জেলার শ্রেষ্ঠ কলেজ প্রধান অধ্যক্ষ ফারুক আহমেদ তালুকদার ও শ্রেষ্ঠ কলেজ শিক্ষার্থী পূর্নতা সরকার নির্বাচিত

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২২ উপলক্ষে জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ কলেজ প্রধান অধ্যক্ষ ফারুক আহমেদ তালুকদার ও শ্রেষ্ঠ কলেজ শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছেন পূর্নতা সরকার। দুজনই দুর্গাপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। জেলার ৬০টি কলেজ থেকে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়। এ উপলক্ষে শুক্রবার সকালে জেলা শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল গফুর এর স্বাক্ষরিত পত্রালোকের মাধ্যমে স্থানীয় সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন অধ্যক্ষ ফারুক আহমেদ তালুকদার।

জেলা প্রশাসন ও শিক্ষা বিভাগের গঠিত বাছাই কমিটি শিক্ষাগত যোগত্যা, শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা, বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান ও নিষ্ঠা, সৃজনশীল প্রশ্নপত্র তৈরীর দক্ষতা, সহযোগিতার প্রবণতা, চারিত্রিক দৃঢ়তা ও সততা, শৃঙ্খলাবোধ, পেশাগত গবেষণামূলক সৃজনশীল প্রকাশনাসহ নানাবিধ বিষয় বিবেচনা করে অধ্যক্ষ ফারুক আহমেদ তালুকদার কে জেলার শ্রেষ্ঠ কলেজ প্রধান ও পূর্নতা সরকার কে শ্রেষ্ঠ কলেজ শিক্ষার্থী নির্বাচিত করা হয়।

ফারুক আহমেদ তালুকদার ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারী অধ্যক্ষ পদে ওই কলেজে যোগদানের পর দুইবার উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি দুর্গাপুর উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের শিক্ষাবিদ আলহাজ্ব মাফিজ উদ্দিন তালুকদার এর ছোট ছেলে। শিক্ষা প্রসারের সাথে থেকে জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তিনি এএমটি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আলহাজ্ব মাফিজ উদ্দিন তালুকদার কলেজ, মাদরাসা, মাধ্যমিক স্কুল, ফাইন আর্টস একাডেমি, প্রতিবন্ধি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে শিক্ষা বিকাশে কাজ করে যাচ্ছেন। তার এই সফলতা প্রাপ্তিতে উপজেলার শিক্ষার্থী ও সুশিল সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ, দুর্গাপুর প্রেসক্লাব, উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি অভিনন্দন জানিয়েছেন।

এ নিয়ে ফারুক আহমেদ তালুকদার বলেন, প্রথমেই মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া জানাই, আমাকে এ সম্মান দেয়ার জন্য। পরিশ্রম কোন দিনই বৃথা যায় না। জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে জেলা পর্যায়ে আমাকে শ্রেষ্ঠ কলেজ প্রধান হিসেবে মনোনীত করায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন সহ শিক্ষা বিভাগ কে ধন্যবাদ জানাই। আগামী ২৯ মে বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিযোগীতা, সকলেই আমার জন্য দোয়া করবেন।




এবার খাজা মাইনুদ্দীন চিশতি রহ. এর দরগাহকে মন্দির বলে দাবি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক: 

ভারতের রাজস্থানের আজমীরে হযরত খাজা গরীব নওয়াজ দরগাহকে এবার প্রাচীন হিন্দু মন্দির বলে দাবি করেছে ‘মহারানা প্রতাপ সেনা’। সংগঠনটি রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, কেন্দ্রীয় সরকার এবং অন্যদেরকে একটি চিঠি লিখে ওই বিষয়ে তদন্ত করতে বলেছে।

‘মহারানা প্রতাপ সেনা’র কর্মকর্তারা একটি ছবি পাঠিয়ে আজমীর শরীফ দরগাহের জানালায় স্বস্তিক চিহ্ন রয়েছে বলে দাবি করেছেন। ‘মহারানা প্রতাপ সেনা’র প্রতিষ্ঠাতা রাজবর্ধন সিং পারমারের দাবি, আজমীরের হযরত খাজা গরীব নওয়াজ দরগাহে একটি একলিঙ্গ মন্দির ছিল যেটিকে দরগায় রূপান্তরিত করা হয়েছিল। রাজবর্ধন সিং পারমার বলেছেন, দরগাহে স্বস্তিকার কাজ কী? এটি তদন্তের বিষয়। আমরা বিষয়টি তুলে ধরেছি। সরকারের উচিত তদন্ত করা।

গণমাধ্যমে প্রকাশ, ‘মহারানা প্রতাপ সেনা’ ভারতের রাষ্ট্রপতি, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল ও অন্যত্র চিঠি দিয়েছে। মহারানা প্রতাপ সেনার জাতীয় সভাপতি রাজবর্ধন সিং পারমার বলেছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত না হলে তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করবেন। এরপরও কোনো সমাধান না হলে বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে। ‘মহারানা প্রতাপ সেনা’র ২০০০ কর্মী আজমীরে যাবে এবং ওই ইস্যুতে আন্দোলন করবে। এ ছাড়াও তারা আদালতের দ্বারস্থও হতে পারে।

ভারতে জ্ঞানবাপী মসজিদ, কুতুব মিনার ও তাজমহলসহ বিভিন্ন প্রাচীন সৌধকে কেন্দ্র করে হিন্দুত্ববাদীদের বিতর্কিত দাবির মধ্যে এবার আজমীরের হযরত খাজা গরীব নওয়াজ দরগাহ নিয়ে নয়া বিতর্কের সূচনা হয়েছে। মহারানা প্রতাপ সেনার প্রতিষ্ঠাতা রাজবর্ধন সিং পারমার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ সংক্রান্ত পোস্ট করে বিতর্কিত প্রশ্ন তুলেছেন। সূত্র: পার্স টুডে