দুর্গাপুরে মাটি খুরতেই বের হচ্চে কেরোসিন তেল-উৎসুক জনতার ভীড়

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

জ্বালানীর অন্যতম অনুসঙ্গ হচ্ছে তেল। বাজারে তেলের দাম থাকলেও দুর্গাপুরে তা পাওয়া যাচ্ছে বিনা মুল্যে। পৌরশহরের কাচারী মোড় এলাকায় মোজাম্মেল হকের বাসায় বিদ্যুৎ এর খুটি গাড়তে গিয়ে বেরুতে থাকে কালো জ্বালানী তেল। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ তেলের সন্ধ্যান মেলে।

এ নিয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দুর্গাপুর পৌরশহরের কাচারী রোড এলাকায় ইাতোমধ্যে গড়ে উঠছে বহুতল বিশিষ্ট ইমারত। এ সকল বিল্ডিং গুলোতে বিদ্যুৎ এর খুঁটি পোতা সহ পাইলিং এর জন্য গাড়তে হচ্ছে লোহার পাইপ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই এলাকার মোজাম্মেল হক এর বিল্ডিংয়ের জন্য বিদ্যুৎ এর খুটি গাড়তে যায় মিস্ত্রী শফিকুল ইসলাম। তার বাসার সামনে প্রায় ৫ ফুট নিচে যাওয়া মাত্রই ঘন-কালো ডিজেল এর মতো তেল বেরুতে থাকে। পরে কেউ কেউ তা প্লাষ্টিক মগ দিয়ে উঠিয়ে আগুন জ্বালাতে গিয়ে বুঝতে পারে এটা কোন না কোন জ্বালানী দ্রব্য। এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই আশ-পাশের উৎসুক জনতা প্লাষ্টিক বালতি, মগ ও কলসি নিয়ে সংগ্রহ করতে থাকে ওই তেল।

এনিয়ে স্থানীয় পান্থনীড় ফিলিং সেন্টারের কর্মচারী নুরুজ্জামান বলেন, এটা ডিজেলের চেয়ে একটু ঘন এক ধরনের জ্বালানী তেল। হয়তো ডিজেল কে রিফাইন করার আগে যা থাকে তেমন হবে হয়তো। আশ-পাশের কোন তেলের পাম্প ফেটে এটা আসতে পারে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা কোন পাম্পের তেল না। এটা মাটির গভীর থেকেই উঠে আসছে।

এ নিয়ে উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার জন্য দ্রুত পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোক পাঠানো হয়েছে। যদি সত্যিই এখানে কোন তেলের সন্ধ্যান পাওয়া যায়, তবে এটা রাষ্ট্রীয় সম্পদ। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




সিলেটে আবারও বন্যা, সুরমা উপচে পানি ঢুকছে নগরেও

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

টানা বৃষ্টিপাত ও ভারত থেকে নেমে আসা উজানের ঢলে সিলেট জেলায় আবারও বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হচ্ছে।

জেলার সদর, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, জকিগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।জেলার অন্তত ৫ শতাধিক গ্রাম ইতিমধ্যে প্লাবিত হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার দুপুরে জানিয়েছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।

এদিকে সুরমা নদীর তীর উপচে আবারও পানি ঢুকছে সিলেট নগরীতে। নগরীর সুরমা নদীর তীরবর্তী এলাকার বাসা-বাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্যা কবলিত হয়ে পড়ছে।

নগরীর শাহজালাল উপশহর, তেররতন, ছড়ারপাড়, কালিঘাট, তালতলা, জামতলা, শেখঘাটসহ ৮-১০টি এলাকা ইতিমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার মূল সড়ক, অলি-গলি, বাসা-বাড়ি, দোকানপাটে পানি ঢুকেছে। ফলে আর্থিক ক্ষতি ও চরম দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ। ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সিলেট পানি উন্নয়ন (পাউবো) বোর্ড সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত সিলেটের প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারাসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত ছিল।

সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৯৯ সেন্টিমিটার, সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদীর পানি ফেঞ্চুগঞ্জে বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩ সেন্টিমিটার, সারি নদীর পানি সারিঘাটে বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

নগরীর কিছু এলাকা ছাড়াও জেলার ৫ শতাধিক গ্রাম ইতিমধ্যে বন্যাকবলিত হয়েছে। এসব এলাকার অনেক সরকারি দপ্তর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও পানি ঢুকেছে। ফলে স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ফের বন্যা দেখা দেওয়ায় মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট নগরীর বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় মানুষ কিছুদিন আগের বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠার আগেই আবারও বন্যার ক্ষতি ও দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন।

অনেকের বাসা-বাড়িতে পানি ঢুকে আসবাবপত্র ভিজে নষ্ট হচ্ছে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকায় আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে আরও বেশি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুসিকান্ত হাজং জানান, বন্যার্তদের সহায়তায় উপজেলা প্রশাসন আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেন, জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় যেসব স্থানে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা প্রয়োজন সেখানে আশ্রয়কেন্দ্র খুলতে উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পর্যাপ্ত ত্রাণ বিতরণেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে