ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা আসলামুল হক আর নেই

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক: ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আসলামুল হক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। রোববার বেলা ১২টায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, শনিবার আসলামুল হক হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোববার বেলা ১২টায় সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

আসলামুল হক ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একই সময়ে তিনি জাতীয় সংসদে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সবশেষ ২০১৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।




লকডাউনের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার, থাকছে যেসব বিধি-নিষেধ

ডেস্ক রেোপর্ট: করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় আগামী ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।

রোববার (৪ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এর আগে শনিবার সকালের দিকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করছে সরকার।

‘করোনাভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে শর্ত সাপেক্ষে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ’ শিরোনামের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের বিদ্যমান পরিস্থিতি পর্যালোচনায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কর্তৃক গত ২৯ মার্চ তারিখের ১৮ দফা নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

ওই স্মারকের ধারাবাহিকতায় আগামী ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত মেয়াদে প্রতিপালনের জন্য প্রজ্ঞাপনে ১১টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

১. সকল প্রকার গণপরিবহন (সড়ক, নৌ, রেল ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট) বন্ধ থাকবে। তবে পণ্য পরিবহন, উৎপাদন ব্যবস্থা, জরুরি সেবাদানের ক্ষেত্রে এই আদেশ প্রযোজ্য হবে না। এছাড়া, বিদেশগামী/বিদেশফেরত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না।

২. আইন-শৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন- ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের (স্থলবন্দর, নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত থাকবে।

৩. সব সরকারি/আধাসরকারি/স্বায়ত্তশাসিত অফিস ও আদালত এবং বেসরকারি অফিস কেবল জরুরি কাজ সম্পাদনের জন্য সীমিত পরিসরে প্রয়োজনীয় জনবলকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় অফিসে আনা-নেওয়া করতে পারবে। শিল্প-কারখানা ও নির্মাণ কার্যাদি চালু থাকবে। শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পরিবহন ব্যবস্থাপনায় আনা-নেওয়া করতে হবে। বিজিএমইএ ও বিকেএমইএকে শিল্প-কারখানা এলাকায় কাছাকাছি সুবিধাজনক স্থানে তাদের শ্রমিকদের জন্য ফিল্ড হাসপাতাল/চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

৪. সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া (ঔষধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকার ইত্যাদি) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না।

৫. খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় কেবল খাদ্য বিক্রয়/সরবরাহ করা যাবে। কোনো অবস্থাতেই হোটেল-রেস্তোরাঁয় বসে খাবার গ্রহণ করা যাবে না।

৬. শপিংমলসহ অন্যান্য দোকান বন্ধ থাকবে। তবে দোকান, পাইকারি ও খুচরা পণ্য অনলাইনের মাধ্যমে কেনাবেচা করতে পারবে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই সর্বাবস্থায় কর্মচারীদের মধ্যে আবশ্যিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং কোনো ক্রেতা স্বশরীরে যেতে পারবে না।

৭. কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনা-বেচা করা যাবে। বাজার কর্তৃপক্ষ/স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করবে।

৮. ব্যাংকিং ব্যবস্থা সীমিত পরিসরে চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।

৯. সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ঢাকায় সুবিধাজনক স্থানে ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

১০. সারাদেশে জেলা ও মাঠ প্রশাসন এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের কার্যকর পদক্ষেপ নেবে এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত টহল জোরদার করবে।

১১. এই আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




দুর্গাপুরে দুংসাহসিক চুরি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক: নেত্রকোনার দুর্গাপুরে এক দুংসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার মধ্যরাতে কেনো এক সময়ে দুর্গাপুর পৌর শহরের তেরীবাজারে অবস্থিত পৌর মেয়র আলা উদ্দিনের স্বর্না ব্রিকস অফিস কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।

সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় অফিস করে শুক্রবার রাতে কর্মকর্তাগন অফিসে তালা লাগিয়ে বাসায় চলে যায়। শনিবার সকালে অফিস স্টাফ জয়দেব চত্রুবর্তী অফিসের তালা খুলে ভিতরে গিয়ে দেখতে পায় উপরে ঘরের টিন খুলা এবং অফিসের আলমারী ড্রয়ার খুলা অবস্থায় রয়েছে। এরপর পুলিশকে খবর দেয়া হয়। এ বিষয়ে পৌর মেয়রের ম্যানেজার ধনেশ পত্রনবীশ বলেন ইট বিক্রির টাকা সহ অনুৃমানিক ৩০ লক্ষ টাকা ছিলো ড্রয়ার ও আলমারিতে।

ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফখরুজ্জামান জুয়েল, দুর্গাপুর সার্কেলের এএসপি মাহমুদা শারমীন নেলী, থানা তদন্ত ওসি মীর মাহাবুবুর রহমান।

[৬] এ বিষয়ে দুর্গাপুর সার্কেলের এএসপি মাহমুদা শারমীন নেলী বলেন , এখনো অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পাওয়া মাত্র আইন আনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।




করোনা নিয়ন্ত্রণে মাস্কের বিকল্প নেই

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

সাবেক রাষ্ট্রপতি মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, ‘মার্চের শুরুতেই করোনা সংক্রমণ আবার বাড়তে শুরু করেছে। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। হাটে বাজারে, বিপণিবিতানে মাস্ক ছাড়া চলাফেরা করছে মানুষ। করোনা থেকে বাঁচতে মাস্ক ব্যবহারের বিকল্প নেই। আমি মনে করি যথাযথভাবে মাস্ক ব্যবহার করলে ৮০-৯০ ভাগ করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।’ গতকাল তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘প্রতিদিনই করোনা আক্রান্ত রেকর্ড ছাড়াচ্ছে। জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির দিকনির্দেশনা অবশ্যই আমাদের মানতে হবে। বিশেষ করে সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। আমি মনে করি মাস্ক ব্যবহার করলেই করোনা নিয়ন্ত্রণ অনেকাংশেই সম্ভব। সরকারকে এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। সবাইকে বলব আপনারা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলুন। প্রয়োজনে বাইরে গেলে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করুন। করোনা সংক্রমণ কমে আসায় সামাজিক অনুষ্ঠান, পিকনিক, কনসার্টের হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। ভিড়, গাদাগাদিতে উপেক্ষিত ছিল স্বাস্থ্যবিধি। এর ফলে সংক্রমণ হার বেপরোয়াভাবে বাড়তে শুরু করেছে।




সোমবার থেকে আবারো সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ফের লকডাউনে যাচ্ছে পুরো দেশ। সোমবার থেকে সারাদেশে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় আগামী সোমবার ৫ এপ্রিল থেকে সারাদেশ এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করতে যাচ্ছে সরকার।

অন্যদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও এ কথা বলা হয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে, দ্রুত ছড়াতে থাকা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার দুই-তিন দিনের মধ্যে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউনের চিন্তা করছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

গেল কয়েকদিন ধরেই প্রতিদিন ছয় হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার একদিনে শনাক্ত সাত হাজারের কাছাকাছি পৌঁছায়।

এছাড়া করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ইতোমধ্যে বন্ধ করা হয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানের পর্যটন কেন্দ্র। বাতিল করা হচ্ছে হোটেল-মোটেলে আগাম নেয়া বুকিং। পাশাপাশি নতুন বুকিংও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

এছাড়া কোথাও সন্ধ্যার পর জনগণের চলাচল সীমিত করা হয়েছে। আবার কোথাও ওষুধ এবং কাঁচামালের দোকান ও বাজার বাদে অন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এসব নির্দেশনার প্রায় সবই স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে এসেছে। বৃহস্পতিবার থেকে এ নিষেধাজ্ঞা থাকবে মধ্য এপ্রিল পর্যন্ত।

প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অমান্য করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারিও আছে। এর আগে গত বছর ২৬ মার্চ থেকে দেশের পর্যটন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রথমে লকডাউনের আওতায় ছিল। পরে লকডাউন উঠে গেলেও অনেক প্রতিষ্ঠান প্রায় ৫ মাস বন্ধ ছিল।