরে বন্যাদুর্গতের পাশে এসবি রক্তদান ফাউন্ডেশন

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সেচ্ছাসেবী সংগঠন এসবি রক্তদান ফাউন্ডেশনের উদ্যেগে বন্যাদুর্গতের মাঝে ত্রান হিসেবে শুকনো খাবার বিতরন করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের বন্যাদুর্গত ৫০০টি পরিবারের মাঝে এ ত্রান বিতরন করা হয়। এছাড়াও এ সংগঠনটি বন্যায় যাদের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদেরকে আর্থিক ভাবে সহায়তা করছে।

ত্রান বিতরনকালে উপস্থিত ছিলেন, এসবি রক্তদান ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা সুসং আদর্শ বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক এ কে এম ইয়াহিয়া, এসবি রক্তদান ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সৈকত সরকার, সদস্য শফিউল আলম স্বপন, পলাশ সাহা, মাসুম বিল্লাহ অভি, রিজন তালুকদার, সুশান্ত প্রসাদ প্রমুখ।

এসবি রক্তদান ফাউন্ডেশনের সভাপতি সৈকত সরকার বলেন, আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে আজ বন্যাদুর্গত ৫০০টি পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরন করেছি। আমাদের কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য সকলের সহযোগিতা চাই।




দুর্গাপুরে বন্যাদুর্গতের মাঝে জালাল হত্যার প্রতিবাদ পরিষদের নগদ অর্থ বিতরণ

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে জালাল হত্যার প্রতিবাদ পরিষদের উদ্দ্যেগে বন্যার্তদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরন করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে গাঁওকান্দিয়া ও বিরিশিরি ইউনিয়নে ক্ষতিগ্রস্থ ৭০টি পরিবারকে এ অর্থ বিতরণ করা হয়।

জালাল হত্যার প্রতিবাদ পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা শাহ কুতুব উদ্দিন তালুকদার রুয়েল অসুস্থ হয়ে ঢাকায় অবস্থান করায় তার প্রতিনিধিগন এ অর্থ বিতরণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক পৌর কাউন্সিলর কমলেশ চক্রবর্ত্তী মনু, আসিফ খান (অজয়), বুলবুল মিয়া, শহিদ মিয়া, হাসমত আলী, ফারুক মিয়া, টিটু প্রমুখ।

তিন বারের সাবেক এমপি মরহুম জালাল উদ্দিন তালুকদারের পুত্র শাহ কুতুব উদ্দিন তালুকদার বলেন, বন্যা দুর্গত এলাকায় ৭০টি পরিবারকে ১হাজার টাকা করে নগদ বিতরণ করেছি। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি সুস্থ হলে, এলাকায় গিয়ে এ কার্যক্রম চলমান রাখবো ইনশাআল্লাহ।




পদ্মা সেতু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী ফলক ও বঙ্গবন্ধুর ম্যূরাল-১ উন্মোচনের মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (২৪ জুন) বেলা ১২টায় সেতু উদ্বোধন করেন তিনি। উদ্বোধন শেষে তিনি ‘জয় বাংলা’ বলে স্লোগান দেন।

এর আগে, হেলিকপ্টারে করে সেখানে আয়োজিত সুধী সমাবেশস্থলে পৌঁছান তিনি। সমাবেশে তিনি বক্তব্য দেন। সুধী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, বিভিন্ন বাহিনীর প্রধান, সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা।

উদ্বোধনের আগে স্মারক ডাকটিকিট, স্যুভেনির শিট, উদ্বোধনী খাম ও বিশেষ সিলমোহর উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে তিনি মাওয়ায় স্থাপিত টোল প্লাজায় টোল পরিশোধের পর উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন।

গত ২৪ মে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের তারিখ অনুমোদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারই দৃঢ় মনোবলের কারণে শেষ পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী মূল সেতুর পাইলিং ও নদীশাসনের কাজ উদ্বোধন করেন। এরপর একে একে সব ধাপ পেরিয়ে পদ্মার বুকে গড়ে ওঠে স্বপ্নের সেতু।

সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্থাপনা পদ্মা সেতু। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। দ্বিতল এ সেতুর এক অংশ পদ্মা নদীর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত এবং অপর অংশ নদীর শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে যুক্ত।

একইসঙ্গে ট্রেন ও গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা রয়েছে এ সেতুতে। চার লেন বিশিষ্ট ৭২ ফুট প্রস্থের এ সেতুর নিচতলায় রয়েছে রেল লাইন। এর মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে। পদ্মা সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা।