ইসলাম ও ইসলামী শিক্ষা নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে: মুফতী ফয়জুল করীম

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ইসলাম ও ইসলামী শিক্ষা নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। বিশেষ করে কওমী মাদরাসার বিরুদ্ধে একটি নাস্তিক্যবাদী গোষ্ঠী সিন্ডিকেটভিত্তিক অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। কিন্তু তারা জানে না, ওলামায়ে কেরামের সাথে সরাসরি মহান রব্বুল আলামিনের সম্পর্ক রয়েছে। ঐ গোষ্ঠী চাইলেই এ শিক্ষা ব্যবস্থার শিকড় উপড়ে ফেলতে পারবে না।

মঙ্গলবার বিকেলে রাজবাড়ী জেলার পাংশা আজিজপুর রশিদীয়া মাদরাসার সবক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সবক দেন এবং নসিহত পেশ করেন শায়খুল হাদীস আল্লামা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম। এ সময় এলাকার গণ্য মান্য ব্যক্তিবর্গ, বরেণ্য ওলামায়ে কেরাম উপস্থিত ছিলেন।

মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, যতদিন ইলমে নববীর এ শিক্ষা কেন্দ্রগুলো চালু থাকবে, ততদিন পৃথিবী ধ্বংস হবে না। যতদিন ওলামায়ে কেরাম ও ওয়াজ নসিহত আছে, ততদিন পৃথিবীজুড়ে হেদায়েতের হাওয়া চালু থাকবে, হেদায়েত চালু না থাকলে দুনিয়া পাপাচারে ভরে যাবে। আর তখই ধ্বংস অনিবার্য।

তিনি বলেন, তাদের কথিত শ্বেতপত্রে প্রধানত লক্ষ বানানো হয়েছে জনসম্পৃক্ত ওলামাদেরকে। যারা দেশব্যাপী ওয়াজ-মাহফিলের মাধ্যমে মানুষকে ইসলামের দিকে আহ্বান করেন। ওয়াজ হলো, জনসাধারণের চরিত্র ও ধারণ ক্ষমতা অনুসারে ইসলামের নির্দেশনা এবং পরকালের শাস্তি ও প্রাপ্তি নিয়ে এক ধরনের আলোচনা। ওয়াজ কোন একাডেমিক আলোচনা নয়।

‘ওয়াজ বাংলাদেশের হাজার বছরের সংস্কৃতি। এদেশে ইসলাম এসেছে সুফি, দরবেশ ও পীর-মাশায়েখদের মাধ্যমে। তারা প্রেম-ভালোবাসা দিয়ে মানুষের মন জয় করেছেন। সেই তখন থেকেই বাংলার গ্রামে-গঞ্জে, হাটে-বাজারে, পাড়া-মহল্লায় প্রতি বছর অন্তত একবার সম্মিলিতভাবে ওয়াজ মাহফিল আয়োজন করা হয়। বাংলার দীর্ঘদিনের সংস্কৃতি এটা। এটা বাঙালি মুসলমানের ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্য গ্রামে-গঞ্জে ঐক্য সৃষ্টি করেছে, সমাজবদ্ধতা তৈরি করেছে। এলাকার তরুণদের মাঝে পারস্পরিক বোঝাপড়া তৈরি করছে। একই সাথে ওয়াজের মাধ্যমে সমাজে পরকীয়া, ধর্ষণ, নারীবিদ্বেষ, নারী নির্যাতন, দুর্নীতি ইত্যাদি অপরাধের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে উঠছে। আজকে যারা এই ওয়াজের বিরুদ্ধে বানোয়াট শ্বেতপত্র নাটক করছে, তারা আদতে মুসলিম বাঙালি সংস্কৃতির বিরুদ্ধ শক্তি। এরা বাঙালি মুসলমানের স্বতঃস্ফূর্ত সংস্কৃতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বাইরে থেকে আমদানিকৃত সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়ার ঘৃণ্য চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে।’

নায়েবে আমীর মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, জাতির সূর্য সন্তান ওলামায়ে কেরামদের ধর্মব্যবসায়ী বলে নাস্তিক মুরতাদ গোষ্ঠী ওলামাদের অসম্মান করতে চায়। দেশবিরোধী ধর্মদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, যাদের চরিত্রের ঠিক নেই, যারা অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িতের কারণে বহিস্কৃত হয়েছে, তারা ওলামাদের বিরুদ্ধে মাঠে নামছে। তিনি ঐ সকল কুলাঙ্গারদের বিরুদ্ধে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, ওলামায়ে কেরাম এদেশে ভেসে আসে নাই। ওলামাদের সাথে সম্পর্ক মাটি ও মানুষের। কাজেই সস্তা তালিকা করে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের নামে অপমান অপদস্ত সহ্য করা হবে না। দেশপ্রেমিক ঈমানদার জনতা প্রয়োজনে জবীন ও রক্ত দিতে প্রস্তুত রয়েছে।




