দুর্গাপুরের বিজয়পুর স্থলবন্দর চালু এখন সময়ের দাবী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

পর্যাপ্ত অবকাঠামো থাকার পরও দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় অবস্থিত বিজয়পুর স্থলবন্দর। এক সময় এই বন্দর দিয়ে ভারত থেকে কয়লা আমদানী করা হলেও ২০১৬ সনে ভারতের পরিবেশবাদী সংগঠনের করা মামলায় তা বন্ধ হয়ে যায়। স্থলবন্দর বন্দ থাকায় অত্র এলাকার ব্যবসায়ীদের কোটি কোটি টাকা ভারতের ব্যবসায়ীদের কাছে পড়ে থাকায় দিশেহারা হয়ে পড়ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এনিয়ে মঙ্গলবার সরেজমিনে গেলে কয়লা ব্যবসায়িরা যুগান্তর কে এমনটাই জানিয়েছেন।

স্থলবন্দর পরিদর্শন করে দেখাগেছে, প্রায় ৫বছর ধরে স্থলবন্দরটি বন্ধ থাকায় নষ্ট হচ্ছে আমদানী কারকদের অফিসের আসবাবপত্র। ওই বন্দরে কর্মরত অনেক কয়লা শ্রমিকগন বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাদের দাবী আমরা সীমান্ত এলাকার থেটে খাওয়া মানুষ, আইনী জটিলতার কারনে আমরা অতি কষ্টে জীবন-যাপন করছি। এক সময় এই বন্দর দিয়ে কয়লা ও পাথরসহ বিভিন্ন পণ্য আমাদানি হতো। কিন্তু ভারতীয় অংশে উন্মুক্ত কয়লা তোলার বিরুদ্ধে পরিবেশবাদীরা মামলা করায় তা বন্ধ হয়ে যায়। বন্দরটি পুনরায় চালু হলে দু‘দেশই অর্থনৈতিক সুবিধা ভোগ করবে।

ইতোমধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য মানু মজুমদার এর প্রচেষ্টায় দুর্গাপুর এলাকার কয়লা ব্যবসায়ীন এবং ওই এলাকার আদিবাসী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সুব্রত সাংমা সহ ভারতের রপ্তানী কারকদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করে যাচ্ছেন। এতে নতুন করে বন্দরটি চালুর সম্ভাবনাও রয়েছে। বন্দরটি পুনরায় চালু হলে স্থানীয়ভাবে অর্থনীতির উন্নয়নের পাশাপাশি সরকারি রাজস্ব বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ মানুষের জীবিকায় নতুন সম্ভাবনা যুক্ত হবে। সেই সঙ্গে অল্প সময়ে সারাদেশে কয়লা, পাথরসহ কমপক্ষে ১৮টি পণ্য আমদানি করা সম্ভব হবে।

বিজয়পুর বিজিবি ক্যাম্প ইনচার্জ বলেন, ভারতের করা মামলায় আটকে গেছে কয়লা আমদানী। আমাদের দেশের কম করে হলেও ২৫টি অফিস ও তার আসবাবপত্র নষ্ট হচ্ছে। আমাদের ব্যবসায়ীদের বহু টাকা ভারতে আটকা পড়ে আছে। এ নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক হচ্ছে। আমাদের বর্ডার দিয়ে কোন সমস্যা নাই, আশা করছি এবার চালু হতে পারে।

এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান যুগান্তর কে বলেন, বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে কয়লা আমদানী করতে কোন সমস্যা নাই। ভারতের আইনী জটিলতার কারনে তা বন্ধ রয়েছে। বিগত সময়ে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই দেশের প্রশাসনের কাছে পত্র প্রেরণও করা হয়েছে, ইতোমধ্যে বন্দর চালুর বিষয়ে নানা বৈঠকও অব্যহত রয়েছে, আশা করছি এবছরই বন্দর চালু হতে পারে।

স্থানীয় সংসদ সদস্য মানু মজুমদার বলেন, ভারতের পরিবেশবাদীদের করা মামলার বিষয় সহ অন্যান্য নানা বিষয়ে বিগত সময়ে ভারতের শিলং এ দু‘দেশের জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগন সভা করেছেন। বিজয়পুর সীমান্তের বন্দরটির গুরুত্ব তুলে ধরে ইতোমধ্যে দু‘দেশের ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করেছি। তারা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবেন বলে আমাদের আশ্বাসও দিয়েছেন। অচিরেই মামলা জটিলতা নিরসন করে পুনরায় বন্দরটি চালু হবে বলে আমি আশাবাদী।




আমরা জনগণের ভোটের অধিকারে বিশ্বাসী: প্রধানমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক: ‘

বিএনপি-জামায়াত বা অন্যান্য দল যারা নির্বাচন নিয়ে সমালোচনা করে থাকে তাদের প্রতিষ্ঠা কার হাত দিয়ে? অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীর হাত দিয়ে। জনগণের কাছে ভোট চেয়ে নেওয়ার অভ্যেসই তাদের ছিল না। বরং কেড়ে নেওয়া, চুরি করাই তাদের অভ্যাস ছিল। তারা গণতন্ত্রের অর্থ বোঝে না, জনগণের অধিকারের অর্থও তারা বোঝে না। সেই শিক্ষাই তাদের নাই। তারা বোঝে সন্ত্রাস, তারা বোঝে দুর্নীতি, তারা বোঝে জঙ্গিবাদ, তারা বাংলাভাই সৃষ্টি করতে পারে, তারা মানুষ হত্যা করতে পারে।’

বুধবার সকালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর শপথ পাঠ করানোর পর নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মেয়র আইভীকে শপথ পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী। এরপর কাউন্সিলরদের শপথ পাঠ করান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, একটা সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে যে দল চেয়ারপার্সন করে বা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে; সাজাপ্রাপ্ত আসামি যে দলে, সেই দলকে জনগণ কেন ভোট দেবে? তারা ভোটের আশা করে কীভাবে?’

নবনির্বাচিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানুষ কিন্তু এখন সচেতন; এটা মনে রাখতে হবে। কাজেই সেটা মাথায় রেখেই আপনার আপনাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন।’

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে আপনারা বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করেছে। জনগণ তাদের মনমত প্রার্থী নির্বাচিত করতে পেরেছে। এই জায়গা একটা সুযোগ, বাংলাদেশের মানুষ দেখুক। নারায়ণগঞ্জে একটা বিরাট দৃষ্টান্ত স্থাপন হলো যদিও আমাদের বিরোধী দল অনেক অপপ্রচার চালায় কিন্তু তারা কখনও আয়নায় নিজের চেহারা দেখে না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির নেতৃত্ব কোথায়? তাদের তো নেতৃত্ব বলে কিছু নেই। একজন এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করে সাজাপ্রাপ্ত বন্দী। আমরা তাকে ঘরে থাকার একটা সুযোগ করে দিয়েছি। আর একজন ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাকারবারি, ২১ শের আগস্টের গ্রেনেড হামলা এবং দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। সেই দুর্নীতির তথ্য শুধু আমরা না আমেরিকার এফবিআই খুঁজে বের করেছে। সেই সব মামলা সাজাপ্রাপ্ত আসামি ২০০৭ সালে বা ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে মুচলেকা দিয়ে গেছে যে আর কোনো দিন রাজনীতি করব না। এই মুচলেকা দিয়েই দেশ থেকে চলে গিয়েছিল খালেদার ছেলে তারেক রহমান। এখন বিদেশেই সে থাকে। সাজাপ্রাপ্ত আসামি যে দলে সেই দলকে জনগণ কেন ভোট দেবে? সেই ভোটের আশা তারা করে কীভাবে? তারা আসলে নির্বাচন চায় না। তারা নির্বাচনের অর্থ বোঝে না। ভোট চুরি করতে জানে, কিন্তু জনগণের ভোট নিতে জানে না। জনগণ যে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবে, জনগণের যে ভোট দেবার অধিকার, সেই অধিকারে তারা বিশ্বাস করে না। এটা হলো বাস্তবতা।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি গণতন্ত্রে, আমরা বিশ্বাস করি জনগণের ভোটের অধিকারে, আমরা বিশ্বাস করি জনগণ তার ভোট দিয়ে মনমত প্রার্থী নির্বাচিত করবে, যে তাদের জন্য কাজ করবে। জনগণ কখনও ভুল করে না এটা হলো বাস্তবতা। নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনটা খুব ভাল হয়েছে। ভোটে এটাই প্রমাণিত হয়েছে কে জনগণের জন্য কাজ করবে, সেটা তারা নিজেরা বেছে নিতে পারে। সেই বিবেচনা জনগণের আছে এবং জনগণের উপর আস্থা রেখেই আমরা আমাদের সব কাজ করি। আমাদের উন্নয়নের কাজগুলো যেন অব্যাহত থাকে সেটাই চাই।’




