ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুরে খ্যাতনামা ৯জন আলেমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে সোরওয়ার্দী নামের একজন। বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, দুর্গাপুর চৌকি, নেত্রকোণায় এ মামলা দায়ের করা হয়। সি.আর. মোকদ্দমা নং-৬১/২০২২। ইসলামপুর ডাকুমারা মাদ্রাসার মোহ্তামিম হাফেজ মোস্তফা (৫০), লক্ষীপুর মাদ্রাসার মোহ্তামিম মাওঃ আব্দুল মজিদ (৫৩), মাওঃ হযরত আলী (৪৯), মাওঃ আবু হানিফ (৫০), মাওঃ রুকন উদ্দিন (৫০), মাওঃ আনাছ (৩৫), মাওঃ উমর ফারুক (৪২), মাওঃ নূরুদ্দিন (৪৫), মাওঃ রুহুল আমিন সিরাজী (৪৫)। এই ৯জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়।

মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয় ডাকুমারা মাদ্রাসারা মোহতামীম হাফেজ মোস্তফা ১নং আসামি অন্যায়মত লাভবান হওয়ার দোরাশায় আমির সাহেবের নিকট হতে ১টি এন্ড্রয়েড মোবাইল সেট জোর করে নিয়া যায়। যাহার মূল্য ১৪,০০০/- টাকা।উল্লেখ্য  হাফেজ মোস্তফা ঘটনার কয়েকদিন আগে ও পরে দুর্গাপুরেই ছিলেন না।মাদ্রাসার কাজে ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। তাছাড়াও তিনি স্থানীয় জনসাধারণের খুবই পরিচিত যে কারণে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য চোর বলে আখ্যায়িত করায় জন সাধারণের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

যিনি মামলা দায়ের করেছেন তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না শুণে অতি উৎসাহিত হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। তাবলীগ জামাতের কেউ মামলা দায়ের করেনি। তাবলীগ জামাতের কোন স্বাক্ষীও নাই। এটা একটা পরিকল্পিত মামলা বলে উল্লেখ করেন দুর্গাপুরের উলামামাশায়েখবৃন্দ। মঙ্গলবার রাতে দুর্গাপুর প্রেসক্লাবে এসে উলামাদের একটি প্রতিনিধি দল মত বিনিময়কালে এসব কথা বলেন।

জানা যায়- সাদপন্থীদের একটি দল দুর্গাপুরে এসে কাকৈরগড়া তালুকদারবাড়ী মসজিদে উঠেন। ওখানে ৩দিন অবস্থানের পর বিলাশপুর ডাক্তার বাড়ী জামে মসজিদে অবস্থানকালে স্থানীয়দের মাঝে সন্দেহপোষন হলে তারা এখান থেকে চলে যাওয়ার অনুরোধ করেন। অবশেষে এলাকবাসীর চাপের মুখে তারা যেতে বাধ্য হয়।

এটাকে অসম্মানবোধ করায় ক্ষোভ ও ক্ষমতার বশবর্তি হয়ে এই মামলা দায়ের করেন সোরওয়ার্দী। তিনি দুর্গাপুরের সাদপন্থী তাবলীগের অনুসারী। তিনি একজন তাবলিগের সাথী হয়ে উলামায়ে কেরামকে অত্যন্ত উশৃঙ্খল, উগ্রপন্থী, ধর্মীয়কাজে বাঁধাপ্রদানকারী লোকজন বলে উল্লেখ করায় জনসাধারণ মেনে নিতে পারছেন না। জনসাধারণকে বিষয়টি বোঝানোর জন্য বৃহস্পতিবার দুর্গাপুর মার্কাজে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করেছে দুর্গাপুরের উলামামাশায়েকবৃন্দ।

মামলায় উল্লেখ করা হয় ১-৫নং আসামি একপর্যায়ে তাবলিগ জামাতের আমিরকে খুনের উদ্দেশ্যে গলার মধ্যে শ্বাসরোধ করে ধরে। এই সবগুলো কথাই বানোয়াট, মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দুর্গাপুর প্রেসক্লাবে উল্লেখ করেন উলামা মাশায়েখবৃন্দ। এ সময় দুর্গাপুর পৌরসভার কাচারী মাদ্রাসার মোহতামীম হাফেজ মাওঃ অলি উল্লাহ, ঝানজাইল মাদ্রাসার মুফতি হাবিবুর রহমান, সাওতুল হেরা মাদ্রাসার মোহতামীম মাওঃ হাবিবুর রহমান, মাওঃ মুজিবুর রহমানসহ অন্যান্য আলেমবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।