দুর্গাপুরে প্রশাসনকে ‘‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’’ এর মাক্স বিতরণ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বর্তমান করোনা প্রেক্ষাপটে প্রশাসনের সচেতনতামূলক প্রচারণা ও মাক্স বিতরণ কার্যক্রম কে আরো গতিশীল করতে উপজেলা প্রশাসন, দরিদ্র শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের মাক্স বিতরণ করেছেন আমেরিকায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’’। রোববার দুপুরে প্রশাসনের পক্ষে মাক্স গ্রহন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজিব-উল-আহসান, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট‘র উপজেলা সমন্বয়কারী মো. মাহবুবুল আলম, উপজেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদের সভাপতি শামীম কবীর, কারিতাস এর উপজেলা সমন্বয়কারী ছবি ¤্রং প্রমুখ।




ভারতে টিকার জোগান বাড়লে বাংলাদেশও পাবে: ভারতীয় হাইকমিশনার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ভারতে করোনাভাইরাসের টিকার জোগান বাড়লে বাংলাদেশকেও টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। আজ (রোববার) সকাল ৮টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

বাংলাদেশে চুক্তির টিকা সরবরাহের বিষয়ে জানতে চাইলে হাইকমিশনার বলেন, “টিকা সরবরাহের অবস্থা কী- সেটি জানার জন্যই ভারত যাচ্ছি। যদি ভারতে জোগান বেড়ে থাকে তাহলে বাংলাদেশে পাঠানোর আশা কতটুকু, আমি গিয়ে সেটি সম্পর্কে জানতে পারব। চেষ্টা থাকবে দ্রুত বাংলাদেশকে টিকা দেওয়ার। যদি টিকার জোগান বাড়ে, তাহলেই এটি সম্ভব হবে।”

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, “করোনার কারণে যেহেতু সীমান্ত বন্ধ রয়েছে, তাই ভারতে চিকিৎসার জন্য গিয়ে যেসব বাংলাদেশি আটকা পড়েছেন, যাঁদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, আবেদন করলেই তাঁদের ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হবে। এতে কোনো সমস্যা হবে না।”

তিনি বলেন, “আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের নির্মাণ কাজ করোনাভাইরাসের কারণে কিছুটা বিলম্বিত হচ্ছে। এটি ডিসেম্বর নাগাদ শেষ হয়ে যাবে। বাংলাদেশ ও ভারতের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাও উন্নত হয়েছে। এতে বাংলাদেশের রফতানি বেড়েছে, ভারতেরও রফতানি বেড়েছে। এটি সবার জন্যই ভালো। হাইকমিশনারকে চেকপোস্টে স্বাগত জানান আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমানা আক্তার ও আখাউড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান।




নারায়ণগঞ্জের দেওভোগ এলাকায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নারায়ণগঞ্জ শহরতলীর পশ্চিম দেওভোগ হাজীবাড়ি এলাকায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছে। নিহতের নাম ইমন (২১)। সে দেওভোগ শেষ মাথা এলাকার মনির মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া দেলোয়ারের ছেলে। ইমন বুকে ছুরিকাঘাতে নিহত হয় বলে জানা গেছে। এসময় আহত হয়েছে টুুটুল ও হানিফ নামে দুইজন ।
মাদক ও এলাকার আধিপত্যকে কেন্দ্র করে শনিবার (১৭ জুলাই) রাত পৌনে ১০ টার দিকে ডেবিড-আব্দুল্লা এবং ওমর ফারুক-ইমন গ্রুপের মধ্যে এই সংঘাত হয় বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। এরমধ্যে ডেবিড ও আব্দুল্লা দুই ভাই এবং ওমর ফারুক ও ইমন দুই ভাই। সংঘাতে ইমন মারা গেল
নিহত ইমনের লাশ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে রয়েছে। নিহতের ভাই ওমর ফারুক ও মোহাম্মদ আলী ইমনকে আশংকাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। এখানে আনার পর দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রকিবুজ্জামান জানান, ঘটনাস্থলে এসে আমি একটি গ্রুপকে পেয়েছি। তবে হত্যাকান্ডের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। বিষয়টি তদন্ত চলছে। তদন্তের পর বলা যাবে প্রকৃত ঘটনা কী।




দেশের সবাইকে ভ্যাকসিন দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি: প্রধানমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

পর্যায়ক্রমে সবাইকে ভ্যাকসিন দিতে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘কোনো মানুষ যেন ভ্যাকসিন থেকে বাদ না থাকে, আমরা সেভাবে পদক্ষেপ নিয়েছি।’ রোববার (১৮ জুলাই) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে মন্ত্রণালয়/বিভাগসমুহের বার্ষিক কর্ম সম্পাদনা চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর এবং শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ভ্যাকসিন দিতে শুরু করেছি। ভ্যাকসিন আসছে। আমাদের দেশের সবাই যেন ভ্যাকসিনটা নিতে পারে, সে জন্য যত দরকার, আমরা তা কিনবো এবং আমরা সেই ভ্যাকসিনটা দেব। তিনি বলেন, কোনো মানুষ যেন ভ্যাকসিন থেকে বাদ না থাকে, সেভাবে কিন্তু আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা চাচ্ছি যে আমাদের দেশের মানুষ যেন কোনো রকম ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, করোনার এ পরিস্থিতিতে সবাই যেন স্বাস্থ্যবিধিটা মেনে চলে, সেদিক দৃষ্টি দিতে হবে।




