ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১৭ স্থানে পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন স্থানে ১৭টি অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১০টি এবং উত্তর সিটিতে সাতটি হাট বসবে।

ঢাকা উত্তরে সি‌টির অধীনে হাটগুলো হচ্ছে গাবতলী, বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং ব্লক-ই এফ জি এইচ এলাকার খালি জায়গা, মিরপুর সেকশন-৬ ইস্টার্ন হাউজিংয়ের খালি জায়গা, উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টর এলাকার বৃন্দাবন থেকে উত্তর দিকে বিজিএমইএ পর্যন্ত খালি জায়গা, ভাটারা সাইদ নগর, কাওলা শিয়ালডাঙ্গাসংলগ্ন খালি জায়গা, ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৩০০ ফিট সড়কসংলগ্ন উত্তর পাশের সালাম স্টিল, যমুনা হাউজিং কোম্পানি ও ব্যক্তিগত মালিকানাধীন খালি জায়গা এবং মোহাম্মদপুরের বছিলায় ৪০ ফুট রাস্তাসংলগ্ন খালি জায়গা।

অপর‌দি‌কে ঢাকা দ‌ক্ষিণ সি‌টির অধীনে হাটগুলো হচ্ছে মেরাদিয়া বাজারসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, দনিয়া কলেজ মাঠসংলগ্ন খালি জায়গা, ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনালসংলগ্ন উন্মুক্ত জায়গা, উত্তর শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজার মৈত্রী সংঘের ক্লাবসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, হাজারীবাগ এলাকার ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি মাঠসংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা, আমুলিয়া মডেল টাউনের আশপাশের খালি জায়গা, লালবাগের রহমতগঞ্জ ক্লাবসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, শ্যামপুর-কদমতলী ট্রাকস্ট্যান্ডসংলগ্ন খালি জায়গা, লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাবসংলগ্ন খালি জায়গা, কমলাপুর স্টেডিয়ামসংলগ্ন বিশ্বরোডের আশপাশের এলাকা এবং পোস্তগোলা শ্মশানঘাটসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা। এর বাইরে সারুলিয়া স্থায়ী হাটও চালু থাকবে।

এসব এলাকায় হা‌টের পাশাপা‌শি চালু থাকবে ডিএনসিসির ডিজিটাল হাট। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এবারও অনলাইন হাটকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। সে লক্ষ্যে তৃতীয়বারের মতো ডিজিটাল পশুর হাট চালু রাখা হবে। ডিএনসিসির ডিজিটাল হাটে ই-ক্যাব এবং বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএফএ) অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানের খামারিরা পশু বিক্রি করতে পারবেন।

এ‌দি‌কে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন অস্থায়ী হাটের ইজারার শিডিউল ঘোষণা করেছে গত ১৩ এপ্রিল। দরপত্র বিক্রির শেষ তারিখ ছিল ৮ মে এবং জমা দেওয়ার তারিখ ছিল ৯ মে।

ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, নগর ভবন ও উত্তর সি‌টির ১০টি আঞ্চলিক অফিস থেকে দরপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আঞ্চলিক কার্যালয়ে দরপত্র জমা না নেওয়ায় অনেকেই গুলশানে নগর ভবনে গিয়ে সময়মতো দরপত্র জমা দিতে পারেন‌নি ব‌লে অভিযোগ করেছেন।

দরপত্র জমা না দিতে পারা কয়েকজন জানান, উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টর এলাকার বৃন্দাবন থেকে উত্তর দিকে বিজিএমইএ পর্যন্ত খালি জায়গার জন্য হাটের সিডিউল জমা দিতে উত্তরায় ‌সি‌টি কর‌পো‌রেশ‌নের আঞ্চলিক অফিস-১-এ গেলে তারা শিডিউল জমা নেননি। সেখান থেকে গুলশান নগর ভবনে জমা নেওয়া হবে ব‌লে জানা‌নো হয়। উত্তরা থে‌কে নগর ভবনে রওনা হয়েও যানজটের কারণে সময়মতো পৌঁছা‌তে না পারায় তারা শিডিউল জমা দি‌তে পা‌রেন‌নি ব‌লে জানান। তাই, পুনরায় সি‌ডিউল জমার সুযোগ দেওয়ার অনু‌রোধ ক‌রেন তারা।

এ ব্যাপা‌রে ডিএনসিসির আঞ্চলিক অফিস-১-এর নির্বাহী কর্মকর্তা জুলকার নায়ন বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা কা‌রো কাছ থে‌কে এখনও কোনো মৌখিক বা লিখিত অভিযোগ পাইনি। যেহেতু এটি প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তার হাতে, তাই তাঁকে জানালে হয়তো একটা সমাধান হতে পারে।’




সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপতির মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপতি, আবুধাবির শাসক, শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সশস্ত্র বাহিনীর ডেপুটি সুপ্রিম কমান্ডার শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান, ইউএইর ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী, দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের কাছে পাঠানো আলাদা চিঠিতে শোক প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।

শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের কাছে পাঠানো শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে বাংলাদেশের জনগণ, সরকার এবং জনগণের পক্ষ থেকে গভীর শোক ও আপনার মাধ্যমে রাজপরিবারের শোকসন্তপ্ত সদস্য এবং আমিরাতের ভাইদের শোক ও দুঃখের এ সংকটময় মুহূর্তে আন্তরিক সমবেদনা জানাই।

শেখ হাসিনা বলেন, শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান একজন মহান রাষ্ট্রনায়ক, আবুধাবির একজন মহান শাসক ও মুসলিম উম্মাহর একজন দূরদর্শী নেতা ছিলেন। তার গতিশীল নেতৃত্ব, বিচক্ষণ্নতা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় উন্নয়নে ত্যাগ তাকে ইতিহাসে স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব করে রাখবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের একজন মহান বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষী ছিলেন এবং বিশেষ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের একজন অভিভাবক ছিলেন।

শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে মরহুমের রুহের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, আমরা তার চির শান্তির জন্য প্রার্থনা করি। সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান দান করুন। শোকাহত রাজপরিবারের সদস্যদের এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণ অপূরণীয় ক্ষতি বহন করার সাহস ও সহনশীলতা দান করার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করছি।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী, দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের কাছে পাঠানো আরেকটি শোক বার্তায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপতি এবং আবুধাবির শাসক শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের মৃত্যুতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের জনগণ ও সরকার ও আমার নিজের পক্ষ থেকে আপনাকে এবং আপনার মাধ্যমে রাজপরিবারের শোকাহত সদস্যদের পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের কাছে আমাদের গভীর সমবেদনা এবং আন্তরিক সহানুভূতি জানাই।

শেখ হাসিনা বলেন, শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান সংযুক্ত আরব আমিরাতের একজন গতিশীল এবং দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনের জন্য এবং একে একটি সমৃদ্ধ ও অগ্রগামী জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে তার সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আন্তরিকভাবে বাংলাদেশ-সংযুক্ত আরব আমিরাতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নে তার অবদানকে স্বীকার করছি। আমরা সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে প্রয়াত শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের চির শান্তির এবং তাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান দান করার জন্য আন্তরিকভাবে দোয়া করছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আল্লাহ রাজপরিবারের শোকাহত সদস্যদের এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণকে এ অপূরণীয় ক্ষতি সহ্য করার সাহস ও শক্তি দান করুন। -বাসস।




এবার ঈদযাত্রায় ১৪ দিনে সড়কে নিহত ৩৭৬ জন

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

ঈদুল ফিতরের আগে-পরে ১৪ দিনে (২৫ এপ্রিল থেকে ৮ মে) দেশে ২৮৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৭৬ জন নিহত হয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১ হাজার ৫০০ জন। এর মধ্যে ১২৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৫৬ জন।

বৃহস্পতিবার (১২ মে) সকালে সংবাদ মাধ্যমে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমানের পাঠানো এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই ১৪ দিনে ৭টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত ও ২ জন আহত হয়েছেন এবং ২ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ১৭টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়েছেন।

দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ১৫৬ জন, বাসযাত্রী ৩২ জন, ট্রাক-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি আরোহী ২০ জন, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, অ্যাম্বুলেন্স, জিপ যাত্রী ১৫ জন, থ্রি-হুইলার যাত্রী ৭৮ জন, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী ১৩ জন এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান আরোহী ৮ জন নিহত হয়েছেন। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৩২টি জাতীয় মহাসড়কে, ৮৭টি আঞ্চলিক সড়কে, ৪১টি গ্রামীণ সড়কে এবং ২৩টি শহরের সড়কে সংঘটিত হয়েছে।

দেখা গেছে, ঈদ উদযাপনের সময় ১২৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৫৬ জন নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ৪১.৪৮ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪৫.২২ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ধরণ বিশ্লেষণে দেখা যায়- অন্য যানবাহনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটেছে ১৬.১৯ শতাংশ; মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪১.৯৫ শতাংশ; অন্য যানবাহনের মাধ্যমে মোটরসাইকেলে ধাক্কা/চাপায় দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩৯.০৪ শতাংশ; অন্যান্য কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে ২.৮ শতাংশ। আর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত চালক ও আরোহীদের মধ্যে ৫১.৪২ শতাংশের বয়স ১৪ থেকে ২০ বছর।

২০২১ সালে ঈদুল ফিতর উদযাপনে সময় ১২১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৩৪ জন নিহত হয়েছিল। সে হিসেবে এ বছর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বেড়েছে ৫.৭৪ শতাংশ এবং প্রাণহানি বেড়েছে ১৬.৪১ শতাংশ।

প্রতিবেদনে দেশে সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে- ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন; বেপরোয়া গতি; চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা; বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা; মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল; তরুণ ও যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো; জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা; দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা; বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতি এবং গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি।

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন সরকারের কাছে কয়েক দফা সুপারিশ জানিয়েছে। সুপারিশগুলো হচ্ছে- দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি করতে হবে; চালকের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করতে হবে; বিআরটিএ’র সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে; পরিবহনের মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে; মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল বন্ধ করে এগুলোর জন্য আলাদা পার্শ্ব রাস্তা (সার্ভিস রোড) তৈরি করতে হবে; পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করতে হবে; যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে; গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে; রেল ও নৌ-পথ সংস্কার ও সম্প্রসারণ করে সড়ক পথের উপর চাপ কমাতে হবে; গণপরিবহন উন্নত, সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী করে মোটরসাইকেল ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে হবে; টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে এবং ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ বাধাহীনভাবে

বাস্তবায়ন করতে হবে।




বেসরকারিভাবে হজে যেতে খরচ ৪ লাখ ৬৩ হাজার টাকা

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

এবার বেসরকারিভাবে এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ হবে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৭৪৪ টাকা। বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৮ জুলাই সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এবার বাংলাদেশ থেকে ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন হজ পালনের সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৩ হাজার ৫৮৫ জন হজে যেতে পারবেন।

হাবের সভাপতি বলেন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের জন্য ‘সাধারণ প্যাকেজ’ নামে একটি প্যাকেজ করা হয়েছে। এছাড়াও প্রত্যেক এজেন্সি নিজ নিজ স্পেশাল প্যাকেজ করতে পারবে। তবে কোনো প্যাকেজই হাব ঘোষিত সর্বনিম্ন প্যাকেজ মূল্য থেকে কম হবে না। হজযাত্রীদের প্যাকেজের পুরো টাকা আগামী ১৮ মে’র মধ্যে নিজ নিজ এজেন্সির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করার অনুরোধ জানিয়ে শাহাদাত হোসাইন বলেন, কোনো মধ্যস্বত্বভোগীর হাতে টাকা দিয়ে প্রতারিত হবেন না। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পরিশোধ করতে হবে। তিনি বলেন, সাধারণ প্যাকেজের হজযাত্রীদের পবিত্র হারাম শরীফের বাইরের চত্বরের সীমানার এক হাজার থেকে এক হাজার ৫০০ মিটার দূরত্বে আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। সৌদি আরব প্রান্তের অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জের তথ্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি জানিয়ে তসলিম বলেন, প্যাকেজ ঘোষণার পর সৌদি সরকার অতিরিক্ত কোনো ফি আরোপ করলে তা প্যাকেজের মূল্য হিসেবে গণ্য হবে এবং তা হজযাত্রীকে পরিশোধ করতে হবে। শাহাদাত হোসাইন আরও বলেন, কোরবানি খরচ বাবদ প্রত্যেক হজযাত্রীকে ৮১০ সৌদি রিয়ালের সম পরিমাণ টাকা আলাদাভাবে নিজ দায়িত্বে সঙ্গে নিতে হবে।

হজ প্যাকেজের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে হাব সভাপতি বলেন, বাড়ি ভাড়া, সৌদি আরবের সার্ভিস চার্জ, ভ্যাট, মুদ্রার রেট অব এক্সচেঞ্জ এবং বিমান ভাড়া বাড়ানোর জন্য হজের খরচ বেড়ে গেছে। ডেডিকেটেড ফ্লাইটে হজযাত্রীদের পরিবহনের জোর দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ডেডিকেটেড ফ্লাইটে হজযাত্রী পরিবহন করা না গেলে ঢাকায় হজযাত্রীদের প্রি-অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন করা সম্ভব নয়। প্যাকেজের মূল্য পরিশোধের পর হজযাত্রীদের নিবন্ধন, আন্তঃএজেন্সি সমন্বয়, মোনাজ্জেম নির্ধারণ, ভিসা- এসব কাজ এখনো বাকি আছে। ৩১ মে হজ ফ্লাইট দিলে ঝুঁকি হয়ে যাবে। আমরা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করছি। আমরা আগামী ১০ জুন থেকে হজ ফ্লাইট পরিচালনার জন্য পরামর্শ দিয়েছি। এর আগে গত বুধবার সচিবালয়ে হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভায় সরকারিভাবে দুটি ও বেসরকারিভাবে হজ পালনের ক্ষেত্রে একটি প্যাকেজ অনুমোদন দেওয়া হয়।

সভা শেষে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান সাংবাদিকের হজ প্যাকেজ সম্পর্কে ব্রিফ করেন। সরকারিভাবে হজে যেতে প্যাকেজ-১ এ ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ এবং প্যাকেজ-২ এ ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে প্যাকেজে খরচ ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৬৩০ টাকা। প্যাকেজ-১ এর ক্ষেত্রে খরচ বেড়েছে এক লাখ ২ হাজার ৩৪০ টাকা, প্যাকেজ-২ এর ক্ষেত্রে এবার খরচ বেড়েছে ১ লাখ ২ হাজার ১৫০ টাকা। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সৌদি সরকারের বিধিনিষেধের মুখে গত দুই বছর বাংলাদেশি হজযাত্রীরা হজ পালন করতে পারেননি। সবশেষ ২০১৯ সালে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন হজযাত্রীরা। ২০২০ সালে প্যাকেজ ঘোষণা হলেও বাংলাদেশ থেকে কেউ হজে যেতে পারেননি। তখন হজ পালনে প্যাকেজ-১ এ ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা এবং প্যাকেজ-২ এ খরচ ধরা হয়েছিল ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। প্যাকেজ-৩ এর খরচ ধরা হয়েছিল ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা। তখন হজ প্যাকেজগুলো বেসরকারি হজযাত্রীদের জন্যও প্রযোজ্য ছিল।




গণকমিশনের তালিকায় দেশের ১১৬ আলেম ও ওয়েজিনের নাম

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

জঙ্গি অর্থায়ন ও দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অভিযোগে ১১৬ ওয়ায়েজিনের একটি তালিকা দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা দিয়েছে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সমন্বয়ে গঠিত মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে ‘গণকমিশন’।

বুধবার (১১ মে) দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লার হাতে একটি শ্বেতপত্র তুলে দেন গণকমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সদস্য সচিব ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজসহ পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

এ তালিকা থেকে বাদ পড়েননি বর্ষীয়ান আলেমেদ্বীন আল্লামা মুফতি আব্দুল হালিম বুখারী, আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জীর মতো দেশের শীর্ষ আলেমরাও। তালিকায় আছেন বেশ কয়েকজন কারাবন্দি আলেম।

দুদক চেয়ারম্যানের কাছে দেওয়া ২২শ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনের ৭৬০ ও ৭৬১ পৃষ্ঠায় তাদের নাম প্রকাশ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জঙ্গি অর্থায়ন ও ওয়াজের মাধ্যমে তারা ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করছেন।

দুদকের কাছে দেওয়া ১১৬ আলেমের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তারা হলেন, ১. মাওলানা নূরুল ইসলাম ওলিপুরী, ২. মাওলানা সাজিদুর রহমান, ৩. মুফতি রেজাউল করিম, ৪. মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম, ৫. মাওলানা খোরশেদ আলম কাসেমী, ৬. মাওলানা আবুল কালাম আজাদ (বাশার), ৭. মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, ৮. মুফতি দিলওয়ার হোসাইন সাইফী, ৯. মাওলানা সাইয়্যেদ কামাল উদ্দিন জাফরী, ১০. মাওলানা মাহমুদুল হাসান ভূজপুরী, ১১. মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফতেহপুরী, ১২. মাওলানা মুহিব খান, ১৩. মুফতি সাঈদ আহমদ কলরব, ১৪. মুফতি দিলাওয়ার হোসাইন, ১৫. মাওলানা গিয়াস উদ্দিন তাহেরী, ১৬. মাওলানা আব্দুর রহিম বিপ্লবী, ১৭. মাওলানা আরিফ বিল্লাহ, ১৮. মাওলানা বজলুর রশিদ, ১৯. মুফতি নাজিবুল্লাহ আফসারী, ২০. মাওলানা ওয়াসেক বিল্লাহ নোমানী, ২১. মুফতি নূর হোসেন নুরানী, ২২. মুফতি কাজী ইব্রাহিম, ২৩. মাওলানা গোলাম রাব্বানী, ২৪. মাওলানা মুজাফফর বিন মহসিন, ২৫. মাওলানা মোস্তফা মাহবুবুল আলম, ২৬. মাওলানা মাহমুদুল হাসান গুনবি, ২৭. মাওলানা শায়েখ সিফাত হাসান, ২৮. মাওলানা মোহাম্মদ রাকিব ইবনে সিরাজ, ২৯. মাওলানা ফয়সাল আহমদ হেলাল, ৩০. মাওলানা মতিউর রহমান মাদানী, ৩১. মাওলানা মুজিবুর রহমান, ৩২. মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, ৩৩. মাওলানা হাফিজুর রহমান ছিদ্দীকী, ৩৪. মাওলানা আজিজুল ইসলাম জালালী, ৩৫. মাওলানা মেরাজুল হক কাসেমী, ৩৬. মুফতি মুহসিনুল করিম, ৩৭. মাওলানা আব্দুল বাসেত খান, ৩৮. মাওলানা আবদুল খালেক  শরিয়তপুরী, ৩৯. মুফতি মাহমুদ উল্লাহ আতিকী, ৪০. মুফতি উসমান গণি মুছাপুরী, ৪১. মাওলানা আবু নাঈম মুহাম্মাদ তানভীর, ৪২. মুফতি শিহাবুদ্দীন, ৪৩. মুফতি মুসতাঈন বিল্লাহ আল-উসওয়ায়ী, ৪৪. মাওলানা আশরাফ আলী হরষপুরী, ৪৫. মাওলানা জাকারিয়া, ৪৬. মুফতি আমজাদ হোসাইন আশরাফী, ৪৭. মুফতি আনোয়ার হোসাইন চিশতী, ৪৮. মাওলানা আতিকুল্লাহ, ৪৯. মাওলানা বশির আহমদ, ৫০. মাওলানা সিরাজুল ইসলাম মিরপুরী, ৫১. মাওলানা রিজওয়ান রফিকী, ৫২. মাওলানা আবরারুল হক হাতেমী, ৫৩. মাওলানা রাফি বিন মুনির, ৫৪. মাওলানা আনোয়ারুল ইসলাম জাবেরী, ৫৫. মাওলানা মোতাসিম বিল্লাহ আতিকী, ৫৬. মুফতি শেখ হামিদুর রহমান সাইফী, ৫৭. মাওলানা আজহারুল ইসলাম আজমী, ৫৮. মাওলানা কামাল উদ্দিন দায়েমী, ৫৯. মাওলানা কামাল উদ্দিন কাসেমী, ৬০. মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন নুরী, ৬১. মাওলানা মাজহারুল ইসলাম মাজহারী, ৬২. মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফেরদাউস, ৬৩. মুফতি এহসানুল হক জিলানী, ৬৪. মাওলানা মাহবুবুর রহমান জিহাদি, ৬৫. মুফতি আব্দুল হক, ৬৬. মুফতি শাহিদুর রহমান মাহমুদাবাদী, ৬৭. মাওলানা ইসমাঈল বুখারী, ৬৮. মাওলানা জয়নুল আবেদীন হাবিবী, ৬৯. মাওলানা ইউসুফ বিন এনাম, ৭০. মাওলানা শাববীর আহমদ উসমানী, ৭১. মুফতি জাহিদুল ইসলাম যায়েদ, ৭২. মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম জামী, ৭৩. মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, ৭৪. মাওলানা ইসমাইল হোসাইন, ৭৫. মুফতি আব্দুর রহিম হেলালী, ৭৬. মুফতি ওমর ফারুক যুক্তিবাদী, ৭৭. মাওলানা মুশাহিদ আহমদ উজিরপুরী, ৭৮. মাওলানা কাজিম উদ্দীন (অন্ধ হাফেজ), ৭৯. মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান, ৮০. মুফতি হারুনুর রশিদ, ৮১. মাওলানা আবুল কাসেম, ৮২. মুফতি ওয়ালী উল্লাহ, ৮৩. মাওলানা আবু নাঈম মুহাম্মাদ তানভীর, ৮৪. মাওলানা জাকারিয়া নাটোর, ৮৫. মাওলানা আবুল হাসান (সাদী), ৮৬. মুফতি রুহুল আমিন নুরী, ৮৭. মুফতি মামুনুর রশিদ কামালী, ৮৮. মাওলানা আবদুল কালাম আজাদ, ৮৯. মাওলানা ডা. সিরাজুল ইসলাম সিরাজী (নওমুসলিম), ৯০. মাওলানা শামসুল হক যশোরী (নওমুসলিম), ৯১. মুফতি হাবিবুর রহমান মিসবাহ, ৯২. মাওলানা মুফতি ওলিউল্লাহ, ৯৩. মাওলানা বেলাল হুসাইন ফারুকী, ৯৪. মুফতি ওমর ফারুক যুক্তিবাদী, ৯৫. মাওলানা আমির হামজা, ৯৬. মাওলানা মিজানুর রহমান আযহারী, ৯৭. মাওলানা তারেক মনোয়ার, ৯৮. মাওলানা আব্দুল হালিম বোখারী, ৯৯. মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, ১০০. মাওলানা আফম খালিদ হোসেন, ১০১. মাওলানা মামুনুল হক, ১০২. মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, ১০৩. মাওলানা মুশতাকুন্নবী, ১০৪. মাওলানা সালাহ উদ্দীন নানুপুরী, ১০৫. মাওলানা কুতুব উদ্দীন নানুপুরী, ১০৬. মাওলানা বেলাল উদ্দীন, ১০৭. মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী, ১০৮. মাওলানা রুহুল আমিন যুক্তিবাদী, ১০৯. মাওলানা আবুল কালাম বয়ানী, ১১০. মাওলানা রফিকুল্লাহ আফসারী, ১১১. মাওলানা আব্দুল্লাহ আল-আমিন, ১১২. মাওলানা মোয়াজ্জেম হোসাইন সাইফী, ১১৩. মাওলানা আলাউদ্দীন জিহাদি, ১১৪. মাওলানা আবু বকর মোহাম্মদ জাকারিয়া, ১১৫.  মাওলানা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী, ১১৬. মাওলানা মাহবুবুর রহমান জৈনপুরী প্রমুখ।




ফ্যানে স্পর্শ করা মাত্রই মারা গেলেন কলেজছাত্র

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ফ্যানে স্পর্শ করা মাত্রই বিদ্যুতায়িত হয়ে মারুফ হাসান (২০) নামের এক কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের নাগপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুৎচালিত ফ্যানের সাহায্যে ধানের ধুলা-বালু এবং ময়লা পরিষ্কার করা হয়। সকালের দিকে বসত ঘরের সামনে  ফ্যান বাহিরে আনতে যান মারুফ। এ সময় ফ্যানে স্পর্শ করা মাত্রই বিদ্যুতায়িত হয়ে মাটিতে লুটে পড়ে মারুফ। পরিবারের সদস্যরা তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

দুর্গাপুর থানার ওসি শিবিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি সত্যিই হৃদয় বিদারক। খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




আলজাজিরার এক নারী সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা করেছে ইস*রায়েল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইসরায়েলি অভিযানের খবর সংগ্রহের সময় কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিজার এক সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা করেছে দখলদার বাহিনী।

বুধবার (১১ মে) এ তথ্য জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়, পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে ইসরায়েলি অভিযানের খবর সংগ্রহের সময় সাংবাদিক শিরীন আবু আকলেহকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

ঘটনার ভিডিও বিশ্লেষণ করে জানা যায়, শিরীন আবু আকলেহকের মাথায় গুলি করা হয়েছে।

ফিলিস্তিনের শহর রামাল্লায় উপস্থিত আল জাজিরার সাংবাদিক নিদা ইব্রাহিম জানান, আমরা এখন পর্যন্ত জানি- শিরীন আবু আকলেহকের মৃত্যুর তথ্যটি নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তিনি পশ্চিম তীরের উত্তর দিকের এলাকায় ইসরায়েলি অভিযানের তথ্য সংগ্রহ করছিলেন। এসময় তার মাথায় বুলেট লাগে।




