দুর্গাপুর সরকারি কলেজে উপবৃত্তি প্রাপ্ত থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা

ডিএবনি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেনীর সরকার কর্তৃক ঘোষিত শিক্ষা উপবৃত্তি প্রাপ্তির নির্ধারিত আবেদন ফরম কলেজের অবহেলায় নির্ধারিত সময়ে অনলাইনে পোস্টিং না করায় বৃত্তিপ্রাপ্ত থেকে বঞ্চিত হচ্ছে হাজারো শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এমনটাই জানালেন স্থানীয় শিক্ষার্থীরা।
এ নিয়ে সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলা সদরের সুসঙ্গ সরকারি মহাবিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণীর উপবৃত্তির ফরম নিয়ে কলেজ আঙ্গিনায় শিক্ষার্থীরা ঘোরাফিরা করছে। কলেজ থেকে একটি প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, আগামী ২৬ এপ্রিল বিকাল ২ঘটিকা পর্যন্ত ফরম জমা দেয়া যাবে। অথচ সরকার কর্তৃক ঘোষিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ২৭ এপ্রিল রাত ১২ঘটিকার মধ্যে অনলাইনে শিক্ষার্থীদের সকল আবেদন পোস্টিং করতে হবে। বিশ্বস্ত সুত্রে খবর নিয়ে জানাগেছে, এ পর্যন্ত ঐ কলেজে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে মানবিক শাখায় ৮শত, বিজ্ঞান শাখায় ১৫০ ও বানিজ্য শাখায় ১১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। উপবৃত্তি প্রাপ্তির জন্য প্রায় ৯শত ৭১ জন ফরম জমা দিলেও এখন পর্যন্ত অনলাইনে একজনের ফরমও পোস্টিং দেয়া হয়নি। এ ছাড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, উপবৃত্তির টাকা পেতে অনলাইনে ফরম পূরনের জন্য ১০০ টাকা করে চেয়েছে অফিসের লোকজন। কয়েকজন অভিভাবক বলেন, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা দিতে সেখানেও চাঁদা দিতে হবে আমাদের। আমরা দরিদ্র মানুষ টাকা কোথায় যাব। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা যায়, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের উপবৃত্তির ফরম গত ২৭ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত অনলাইনে পোস্টিং দেয়ার সময়সীমা বেঁধে দেয়া ছিলো। কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীদের ফরম অনলাইনে পোস্টিং দিলেও কলেজ কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের ফরম এখনো পোস্টিং দিতে পারেননি। ফরম পোস্টিং নিয়ে কলেজ অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, উপবৃত্তির বিষয়ে ফরম পূরণ করতে কারও নিকট থেকে কোনো টাকা নেয়া হয়নি। সার্ভার সমস্যা থাকার কারণে নির্ধারিত সময়ে শিক্ষার্থীদের ফরম পোস্টিং দেয়া যায়নি তবে তিনি আশাবাদী, অচিরেই এ সমস্যার সমাধন করতে পারবেন।




দুর্গাপুরে রাস্তার কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

নেত্রকোণার দুর্গাপুরে কাকৈরগড়া ইউনিয়নের এলজিএসপি-৩ রাস্তা নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ঐ ইউনিয়নের পূর্ব বিলাশপুর গ্রামের জামে মসজিদ সংলগ্ন নির্মিত রাস্তার কাজ শেষ করা হয়েছে।
রাস্তার দৈর্ঘ্য ৫৭ মি. প্রস্থ ২ দশমিক ২৮০ মি.। এই কাজে এলজিএসপি-৩(লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট) প্রকল্পের অর্থায়নে ২০১৯-২০ অর্থবছরে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে দুই লাখ। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ঐ রাস্তাটি সম্পন্ন করার প্রকল্প কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন সংশ্লিস্ট ইউপি মেম্বার মো.শফিকুল ইসলাম। বরাদ্দ অনুসারে কাজে উন্নতমানের সামগ্রি ব্যবহার করার কথা থাকলেও চিত্র দেখা গেছে ভিন্ন। বক্স কাটা মাটি আর নিম্ন মানের বালু মিশ্রিত করে ঐ রাস্তাটি নির্মিত হচ্ছে। বক্স কাটার পরে বালু ফিলিং না করেই কোথাও ৬ ইঞ্চি, কোথাও ৭ইঞ্চি ফাঁকা করে ব্রিক ফ্লাট সলিং করা হয়েছে। মাটি আর বালু মিশিয়ে রাস্তার কাজ পুরোটাই নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
কাকৈরগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর নুর মোহাম্মদ এইচবিবি’র রাস্তার কাজটি বাস্তবায়ন করার কথা থাকলেও প্রকল্প কমিটির সভাপতি শফিক মেম্বার নানা অনিয়মের মধ্য তড়িগড়ি করে কাজ শেষ করার পায়তারায় লিপ্ত রয়েছেন। স্থানীয় চেয়ারম্যান রাস্তার কাজে অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনিয়ম খবর আপনার মাধ্যমেই জানলাম। আমরা এসব কাজ করার পর অর্থ বরাদ্দ পাই। তবে আমি ঐ প্রকল্পের কাজটি পরিদর্শন করেছি। অনেকটা কাজ পুনরায় করেছি। আর ভুল ক্রুটি তো থাকতেই পারে। এ বিষয়টি পত্রিকায় না লিখলেও তো পারো। বর্তমান সরকার যেখানে গ্রামে শহরের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করতে বদ্ধ পরিকর সেখানে গ্রামীণ হেরিং বন্ড রাস্তার কাজে অনিয়মে হতাশ গ্রামবাসীরা। স্থানীয় প্রাক্তন ইউপি মেম্বার আলকাছ উদ্দিন অনিয়ম প্রসঙ্গে বলেন, বর্তমান মেম্বার শফিক নি¤œমানের সামগ্রি, চার লড়ি বালু, ৬/৭ ইঞ্চি দূরত্ব পরপর ইট বসিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। প্রায় নব্বই ফুট রাস্তা ৭ফুট প্রস্থ করে নির্মাণ করে ফেলার পর সংশ্লিদের কাজের ইস্টিমেট চাইলে পরে ঐ নির্মিত রাস্তার উত্তর পাশ দিয়ে আরও ১ ফুট রাস্তা বৃদ্ধি করে। এসকল অনিয়মের বিরুদ্ধে আমি ও স্থানীয় জনতাদের নিয়ে প্রতিবাদ করেছি। অনিয়মের বিষয়টি তদন্ত করে পুণরায় কাজ নির্মাণের দাবীও জানান তারা। প্রকল্প কমিটির সভাপতি ও ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম ঐ এইচবিবি রাস্তার অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঐ রাস্তার বরাদ্দ অনুসারে কাজ করা হচ্ছে। ব্রিক ফ্লাট সলিং বসানোর কাজটি পাতলা করে হয়তো মিস্ত্রি বসিয়েছে। এ বিষয়টি আমি দেখছি তবে এ ছাড়া আর কোন অনিয়ম আছে বলে আমি মনে করিনা। উপজেলা সাব-এ্যাসিসটেন্ড প্রকৌশলী মো.সারওয়ার প্রতিবেদককে বলেন, আমি শুধু মাত্র ইস্টিমেইট করেছি। প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। কোন অনিয়মের ঘটনা ঘটে থাকলে অবশ্যই আমি সরেজমিনে যাবো।
এলজিএসপি’র জেলা ফ্যাসিলেটর মো. মাসুদ কবির এ প্রতিবেদককে জানান, দুই লাখ টাকা পর্যন্ত বরাদ্দের কাজটি কোটেশন আকারে ঠিকাদারের মাধ্যমে করানো হয়ে থাকে। দশ লাখ থেকে শুরুকরে কাজ গুলি দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমে করানো হয়, পদাধীকার বলে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার এ কাজটি দেখভালের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এ কাজে কোন ধরণের অনিয়মের সুযোগ নেই। যদি অনিয়ম হয়ে থাকে সরেজমিন তদন্ত পূর্বক বিল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রাপ্য অনুযায়ী বিল দেওয়া হবে। কতটুকু কাজ করা হয়েছে, তার মান নিয়ে উপজেলা সাব-প্রকৌশলী প্রত্যয়ন দিলেও রাস্তার কাজ দেখে বিল দেয়া হয় বলেও তিনি জানান। মেম্বার শফিকুল ইসলাম জানান কিছু জায়গায় সমস্যা ছিল তা পরে ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও)মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান এ প্রতিবেদককে জানান, রাস্তার কাজে কোন অনিয়ম কিংবা নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করা হলে এবং এর প্রমান মিললে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।।




করোনা: গুজরাটের পর দিল্লির মসজিদে ‘কোয়ারেন্টিন সেন্টার’ স্থাপন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসায় ভারতের গুজরাটের পর রাজধানী দিল্লির গ্রিন পার্ক মহল্লার একটি মসজিদে সাময়িক কোয়ারেন্টিন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। মসজিদের ভেতরে দশটি বেড দেয়া হয়েছে। এছাড়া রোগীদের জন্য খাবার, ওষুধ, মাস্ক ও স্যানিটাইজারের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা এতে করা হয়েছে। মসজিদের ম্যানেজিং কমিটির জয়েন্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ সেলিম জানান, করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় তারা মসজিদে কোয়ারেন্টিন সেন্টার স্থাপন করেন। ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুসারে তারা এখানে রোগীদের ভর্তি করাচ্ছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা রোগীদের জন্য ওষুধ, মাস্ক, স্যানিটাইজার ও পিপিইর ব্যবস্থা করছি। যদিও বর্তমানে আমাদের কাছে অক্সিজেন নেই তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরবরাহের চেষ্টা করছি।’ ভারতে দ্বিতীয় ধাপের করোনাভাইরাস সংক্রমণের ধাক্কায় দেশটির বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসাকে করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহারে কাজে লাগাচ্ছেন মুসলমানরা।




পশ্চিমবঙ্গে মমতার মহাজয়

ডিএবি নিউজ ডেস্ক:

পশ্চিমবঙ্গে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। রোববার বেসরকারি ফলাফলে ২৯২ আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ১৯০ আসন। আর ৯৫টি আসনে বিজেপি জয় লাভ করেছে।

আনন্দবাজার পত্রিকার খবর অনুযায়ী, বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফলে ১৯০টি আসনে এগিয়ে তৃণমূল। অন্যদিকে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৯৫টি আসনে।

এদিন, সকাল থেকে এখনও আট দফার নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হচ্ছে। ভারতীয় সময় সকাল ৮টা (বাংলাদেশ সাড়ে ৮টা) থেকেই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ২৯২টি আসনের ভোট গণনা শুরু হয়।

বিধানসভার মোট আসন ২৯৪টি থাকলেও দুই প্রার্থী মারা যাওয়ায় ওই দুটি আসনের নির্বাচন স্থগিত করা হয়। সমশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে করোনা সংক্রমিত হয়ে দুই প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ওই দুই আসনে ভোট হবে ১৬ মে।