দেশে পৌঁছেছে সিনোফার্মের ২০ লাখ ডোজ টিকা

প্রথমে শনিবার রাত পৌনে বারোটায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ১০ লাখ ডোজ এবং পরে রাত তিনটায় আরেকটি ফ্লাইটে ১০ লাখ ডোজ টিকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।

রোববার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (এমএনসিঅ্যান্ডএইচ) ডা. মো. শামসুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দুটি ফ্লাইটে ২০ লাখ ডোজ টিকা এসেছে। সব মিলিয়ে চীন থেকে সিনোফার্মের ৫১ লাখ ডোজ টিকা এল।”

চীন থেকে দেড় কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা কিনতে চুক্তি হয়েছে উভয় দেশের মধ্যে। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে টিকা গ্রহণ করেন। গত ৩ জুলাই রাতে সিনোফার্মের টিকার ১০ লাখ এবং পরদিন সকালে আরও ১০ লাখ ডোজ আসে।

ওই চালান আসার সময় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল এগুলো ‘কেনা টিকার অংশ’। তবে ১৪ জুলাই সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সামসুল আরেফিন বলেন, ওই ২০ লাখ ডোজও চীন উপহার হিসেবে দিয়েছে।

“আগে চুক্তি হয়েছিল ১৫ মিলিয়নের। এর মধ্যে ২ মিলিয়ন যেগুলো দিয়েছে সেগুলো উপহার হিসাবে দিয়েছে। এখন যেহেতু দুই মিলিয়ন উপহার দিয়েছে, তাই আরও দুই মিলিয়ন যোগ করে আবার ১৫ মিলিয়ন দিচ্ছে। সেটা হবে আগের মূল্যের চেয়ে হ্রাসকৃত মূল্য,” বলেছিলেন তিনি। চুক্তি হওয়ার আগেও দুদফায় উপহার হিসেবে চীন থেকে একই টিকার ১১ লাখ ডোজ পেয়েছে বাংলাদেশ।

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার কোভিশিল্ড টিকা কেনার পর সিনোফার্ম হল দ্বিতীয় কোম্পানি, যাদের কাছ থেকে কোভিড টিকা কিনছে বাংলাদেশ।




হাইয়াতুল উলিয়ার ফল প্রকাশ, গড় পাশ ৭৩.২৫ শতাংশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

আল-হাইআতুল উলইয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের ১৪৪২ হিজরি/২০২১ খ্রিস্টাব্দের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। পরীক্ষার গড় পাসের হার ৭৩.২৫। ছাত্রদের পাশের হার ৭৯.৪২ আর ছাত্রীদের পাশের হার ৬৩.৬৩।

আজ (১৮ জুলাই) রবিবার ফলাফল ঘোষণা করেন হাইআতুল উলইয়ার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাওলানা মাহমুদুল হাসান। এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন হাইয়াতুল উলইয়ার সদস্য মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, মুফতি রুহুল আমিন, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা শামছুল হক, মাওলানা আব্দুল বছীর, মাওলানা আরশাদ রাহমানী, মুফতি মুহাম্মদ আলী, মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, ড. মুশতাক আহমদ, মাওলানা নূরুল আমিন, মাওলানা নূরুল হুদা ফয়েজী, মাওলানা উবায়দুর রহমান মাহবুব, মাওলানা ফুরকানুল্লাহ খলীল, মুফতি জসীমুদ্দীন প্রমূখ।

হাইয়াতুল উলইয়ার কেন্দ্রীয় পরীক্ষা উপকমিটির সদস্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা মুহাম্মদ যুবায়ের, মুফতি আমিনুল হক, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মুফতী নাসীরুদ্দীন, মুফতি আহমদ আলী, মুফতী নূরুল ইসলাম, মুফতী ওবায়দুল্লাহ হামজা,মাওলাানা মুহিব্বুলহ হক গাছকাড়ী, মুফতি এনামুল হক কাসেমী, মুফতি এমদাদুল্লাহ কাসেমী, হাইয়াতুল উলইয়ার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাওলানা মুহাম্মদ ঈসমাইল বরিশালী, অফিস সম্পাদক মাওলানা অছিউর রহমান প্রমুখ।

এবারের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২২,৩৪২ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে ১৬,২৩২ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১১,৩৮০ জন এবং ছাত্রী ৪,৮৫২ জন। পাসের হার ছাত্র ৮২.১০, ছাত্রী ৫৭.২১। মুমতায (স্টার মার্ক) পেয়েছে ছাত্র ৯৩৩ জন এবং ছাত্রী ৫৬ জন। জায়্যিদ জিদ্দান (১ম) বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে ছাত্র ৩,৫০০ জন, ছাত্রী ৭৭১ জন। জায়্যিদ (২য়) বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে ছাত্র ৪,৮৯১ জন, ছাত্রী ২,২৮১ জন এবং মাকবূল (৩য়) বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে ছাত্র ২,০৫৬ জন, ছাত্রী ১,৭৪৪ জন।