মাওলানা ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীর বিরুদ্ধে মামলা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

মাওলানা ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ মে) রাতে শাহবাগ থানায় এ মামলাটি করেন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন।

জানা যায়, মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয়েছে মাওলানা এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীকে। ফেস দ্য পিপল নামের অনুষ্ঠানের সঞ্চালক সাইফুল রহমানকেও আসামি করা হয়।

শাহবাগ থানার ওসি মওদুত হাওলাদার মঙ্গলবার রাতে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলায় মাওলানা ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীকে এক নম্বর আসামি ও অনুষ্ঠানের সঞ্চালক সাইফুল রহমানকে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে মতামতের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে মতামত আসার পর মামলা নিয়ে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।’

মামলার এজহারে বলা হয়েছে, ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী গত ১৪ মে রাত ৯টার দিকে ইউটিউবে ফেস দ্য পিপল নামের একটি টকশো অনুষ্ঠানে অংশ নেন। আলোচনার বিষয় ছিল ‘১১৬ জন আলেম নিয়ে অভিযোগ বিশ্লেষণ’। এখানে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির শ্রেষ্ঠ বীর সন্তানদের জঙ্গির সঙ্গে তুলনা করে এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী বলেন, জঙ্গিবাদ কি খারাপ জিনিস! কে বলেছে, জঙ্গিবাদ খারাপ জিনিস! জঙ্গিবিমান! এটা কি সন্ত্রাসী বিমান! জঙ্গি শব্দটা এসেছে ‘জাং’ থেকে, ফার্সিতে জাং বলে যুদ্ধকে- ফাইট। অতএব, ফ্রিডম ফাইটাররাও এক অর্থে জঙ্গি।

মামলার এজহারে আরও বলা হয়েছে, মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর সন্তানদের জঙ্গির সঙ্গে তুলনা করে ধৃষ্টতা দেখিয়ে এনায়েতুল্লাহ বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে স্পষ্ট প্রোপাগান্ডা ও প্রচারণা চালিয়েছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ও তাদের অবদানকে অপমান ও অপদস্ত করেছেন। যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮- এর ২১/২৮/২৯/৩৫ ধারায় দণ্ডনীয় অপরাধ।




কক্সবাজারে যত্রতত্র স্থাপনা নির্মাণ না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ভবিষ্যতে কক্সবাজারই হবে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলের রুটের রি-ফুয়েলিং পয়েন্ট। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য কক্সবাজারকে মহাপরিকল্পনার আলোকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। তাই এই শহরে যত্রতত্র কোনো স্থাপনা নির্মাণ না করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (১৭ মে) সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

২০১৭ সালের ২৭ মার্চ অনুষ্ঠিত গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ভূমি বরাদ্দ কমিটির সভায় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বহুতল অফিস ভবন নির্মাণের জন্য এক একর ২১ শতক জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়। একই বছরের ৬ মে প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বহুতল অফিস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

কউক চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমেদ জানান, ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় কউকের বহুতল অফিস ভবন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। ২০১৭ সালের অক্টোবর হতে ভবনের নির্মাণকাজ শুরু করা হয় এবং ২০২১ সালের ডিসেম্বর প্রকল্পের কাজ শেষ হয়।

তিনি আরও জানান, সরকার বহুতল অফিস ভবন নির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় বরাদ্দ দিয়েছিল ১১৪ কোটি ৮৪ লাখ ৪১ হাজার টাকা। কিন্তু কাজ শেষে টাকা সাশ্রয় হয় চার কোটি ৩১ লাখ টাকা। তা সরকারি তহবিলে যথারীতি ফেরত দেওয়া হয়েছে।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ১০ তলা ভবনটির নকশা প্রণয়ন করে স্থাপত্য অধিদফতর। কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও গণপূর্ত অধিদফতর যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে। ২০১৬ সালের ৬ জুলাই কক্সবাজারকে একটি আধুনিক ও পরিকল্পিত পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য জাতীয় সংসদে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিল পাস হয়।