মালির ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম আর নেই

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

মালির ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বাউবাকার কেইতা মারা গেছেন। ৭৬ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। খবরটি নিশ্চিত করেছে তার পরিবার ও সাবেক সহকর্মীরা।

দুই বছর আগে মাইনর স্ট্রোক করেন কেইতা। তবে কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা জানানো হয়নি। রবিবার রাজধানী বামাকাওয়ে নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন কেইতা। এএফপি নিউজ এজেন্সিকে এমনটাই জানায় তার পরিবারের এক সদস্য।

সাত বছর মালির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সরকার বিরোধী বিক্ষোভের পর এক সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন কেইতা। অর্থনৈতিক সংকট ও বিতর্কিত নির্বাচন কেইতা শাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকে উস্কে দিয়েছিল।

তিনি তিন দশকের বেশি সময় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১৯৯৪ থেকে ২০০০ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন কেইতা।




আমেরিকা বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের নতুন কমিটির শপথ গ্রহণ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন আমেরিকা বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের (এবিপিসি) নব নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গত ১৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের ইটজি চাইনিজের পার্টি হলে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

আমেরিকা বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মীর ই ওয়াজিদ শিবলীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলামের পরিচালনায় নব নির্বাচিত কমিটির সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কবি মিশুক সেলিম। এই সময় নির্বাচন কমিশনের অন্যতম সদস্য জাহিদ শরিফ উপস্থিত ছিলেন।

যারা শপথ নিয়েছেন- সভাপতি মীর ই ওয়াজিদ শিবলী, সিনিয়র সহ সভাপতি আকবর হায়দার কিরণ, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিজু মোহাম্মদ, প্রচার সম্পাদক নিহার সিদ্দিকী, কার্যকরি সদস্য শহীদুল ইসলাম, মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, আমজাদ হোসেন। এ ছাড়াও ভার্চ্যুয়ালি শপথ গ্রহণ করেন সহ সভাপতি শিব্বির আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ সাজ্জাদ হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক ফারহানা চৌধুরী।

শপথ গ্রহণের পূর্বে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কবি মিশুক সেলিম বলেন, আমাদের উপর যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আমেরিকা বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আমরা নির্বাচন পরিচালনা করেছি। নির্বাচন পরিচালনায় যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

নির্বাচন কমিশনের সদস্য জাহিদ শরিফ বলেন, আমাদের ভুল বুঝার কোন কারণ নেই। কারণ আমরা গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনা করেছি। ভুল ব্যাখ্যা করে বিভ্রান্তি সৃষ্টিরও প্রয়োজন নেই। তিনি নব নির্বাচিত কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আশা করি এই কমিটি সংগঠনকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন কমিশন আমাদের স্বচ্ছ একটি কমিটি উপহার দিয়েছেন। তবে আমাদের এই সংগঠনের কিছু উচ্চাভিলাসী কর্মকর্তা নিজেদের কারণে সংগঠনে ভাঙ্গন সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। আমি ৫ বছর এই সংগঠনের দায়িত্ব পালন করেছি। এই ৫ বছরে আমাদের অনেক সফলতা এবং ব্যর্থতা রয়েছে। তারপরেও বলতে পারি একটি সুন্দর মনোভাব নিয়ে এবং সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি বজায় রেখে এই সংগঠন পরিচালনা করেছি। আজকে আমার কাছে ভাল লাগছে একটি সুন্দর পরিবেশে দায়িত্ব হস্তান্তর করছি। তিনি নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সকলকে ধন্যবাদ জানান।

দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সভাপতি মীর ই ওয়াজিদ শিবলী এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান। নব নির্বাচিত সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক তাদের দায়িত্ব দেয়ার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তারা নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানান এবং সকলের মতামতের ভিত্তিতে এই সংগঠনকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবার আহ্বান জানান।

তারা বলেন, আমরা সৌহার্দ্য সম্প্রীতি বজায় রেখে সাংবাদিকদের পেশাদারিত্বে পাশাপাশি এই সংগঠনকে একটি পরিবারের সংগঠনে পরিণত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

সভায় কার্যকরি কমিটির সদস্য পদে একজনকে কো-অপারেটিভ করার সিদ্ধান্তের পাশাপাশি আগামী বর্ণাঢ্য আয়োজনে অভিষেক অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।




যে ফলাফলই হোক না কেন মেনে নেব: আইভী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। তিনি বলেছেন, ‘সুষ্ঠু ভোট হলে আমার বিজয় সুনিশ্চিত। যে ফলাফল হোক না কেন মেনে নেব’।

ভোটে যেন কোনো ধরনের কারচুপি কিংবা সহিংসতা না ঘটে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

রোববার বেলা ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের দেওভোগ শিশুবাগ কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর তিনি এসব কথা বলেন।

আইভী বলেন, অবশ্যই জয়ী হব। এখনও পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট চলছে। সবাইকে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দেওয়ার অনুরোধ রইল।

এর আগে বেলা পৌনে ১১ টার দিকে কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন নৌকার এই প্রার্থী। এ সময় বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, নেতাকর্মী ও গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন। ভিড় ঠেলে তিনি কেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

এদিকে ভোট শুরুর পরপরই কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেন স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার। নির্বাচনে মেয়র পদে হাতি প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি। সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে নগরীর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি।




ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলের মৃত্যু

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

 ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও একজন।

শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার ভোমরাদহ চিলাপাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত করিমুল ও তার ছেলে আরমান উপজেলার চণ্ডীপুর গ্রামের বাসিন্দা। আহত হন পয়গাম আলী নামে একজন।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পীরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) বিদ্যুৎ কুমার চৌধুরী জানায়, সন্ধ্যায় উপজেলার চণ্ডীপুর গ্রামের করিমুল ও তার ছেলে আরমান মোটরসাইকেলে নিয়ে ঠাকুরগাঁও থেকে পীরগঞ্জে আসছিল। পীরগঞ্জ-ঠাকুরগাঁও পাকা সড়কের চিলাপাড়া এলাকায় বিপরীত দিক থেকে একটি পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

এতে করিমুল ঘটনাস্থলেই বাবা এবং ছেলে পীরগঞ্জ হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যায়। পুলিশ পিকআপ ভ্যানটি আটক করেছে বলে জানান ওসি।




আগামীকাল নারায়ণগঞ্জে জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া চলাচলে নিষেধাজ্ঞা

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

 ভোটের দিন নারায়ণগঞ্জে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ছাড়া কেউ চলাচল করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. জায়েদুল আলম।

তিনি বলেছেন, আমাদের তরফ থেকে নির্বাচনী কোনো সহিংসতার আশঙ্কা নেই। নির্বাচনের দিন কোনো বহিরাগতকে নারায়ণগঞ্জে প্রবেশ করতে দেবো না। ভোটের দিন সবাইকে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে চলাচল করতে দেওয়া হবে। এজন্য রোববার (১৫ জানুয়ারি) নগরবাসীকে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে চলাচল করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।

শনিবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রোববার এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এসপি জায়েদুল আলম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থী লিখিতভাবে অভিযোগ করেননি। মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা সেসব অভিযোগ পেয়েছি সেগুলো নিয়ে স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে তদন্ত করে দেখছি। কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে বা কোনো বাধা দেওয়া হচ্ছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই আনন্দ ও উৎসবমুখর পরিবেশেই প্রার্থীরা প্রচারণা চালিয়েছেন।’




বিধিনিষেধ অমান্য করলে লকডাউন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ড্ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান ১১ দফা বিধিনিষেধ অমান্য করলে লকডাউন দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

শনিবার (১৫ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ডায়ালাইসিস ইউনিট ও সিটি স্ক্যান মেশিন উদ্বোধন শেষে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, করোনা সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েই চলছে। সরকারের দেওয়া ১১ দফা বিধিনিষেধ না মানলে দেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে। লকডাউন দিলে দেশের অনেক ক্ষতি হবে। আমরা সেদিকে যেতে চাই না, তাই সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। যদি বিধিনিষেধ অমান্য করা হয় তাহলে লকডাউন দেওয়া হবে।

এর আগে দেশে মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ১০ জানুয়ারি ১১টি বিধিনিষেধ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। গত ১৩ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ ১১ দফা নির্দেশনা মেনে চলার কথা বলা হয়েছে।




কাঁদায় ভাসছে দুর্গাপুর

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

শীতের এই শুষ্ক তাপমাত্রায় চারপাশের পরিবেশে প্রভাব পরলেও পুরোপুরি বিপরীত নেত্রকোনার দুর্গাপুরের চিত্র। কনকনে শীতের মাঝেও কাঁদায় ভাসছে শহরের প্রতিটি সড়ক। দেখে বোঝার উপায় নেই এখন শীত নাকি বর্ষাকাল?
অথচ পর্যটন সম্ভাবনাময় এই নগরীর চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ভৌগলিক নির্দেশক স্বীকৃতি বা জি-আই সনদ স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বিজয়পুরের সাদা মাটির পাহাড় সহ অসংখ্য পর্যটন স্পট। প্রতিদিনই এই স্পটগুলো দেখতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসছেন দর্শনার্থীরা। প্রকৃতির টানে পর্যটকরা আসলেও তাদের ভাগ্যে জোটে কাঁদা ভরা সড়ক।
২০১০ সাল থেকে শহরটি প্রাণ ও নানা প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর সোমেশ্বরী নদীকে ঘিরে গড়ে উঠেছে বালুখেকোদের তান্ডব। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই যত্রতত্র বালু উত্তোলন সহ অপরিকল্পিত পরিবহনে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে দুর্গাপুর। এই নিয়ে বেশ কয়েক বার পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো সর্তক করলেও সুফল আনতে পারেননি তারা।
পৌর শহরের পথঘাট সহ বহুল কাক্সিক্ষত দুর্গাপুর-শ্যামগঞ্জ মহাসড়ক নিয়ে প্রতিনিয়ত ভেজা বালু পরিবহনে কাঁদায় জরাজীর্ণ থাকে সারা বছরই। শহরের প্রেসক্লাব মোড়,তেরি বাজার, কালীবাড়ি মোড়, কলেজ রোড, হাসপাতাল মোড়, উপজেলা মোড়, কাচারি মোড় সহ অলিগলিতেও স্তূপ বেঁধে থাকে কাঁদা। একদিকে যেমন ব্যাহত হচ্ছে পথচারীদের যাতায়াত তেমনি লোকসানের মুখে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
পৌর শহরের ভেতর দিয়ে বালুবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ সহ কয়েক দফা দাবি নিয়ে গেল বছর স্থানীয়রা লাগাতার আন্দোলন করেও কোন সুফল আসেনি। স্থানীয়দের দুর্ভোগ কাটাতে স্থানীয় প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষ বালুবাহী ট্রাকের জন্য বাইপাস সড়কের আশ্বাস দিলেও বাস্তবায়ন হয়নি গেল এক বছরেও। উল্টো বেড়েছে দুর্ভোগ আরও কয়েকগুণ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিবছর কোন সমীক্ষা যাচাই ছাড়াই জেলা প্রশাসকএর মাধ্যমে সোমেশ্বরী নদী থেকে পাঁচটি বালুমহাল ইজারা প্রদান করে আসছে। অথচ বালু ট্রাক চলাচলের জন্য অধ্যাবদি পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থাই করতে পারেনি প্রশাসন। নামেমাত্র মাইকিং করে ভেজা বালু পরিবহন নিষেধাজ্ঞা দিলেও এর তোয়াক্কা করে না কেউ। যে যার মত করে যাচ্ছে বালু পরিবহন। আইন থাকলেও নেই এর প্রয়োগ! যার ফলে দুর্ভোগ বাড়ছে প্রতিনিয়ত।
স্থানীয়রা আরো জানান, বালু ব্যবসায়ীরা তাদের আখের গোছাতে কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করে না। তাদের কাছে সবাই অসহায়। কারণ আইন প্রণেতারাই আইন অমান্য করে। তাহলে আইন কিভাবে সঠিক পথে চলবে। প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ি দুর্গাপুর পৌর শহরের ভিতর দিয়ে চলাচল করছে। এমন একটা গাড়িও মিলবে না যারা ভেজা বালু পরিবহন করে না। দুর্গাপুরে শীত, গ্রীস্ম, বর্ষা সবসময়ই রাস্তাঘাটে দেখা মিলবে কাঁদা ও ময়লা পানি। স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও ঠিকমতো করতে পারেনা। সড়কের ময়লা পানি, কাঁদা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ভিতরে ছিটে নষ্ট হচ্ছে আসবাবপত্র সহ মালামাল। এই অভিশাপ থেকে আমরা কবে রক্ষা পাবো। এই দুর্গাপুর কে বাঁচাতে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
নিরাপদ সড়ক চাই দুর্গাপুর উপজেলা শাখার সভাপতি নুরুল আলম জানান, পৌর শহরের ভেতর দিয়ে বালুবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধের দাবিতে আমরা কয়েক বার মানববন্ধন কর্মসূচি সহ বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করেছি। কিন্তু এর কোন বাস্তবায়ন আমরা দেখতে পারিনি। সড়ক দিয়ে চলাচল করা যায় না কাঁদার কারণে। এতদিন করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও এখন সবগুলো প্রতিষ্ঠান খুলেছে। ফলে শিক্ষার্থীরাও বিদ্যালয়ে যেতে রাস্তার এপার থেকে ওপারে যেতেও নষ্ট হচ্ছে স্কুল ড্রেস সহ পোশাক-আশাক। আসলে এই দুর্ভোগ আমাদের সবার। বাহির থেকে পর্যটকরা অনেক আশা নিয়ে আমাদের দুর্গাপুরে আসেন। অথচ সড়কের বেহাল দশার কারণে দুর্ভোগ ছাড়া কোন কিছুই দেখতে পারেন না তারা। আমরা এই দুর্ভোগের পরিত্রাণ চাই। আর কতদিন মানুষ এভাবে কষ্ট করবে?

