‘প্রাথমিক-মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল খুলবে ১২ সেপ্টেম্বর’

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ১২ সেপ্টম্বর থেকেই প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারব। স্কুল-কলেজগুলো খোলার জন্য আমরা আগেই প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী, এজন্য আমরা ১২ সেপ্টেম্বরকে নির্ধারণ করেছি।

শুক্রবার চাঁদপুর সদর উপজেলার মহামায়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ ও তথ্য কর্মকর্তা মো. আবুল খায়েরও গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললেও অ্যাসাইনমেন্ট প্রক্রিয়া চলমান থাকবে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বেশিরভাগ শিক্ষকই টিকা নিয়েছেন। এছাড়া ১২ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদেরও টিকার আওতায় আনা হবে।’

এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আগের ঘোষণা অনুযায়ী পরীক্ষা হবে। অর্থাৎ নভেম্বরের মাঝামাঝি এসএসসি এবং ডিসেম্বরে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, চাঁদপুর পৌরমেয়র অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান জুয়েল, ফরিদগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম রোমান, এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইউনুছ বিশ্বাস, চাঁদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি থাকায় শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় নিয়ে সরকার ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে। পরে কয়েক দফা চেষ্টা করেও এই মহামারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আর খোলা সম্ভব হয়নি। দীর্ঘ দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে।

চলমান এই ছুটি আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে। সে অনুযায়ী, আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলমান ছুটি অব্যাহত থাকবে। সম্প্রতি সচিব সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্রুত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর থেকেই জোরেশোরে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন সংশ্লিষ্টরা।




ইউপি-পৌরসভায় ২০ সেপ্টেম্বর থেকে আবার ভোট

ওই দিন ১৬১ ইউনিয়ন পরিষদ এবং ৯টি পৌরসভায় একযোগে ভোটগ্রহণ চলবে।

বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন সভা শেষে এই তথ্য সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে জুন মাসে ইউপি ভোট শুরু করেও এগিয়ে নিতে পারেনি ইসি।

ইউপি নির্বাচনের প্রথম ধাপে ২১ জুন ২০৪টি ইউনিনে নির্বাচন হয়েছিল। তখন ১৬৭ ইউপির নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়।

তবে প্রার্থী মারা যাওয়ায় পাঁচটি ইউপি এবং সেন্ট মার্টিন ইউনিয়নে ভোট এই দফায়ও হচ্ছে না।

২০ সেপ্টেম্বর খুলনা বিভাগের খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও নোয়াখালীর ১৬১ ইউপি এবং ৯টি পৌরসভায় ভোট হবে।

নয়টি পৌরসভার সবকটিতে এবং ১৬১ ইউপির মধ্যে ১১টিতে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হবে বলে ইসি সচিব জানান।

প্রায় চার হাজার ইউনিয়ন পরিষদের বাকি সাধারণ নির্বাচন কয় ধাপে এবং কবে নাগাদ অনুষ্ঠিত হবে, সে বিষয়ে পরবর্তী বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে।

ইসি সচিব বলেন, “এ বছরের মধ্যে বাকি নির্বাচনগুলো সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ মাসের শেষে আরেকটি কমিশন বৈঠক হবে। সেখানে ইউপি ভোটগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার কমিশন সভায় বসে।

এই সভায় কুমিল্লা-৭ উপনির্বাচন, সিটি, জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হয়।

কুমিল্লা-৭ আসনে উপনির্বাচনে ৭ অক্টোবর ভোটগ্রহণের তারিখ রেখে তফসিল ঘোষণা হয়েছে।

আলী আশরাফের আসনে উপনির্বাচন ৭ অক্টোবর

ইসি সচিব জানান, একই তফসিলে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদে উপনির্বাচনও হবে।

এই উপনির্বাচনে উপজেলা পরিষদের ৯টি চেয়ারম্যান, ৬টি ভাইস চেয়ারম্যান; পৌরসভায় মেয়র পদে ১টি, কাউন্সিলর পদে ৫টি এবং বিভিন্ন সিটি করপোরেশেনের ৫টি কাউন্সিলর পদের জন্য ভোটগ্রহণ হবে ৭ অক্টোবর।

কমিশনের সিদ্ধান্ত জানাতে ইসির প্রেস ব্রিফিংয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ূন কবীর, যুগ্ম-সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান, যুগ্ম-সচিব ও পরিচালক (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।




শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খোলার নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) সংসদে অধিবেশন এ মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ যে ব্যবস্থা নিয়েছে; তা বিশ্বের অনেক দেশই পারেনি।

এর আগে গতকাল জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মহামারি করোনা প্রতিরোধে গত ৩০ আগস্ট পর্যন্ত এক কোটি ৮২ লাখ ৮৯ হাজার ১৮ জনকে প্রথম ডোজ এবং ৭৮ লাখ ৪০ হাজার ১৬৯ জনকে দ্বিতীয় ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে।

নওগাঁ-২ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের লিখিত প্রশ্নের জবাবে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।

এ সময় করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকা সংগ্রহ ও বিনামূল্যে টিকাদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

গতকাল বিকেল ৫টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ সংসদের চতুর্দশ অধিবেশন শুরু হয়।

মুহা. শহীদুজ্জামান সরকার লিখিত প্রশ্নে বলেন, প্রধানমন্ত্রী বর্তমান সরকার দেশের করোনা মহামারি রোধকল্পে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এ পর্যন্ত কতজনকে প্রথম ডোজ ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা প্রদান করা হয়েছে? দেশে কত টিকা মজুত আছে এবং আগামী কতদিনের মধ্যে কতটি টিকা আনার চূড়ান্ত চুক্তি হয়েছে?