ফিলিস্তিনি যুবকের হাতে জার্মান তরুণীর ইসলাম গ্রহণ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

সদ্য বিদায়ী বছরের শেষ দিন শুক্রবার ইসলাম গ্রহণ করেছেন জার্মান এক তরুণী। ফিলিস্তিনি এক যুবকের মাধ্যমে বার্লিনের একটি মসজিদে ইসলাম গ্রহণ করেন তিনি।

গতকাল শনিবার আলজাজিরা জানায়, মোহাম্মদ তিমরাজ নামের ফিলিস্তিনি যুবকই তরুণীটিকে ইসলামের দিকে আহ্বান জানায়। ইসলাম সম্পর্কে তার সাথে ব্যাপক আলাপ-আলোচনার পর তরুণীটি মুসলিম ওয়ার আহগ্রহ প্রকাশ করেন।

মোহাম্মদ তিমরাজ ফেসবুকের একটি পোস্টে লিখেন, বছরের সমাপ্তি এর চেয়ে ভালো আর কি হতে পারে? আলহামদুলিল্লাহ! এক আল্লাহর প্রতি অসংখ্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি যিনি আমাকে এক বান্দির ইসলাম গ্রহণের মাধ্যম বানালেন। একইসাথে তাকে এ কাজে যারা সহায়তা করেছেন ফিলিস্তিনি যুবকটি তাদের প্রতিও শুকরিয়া জানিয়েছেন।

তরুণীর ইসলাম গ্রহণের একটি ভিডিও ইউটিউবে প্রকাশ করেছেন মোহাম্মদ তিমরাজ। সেখানে তাকে জার্মান ও আরবি ভাষায় কালিমায়ে শাহাদাত পাঠরত দেখা গেছে।

তরুণীর ইসলাম গ্রহণ উপলক্ষে তাকে ফিলিস্তিনের ঐতিহ্যবাহী পোশাক কেফিয়্যাহ (কালো ডোরাযুক্ত সাদা রুমাল) ও বেশকিছু জিনিসপত্র উপহার দেন মোহাম্মদ তিমরিজ এবং মসজিদে উপস্থিত সবার মধ্যে মিষ্টান্ন বিতরণ করেন। সূত্র: আলজাজিরা




উন্নয়ন দৃশ্যমান, সুফল পাচ্ছে দেশের মানুষ: প্রধানমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকায় উন্নয়ন দৃশ্যমান এবং দেশের মানুষ এর সুফল পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিজয়ের ৫০ বছরে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হওয়া বড় অর্জন। আজ রোববার (২ জানুয়ারী) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের স্বীকৃতি প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও সরকারের ধারাবাহিকতায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ উদযাপন উপলক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উদ্যোগে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজন করা হয় এ অনুষ্ঠানের। সেখানে স্পিকার এ কথা বলেন।

স্পিকার বলেন, তিনটি মানদণ্ড পূরণ করে বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ হয়েছে। এটিকে জাতিসংঘ মিরাকল বলে অভিহিত করেছেন। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে সংবিধান প্রণয়ন করেছিলেন। তিনি মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়ে দেশে উন্নয়নের ভিত রচনা করেছিলেন। সেই ভিত থেকে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন তারই উত্তরসূরি শেখ হাসিনা। বলেন, ২০০৯ সালে দারিদ্র ছিল ৪০ শতাংশ, সেখান থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ২১ শতাংশ। শিক্ষার হার বেড়েছে। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হবে। দেশ থেকে মঙ্গা দূর হয়েছে। আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি।

স্পিকার আরও বলেন, পিতার আদর্শকে ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের ৪১তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। ২০২১ সালের রূপকল্পের আলোকে এগিয়েছে দেশ। কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ডিজিটাল দেশ গঠনে এগিয়ে যাচ্ছে। ৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হবে বাংলাদেশ।




চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভেতরেই সাংবাদিককে পেটালেন স্বাস্থ্যকর্মী

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের জেরে আহসান আলম নামে এক সংবাদকর্মীকে বেধড়ক পিটিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্মী। আজ রবিবার (২ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভেতরেই সাংবাদিককে পিটিয়ে জখম করেন। পরে সাংবাদিক আহসান আলমকে উদ্ধার করে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এ ঘটনার পর সাংবাদিক আহসান আলম বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। আহসান আলম চুয়াডাঙ্গা থেকে প্রকাশিত দৈনিক পশ্চিমাঞ্চলের স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত।

অভিযুক্ত ওয়ার্ডবয় রাসেল চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের দৌলতদিয়াড় গ্রামের দক্ষিণপাড়ার সাগরের ছেলে। তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ওয়ার্ডবয় হিসেবে কর্মরত।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রবিবার (২ জানুয়ারি) ‘চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ওয়ার্ডবয় রাসেলের সাথে আস্থা প্রকল্পের আয়া বৃষ্টির অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ’ শিরোনামে ‘পশ্চিমাঞ্চল’ পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। রোববার সকাল ১০টার দিকে আহসান আলম চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভেতরে চা পান করে দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

এ সময় রাসেল তার এবং বৃষ্টির অনৈতিক বিষয় সংবাদপত্রে প্রকাশের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন। সংবাদ প্রকাশের বিষয়ে আহসান আলম সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলার জন্য পরামর্শ দেন। পরে রাসেল ক্ষিপ্ত হয়ে বাঁশের লাঠি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে।

সাংবাদিক আহসান আলম বলেন, সকালে ওয়ার্ডবয় রাসেল আমাকে প্রথমে হুমকি দেয়। পরে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বাঁশ দিয়ে জনসম্মক্ষে বেধড়ক মারধর করে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ওয়াহেদ মাহমুদ রবিন বলেন, তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ফাতেহ আকরাম বলেন, আয়া বৃষ্টির জন্য ওই ওয়ার্ডবয় ও তার স্ত্রীর মনোমালিন্য হয়েছিল। এ কারণে আয়া বৃষ্টিকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। পরে তাদের মধ্যে সমঝোতা হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের ভেতরে ঘটনাটি হওয়ায় আসলেই দুঃখজনক। বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে দেখছি। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আলামিন ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব হাসান কচি বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। অতিলম্বে আসামিকে গ্রেফতার করে আইনের আওয়ায় আনার জোর দাবি করছি।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন বলেন, এ ঘটনায় সকালে সংবাদিক আহসান আলম বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা করেছেন। আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।




বিয়েতে রাজি না হওয়ায় তিন সন্তানের জননীকে হত্যা

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

২০১০ সালে বিয়ে হয় নরসিংদীর রায়পুরার রুনা আক্তারের। সাড়ে ৩ বছর আগে সাড়ে ৪ লাখ টাকা ঋণ করে শ্রমিক ভিসায় সৌদি আরব যায় স্বামী আবুল কালাম মিয়া। ঋণের টাকা পরিশোধ তো দূরের কথা পরিবারকেও টাকা দেওয়া বন্ধ করেন কালাম। শ্বশুরবাড়ি থেকে টাকা পরিশোধ করতে বলেন স্ত্রীকে। এ নিয়ে মনোমালিন্য ও নির্যাতন শুরু হয় রুনার ওপর। নারী নির্যাতনের মামলা করেন রুনা। ক্ষুব্ধ হয়ে গত চার মাস আগে ডিভোর্স লেটার পাঠায় কালাম।

বাধ্য হয়ে তিন সন্তান নিয়ে বাপের বাড়িতে ফিরতে হয় রুনাকে। কাজ শুরু করেন সবজি ক্ষেতে। এরই মধ্যে গত ১৩ ডিসেম্বর নরসিংদীর রায়পুরার চর মরজালের একটি ধানক্ষেত থেকে রুনা আক্তারের (২৮) চোখ উপড়ানো মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শুরুতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর ও সন্দেহ ছিল শ্বশুরবাড়ির ওপর। তবে তদন্তে বেড়িয়ে আসে ভিন্ন তথ্য।