ভেজা বালু পরিবহন বন্ধে প্রতিনিয়ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিব উল আহসান। তিনি বলেন, ভেজা বালু পরিবহন দুর্গাপুর বাসীর জন্য একটি দুর্ভোগের কারণ আমরা চেষ্টা করছি এই দুর্ভোগ কমিয়ে আনতে। এর জন্য আমরা সবসময় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ছোট-বড় বিভিন্ন ট্রাককে জরিমানার আওতায় আনছি, ১৩জানুয়ারী বৃহস্পতিবারও মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ভেজাবালু পরিবহনকারীকে জরিমানার আওতায় আনা হয়েছে।বালু মহালের ঠিকাদারদের ভেজা বালু পরিবহন বন্ধের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আশা করি সকলের আন্তরিকতা থাকলে ভেজা বালু পরিবহন বন্ধ করা যাবে। মেয়রের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমি কি করতে পারি পরামর্শদেন।




পশ্চিমবঙ্গে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা, বহু হতাহতের আশঙ্কা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়িতে গৌহাটি-বিকানার এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় ওই ট্রেনের অন্তত অর্ধশত যাত্রীর প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে দেশটির গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির দোমোহনি এলাকায় স্থানীয় সময় বিকেল ৫টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আনন্দবাজার অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, পাটনা থেকে গুয়াহাটিগামী ওই ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ দুর্ঘটনায় পড়ে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আলিপুরদুয়ার থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় একটি উদ্ধারকারী দল।

ট্রেনটির ৪-৫টি বগি দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। তার জেরে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার সময় ট্রেনটির গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার ছিল বলে প্রাথমিক ভাবে খবর পাওয়া গিয়েছে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জনসংযোগ কর্মকর্তা নীলাঞ্জন দেব আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা নাগাদ গুয়াহাটি-বিকানের এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়েছে। আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের নিউ ময়নাগুড়ি এবং নিউ দোমোহনি সেকশনে এই ঘটনা ঘটেছে। রিলিফ ভ্যান যাচ্ছে। ডিআরএম-রাও যাচ্ছেন। বাকি তথ্য এখনো জানতে পারিনি। জানলেই জানাব।’
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা একলব্য চক্রবর্তী বলেন, ‘রেলের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন। এখন আমাদের একমাত্র লক্ষ্য উদ্ধারকাজ।’

আলিপুরদুয়ারের ডিআরএম দিলীপ সিংহ আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘লাইনচ্যুত হয়েছে বিকানের এক্সপ্রেস। এখনো হতাহতের খবর নেই। আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। আগে উদ্ধার কাজ। পরে অন্য কিছু। চারটে কামরা উল্টেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।’



ভারতে একদিনে প্রায় ২ লাখ মানুষের করোনা শনাক্ত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক

ভারতে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। দেশটিতে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ফের দুই লাখের কাছে পৌঁছেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৭২০ জন। এতে করে ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৬০ লাখ ছাড়িয়েছে।

আক্রান্তের পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে বেড়েছে দৈনিক মৃতের সংখ্যা। গতকাল মারা গেছে ৪৪২ জন। দেশের সব রাজ্যে আক্রান্ত বাড়লেও মৃতের সংখ্যা বেশি কেরালাতে। ভারতে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৮৬৮তে। সবচেয়ে বেশি ওমিক্রন আক্রান্ত মহারাষ্ট্রে। এরপর রয়েছে দিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গ।

দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর দেশটিতে সংক্রমণের হার ফের ১০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ১১.০৫ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহ জুড়ে দেশের ২৯টি রাজ্যের অন্তত ১২০টি জেলায় সংক্রমণের হার ছিল ১০ শতাংশের বেশি। এই তথ্য দেখাচ্ছে দেশটির অধিকাংশ এলাকায় কীভাবে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ।




দুর্ঘটনারোধে স্কুল-কলেজে ট্রাফিক রুল পড়ানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দুর্ঘটনারোধে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ট্রাফিক রুল পড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এছাড়া রাস্তা পারাপারে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সহায়তা করতে স্কুল কর্তৃপক্ষের লোক রাখারও নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়ার কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

বুধবার (১২ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের চারটি প্রকল্প উদ্বোধন করেন।

এগুলো হলো- ঢাকা এয়ারপোর্ট মহাসড়কে শহীদ রমিজ উদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ সংলগ্ন পথচারী আন্ডারপাস, সিলেট শহর বাইপাস-গ্যারিসন লিংক ৪ মহাসড়ক, বালুখালী (কক্সবাজার)-ঘুনধুম (বান্দরবান) সীমান্ত সংযোগসড়ক এবং রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর চেংগী নদীর ওপর ৫০০ মিটার দীর্ঘ সেতু।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনারোধে সারাদেশের জাতীয় মহাসড়কে ২০১০ থেকে ২০১২ সালে ২০৯টি ব্ল্যাকস্পট (দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান) চিহ্নিত করা হয়েছে। তাতে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে আরও ২৫২টি দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান চিহ্নিত করা হয়। এরমধ্যে ১৭২টির প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অবশিষ্ট ৮০টি ব্ল্যাকস্পটেও প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর ফলে সড়ক ও মহাসড়কে দুর্ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাবে।

এসময় পথচারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের দেশে একটা প্রবণতা আছে- দুর্ঘটনা হলেই গাড়ির ড্রাইভারকে পেটানো হয়। অনেক সময় গণপিটুনিতে তাকে মেরেই ফেলে। কেন দুর্ঘটনা ঘটলো, কার দোষে ঘটলো- সেটা খুঁজে বের করা দরকার। আর সবার ট্রাফিক রুল সম্পর্কে জ্ঞান থাকা দরকার এবং সেটা মেনে চলা দরকার। মোবাইল ফোন কানে দিয়ে সড়ক পার, রেললাইনে চলা বন্ধ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, হঠাৎ দৌড়ে রাস্তা পার হবেন না। রাস্তা পারাপারেই কিন্তু দুর্ঘটনা ঘটে। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সব জায়গায় ফুটওভার ব্রিজ ও আন্ডারপাস করা আছে। সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার করতে হবে। বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীদের বলবো, রাস্তায় চলাচলে ট্রাফিক রুল মানতে হবে। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রাফিক রুলটা শেখাতে হবে।

তিনি বলেন, স্কুলে যাতায়াতে নিরাপদে রাস্তা পারাপারে ট্রাফিক পুলিশ সহায়তা করবে, তবে স্কুল কর্তৃপক্ষেরও লোক রাখতে হবে। অনেক সময় বাচ্চারা অন্যদের মানতে চায় না। স্কুল কর্তৃপক্ষের লোক থাকলে ঠিকই মানবে। প্রত্যেকটা স্কুলকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্দেশ দেবে, যাতে তাদের শিক্ষার্থীদের নিরাপদে রাস্তা পারাপারে উদ্যোগ নেয়।

আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্ঘটনা দুর্ঘটনাই। দোষ কার, সেটা পরে দেখা যাবে। অনেক সময় ধাক্কা লেগে পড়ে যায়, সে হয়তো বেঁচে যেতো। কিন্তু ড্রাইভার গাড়ি থামালে তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলবে এই ভয়ে সে পিষে চলে যায়। একটা মানুষের জীবন চলে যায়। কিছু হলেই ড্রাইভারকে ধরে পেটাবেন, গাড়িতে আগুন দেবেন, এটা ঠিক না। আইন কেউ হাতে তুলে নেবেন না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আছে, তারাই সেটা দেখবে।

এসময় গাড়ির চালক ও হেলপারদের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জানি তারা অনেক সময় ক্লান্ত হয়ে পড়ে, ঝিমিয়ে পড়ে। সে জন্য মহাসড়কের পাশে চালক ও যাত্রীর জন্য বিশ্রামের ব্যবস্থা নিচ্ছি। সুনির্দিষ্ট দূরেত্ব একটি করে বিশ্রামাগার থাকবে। পাশাপাশি চালকদের ট্রেনিংয়েরও ব্যবস্থা করছি। গাড়ি বাড়ছে, চালক বাড়ছে না। সে জন্য সমস্ত উপজেলায় চালকদের ট্রেনিং দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। তাহলে এ সংকট কিছুটা কমবে। ড্রাইভার ক্লান্ত হলে গাড়ি থামাবেন, রেস্ট নেবেন। কিন্তু হেলপার দিয়ে চালানো ঠিক নয়, এটা অন্যায় কাজ।

করোনার সতর্কতা মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ব্যাপক কর্মসূচি ছিল আমরা ভার্চুয়ালি করছি। কারণ করোনা নতুনভাবে হানা দিয়েছে। সকলে নিয়ম মেনে চলবেন। মাস্ক পরবেন। সবকিছু স্বাভাবিক চলুক আমরা চাই। উন্নয়নের নানা কাজ করছি। ফলে আমরা দ্রুত এগিয়ে যাবো। ২২ সালে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প আছে উদ্বোধন করবো আমরা। দেশের মানুষের জন্য গত ১৩ বছরে আমরা নানা অবকাঠামোগত উন্নয়ন করেছি। এটি আমাদের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।