দুর্গাপুরে এসবি রক্তদান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবার উদ্বোধন

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

‘‘মানুষ মানুষের জন্য-জীবন জীবনের জন্য’’ এই প্রতিপাদ্যে বর্তমান করোনা প্রেক্ষাপটে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘‘এসবি রক্তদান ফাউন্ডেশন’’ এর উদ্যেগে করোনা ও শ্বাসকষ্ট রোগীদের জন্য বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এই সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান।

এই সংগঠনকে নিজ অর্থায়নে একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদান করেন জেলা পরিষদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শফিক। এছাড়া সিলিন্ডার কেনার জন্য ৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন রিক্সাচালক মোঃ তারা মিয়া, সংগঠনের সেচ্ছাসেবকদের করোনা কালীন সময়ে মাঠে কাজ করার জন্য ১০টি পিপিই প্রদান করেন তামিম টেলিকমের স্বত্বাধীকারী মো তাকদির হোসাইন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুয়েল সাংমা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তানজিরুল ইসলাম, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. গোলাম মোস্তফা, একাডেমিক সুপারমভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন, প্রধান শিক্ষক একে এম ইয়াহিয়া, বিকাশ চন্দ্র সাহা,,তাকদির হোসাইন, পথ পাঠাগার‘র সভাপতি নাজমুল হুদা সারোয়ার প্রমুখ।




দুর্গাপুরে এতিমদের নিয়ে পালিত হলো যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যানের ১ম মৃত্যুবার্ষিকী

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও দৈনিক যুগান্তরের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম এর ১ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে জাগিরপাড়া আল কারীম দারুল উলুম মাদ্রাসা মিলনায়তনে এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

যুগান্তর স্বজন সমাবেশ দুর্গাপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে দোয়া মাহফিলে কোরআন খতম শেষে মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হাফেজ মো. সাইদুল ইসলাম। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মাদরাসার শিক্ষক ও যুগান্তর স্বজন সমাবেশের সদস্য মো. আজিজুল হক, যুগান্তর প্রতিনিধি তোবারক হোসেন খোকন, মুফতি ঈসমাইল, মাওলানা মতিউর রহমান, মাওলানা মোরশেদ আলম, হাজী আব্দুল গফুর, মাওলানা আতাউল্লাহ, হাফেজ মাকসুদুল প্রমুখ।




দুর্গাপুরে তৃতীয় লিঙ্গদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোণার দুর্গাপুরে করোনা প্রেক্ষাপটে কর্মহীন হয়ে পড়া তৃতীয় লিঙ্গদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও মাক্স বিতরণ করেছেন উপজেলা প্রশাসন। সোমবার দুপুরে এ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

এ উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বসবাসকারী তৃতীয় লিঙ্গের সম্প্রদায়ের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও মাস্ক বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান। এসময় অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভুমি) রুয়েল সাংমা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন প্রমুখ।




১৫ জুলাই থেকে ‌২৩ জুলাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে ‘সব’ চালু

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

পবিত্র ঈদুল আযহা সামনে রেখে সর্বাত্মক লকডাউন শিথিল করল সরকার। ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬ টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল থাকছে। তবে এই সময়ে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার আদেশ জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এতে বলা হয়েছে, দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থা ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে আগামী ১৪ জুলাই (বুধবার) মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই (শুক্রবার) সকাল ৬টা পর্যন্ত আরোপিত সব বিধিনিষেধ শিথিল করেছে সরকার। এতে আরও বলা হয়েছে, ঈদ উদযাপন, জনসাধারণের যাতায়াত, ঈদ পূর্ববর্তী ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা, দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, এই সময়ে গণপরিবহন চালু থাকবে। দূরপাল্লার গণপরিবহণ, ট্রেন, নেৌপরিবহন চালু থাকবে। মার্কেট, দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু থাকবে। এর অর্থ দাঁড়াল, এই সময়ে সবকিছুই চলতে পারবে। ঈদের পর ২৩ জুলাই সকাল ছয়টা থেকে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত আবারও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ থাকবে। আজকের আদেশে সেই বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে।

তাতে এখনকার বিধিনিষেধের মতোই সরকারি-বেসরকারি অফিস, গণপরিবহনসহ সব যানবাহন বন্ধ এবং শপিংমল ও দোকানপাটও বন্ধ থাকবে। আর এর পাশাপাশি সব ধরনের শিল্প কলকারখানাও বন্ধ থাকবে। চলমান বিধিনিষেধে কলকারখানা খোলা রয়েছে।

গত মে মাসে পবিত্র ঈদুল ফিতরের সময় সরকার করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ঈদযাত্রা বন্ধ রাখতে চেয়েছিল। এ জন্য তখন দূরপাল্লার পথে গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু পরে দেখা গেল, হাজার হাজার মানুষ কড়াকড়ি উপেক্ষা করে বাড়ির অভিমুখে রওনা হন। তাতে পথেঘাটে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি। ফেরিঘাটে ছিল মানুষের উপচে পড়া ভিড়। তখন দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন পরিবহনে করে বাড়ি যেতে খরচও বেড়ে যায়। এতে ভোগান্তি দ্বিগুণ হয়।

প্রসঙ্গত, এর আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় গত ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় সাত দিনের সর্বাত্মক লকডাউন। এই বিধিনিষেধ ছিল ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত। পরে বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও ৭ দিন অর্থাৎ ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬ টা পযর্ন্ত ৮ দিন লকডাউন শিথিল থাকছে।




দুর্গাপুর হাসপাতালে সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেছেন উপজেলা প্রশাসন ও দুর্গাপুর পৌরসভা। সোমবার দুপুরে প্রয়োজনীয় এই সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

সীমান্তবর্তী এই উপজেলায় নতুন করে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি আক্রান্ত হচ্ছেন চিকিৎসকরাও। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লোকবল কম থাকায় স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে দেখা দিয়েছে চরম অনিশ্চয়তা। চলমান এই সংকট কাটাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিকিৎসকদের সুরক্ষায় গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউএইচএ ডাঃ মামুনুর রহমানের কাছে সার্জিক্যাল মাক্স, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, থার্মাল স্ক্যানার, অক্সিমিটার সহ পর্যাপ্ত পরিমাণে সুরক্ষা সামগ্রী হস্তান্তর করা হয়। এ সময় হাসপাতালের করোনা পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন ইউএনও ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউএনও মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মামুনুর রহমান, দুর্গাপুর প্রেসক্লাব সভাপতি এস.এম রফিকুল ইসলাম রফিক, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ তানজিরুল ইসলাম রায়হান, পৌরসভার প্যানেল মেয়র মশিউজ্জামান বাদল, একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন প্রমূখ।




দুর্গাপুরে সুমেশ্বরী নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ‘‘নদী ভাঙ্গনে আট গ্রামের মানুষ আতঙ্কে’’ দেশের জাতীয় পত্রিকায় এমন সংবাদ প্রকাশিত হলে ওই এলাকা পরিদর্শনে আসেন জেলা প্রশাসক কাজী মো. আবদুর রহমান। শনিবার সন্ধ্যায় কুল্লাগড়া ইউনিয়নের বরইকান্দি, কামারখালী, বহেরাতলী ও রানীখং এলাকার নদী ভাঙ্গন কবলিত বিভিন্ন স্থানগুলো পরিদর্শন করেন।

এ সময় জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহন লাল সৈকত, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুয়েল সাংমা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, একাডেমীক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন, ইউপি চেয়ারম্যান শুভ্র মানখিন, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি সহ জেলা এবং উপজেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক কাজী মো. আবদুর রহমান, ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়ে নদীর তীর ভাঙন রোধে জিও ব্যাগের কাজ দ্রুত সম্পন্ন্যের জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেন।