দুর্গাপুরে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালিত

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

সারাদেশের ন্যায় নেত্রকোনার দুর্গাপুরে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা আওয়ামীলী‘র আয়োজনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত হয়েছে। সোমবার দিনব্যাপি নানা আয়োজনে এ দিবস পালিত হয়।

এ উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ চত্ত¡রে সকাল ৯টা থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে সর্বস্তরের অংশগ্রহনে পুষ্পস্তবক অর্পন শেষে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. গোলাম মোস্তফা এর সঞ্চালনায় ইউএনও মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে আলোচনা করেন, এএসপি সার্কে মাহমুদা শারমীন নেলী, সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. আরিফুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলা উদ্দিন আল আজাদ, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার সোহরাব হোসেন তালুকদার সহ নানা দপ্তরে কর্মরত অফিসারবৃন্দ। আলোচনা শেষে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে দিবস কেন্দ্রীক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধকে জানি শীর্ষক প্রামান্য চিত্র ও মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচিত্র প্রদর্শন করা হয়।




দুর্গাপুরে সাংবাদিক বিজন কৃষ্ণ রায়ের স্মরণ সভা

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

নেত্রকোনার দুর্গাপুর প্রেসক্লাব সদস্য সাংবাদিক বিজন কৃষ্ণ রায় (চন্দন) এর ১ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার রাতে দুর্গাপুর প্রেসক্লাবের আয়োজনে এ স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ উপলক্ষে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রেসক্লাব সভাপতি এসএম রফিকুল ইসলাম রফিক এর সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক মো. জামাল তালুকদার এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, প্রেসক্লাব সহ-সভাপতি তোবারক হোসেন খোকন, সাবেক সভাপতি নির্মলেন্দু সরকার বাবুল, সাংবাদিক ধ্রæব সরকার, ধনেশ পত্রনবীশ, ডাঃ মোঃ কামরুল ইসলাম, প্রেসক্লাব কোষাধ্যক্ষ ুএইচএম সাইদুল ইসলাম, সুমন রায়, চারণ রনি, রিফাত আহমেদ রাসেল, আল নোমান শান্ত প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত ০৬ মার্চ ২০২১ বিকেলে বিরিশিরি-শ্যামগঞ্জ সড়কের গাছতলা নামক এলাকায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় সাংবাদিক বিজন কৃষ্ণ রায়ের।




ইউক্রেন যুদ্ধে নিহত কতজন, জেনে নিন?

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত অন্তত ৩৬৪ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়। এদের মধ্যে অন্তত ২৫টি শিশু রয়েছে। হামলায় আহত হয়েছে অন্তত ৭৫৯ জন।

তবে জাতিসংঘ বলছে, বাস্তবে এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। কারণ ভারী গোলাবর্ষণ, বিস্ফোরণ বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় হতাহতদের এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এদিকে রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে মিত্রদেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা করছে। এই ঘোষণার পর জ্বালানি তেলের দাম ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দরে উঠেছে। সর্বশেষ ২০০৮ সালে তেলের দাম এই পর্যায়ে উঠেছিল।

অপরিশোধিত তেলের দাম এশিয়ার বাজারে ব্যারেল প্রতি ১৩৯ ডলার ছুঁয়েছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরু হওয়ার পর থেকেই জ্বালানি পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে।

ইউক্রেনে রুশ হামলা গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়। এরপর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রুশ বাহিনী। ধ্বংস করে বিভিন্ন বিমানঘাঁটি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। সোমবার (৭ মার্চ) ১২তম দিনেও হামলা অব্যাহত রয়েছে। হামলা থেকে বাঁচতে ইউক্রেন থেকে ১০ লাখের বেশি মানুষ পোল্যান্ডে প্রবেশ করেছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫ লাখ মানুষ দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। রুশ হামলা ঠেকাতে পশ্চিমা দেশগুলো নানা রকম নিষেধাজ্ঞা জারি করে চলেছে।

যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়া ও ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বেলারুশ সীমান্তে দুই দফায় বৈঠকে বসেন। তবে দুবারই বৈঠক কোনো কাজে আসেনি। ইউক্রেন বলছে, তারা চলতি সপ্তাহে আবারও বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।




বাধা যতই এসেছে ৭ মার্চের ভাষণ ততই উদ্ভাসিত হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যতই বাধা এসেছে ৭ মার্চের ভাষণ ততই উদ্ভাসিত হয়েছে। সোমবার (৭ মার্চ) ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ২০২২’ উদযাপন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

