দুর্গাপুরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে মানববন্ধন

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে অবিলম্বে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এক মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন দুর্গাপুর উপজেলা শাখা। বৃহস্পতিবার দুপুরে দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মোড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

ঘন্টাব্যাপি এ মানববন্ধনে উপজেলা শাখার সহ:সভাপতি মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে, সাধারন সম্পাদক আলী উসমান এর সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নেত্রকোনা জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সাকির মাহমুদ, ইসলামী আন্দোলন দুর্গাপুর উপজেলা শাখার সহ:সভাপতি আব্দুল মান্নান, সাধারন সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুন, ইসলামী যুব আন্দোলনের দফতর সম্পাদক মাও. মুফতি জামাল উদ্দিন , সাবেক কওমি মাদ্রাসার সম্পাদক কেফায়েতুল্লাহ, কুল্লাগড়া ইউপির সদস্য হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

রক্তারা বলেন, মহামারি করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা। শিক্ষার সঙ্গে জড়িত সবকিছুতেই বিপর্যয় নেমে এসেছে। দীর্ঘদিন স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। তাই কালবিলম্ব না করে দ্রæততম সময়ে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানানো হয়।




শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বারান্দায় চলছে নৌকা মেরামতের কাজ

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

সারাদেশের ন্যায় নেত্রকোনার দুর্গাপুরেও মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল স্কুলের ভবন খালি পড়ে আছে। এতে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে পাঠদানের পরিবেশ। শুধু তাই নয়, এই সুযোগে স্কুলের মাঠে এবং স্কুলের বারান্দায় বেঁধে রাখা হচ্ছে গরু-ছাগল। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দাতেই চলছে কাঠ মিস্ত্রির দোকান নষ্ট হচ্ছে অবকাঠামোগত পরিবেশও।

এ নিয়ে বৃহস্পতিবার এলাকার বিভিন্ন স্কুল ঘুরে দেখা গেছে, করোনা কালিন সময়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায়, স্কুলের কক্ষ, বারান্দা এবং মাঠে বেঁধে রাখা হচ্ছে গরু-ছাগল। উত্তর ফারংপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দাতেই চলছে কাঠ মিস্ত্রির দোকান। এমকেসিএম সরকারি স্কুলের বারান্দায় চলছে লাকড়ির ব্যাবসা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রাথমিক শিক্ষক বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী লোকজন দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠান না খোলায় বিভিন্ন সময়ে বিদ্যালয়ের আঙ্গিনা ও বারান্দায় গরু-ছাগল বেধে রাখে। স্কুলের প্রহরীগন নিয়মিত দায়িত্ব পালন না করায় বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের অফিস কক্ষের সামনে গো-বিচরণ করতে দেখা যায়। এ সকল কাজ থেকে স্থানীয়দের বিরত রাখতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সরকারি কঠোর নির্দেশনা দিলেও প্রতিষ্ঠান প্রধানগন তা আমলেই নিচ্ছেনা।

এ নিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. গোলাম মোস্তফা এ প্রতিনিধি কে বলেন, উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গো-বিচরণ করছে এমন খবর পেয়ে ওইসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক কঠোর সতকর্তা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো খোলার আভাস পেয়ে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজও চলছে। স্কুল খোলা হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঠদানে প্রস্তত রয়েছে প্রতিষ্ঠান গুলো। #