দুর্গাপুরে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মোতালেব‘র বিরুদ্ধে ভিজিএফ‘র টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নে গত ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারের বরাদ্দ ভিজিএফের আওতায় জনপ্রতি ৪৫০ টাকা প্রদান করা হলেও ওই ইউনিয়নের ৭৩ জনের টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মোতালেব‘র বিরুদ্ধে।

অভিযোগ ও সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, গত মে মাসের শেষের দিকে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ‘র সাংগঠনিক সম্পাদক মো. উজ্জ্বল সরকার ৭৩ জনের টাকা আত্মসাৎ হয়েছে এমন খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাতে উল্লেখ আছে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ওই ইউনিয়নের এক হাজার ৫শত পঞ্চাশ জনের জনপ্রতি ৪৫০ টাকা করে সরকারি বরাদ্দ আসে। ওই টাকা বিতরনের সময় বরাদ্দকৃতদের নামের বিপরীতে ভুয়া টিপসহি দেখিয়ে ৭৩ জনের টাকা উত্তোলন করেন ইউপি চেয়ারম্যান। এরই প্রেক্ষিতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান কে আহবায়ক করে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ-জহুরা, উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা সুবল রঞ্জন কর ও একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন কে সদস্য করে চার সদস্য বিশিষ্ট এক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি টাকা আত্মসাৎ এর সামগ্রিক তদন্ত শেষ করেন।

শনিবার দুপুরে তদন্ত কমিটির আহবায়ক মো. মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ইউনিয়ন পরিষদের মাস্টার রোল সহ উপস্থিত অনেকের বক্তব্য শুনেছি। এতে আত্মসাৎ এর বিষয়ে সত্যতা পেলেও আঙ্গুলের ছাপ যাচাই-বাছাইয়ের পরে প্রতিবেদন ইউএনও মহোদয়ের কাছে জমা দেয়া হবে। টাকা আত্মসাৎ নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব এর সাথে বারং বার যোগাযোগ করার চেস্টা করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ নিয়ে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রাজীব উল আহসান বলেন, অভিযোগ প্রাপ্তির পর কৃষি কর্মকর্তাকে আহব্বায়ক করে বিষয়টি তদন্তের জন্যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে তিনি জানান। #




হেফাজত নেতা মামুনুলের ১৮ দিনের রিমান্ড শেষ হয়েছে আজ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নারায়ণগঞ্জের আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কাউসার আলম শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় এই আদেশ দেন।

গত ২৮ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে সাইনবোর্ড এলাকায় সহিসংতা ও গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মামলা হয় মামুনুলের বিরুদ্ধে। তাছাড়া তার কথিত স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের মামলা, সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে হামলা ও ভাংচুরের মামলা, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিসে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন ঘটনার ছয় মামলায় মামুনুলক ১৮ দিনের রিমান্ডে পেয়েছিল পুলিশ।

২০১৩ সালে রাজধানীর শাপলা চত্বরে সমাবেশের সময় হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় মতিঝিল থানার মামলা ও চলতি বছরের মার্চে বায়তুল মোকারমে হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় পল্টন থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।

গত ১৮ এপ্রিল দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগ।

প্রথমে তাকে ঢাকার কেরাণীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হলেও গত ১১ মে রাতে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।




দুর্গাপুরে পৌর মেয়রকে ওয়ার্ডবাসীর সংবর্ধনা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে পৌর মেয়র মো. আলা উদ্দিন কে সংবর্ধনা প্রদান করেন পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডবাসী। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিরিশিরি ওয়াইএমসিএ মিলনায়তনে এ সংবর্ধনা ও মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মেয়র মহোদয়কে ক্ষুদ্র-নৃ গোষ্ঠীর সর্বোচ্চ সম্মাননা মুকুট ও উওরীয় প্রদান শেষে উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বান্টি সাংমার সঞ্চালনায় ডা. সমুয়েল প্রান্তোষ সাংমার সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র মো. আলা উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেল ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. এমরোজ হোসেন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর মোছা. অমলা বেগম। সভায় এলাকাবাসী তাদের নানাবিধ সমস্যার কথা মেয়র মহোদয়ের কাছে তুলে ধরলে, এলাকাবাসীর সব রকম সমস্যা সমাধানে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে আশ্বাস দেন মেয়র আলা উদ্দিন।

 