সরকার প্রধান বলেন, ১৯৭৫ থেকে ৯৬ সাল পর্যন্ত এদেশে এই ভাষণ প্রচার নিষিদ্ধ ছিল, যেমনটা করেছিল পাকিস্তানের সামরিক শাসকগোষ্ঠী- তারাও সেদিন রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে এ ভাষণ প্রচার করতে দেয়নি। কিন্তু সত্য সর্বদাই অনিরুদ্ধ। তাই নিপীড়িত-নির্যাতিত বাঙালিদের মুক্তির এ মহামন্ত্র শুধু বাংলাদেশেই নয়-বিশ্বজুড়ে সমাদৃত হচ্ছে, অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ যুগ যুগ ধরে মানুষকে অনুপ্রেরণা দিয়ে যাবে।

আর কেউ কোনোদিন ইতিহাস মুছে ফেলতে পারবে না, এই ভাষণ বিশ্বে চিরন্তন হয়ে থাকবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর এই আদর্শ, এই স্বাধীনতা আর কেউ নস্যাৎ করতে পারবে না, আজকের প্রজন্ম বিশ্বের কাছে উন্মুক্ত, তাদের আর বিভ্রান্ত করা যাবে না, হয়ত ২১ বছর করেছিল এখন আর পারবে না, প্রযুক্তির যুগে আর অন্ধকারে তাদের নেওয়া সম্ভব না।




দুর্গাপুরে শিশু ধর্ষণের অভিযোগ

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌর এলাকায় ৯ বছর বয়সী এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ঘটনাটি রোববার বিকেলে পৌর এলাকার বুরুঙ্গা গ্রামে ঘটে। বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে শিশুটি।

ওই শিশুর পরিবার সূত্রে জানা গেছে , রোববার বিকেলে স্থানীয় একটি মাঠে খেলাধূলা করছিলো
শিশুটি। এমন সময় পাশ্ববর্তী মার্কাস এলাকার সামছুল মিয়া(৬০) শিশুটিকে ডেকে বলে তোমার বাবা পুকুর পাড়ে দাঁড়িয়ে আছে সেখানে তোমাকে নিয়ে যেতে বলছে আমাকে। এ কথা শুনে শিশুটি তার সাথে গেলে সামছুল তাঁকে কুমড়া ক্ষেতে নিয়ে যায়।এ সময় শিশুটি ওই জায়গায় তার বাবাকে না পেয়ে বাসায় আসতে চাইলে সামছুল শিশুকে আটকিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ চালায়। এদিকে সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে শিশুটি বাড়ি না ফেরায় তার পরিবার তাকে খুঁজতে শুরু করে। পথিমধ্যে শিশুটিকে কান্না করতে করতে বাড়ির দিকে আসছে দেখে তার পরিবার। শিশুটিকে কান্নার কারন পরিবার জিজ্ঞেস করলে সে কান্না করতে করতে সব কিছু বলতে থাকে এবং এক পযার্য়ে শিশুটি অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে রোববার রাতে শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়।

দুর্গাপুর থানার উপ পরিদর্শক(তদন্ত) মীর মাহাবুবুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে এখনো কেনো অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।




বিরিশিরি ব্রিজ থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা: অল্পের জন্য প্রাণে বাচলো নারী

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

নেত্রকোণার দুর্গাপুরে ব্রিজ থেকে লাফিয়ে এক নারী আত্মহত্যা চেষ্টা করেছেন। রবিবার সকালে সোমেশ্বরী নদীর বিরিশিরি ব্রিজে এই ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধারের পর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় স্থানীয় পুলিশ সদস্যরা।

ওই নারীর নাম ফাতেমা আক্তার জয়া (২৬) বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ। পাশাপাশি ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকার নবী হোসেনের স্ত্রী বলেও একটি সূত্রে জানা গেছে। তবে কীভাবে এই কিশোরী দুর্গাপুরে এসেছে এবং তার প্রকৃত পরিচয় নিশ্চিত পুলিশ তদন্ত অব্যাহত রেখেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে স্থানীয় কয়েকজন ব্যস্ততম বিরিশিরি ব্রীজের উপরে হঠাৎ একটি কিশোরীকে হাটাহাটি করতে দেখেন। হঠাৎ কোন কিছু বোঝার আগেই ওই কিশোরী ব্রিজ থেকে লাফিয়ে পড়ে। স্থানীয়রা দ্রুত ব্রীজের নিচে ছুটে গিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ওই কিশোরীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। টনাস্থলের ভিডিও ধারণ করতে গেলে কথিত ফাতেমা বাহিনীর বাধার মুখে পড়ে সংবাদকর্মীে এক পর্যায়ে সংবাদকর্মীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালান ফাতেমা আক্তারের বড় মেয়ে।

হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, ব্রিজ থেকে লাফিয়ে পড়ার কারণে ডান হাতের উপরে এবং কমরে মারাত্মকভাবে জখম হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হতে পারে।
এই দিকে আরেকটি ভিডিওতে স্থানীয়দের সাথে ওই কিশোরীর কথোপকথনে জানিয়েছেন তিনি ঢাকা থেকে ফাতেমার কাছে আসছিলেন। তবে কেনো আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এব্যাপারে কিছুই বলেননি।

দুর্গাপুর থানার উপ-পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম জানান, কিশোরীর প্রকৃত পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছি। এই কিশোরী একেক সময় একেক পরিচয় দিয়ে বিভ্রান্তি করার চেষ্টা করছে। তবে কি কারনে এই আত্মহত্যার চেষ্টা এব্যাপারে কোন কিছুই এখনো জানা যায়নি।

উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর মাসে ১৭ তারিখ ঢাকা থেকে কাজের কথা বলে দুর্গাপুর এনে স্থানীয় ফাতেমা আক্তারের বাসায় আটকে রেখে অনৈতিক কাজে বাধ্য করার অভিযোগ তুলেছেন বিথী নামের আরেক কিশোরী। ওই কিশোরী ফাতেমা আক্তারের বাড়ি থেকে পালিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছিলেন। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে পৌর শহরের মাঝে অনৈতিক কাজের আস্তানা খুলে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে কথিত ফাতেমা আক্তার। স্থানীয় এই নিয়ে আন্দোলন মানববন্ধন করেও কোনো প্রতিকার হয়নি।




আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এক অনন্য দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (রেসকোর্স ময়দান) বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একাত্তরের ৭ মার্চ দেয়া ঐতিহাসিক ভাষণ পরবর্তীসময়ে স্বাধীনতার সংগ্রামের বীজমন্ত্রে রূপ নেয়। এ ভাষণ শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলিলই নয়, জাতির সাংস্কৃতিক পরিচয় বিধানের একটি সম্ভাবনাও তৈরি করে।

বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিকবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো। এছাড়াও এ ভাষণটি পৃথিবীর অনেক ভাষায় অনুদিত হয়েছে।

একাত্তরের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর এই উদ্দীপ্ত ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিক-নির্দেশনা। এরপরই দেশের মুক্তিকামী মানুষ ঘরে ঘরে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। বঙ্গবন্ধুর এই বজ্রনিনাদে আসন্ন মহামুক্তির আনন্দে বাঙালি জাতি উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। যুগ যুগ ধরে শোষিত-বঞ্চিত বাঙালি ইস্পাতকঠিন দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যায় কাক্সিক্ষত মুক্তির লক্ষ্যে।

১৯৪৭ সালে ধর্মীয় চিন্তা, সাম্প্রদায়িকতার মানসিকতা ও দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে গঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ২৩ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যদিয়ে বাঙালি জাতিসত্ত্বা, জাতীয়তাবোধ ও জাতিরাষ্ট্র গঠনের যে ভিত রচিত হয়, তারই চূড়ান্ত পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পর ছাত্র-কৃষক-শ্রমিকসহ সর্বস্তরের বাঙালি স্বাধীনতা অর্জনের জন্য মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করে।

বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় ছিনিয়ে আনে বাঙালি জাতি। এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণে গর্জে ওঠে উত্তাল জনসমুদ্র। লাখ লাখ মানুষের গগনবিদারী শ্লোগান। বসন্তের মাতাল হাওয়ায় ওড়ছিল বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত লাল-সবুজের পতাকা। লাখো শপথের বজ্রমুষ্টি উত্থিত হয় আকাশে। সেদিন বঙ্গবন্ধু মঞ্চে আরোহণ করেন বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে। মাত্র ১৮ মিনিটের ভাষণ। স্বল্প সময়ে তিনি ইতিহাসের পুরো ক্যানভাসই তুলে ধরেন।