ওমিক্রন মোকাবিলায় বুস্টারের ট্রায়াল শুরু করেছে মডার্না

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

মার্কিন বায়োটেক কোম্পানি মডার্না বুধবার জানিয়েছে, তারা করোনা ভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট মোকাবিলায় সুনির্দিষ্টভাবে তৈরি করা বুস্টার ডোজের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল কাজ শুরু করেছে।

এএফপি এক প্রতিবেদনে জানায়, এ ট্রায়ালে প্রাপ্তবয়স্ক মোট ৬০০ জন অংশগ্রহণ করবেন। এদের মধ্যে অর্ধেক কমপক্ষে ৬ মাস আগে মডার্নার টিকার দুই ডোজ ইতোমধ্যে গ্রহণ করেছেন এবং বাকি অর্ধেক আগেই অনুমোদন দেওয়া বুস্টারের তৃতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন।

ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টকে লক্ষ্য করে সুনির্দিষ্টভাবে তৈরি এ বুস্টার টিকাকে তৃতীয় ও চতুর্থ উভয় ডোজ হিসেবে মূল্যায়ন করা হবে।

মহামারির দুই বছরের করোনার অন্য যেকোনো ধরনের চেয়ে বেশি সংক্রামক বলে প্রমাণিত হয়েছে ওমিক্রন।

গত মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছিল, গত এক সপ্তাহে দুই কোটি ১০ লাখেরও বেশি মানুষ করোনার সংক্রমণের শিকার হয়েছেন, যা মহামারি শুরুর পর সর্বোচ্চ।

একই দিন আরও বলেছে, করোনার অন্যান্য ধরনের চেয়ে বিশ্বে এখন ওমিক্রনই তার আধিপত্য বাড়িয়ে চলেছে। ডেল্টার সংক্রমণ কমে এসেছে। আলফা, বিটা ও গামার সংক্রমণ একেবারেই নিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে।

ডব্লিউএইচও বলছে, যেসব দেশে ২০২১ সালের নভেম্বরে ও ডিসেম্বরে ওমিক্রনের সংক্রমণ দ্রুত বেড়ে গিয়েছিল সে সব দেশে এখন কমে এসেছে।

সংস্থাটি বলছে, বর্তমানে পাওয়া তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বলা যায় ওমিক্রনের সার্বিক ঝুঁকি এখনো অনেক বেশি রয়ে গেছে।

ডব্লিউএইচও বলছে, গত ৩০ দিনে সংগৃহীত নমুনা- যা জিআইএসএআইডিতে আপলোড করা হয়েছে, সেখানে দেখা গেছে ওমিক্রন ধরনে আক্রান্ত ৮৯.১ শতাংশ। আর ডেল্টা ধরন ১০.৭ শতাংশ।




পুলিশে যুক্ত হচ্ছে রোবট-ড্রোনসহ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

বাংলাদেশ পুলিশকে ২০৪১ সালের উন্নত দেশের উপযোগী করে গড়ে তুলতে তথ্য প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহারের মাধ্যমে পুলিশের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ভবিষ্যতে পুলিশে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবট, ড্রোন ইত্যাদি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সংযোজন করা হবে।

পুলিশ সপ্তাহ ২০২২ এর চতুর্থ দিনে বুধবার (২৬ জানুয়ারি) দিনব্যাপী ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদের এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

অতিরিক্ত আইজি ড. মো. মইনুর রহমান চৌধুরী সভাপতিত্বে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের অডিটোরিয়ামে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজি, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, সকল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপাররা এতে অংশগ্রহণ করেন।

সম্মেলনে বাংলাদেশ পুলিশের আধুনিকায়নে বিভিন্ন ইউনিট থেকে প্রাপ্ত প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হয়। সভায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিভিন্ন প্রস্তাব উত্থাপন করেন।

এসময় আইজিপি মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের উত্থাপিত বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

সম্মেলন শেষে ডিআইজি (অপারেশন্স ও মিডিয়া অ্যান্ড প্লানিং) মো. হায়দার আলী খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিধান, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ দমন, সন্ত্রাস মোকাবিলা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং বাংলাদেশ পুলিশকে ২০৪১ সালের উন্নত দেশের উপযোগী জনবান্ধব ও পেশাদার বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে পুলিশের আধুনিকায়ন প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের সেবা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ওয়ার্ডে বিট পুলিশিং কার্যালয় স্থাপন, সাইবার অপরাধ দমনে স্বতন্ত্র সাইবার ইউনিট প্রতিষ্ঠা, দেশ ও জনগণের কল্যাণে নিবেদিত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার সুবিধার্থে আলাদা মেডিকেল সার্ভিস গঠন, অনলাইন জিডি আরও সহজতর ও বিস্তৃত করা, জনগণের আইনি সহায়তা আরও সুগম করার লক্ষ্যে সার্কেল অফিসের কার্যক্রম বেগবান করা, পুলিশ সদস্যদের আধুনিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, ২০৪১ সালের উপযোগী করে হাইওয়ে পুলিশকে গড়ে তোলা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

মো. হায়দার আলী খান বলেন, পুলিশের সক্ষমতা বাড়ানোর মূল লক্ষ্য জনগণের কাছে দ্রুত সেবা পৌঁছে দেওয়া। আমরা বাংলাদেশ পুলিশকে জনতার পুলিশ, জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে গড়ে তুলতে আইজিপি মহোদয়ের নেতৃত্বে কাজ করছি।