তুরস্কের ব্লু মসজিদ দেখেই ব্রিটিশ অভিনেত্রীর ইসলাম গ্রহণ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক::

তুরস্কের ব্লু মসজিদ দেখেই ইসলাম গ্রহণ করলেন ব্রিটিশ অভিনেত্রী আয়েশা রোজালি। তুরস্কে ঘুরতে গিয়ে দেখেন বিখ্যাত ব্লু মসজিদ বা সুলতান আহমেদ মসজিদ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের বাসিন্দা এ অভিনেত্রী। মনোমুগ্ধকর এই মসজিদ ভ্রমণ করে ইসলামের প্রতি গভীরভাবে আকৃষ্ট ব্রিটিশ বংশোদ্ভুদ রোজালি। দুই বছর আগে তুরস্কের মসজিদটি ভ্রমণ করেন তিনি।

মসজিদ দেখার পর থেকেই ইসলাম নিয়ে গবেষণা শুরু করেন তিনি। অবশেষে ইসলামের প্রতি মুগ্ধ হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এখন তিনি সম্পূর্ণভাবে নিজেকে ইসলাম প্রচারে নিয়োজিত করেছেন। ইসলাম গ্রহণের পর রোজালি পুরোপুরি অভিনয় ছেড়ে দেন। বর্তমানে তিনি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ইসলামের বাণী প্রচার করেন। রোজালি বলেন, ‘ইসলাম গ্রহণে আগ্রহীদের আমি সহায়তা করতে চাই। আমি চাই আরো বেশি মানুষ ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আসুক। মুসলিম হওয়ার আগে আমি কোনো ধর্ম অনুসরণ করতাম না।’

তুরস্ক ভ্রমণের বিষয়ে তিনি বলেন, তুরস্কে এসে ধর্ম সম্পর্কে জানার আমার কোনো আগ্রহ ছিল না। গুগলে সার্চ করে ব্লু মসজিদের সন্ধান পাই। মনে মনে ভাবি যে এই মসজিদে আমার যাওয়া উচিত। মসজিদটি পরিদর্শনের আগে স্থানীয় দোকান থেকে হিজাব কিনি। ভেবেছিলাম, চুল দৃশ্যমান রাখলে মানুষ আমার ওপর রাগ করবে। তাই হিজাবটি কিনি। যেন কেউ আপত্তি জানাতে না পারে।

মসজিদ ভ্রমণে এসে রোজালি ইসলাম সম্পর্কে জানেন এবং আগ্রহী হয়ে ওঠেন। রোজালি জানান, ব্লু মসজিদে প্রবেশ করে একটি তাসবিহ ও জায়নামাজ নেই এবং কিছুক্ষণ তাসবিহ পাঠ করি। প্রায় এক ঘণ্টার মতো আমি তাসবিহ পড়ি। মসজিদের চারপাশ দেখে মুগ্ধ হয়ে যাই। মসজিদের ভেতরের সৌন্দর্য অবাক করার মতো। ভেতরে পরিবেশ অত্যন্ত শান্ত ও নীরব।

তিনি আরও বলেন, আমার সামনে অনেক মানুষকে একসাথে নামাজ আদায় করতে দেখি। মসজিদের ভেতরের অবিশ্বাস্য মুগ্ধকর দৃশ্য ও নীরব পরিবেশ উপভোগ করতে থাকি। আমাকে দেখে কেউ আওয়াজ করছেন না দেখে খুবই অবাক হই। এরপর একপর্যায়ে আমি পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলামকে আমার জীবন বিধান হিসেবে গ্রহণ করি। শান্তির ধর্ম ইসলাম গ্রহণের পর আমার মনে হয়েছে যেন আমি নবজীবন লাভ করেছি।




সাংবাদিক রোজিনার জামিনে প্রমাণিত হলো আদালত সম্পূর্ণ স্বাধীন: ওবায়দুল কাদের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের জামিন পাওয়ার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে আদালত সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং সরকার এতে কোনোরূপ হস্তক্ষেপ করেনি।

শেখ হাসিনা সরকার সাংবাদিকবান্ধব উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশের সাংবাদিক ও সংবাদপত্র শিল্পের জন্য সরকার যা করেছে ৭৫ পরবর্তীকালে আর কোনো সরকার কার্যতঃ কিছুই করেনি।

রোববার সকালে জাতিসংঘ গ্লোবাল রোড সেফটি উইক অনলাইন লাইভ আলোচনা যুক্ত হয়ে সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

রোজিনা ইস্যুতে সাংবাদিকদের জন্য যারা মায়া কান্না করছে সেই বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী মামলা করেছিল বলেও স্মরণ করিয়ে দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

অনুষ্ঠানে আগামীকাল থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন খালি রেখে এবং সমন্বিত ভাড়ায় দূরপাল্লার পরিবহন চলাচল করবে বলেও জানান সড়ক পরিবহনমন্ত্রী।

গাড়ি চালু করার আগে অবশ্যই গাড়িকে জীবাণুমুক্ত করার নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে শতভাগ মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়ে যাত্রীসাধারণ ও পরিবহন মালিক শ্রমিকদের সহযোগিতা করার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের এই নেতা।

সড়কে নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এমনটি জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, যতই বড় বড় মেগা প্রকল্প এবং সড়ক চার, ছয়, আট লেন হোক না কেন সড়ক ও পরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরে না আসলে জনগণ এর সুফল পাবে না।

সেতুমন্ত্রী বলেন, গত দশ বছরে বাংলাদেশে যোগাযোগ খাতে যে উন্নয়ন সাধিত হয়েছে বিগত কোনো সময়ে হয়নি। দেশের বিভিন্ন এলাকায় একাধিক ফ্লাইওভার নির্মিত হয়েছে, যা এই সরকারের আরো একটি সাফল্য।

তিনি বলেন, পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেলের মত বড় প্রকল্পগুলো চলমান। আশা করা হচ্ছে আগামী বছর এসব প্রকল্প উদ্বোধন করা হবে।