আমরা জনগণের ভোটের অধিকারে বিশ্বাসী: প্রধানমন্ত্রী

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ‘বিএনপি-জামায়াত বা অন্যান্য দল যারা নির্বাচন নিয়ে সমালোচনা করে থাকে তাদের প্রতিষ্ঠা কার হাত দিয়ে? অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীর হাত দিয়ে। জনগণের কাছে ভোট চেয়ে নেওয়ার অভ্যেসই তাদের ছিল না। বরং কেড়ে নেওয়া, চুরি করাই তাদের অভ্যাস ছিল। তারা গণতন্ত্রের অর্থ বোঝে না, জনগণের অধিকারের অর্থও তারা বোঝে না। সেই শিক্ষাই তাদের নাই। তারা বোঝে সন্ত্রাস, তারা বোঝে দুর্নীতি, তারা বোঝে জঙ্গিবাদ, তারা বাংলাভাই সৃষ্টি করতে পারে, তারা মানুষ হত্যা করতে পারে।’

বুধবার সকালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর শপথ পাঠ করানোর পর নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মেয়র আইভীকে শপথ পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী। এরপর কাউন্সিলরদের শপথ পাঠ করান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, একটা সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে যে দল চেয়ারপার্সন করে বা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে; সাজাপ্রাপ্ত আসামি যে দলে, সেই দলকে জনগণ কেন ভোট দেবে? তারা ভোটের আশা করে কীভাবে?’

নবনির্বাচিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানুষ কিন্তু এখন সচেতন; এটা মনে রাখতে হবে। কাজেই সেটা মাথায় রেখেই আপনার আপনাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন।’

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে আপনারা বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করেছে। জনগণ তাদের মনমত প্রার্থী নির্বাচিত করতে পেরেছে। এই জায়গা একটা সুযোগ, বাংলাদেশের মানুষ দেখুক। নারায়ণগঞ্জে একটা বিরাট দৃষ্টান্ত স্থাপন হলো যদিও আমাদের বিরোধী দল অনেক অপপ্রচার চালায় কিন্তু তারা কখনও আয়নায় নিজের চেহারা দেখে না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির নেতৃত্ব কোথায়? তাদের তো নেতৃত্ব বলে কিছু নেই। একজন এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করে সাজাপ্রাপ্ত বন্দী। আমরা তাকে ঘরে থাকার একটা সুযোগ করে দিয়েছি। আর একজন ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাকারবারি, ২১ শের আগস্টের গ্রেনেড হামলা এবং দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। সেই দুর্নীতির তথ্য শুধু আমরা না আমেরিকার এফবিআই খুঁজে বের করেছে। সেই সব মামলা সাজাপ্রাপ্ত আসামি ২০০৭ সালে বা ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে মুচলেকা দিয়ে গেছে যে আর কোনো দিন রাজনীতি করব না। এই মুচলেকা দিয়েই দেশ থেকে চলে গিয়েছিল খালেদার ছেলে তারেক রহমান। এখন বিদেশেই সে থাকে। সাজাপ্রাপ্ত আসামি যে দলে সেই দলকে জনগণ কেন ভোট দেবে? সেই ভোটের আশা তারা করে কীভাবে? তারা আসলে নির্বাচন চায় না। তারা নির্বাচনের অর্থ বোঝে না। ভোট চুরি করতে জানে, কিন্তু জনগণের ভোট নিতে জানে না। জনগণ যে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবে, জনগণের যে ভোট দেবার অধিকার, সেই অধিকারে তারা বিশ্বাস করে না। এটা হলো বাস্তবতা।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি গণতন্ত্রে, আমরা বিশ্বাস করি জনগণের ভোটের অধিকারে, আমরা বিশ্বাস করি জনগণ তার ভোট দিয়ে মনমত প্রার্থী নির্বাচিত করবে, যে তাদের জন্য কাজ করবে। জনগণ কখনও ভুল করে না এটা হলো বাস্তবতা। নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনটা খুব ভাল হয়েছে। ভোটে এটাই প্রমাণিত হয়েছে কে জনগণের জন্য কাজ করবে, সেটা তারা নিজেরা বেছে নিতে পারে। সেই বিবেচনা জনগণের আছে এবং জনগণের উপর আস্থা রেখেই আমরা আমাদের সব কাজ করি। আমাদের উন্নয়নের কাজগুলো যেন অব্যাহত থাকে সেটাই চাই।’