১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউন, প্রজ্ঞাপন জারি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

করোনা সংক্রমণ মারাত্মকভাবে বেড়ে যাওয়ায় প্রথম দফায় মানুষের চলাচল ও কার্যক্রমে বিধি-নিষেধ আরোপের পর আগামী ১৪ এপ্রিল (বুধবার) থেকে সাত দিনের জন্য কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।

১৪ থেকে ২০ এপ্রিল সময়ে জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব অফিস এবং গণপরিবহন ও শিল্প-কলকারখানা বন্ধ থাকবে।

এমন বিধি-নিষেধ আরোপ পরে সোমবার (১২ এপ্রিল) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এসব বিধি-নিষেধ কঠোরভাবে পালনের জন্য সংশিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিবদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

গতবছরের শেষে এবং এবছরের শেষে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে যেতে থাকলেও মার্চ থেকে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। এরপর গত ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে সাত দিনের লকডাউন বা বিধি-নিষেধ জারি করে সরকার। জরুরি প্রয়োজনে সীমিত পরিসরে অফিস চালু রেখে এই বিধি-নিষেধের মেয়াদ ১১ এপ্রিল রাত ১২টায় শেষ হচ্ছে। এ নিয়ে গত ৪ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এরপর তা ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা পর্যন্ত বর্ধিতত করা হয়।

কিন্তু বিধি-নিষেধ শুরু হলে গণপরিবহনের অভাবে যাত্রীদের দুর্ভোগের মধ্যে বিক্ষোভের মুখে ৭ এপ্রিল সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিটি কর্পোরেশন এলাকার মধ্যে গণপরিবহন চালু রাখার অনুমতি দেয়। তবে শপিংমল ও দোকানপাট বন্ধ থাকায় তাদেরও আন্দোলনের মধ্যে ৯ থেকে ১৩ এপ্রিল সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়ে ৮ এপ্র্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করে।

গতবছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ দেখা যাওয়ায় ১৮ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ২৬ মার্চ থেকে কঠোর লকডাউন বা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শেষে জনজীবন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক করার মধ্যে আবারও বেড়ে যায় করোনা সংক্রমণ। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনও বন্ধ রয়েছে।

সবশেষ ১০ এপ্রিল দেশে করোনা সংক্রমণে মারা যায় ৭৭ জন এবং নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৩৪৩ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৯৩৭ জন এবং মোট মৃত্যু ৯ হাজার ৬৬১ জনের।




গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে: আমীরে হেফাজত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

হাটহাজারী থেকে গত রাত গুম হওয়া হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদীকে সুস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া ও নারায়ণগঞ্জের মদনপুর থেকে আটক হওয়া হেফাজতের সহ-অর্থ সম্পাদক মুফতী ইলিয়াস হামিদিসহ সারাদেশে গ্রেফতার হওয়া হেফাজত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন আমীরে হেফাজত, হাটহাজারী মাদরাসার শায়খুল হাদীস ও শিক্ষা পরিচালক আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

আজ ১২ এপ্রিল (সোমবার) সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে আমীরে হেফাজত বলেন, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় আমরা গভীরভাবে উদ্বীগ্ন ও চিন্তিত। গত রাত থেকে এখন পর্যন্ত তাঁর কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। দেশের একজন বড় আলেম ও সচেতন নাগরিক হিসেবে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকার, প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ছিলো। অনতিবিলম্বে আজিজুল হক ইসলামাবাদীকে সুস্থ শরীরে আমাদের মধ্যে ফিরিয়ে দিতে হবে। দক্ষ আলেম মুফতী ও খানকার পীর,মারকাজুল কুরআন মাদরাসার মোহতামীম মুফতি ইলিয়াস হামিদিসহ আটককৃত হেফাজতের সকল নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। নিরপরাধ মানুষকে এভাবে গ্রেফতার ও হামলা মামলা বরদাশত করা হবে না।

আমীরে হেফাজত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী আরো বলেন, কিছুদিন আগে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হেফাজতের নেতাকর্মীদের শহীদ করেছে। রক্তাক্ত করেছে। এরপরও দেশের বিভিন্ন জায়গায় একের পর মিথ্যা মামলা করা হচ্ছে হেফাজত নেতাকর্মীদের নামে। হেফাজতে ইসলাম দেশে শান্তি শৃঙ্খলা চায়। তবে জুলুমবাজদের জুলুমের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেলে দেশবাসীকে সাথে নিয়ে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।

হুশিয়ারি উচ্চারণ করে আমীরে হেফাজত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, আমাদের নিকট খবর এসেছে, গভীর রাতে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হেফাজত নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে। হেফাজতে ইসলাম দেশে নৈরাজ্য ও সন্ত্রাস চায় না। হেফাজত ইসলাম শান্তি চায়। হেফাজতে ইসলাম একটি সুশৃঙ্খল ও শান্তিপ্রিয় সংগঠন। তবে নেতাকর্মীদের উপর এভাবে জুলুম চলতে থাকলে আমরা নিশ্চুপ ঘরে বসে থাকবো না।




হেফাজতের ৪ নেতা গ্রেপ্তার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হককে স্ত্রীসহ আটকের জেরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে ভাঙচুর ও মহাসড়কে নাশকতা সৃষ্টির মামলার প্রধান আসামিসহ দলটির ৪ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১১।

সোমবার (১২ এপ্রিল) সকালে র‍্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম বলেন, সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে ভাঙচুর ও মহাসড়কে নাশকতা সৃষ্টির মামলার প্রধান মাওলানা ইকবালসহ চার জনকে রোববার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর জুরাইন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-১১ এর একটি দল। গ্রেপ্তাররা মামলার এজাহারভুক্ত ১, ২, ৪ ও ৬ নম্বর আসামি।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- হেফাজত নেতা মাওলানা ইকবাল (প্রধান আসামি), মাওলানা মহিউদ্দিন, মাওলানা শাহজাহান শিবলী ও মাওলানা মোয়াজ্জেম। তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে মাওলানা ইকবাল ও মাওলানা মহিউদ্দিন হেফাজতের বড় নেতা। গ্রেপ্তার চার জনকে সোনারগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।




মক্কা-মদিনায় ১০ রাকাত তারাবি পড়ার নির্দেশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বিশ্বব্যাপী চলমান করোনা মহামারির কারণে মক্কার মসজিদুল হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে তারাবির নামাজের রাকাত সংখ্যা কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান।

দুই পবিত্র মসজিদের সম্পর্ক বিষয়ক প্রধান শাইখ আব্দুর রহমান আল-সুদাইস জানিয়েছেন, এবারের রমজানে দুই পবিত্র মসজিদে তারাবি নামাজের রাকাত সংখ্যা ২০ থেকে কমিয়ে ১০ রাকাত আদায় করা হবে। এছাড়া মসজিদুল হারামে এবার ইতিকাফ ও ইফতারের আয়োজন বাতিল করা হয়েছে।

তিনি জানান, করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে মসজিদের প্রেসিডেন্সি এবং ওমরাহ পালনকারীদের সেবায় নিয়োজিত অন্যান্য সংস্থা যেসব পূর্বসতর্কতা ও সুরক্ষামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে সেগুলো কঠোরভাবে মেনে চলা হবে। করোনাকালে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও ১০ রাকাত তারাবিহ দুই মসজিদের শীর্ষ কর্মকর্তা ও জীবাণুমুক্তকরণে নিয়োজিত কর্মীদের উপস্থিতিতে আদায় হবে। সূত্র: সৌদি গেজেট।




দুর্গাপুরে স্যার হ্যানিম্যানের ২৬৬ তম জন্মবার্ষিকী পালিত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে হোমিওপ্যাথির জনক ডাক্তার স্যামুয়েল হ্যানিম্যান এর ২৬৬ তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে এক আলোচনা সভার মাধ্যমে এ দিবসটি পালিত হয়।

এ উপলক্ষে পৌরশহরের বিসমিল্লাহ হোমিও সেন্টার মিলনায়তনে বাংলাদেশ ডিএইচএমএস ডক্টরস এসোসিয়েশন দুর্গাপুর উপজেলা শাখার সহঃসভাপতি ডাঃ তাপস চন্দ্র পন্ডিত এর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক ডা. কামরুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় স্যার স্যামুয়েল হ্যানিম্যান এর উদ্ভাবন এবং বর্তমান করোনা প্রেক্ষাপটে হোমিও চিকিৎসার সাফল্য নিয়ে অন্যদের মধ্যে আলোচনা করেন, ডাঃ বিজন কিশোর রায়, ডাঃ সায়েদুর রহমান, শিক্ষানবিশ ডা. মো. শহিদুল ইসলাম, ডা. আজিজুল ইসলাম, সাংবাদিক এইচ.এম. সাইদুল ইসলাম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, একমাত্র ধ্যান ও তপস্যার মধ্য দিয়ে আর্তমানবতার সেবায় রোগমুক্তির লক্ষে চিকিৎসা জগতে নব দিগন্তের দ্বার উন্মোচন করে গেছেন স্যার স্যামুয়েল হ্যানিম্যান। আমরা তার কাছে চিরঋনী। হোমিও চিকিৎসার নির্দেশনা গুলো আমাদের কর্মের মাঝে বেঁচে থাকলেই স্যার বেঁচে থাকবেন। হোমিও চিকিৎসায় নানা রোগের সমাধান রয়েছে। সকলকে হোমিও সেবার নানা তথ্য উদঘাটনে এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়।




ভারতে মুসলিম দিনমজুরের লাইব্রেরিতে দুষ্কৃতকারীর আগুন, ৪ হাজার কুরআন পুড়ে ছাই

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় কর্ণাটক রাজ্যের মাইসুরু শহরে মুসলিম এক দ্নিমজুরের চালানো লাইব্রেরিতে আগুন দিয়েছে দুষ্কৃতকারীরা। শুক্রবারের এই অগ্নিকাণ্ডে এই লাইব্রেরিতে থাকা চার হাজার কপি কুরআন, বাইবেল ও গীতাসহ মোট ১১ হাজারের বেশি বই পুড়ে গেছে বলে খবর জানায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।

৬২ বছর বয়সী মুসলিম দিনমজুর সৈয়দ ইসহাক দারিদ্র্যের কারণে শৈশবে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন। কিন্তু শিক্ষার প্রতি তার আগ্রহ থেকে নিজের প্রচেষ্টায় এই লাইব্রেরি তৈরি করেন তিনি। স্থানীয় রাজিব নগর ও শান্তিনগর এলাকার মানুষ বিনামূল্যে এই লাইব্রেরিতে এসে বই পড়তে বা ধার করতে পারতো।

সংবাদমাধ্যমের কাছে সাক্ষাতকারে সৈয়দ ইসহাক বলেন, ‘ভোর ৪টায় লাইব্রেরির কাছাকাছি থাকা এক লোক আমাকে ভেতরে আগুন লাগার কথা জানায়। অল্প কিছু দূরে থাকা লাইব্রেরিতে যখন আমি ছুটে যাই, আমি তখন শুধু সব পুড়ে ছাই হতে দেখি।’

লাইব্রেরির ৮৫ ভাগ বই কানাড়া ভাষার হলেও ইংরেজি ও উর্দু ভাষায়ও কিছু বই সেখানে ছিলো। তিনি বলেন, ‘লাইব্রেরিতে তিন হাজারের বেশি ভগবদ গীতার বিচিত্র সংগ্রহ ছিল। এছাড়া এক হাজারের বেশি কুরআন ও বাইবেলের কপি ছিল লাইব্রেরিতে। সাথে সাথে আরো হাজার হাজার বিভিন্ন বিষয়ের ওপর বইয়ের সংগ্রহ ছিল যা আমি বিভিন্ন দাতার কাছ থেকে সংগ্রহ করি।’

যদিও সৈয়দ ইসহাক নিজের অর্থে লাইব্রেরির বই সংগ্রহ করেননি, তবে লাইব্রেরি রক্ষণাবেক্ষণ এবং কানাড়া, হিন্দি, উর্দু ও ইংরেজি ভাষার ১৭টির বেশি দৈনিক পত্রিকা সংগ্রহ করতে তিনি তার মজুরির অর্থ থেকেই খরচ করেন।

আগুন লাগানোর ঘটনায় ইসহাক উদয়গিরি পুলিশ স্টেশনে দুষ্কৃতকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৩৬ ধারার অধীনে এজাহার নেয় এবং দুষ্কৃতকারীদের ধরতে অভিযান শুরু করে।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দমে যাননি সৈয়দ ইসহাক। তিনি আবার লাইব্রেরিটি গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন।

অনলাইনে তহবিল সংগ্রহের ভারতীয় প্ল্যাটফর্ম কিটোতে লাইব্রেরিটি গড়ার জন্য তার নামে একটি তহবিল সংগ্রহ অভিযান চালু করা হয়েছে।




করোনায় আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। রোববার হাসপাতালসহ একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে গণমাধ্যম বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে।

সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, কয়েক দিন ধরে খালেদা জিয়া জ্বরে ভুগছেন। তাই তিনি করোনা সংক্রমিত কিনা জানতে শনিবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে তার রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপর ঢাকার অন্যতম একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার করোনা পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। সেই পরীক্ষার ফল পজিটিভ এসেছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, শনিবার বিকেল ৩টার দিকে ধানমন্ডির ওই বেসরকারি হাসপাতালের করোনা ইউনিট থেকে একজন টেকনোলজিস্ট খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজায় যান। এর আগে ওই হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করেন খালেদার জিয়ার পরিবার ও তার চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্টরা। রক্তের নমুনা নেওয়ার সময় খালেদা জিয়ার ভাগ্নে ডা. মামুনও সেখানে ছিলেন। করোনা পরীক্ষার পাশাপাশি তার ডায়াবেটিস টেস্টের জন্যও নমুনা নেওয়া হয়। গোপনীয়তার সঙ্গে এই কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বিএনপির দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে রাজি হননি।

খালেদা জিয়া সরকারের নির্বাহী আদেশে জামিনে রয়েছেন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় তাকে কারাগারে যেতে হয়েছিল। দুই বছরের বেশি সময় কারাগারে থাকার পর গত বছর করোনা মহামারির কারণে পরিবারের আবেদনে তাকে ছয় মাসের জামিনে মুক্তি দেয় সরকার, যা তিন দফায় বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার সঙ্গে পরিবারের সদস্য ও ব্যক্তিগত চিকিৎসক বাদে অন্য কেউ দেখা করতে পারেন না।




দেশে এক মাসেই ৩৫২ নারী-শিশুকে নির্যাতন, ধর্ষণের শিকার ৭০ শিশু

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

চলতি বছরের মার্চ মাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ১০৯টি এর মধ্যে ৭০ জনই শিশু। এছাড়াও ৩৫২ জন নির্যাতিত নারী ও শিশুর মধ্যে ১৯৯ জন নারী ও ১৫৩ জন কন্যাশিশু রয়েছে। ১০ এপ্রিল দেশের ১৩টি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, শুধু মার্চ মাসেই ৬২ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার পাঁচ শিশু। ধর্ষণের পর হত্যার করা হয়েছে একটি শিশুকে। এছাড়াও ১০ শিশুসহ ১৭ জনকে ধর্ষণচেষ্টা করা হয়েছে। যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে আরও ১৭ জন শিশু এবং ১০ শিশুকে অপহরণ করা হয়েছে।

এসিডদগ্ধের শিকার হয়েছেন দু’জন নারী। উত্ত্যক্তের শিকার তিনজন ও অপহরণ ৬ জন। বিভিন্নভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে ১২ শিশুসহ ৪৯ জন। এছাড়াও ১১ জনকে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২০ জন। এদের মধ্যে ৯ জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৭ শিশুসহ ৩৩ জন। বিভিন্ন নির্যাতনের কারণে আত্মহত্যা করেছে ৮ শিশুসহ ১৫ জন। ১২ শিশুসহ ৪৩ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বাল্যবিবাহ সংক্রান্ত ঘটনা ঘটেছে ৫টি। এছাড়াও সাইবার অপরাধের শিকার ৪ শিশুসহ ৭ জন নারী।




১২ এপ্রিল শেষ হচ্ছে অমর একুশে বইমেলা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় নির্ধারিত সময়ের দু’দিন আগে ১২ এপ্রিল শেষ হচ্ছে অমর একুশে বইমেলা। শনিবার (১০ এপ্রিল) সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদকে উদ্ধৃত করে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফয়সাল হাসান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বইমেলা চলার কথা ছিল।

সাধারণত প্রতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বইমেলা শুরু হয়ে চলে পুরো মাস। এবার করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে অনিশ্চয়তায় পড়ে বইমেলা। করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে এ বছর একুশে বইমেলা ভার্চুয়াল বা অনলাইনে করার কথা উঠেছিল। পরে অনিশ্চয়তা কাটিয়ে গত ১৮ মার্চ উদ্বোধন করা হয় ৩৭তম অমর একুশে বইমেলার। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্র ও শনিবার বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা এবং অন্যান্য দিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলছিল। করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে এখন সময় কমিয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত করা হয়। পরে ৫ এপ্রিল থেকে সাতদিনের বিধি-নিষেধ আরোপ করা হলেও বইমেলা বন্ধ করা হয়নি। এই পরিস্থিতিতেও প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত একুশে বইমেলা চলছে।

উল্লেখ্য, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ও সংক্রমণ প্রতিরোধে গত ১ এপ্রিল চলমান বইমেলা, সামাজিক অনুষ্ঠান, বিনোদনকেন্দ্র ও অন্যান্য মেলা অবিলম্বে বন্ধের সুপারিশ করেছিল জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।




মাওলানা রফিকুল ইসলামকে কাশিমপুর কারাগারে স্থানান্তর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

মাওলানা রফিকুল ইসলাম নেত্রকোণাকে গাজীপুর জেলা করাগার থেকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার (১০ এপ্রিল) সকালে র‍্যাব-পুলিশের কড়া প্রহরায় তাকে স্থানান্তর করা হয়। গাজীপুর জেলা কারাগারের সুপার বজলুর রশিদ আখন্দ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, রাষ্ট্রবিরোধী, উস্কানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) র‍্যাব বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গাজীপুরের গাছা থানায় মামলা করে।

পরে ঢাকায় তার নামে আরও একটি মামলা করা হয়। এর আগের দিন বুধবার (৭ এপ্রিল) ভোরে রফিকুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার লেটিরকান্দা থেকে তাকে আটক করে র‍্যাব।