দুর্গাপুরে সোমেশ্বরী নদীর পানিতে শিশু নিখোঁজ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে পাহাড়ি ঢলে ভেসে আসা লাকড়ি কুড়াতে গিয়ে নদীর পানিতে ডুবে মাদ্রাসা ছাত্র জিহাদ(১৪)নিখোঁজ হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের ভবদেব পাড়া এলাকার সোমেশ্বরী নদীতে এ নিখোঁজের ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ শিশু ওই এলাকার দুলাল মিয়া ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকায় মাদ্রাসাতে পড়াশোনা করে জিহাদ। কয়েকদিন হয় জিহাদ ছুটিতে বাড়িতে এসেছে। ওইদিন দুপুরে জিহাদ ও তার বোন ডিঙ্গি নৌকা করে নদীতে ভেসে আসা লাকড়ি সংগ্রহ করতে যায়। লাকড়ি সংগ্রহের একপর্যায়ে তাদের নৌকা বালুতে আটকে গেলে জিহাদ নেমে নৌকা সরানোর চেষ্টা করলে বালুর গর্তে পড়ে নিখোঁজ হয় জিহাদ। এরপর ছোট বোনের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে খোজাখুজি শুরু করে। প্রায় ৪ ঘন্টা অতিক্রম হয়ে গেলেও সন্ধান মেলেনি জিহাদের। স্থানীয়রা ডুবুরিকে খবর দেয়।
এ নিয়ে দুর্গাপুর থানার ওসি(ভার:) মীর মাহবুবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ডুবুরিদলও শিশু উদ্ধারে প্রস্ততি নিচ্ছে। লাশ উদ্ধারের পর অভিযোগ থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।




রাবি শিক্ষক হত্যা : সহযোগী অধ্যাপকসহ ২ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এবং বাসার কেয়ারটেকার মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। একই সাথে দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও বহাল রাখা হয়েছে। তারা হলেন কেয়ারটেকার মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের ভাই নাজমুল আলম ও নাজমুল আলমের স্ত্রীর ভাই আব্দুস সালাম।

মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ছয় সদস্যের বেঞ্চ এ রায় দেন। গত ১৬ মার্চ উভয়পক্ষের (রাষ্ট্র ও আসামি) করা আপিলের ওপর শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজ (৫ এপ্রিল) দিন ধার্য করেছিলেন আপিল বিভাগ।

ওইদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অবন্তী নুরুল। বাদিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী। এ ছাড়া ছিলেন অধ্যাপক ড. এস তাহেরের মেয়ে আইনজীবী সাগুফতা।অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান ও অ্যাডভোকেট মোঃ তাজুল ইসলাম।

২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল রাবির ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল এবং অন্য দুই আসামির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট।

অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলায় ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত চারজনকে ফাঁসির আদেশ ও দু’জনকে বেকসুর খালাস দেন। খালাসপ্রাপ্ত চার্জশিটভুক্ত দুই আসামি হলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী ও আজিমুদ্দিন মুন্সী।

২০০৭ সালের ১৭ মার্চ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন পুলিশ। পরে নিয়ম অনুযায়ী ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামিরাও আপিল করেন।

২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাবির কোয়ার্টারের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় নৃশংসভাবে হত্যার শিকার অধ্যাপক তাহেরের লাশ। ৩ ফেব্রুয়ারি নিহত অধ্যাপক তাহেরের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।




পিয়াজ ভর্তি পিকআপ ভ্যানে ৩৮ হাজার পিস ইয়া’বা: আটক ২

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

আশুলিয়ায় পিয়াজ ভর্তি পিকআপ ভ্যান থেকে ৩৮ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এ সময় ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার রাতে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের জামগড়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।