কক্সবাজারে যত্রতত্র স্থাপনা নির্মাণ না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:
ভবিষ্যতে কক্সবাজারই হবে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলের রুটের রি-ফুয়েলিং পয়েন্ট। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য কক্সবাজারকে মহাপরিকল্পনার আলোকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। তাই এই শহরে যত্রতত্র কোনো স্থাপনা নির্মাণ না করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১৭ মে) সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
২০১৭ সালের ২৭ মার্চ অনুষ্ঠিত গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ভূমি বরাদ্দ কমিটির সভায় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বহুতল অফিস ভবন নির্মাণের জন্য এক একর ২১ শতক জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়। একই বছরের ৬ মে প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বহুতল অফিস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
কউক চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমেদ জানান, ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় কউকের বহুতল অফিস ভবন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। ২০১৭ সালের অক্টোবর হতে ভবনের নির্মাণকাজ শুরু করা হয় এবং ২০২১ সালের ডিসেম্বর প্রকল্পের কাজ শেষ হয়।
তিনি আরও জানান, সরকার বহুতল অফিস ভবন নির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় বরাদ্দ দিয়েছিল ১১৪ কোটি ৮৪ লাখ ৪১ হাজার টাকা। কিন্তু কাজ শেষে টাকা সাশ্রয় হয় চার কোটি ৩১ লাখ টাকা। তা সরকারি তহবিলে যথারীতি ফেরত দেওয়া হয়েছে।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ১০ তলা ভবনটির নকশা প্রণয়ন করে স্থাপত্য অধিদফতর। কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও গণপূর্ত অধিদফতর যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে। ২০১৬ সালের ৬ জুলাই কক্সবাজারকে একটি আধুনিক ও পরিকল্পিত পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য জাতীয় সংসদে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিল পাস হয়।