করোনার কারণে মানবজাতি-অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও প্রকৃতি কিছুটা প্রাণ ফিরে পেয়েছে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ কারণে মানবজাতি ও অর্থনীতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও প্রকৃতি যেন কিছুটা প্রাণ ফিরে পেয়েছে। সারাবিশ্ব একসাথে ‘লকডাউন’ হওয়ায় পরিবেশ দূষণ কমেছে, পৃথিবী একটি গাঢ় সবুজ গ্রহে পরিণত হয়েছে। এই মহামারি থেকে শিক্ষা নিয়ে মানুষ একটি সবুজ-পৃথিবী সৃষ্টিতেই মনোনিবেশ করবে বলে আমার বিশ্বাস।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২১ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে শনিবার (৫ জুন) এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, পরিবেশ-সংরক্ষণে সরকারের সফলতার কারণে ‘পরিবেশ কূটনীতিতে’ বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের নেতৃত্ব প্রশংসিত হচ্ছে। আমরা পরিবেশ বিপর্যয়ে সংকটাপন্ন দেশগুলোর স্বার্থ-সুরক্ষায় ‘ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ)’ এবং ‘ভালনারেবল-২০’ এর অর্থমন্ত্রীদের জোটের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আমরা জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা তৈরি করছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ুর-পরিবর্তন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে টেকসই উন্নয়ন অর্জনের লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ-ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’ বাস্তবায়ন করছি। আমরা জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যেই এক কোটি গাছের চারা রোপণ করেছি।

তিনি বলেন, বিশ্ব পরিবেশ দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য অনুযায়ী আমাদের জাতীয় প্রতিপাদ্য ‘প্রতিবেশ পুনরুদ্ধার, হোক সবার অঙ্গীকার’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে। উন্নত দেশগুলোর লাগামহীন উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষা ও শিল্পায়নের কারণে বৈশ্বিক তাপমাত্রার ক্রমাগত বৃদ্ধি জলবায়ু-পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করছে। সরকার প্রধান বলেন, জলবায়ু-পরিবর্তনজনিত বিরূপ প্রতিক্রিয়ার ফলে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে জলবায়ু-পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ-মোকাবিলায় সহিষ্ণুজাত উদ্ভাবনের জন্য গবেষণায় প্রথমবারের মতো বরাদ্দ দিয়েছিল।

তিনি বলেন, আমাদের সরকারের উদ্যোগে গত ১২ বছরে বৈরী পরিবেশে সহনশীল বিভিন্ন ফসলের মোট ১০৯টি উন্নত/উচ্চ উৎপাদনশীল জাত উদ্ভাবিত হয়েছে। ২০০৯ সালে নিজস্ব সম্পদ থেকে আমরা ৪৫০ মিলিয়ন ডলারের জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০১২ সালের ২১ এপ্রিল ইনটারগভারমেন্টাল সাইন্স পলিসি প্লাটফরম অন বাইওডাইভারসিটি অ্যান্ড ইকো সিস্টেম সারভিসেস (আইপি বিইএস ) (Intergovernmental Seience Policy Platform on Biodiversity and Ecosystem Services (IPBES)-এর সদস্যপদ লাভ করেছি এবং সংস্থাটির প্রাধিকার অনুযায়ী বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ ও প্রাণী-সংরক্ষণে কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, জলবায়ু-পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় সফলতার স্বীকৃতিস্বরূপ আমি জাতিসংঘ কর্তৃক ২০১৫ সালে ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’ সম্মাননা পেয়েছি, যা আমি দেশবাসীকে উৎসর্গ করেছি। আমরা ‘জাতীয় পরিবেশ নীতি, ২০১৮’ এবং ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপনা (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৯’ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ‘গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপ্টেশন’-এর দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক অফিস ঢাকায় স্থাপন করেছি। জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি ঘোষিত বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণ দশকে (২০২১-২০৩০) আমরা জীববৈচিত্র্য-সংরক্ষণের ওপর মনোনিবেশ করেছি। আমরা জাতীয় সৌরশক্তি কর্মপরিকল্পনার (২০২১-২০৪১) বাস্তবায়ন শুরু করেছি। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজে, দলীয়ভাবে এবং সরকারি উদ্যোগে দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছিলেন। স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতা কক্সবাজার সমুদ্র উপকূল রক্ষাকারী ঝাউবেষ্টনী সৃষ্টি করেছিলেন। পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে সৃষ্ট প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে জানমালের সুরক্ষা দিতে বেড়িবাঁধ, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ও মুজিবকিল্লা নির্মাণ করেছিলেন এবং স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিলেন। আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন বাংলাদেশ কৃষক লীগ ১৯৮৫ সাল থেকে প্রতিবছর আষাঢ়-শ্রাবণ-ভাদ্র এই তিনমাস সমগ্র দেশে ফলজ, বনজ ও ভেষজ এ তিন প্রজাতির গাছ লাগানোর কর্মসূচি অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করছে।