নির্দলীয় সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না ইসলামী আন্দোলন: চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইভিএম ও আওয়ামী লীগের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

চরমোনাই পীর বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে, কোনো দলীয় সরকারের অধীন সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। বিগত কয়েকটি জাতীয় নির্বাচন ও স্থানীয় নির্বাচনে এটা বারবার প্রমাণিত হয়েছে।

আগামী সংসদ নির্বাচন ইভিএমে ভোটগ্রহণ নিয়ে আলোচনা আছে। এ নিয়ে চরমোনাই পীর বলেন, ইভিএম আন্তর্জাতিকভাবে প্রত্যাখ্যাত। আর ইভিএমের মাধ্যমে সারা দেশে ভোট অনুষ্ঠিত হবে—এমন কথা প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেওয়ার এখতিয়ার রাখেন না। নির্বাচন কোনো প্রক্রিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে, তা নির্ধারণ করবে নির্বাচন কমিশন। দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতেই নির্বাচন কমিশন তা ঠিক করবে—এটাই জনগণের প্রত্যাশা।

আজ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের এক যৌথ সভায় বলেছেন, তাঁদের দল ৩০০ আসনেই ইভিএম চায়। এ প্রসঙ্গে চরমোনাইয়ের পীর বলেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যেও প্রমাণিত হয়, তাদের অধীন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।




দুর্গাপুরে আগুনে পুড়ল কৃষকের স্বপ্ন

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের ফেচিয়া গ্রামে আগুনে পুড়ে যায় ছাই হয়ে যায় ৫টি গরু ও ৮টি ছাগল। সোমবার গভীর রাতে ওই গ্রামের মোঃ ইউনুছ আলীর ছেলে কৃষক হানিফ মিয়ার গোয়াল ঘরে এ অগ্নিকাÐের ঘটনা ঘটে। নিভৃত পল্লী গ্রামের কৃষক হানিফ মিয়া গাভী পালনে দিনবদলের স্বপ্ন দেখছিলেন তিনি। এরই মধ্যে আগুনের তাÐবে সেই স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, কৃষক হানিফ মিয়া সোমবার রাতে বাজার থেকে ফিরে গোয়াল ঘরে গরুদের খাবার দেয়। পরে সে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে ছাগলের ডাক চিৎকারে ঘর থেকে বাহির হয়ে দেখে তার গোয়ালঘরে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। মুহূর্তেই আগুনের লেলিহান শিখা ঘরের চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। হানিফের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসীর সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনলেও গোয়ারঘরে থাকা ৫ টি গরু ও ৮টি ছাগল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। কৃষক হানিফ মিয়া বলেন, আমার গোয়াল ঘরে অগ্নিকাÐের ঘটনায় ৫টি গরু, ৮টি ছাগল ও অন্যান্য জিনিসপত্র সহ প্রায় ৭ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

এ বিষয়ে চন্ডিগড় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ এমদাদুল হক আলম সরকার জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এ বিষয়ে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

 




দুর্গাপুরে নিজ ঘর থেকে এক তরুণের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে হৃদয় সরকার (১৮) নামে এক তরুণের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে দুর্গাপুর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি নেত্রকোনা মর্গে পাঠায় পুলিশ। এর আগে সোমবার রাতে পৌর শহরের দক্ষিন ভবানীপুর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে হৃদয়ের লাশটি উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। হৃদয় সরকার ওই এলাকার বিমল সরকারের ছেলে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পৌর শহরের উৎরাইল বাজারের হৃদয়ের মা চায়ের দোকান করে। প্রতিদিনের মতো সোমবার দুপুর পর্যন্ত দোকান করে মায়ের কাছে এমবি ও শ্যাম্পু কেনার জন্য ৪০ টাকা নিয়ে বাসায় আসে হৃদয়। সোমবার বিকেল ৫ টায় হৃদয়ের বাসায় আসে তার মাশি। এ সময় সে হৃদয়ের ঘরে ঢুকে দেখতে পায় তার নিথর দেহ ঘরের আড়ায় ঝুলছে। এ দৃশ্য দেখে সে ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয়রা এসে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

দুর্গাপুর থানার উপপরিদর্শক আনিসুল হক জানান, মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি নেত্রকোনা মর্গে পাঠানো হয়েছে।