সৌদি প্রবাসী স্বামীর ডিভোর্স লেটারের পর নতুন করে বিয়ের প্রলোভন দেখায় দূর সম্পর্কের মামা আব্দুর রাজ্জাক। তিনি খোরশেদ নামে মিয়া নামে আরেকজনের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করেছিলেন। এজন্য তিনি নিয়েছিলেন ৯০ হাজার টাকা। কিন্তু রুনা শেষ পর্যন্ত বিয়েতে রাজি না হওয়ায় পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয় রুনাকে।

ওই ঘটনায় জড়িত আব্দুর রাজ্জাক ও খোরশেদ মিয়াকে গ্রেফতারের পর আজ রবিবার (০২ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, নিহত রুনা আক্তার সৌদি প্রবাসী আবুল কালাম মিয়ার স্ত্রী ও একই গ্রামের উত্তর পাড়া এলাকার মোসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়ার মেয়ে। নিহত রুনা আক্তার ও কালাম মিয়ার সংসারে ৩ সন্তান রয়েছে।

জানা যায়, গত ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় রুনা বাবার বাড়ি থেকে মামার বাড়ি যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর থেকে আর তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। রাত ৮টার দিকে পরিবারের সদস্যরা তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার নম্বর বন্ধ পায়। ১৩ ডিসেম্বর সকালে স্থানীয় লোকজন গ্রামের ধানক্ষেতে রুনার লাশ পড়ে থাকতে দেখে।

ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বাবা মোসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে রায়পুরা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সিআইডি ঘটনাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, হত্যার ঘটনাটি কেন ও কীভাবে সংগঠিত হয়েছে, ঘটনায় কে বা কারা জড়িত, কারো সাথে পূর্ব কোনো বিরোধ ছিল কি-না ইত্যাদি বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর ভিকটিমের পরিবার, ঘটনাস্থল ও আশপাশ এলাকার বিভিন্ন উৎস হতে সরেজমিনে সংগ্রহ করা হয়।

পরবর্তীতে এলআইসির একাধিক চৌকস টিম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেফতারের জন্য সম্ভাব্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে। এরই ধারাবাহিকতায় সন্ধিগ্ধ আসামি খোরশেদ মিয়াকে নেত্রকোনার কলমাকান্দা ও আব্দুর রাজ্জাক খানকে নরসিংদীর রায়পুরা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

মুক্তা ধর বলেন, গ্রামের বিভিন্ন এনজিও সমিতি হতে সাড়ে চার লাখ টাকা ঋণ নিয়ে সাড়ে ৩ বছর আগে শ্রমিক ভিসায় সৌদি আরব যায় স্বামী আবুল কালাম মিয়া। কিন্তু ঋণের টাকা পরিশোধের জন্য চাপ আসে স্ত্রী রুনার ওপর। রুনা স্বামীকে জানালে যৌতুক বাবদ বাপের বাড়ি হতে টাকা পরিশোধ করতে বলে। কিন্তু রুনার পরিবারের সচ্ছলতা ছিল না। রুনা টাকা পরিশোধে অপারগতা জানালে সংসারের খরচার টাকাও দেওয়া বন্ধ করে কালাম। এ নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে মনোমালিন্য ও নির্যাতনের শিকার হয় রুনা। নারী নির্যাতনের মামলা করলে ক্ষুব্ধ হয়ে গত চার মাস আগে ডিভোর্স লেটার পাঠায় কালাম।

বাধ্য হয়ে তিন সন্তান নিয়ে বাপের বাড়িতে ফিরতে হয় রুনাকে। কাজ শুরু করেন সবজি ক্ষেতে। এরই মধ্যে নতুন করে বিবাহের জন্য প্ররোচনা দিতে থাকে দূর সম্পর্কের মামা পল্ট্রি ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক। স্ত্রী মারা যাওয়ার পর চার সন্তানের জনক বৃদ্ধ খোরশেদ মিয়ার সঙ্গে বিবাহ ঠিক করেন। এজন্য ৯০ হাজার টাকা খরচাও আদায় করেন আব্দুর রাজ্জাক। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বিয়েতে অমত জানায় রুনা। এ নিয়ে আব্দুর রাজ্জাক ও খোরশেদ মিয়া ক্ষিপ্ত হয়। রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধানক্ষেতে গিয়ে হাত পা বেঁধে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে ও চোখ উপড়ে ফেলে।

মুক্তা ধর বলেন, এই মর্মান্তিক ঘটনায় আরও দুজন জড়িত। তাদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। গ্রেফতার দুজনকে আজই নরসিংদী আদালতে সোপর্দ করা হবে।




সবাইকে এক সাথে কাজ করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

সকলকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির মহাসড়কে শামিল করতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাসমূহকে এক সাথে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

রোববার (২ জানুয়ারি) ‘জাতীয় সমাজসেবা দিবস’ উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে জাতীয় সমাজসেবা দিবস ২০২২ উদযাপনের উদ্যোগকে তিনি স্বাগত জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ভাতা জিটুপি পদ্ধতিতে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে এবছরের জাতীয় সমাজসেবা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘মুজিববর্ষের সফলতা, ঘরেই পাবেন সকল ভাতা’ যথার্থ হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতা। তার নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে এবং দেশ পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে দুস্থ ও অসহায় মানুষের জন্য তিনি বিভিন্ন কল্যাণধর্মী কর্মসূচি গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৪ সালে সুদমুক্ত ঋণ কার্যক্রম প্রচলন করে দেশে ও সমসাময়িক বিশ্বে অনন্য নজির স্থাপন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় সরকার প্রতিবন্ধী, অসহায় ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন সমাজসেবা অধিদফতর ৫২টি কর্মসূচির সমন্বয়ে সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। যা সামাজিক নিরাপত্তা বলয় সুদৃঢ়করণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তবে প্রকৃত দরিদ্ররা যাতে সরকারের এসব কর্মসূচির সুফল ভোগ করতে পারে সে বিষয়ে সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে শামিল হওয়ার জন্য সরকার ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা বাংলাদেশকে একটি আধুনিক কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হবো- এ প্রত্যাশা করি।




বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানীতে শুরু হচ্ছে স্মার্টফোন ও ট্যাব মেলা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

৬ জানুয়ারি থেকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) শুরু হচ্ছে স্মার্টফোন ও ট্যাব মেলা। তিন দিনব্যাপী এ মেলা চলবে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জানা যায়, দেশের স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহারকারীদের সর্বশেষ মডেলের স্মার্টফোন ও ট্যাব পরখ করে দেখার সুযোগ থাকছে এই মেলায়। স্যামসাং, অপ্পো, রিয়েলমি, শাওমি, টেকনো, ভিভো, ওয়ালটন, ওয়ান প্লাসসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন পাওয়া যাবে এখানে।

এ ছাড়া স্মার্টফোনের জন্য আনুষঙ্গিক গ্যাজেট ও এক্সেসরিজ নিয়ে থাকবে বেশ কয়েকটি স্টল ও প্যাভিলিয়ন। থাকছে প্রথমবারের মতো ৫জি এক্সপিরিয়েন্স জোন।

মেলায় দর্শকরা ঢুকতে পারবেন বিনামূল্যে। তবে মাস্ক না পরলে কেউ মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন না। মেলার প্রবেশদ্বারে তাপমাত্রা মেপে তা গ্রহণযোগ্য হলেই প্রবেশ করা যাবে মেলায়।