সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে মুক্তির দাবীতে দুর্গাপুর প্রেসক্লাবের প্রতিবাদ

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে গ্রেফতার ও হেনস্থার প্রতিবাদ ও মুক্তির দাবিতে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে দুর্গাপুর প্রেসক্লাব এর আয়োজনে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসক্লাব সভাপতি এস.এম রফিকুল ইসলাম রফিক এর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক জামাল তালুকদার এর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক মো. মোহন মিয়া, নির্মলেন্দু সরকার বাবুল, তোবারক হোসেন খোকন, পল্টন হাজং, ধনেশ পত্রনবীশ, চারণ গোপাল রনি রিফাত আহমেদ রাসেল,কলি হাসানসহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ।

প্রতিবাদ সভায় বক্তারা রোজিনা ইসলামকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিসহ রোজিনা ইসলাম কে নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করেন।

এর আগে দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে নারী সাংবাদিক সংগঠন (নাসাস) এর উপজেলা কমিটির সভাপতি সাংবাদিক রাখী দ্রং এর সভাপতিত্বে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।




সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের মামলা ডিবিতে স্থানান্তর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দৈনিক প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের করা অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট মামলা ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। বুধবার (১৯ মে) দুপুরে নিশ্চিত করেছেন রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার আজিমুল হক।

এদিকে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা ও গ্রেফতারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি বলেছে, বিষয়টির দিকে তারা নজর রাখছে। এটি স্পষ্টতই উদ্বেগের বিষয়। মঙ্গলবার (১৮ মে) জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের সাংবাদিককে হয়রানি ও গ্রেফতার সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এ কথা বলেন। সেই সঙ্গে বুধবার (১৯ মে) সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা ও মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন সংগঠন। এ সময় প্রতিবাদকারীরা অনুসন্ধানী রিপোর্টার রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা করার তীব্র নিন্দা জানান। একই সঙ্গে অবিলম্বে তার মুক্তির দাবি করেন সাংবাদিকরা। একই দাবিতে গোপালগঞ্জ, ঝিনাইদহ, ফেনী ও ময়মনসিংহে মানববন্ধন এবং প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন সংবাদমাধ্যমকর্মীরা। উল্লেখ্য, সোমবার (১৭ মে) বিকেল ৩টার দিকে রোজিনা ইসলাম পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। স্বাস্থ্য সচিবের একান্ত সচিবের কক্ষে ফাইল থেকে নথি সরানোর অভিযোগে তাকে ওই রুমে আটকে রাখা হয় এবং তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়া হয়। নিজের ওপর নির্যাতনেরও অভিযোগ তোলেন রোজিনা। একপর্যায়ে সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পর তাকে শাহবাগ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রাতে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় চুরি ও অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনে মামলা করা হয়। সকালে রোজিনাকে আদালতে তুলে পাঁচদিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। অন্যদিকে জামিন চান তার আইনজীবী। আদালত জামিন ও রিমান্ড নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।