ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:
বিদেশগামী কর্মীদের বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষার খরচ দিতে হবে না। ভর্তুকি হিসেবে করোনার আরটি পিসিআর পরীক্ষার ফি দেবে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়। শনিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে মতবিনিময় সভায় এ কথা জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ।
মন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, আমিরাতগামী কর্মীদের বিমান উড্ডয়নের ছয় ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষা করাতে হচ্ছে। পরীক্ষা প্রতি খবচ এক হাজার ৬০০ টাকা।
মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের তহবিল থেকে করোনা পরীক্ষার খরচ দেওয়া হবে। প্রবাসীদেরই জমানো টাকায় এ তহবিল গঠিত। এর আগে সৌদি আরবগামীদের জনপ্রতি ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয় দেশটিতে গিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন থাকতে।
দুবাই এক্সপো-২০২০ এ যোগ দিতে আমিরাতে রয়েছেন ইমরান আহমদ। মতবিনিময় সভায় তিনি আরও বলেন, প্রবাসী কর্মীরা দেশের রেমিটেন্স-যোদ্ধা, তারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দেশে টাকা পাঠান। অর্থনীতিতে তাদের অবদান অনস্বীকার্য। সরকারও তাদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে তৎপর। এরই অংশ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতগামী কর্মীদের বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত এক হাজার ৬০০ টাকা মন্ত্রণালয় পরিশোধ করবে।
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবু জাফর।
আমিরাতের শর্তানুযায়ী যাত্রার ৪৮ ঘণ্টা আগে করোনা পরীক্ষা করাতে হয়। বিমান উড্ডয়নের ছয় ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে দ্বিতীয় দফায় র্যাপিড টেস্ট করাতে হয়। বিমানবন্দরে এ সুবিধা না থাকায় গত মে থেকে আমিরাত যেতে পারছিলেন না বাংলাদেশিরা। ৪০ থেকে ৫০ হাজার কর্মী দেশে আটকা পড়েন। তারা আন্দোলনে নামেন বিমানবন্দরে র্যাপিড টেস্টের ল্যাব স্থাপনের দাবিতে।
গত ৬ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকে দেশের তিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুই-তিন দিনের মধ্যে করোনার র্যাপিড টেস্টের ল্যাব স্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠান বাছাই নিয়ে নানা টানাপোড়েনে ১১ দিন যায়। আটকে পড়াদের আবার আন্দোলনে নামেন। এরপর আমিরাতের অনুমোদনের অপেক্ষায় আরও ১৩ দিন পার হয়। অবশেষে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থাপিত ছয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ল্যাবে করোনা পরীক্ষা শুরু রয়েছে। বাকি দুই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ল্যাব স্থাপনে এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেই।