লেখক: সিনিয়র শিক্ষক, ঢাকা দক্ষিণ দারুল উলুম হুসাইনিয়া মাদ্রাসা, সিলেট৷
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ঐ মহান সত্তার যিনি আমাদেরকে সর্বশেষ নবীর উম্মত করে এ নশ্বর পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন এবং তাঁর প্রেরিত নবীর অনুকরণে ইবাদত-বন্দেগী ও দিনযাপনের কথা বলে দিয়েছেন৷আখেরি নবীর উম্মত হওয়াতে আমাদের জন্য এরকম কিছু মওসুম বা সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন যাতে নেক আমল করে বন্দা অধিক হারে পূণ্যের অর্জনের সুযোগ পায়৷ফলে কিয়ামতের দিন বিচারকের সামনে জীবন হিসাবের সংক্ষিপ্তকরণ দেখিয়ে কোন অযুহাত দাঁড় করাতে পারবে না৷ ঐ দিনই পুণ্যের বাঁচ-বিচারে সাব্যস্ত হবে আপনার,আমার সকলের স্থায়ী আবাসন কোথায়? হয়তো চিরস্থায়ী শান্তিনিকেতন জান্নাত,নয়তো অত্যান্ত কঠোর শাস্তির জালানিকেতন জাহান্নাম৷
আর এই বর্ণিত মওসুম কিংবা সময়টি হলো পবিত্র মাহে-রমযান,যার প্রত্যেকটি মূহুর্ত কিংবা সময় অন্যান্য সময়ের চেয়ে অধিক মুল্যবান ও পূণ্যার্যনের আধিক্যতায় বেশি কার্যকরী ও উপযুক্ত৷ যে মাসটিকে মহান আল্লাহ তা’আলা তাঁর একাধিক অনুগ্রহ দ্বারা বরকতপূর্ণ করে তুলেছেন এবং চুড়ান্ত সফলতা অর্জনের লক্ষ্যে যাতে রেখেছেন অবারিত সুযোগ-সুবিধা৷ রমযানে একজন মুমিন বন্দা আরো উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে ইবাদত-বন্দেগি করতে,এমনকি কৃতিত্বের মানদণ্ডে আরো অগ্রগামী হওয়ার নিমিত্তে বোনাস স্বরূপ বে-হিসাব সাওয়াব ও ফজিলতের কথা ঘোষনা দিয়েছেন৷ যেমন-এ মাসে সওয়াবের দিক থেকে একটি ফরজ ৭০টি ফরজ আদায়ের সমান এবং একটি নফল একটি ফরজ আদায়ের সমান। তাই এ সুযোগ গ্রহণে আমাদের উৎসাহী হওয়া একান্ত জরুরি।
এই উৎকৃষ্ট মাসের পরিপূর্ণ ফায়দা হাসিল করতে হলে পূর্বপ্রস্তুতির কোনো বিকল্প নেই। এই মাসটি পাওয়ার জন্য আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সা. এর মন সবসময় উদগ্রীব ছিল৷ বছর ঘুরিয়ে যখন আবার আরবী রজব মাস আসত তখন তিনি অধীর আগ্রহ ও মনোবাসনা নিয়ে মাহে-রমযানের জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনতেন এবং প্রস্তুতি গ্রহণ করতেন৷আর বলতেন-
اللهم بارك لنا في رجب وشعبان بلغنا رمضان
অনুবাদ: ‘হে আল্লাহ! আপনি রজব ও শাবান মাসে আমাদের বরকত দান করুন এবং আমাদেরকে রমযানে পৌঁছে দিন।’ অর্থাৎ- আমাদের নেক হায়াত দান করুন, যাতে আমরা রমযান মাস পেয়ে রমযানের বরকত লাভ করতে পারি এবং তার যথার্থ কদর্য করতে পারি৷
হযরত আয়েশা রা. বলেন- যখন রমযান সমাগত তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পবিত্র রমযানের ইবাদত-বন্দেগির জন্য প্রস্তুতি গ্রহণে কোমর বেঁধে লেগে যেতেন।–(আল-হাদীস)
এছাড়া নবী করীম সা. রমযানের প্রস্তুতি গ্রহণে শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা রাখতেন৷ অন্যদেরকেও এভাবে রমযানের প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ দিতেন। সাহাবায়ে কেরাম,ওলী-আউলিয়া ও পীর-মাশায়েখরা সবাই রমযান আসার পূর্ব থেকেই রোজার প্রস্তুতি নিতেন ৷বিশুদ্ধ রূপে রোজা পালনে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতেন৷
সুতরাং আমাদেরও রমযানের প্রস্তুতি নেয়া একান্ত প্রয়োজন। মুমিন মুসলমানরা এখন সেই প্রস্তুতি নিতে হবে এবং এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে, মানসিক প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে, নিতে হবে বিশেষ পরিকল্পনা।
পূর্বপ্রস্তুতি: প্রত্যেক মুসলমানেরই ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে পরিবারিক, সামাজিক এমনকি রাষ্ট্রিয় পর্যায়েও মাহে-রমযানের প্রস্তুতি গ্রহণ করা দরকার ৷
সে লক্ষ্যে পবিত্র রমযানের আগে নিম্নে বর্ণিত পূর্ব প্রস্তুতিগুলো গ্রহণ করা যায়—
এক.দুনিয়ার যত গর্হিত কাজ যেমন- অন্যায়,অবিচার,পাপাচার ও মিথ্যাচার সহ যাবতীয় খারাবি থেকে প্রথমে নিজেকে সংযত করা অতঃপর পরিবার তথা সমাজকে মুক্ত রাখার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে এবং রহমত-বরকত মাগফেরাত ও নাজাতের মাসে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের লক্ষ্যে পাপাচার মুক্তের দৃঢ় প্রত্যয়ে নিজের মন ও মননশীলতা প্রস্তুত করা এখনই প্রয়োজন৷ যাহা উম্মতে- মুহাম্মদীর এক অনন্য বৈশিষ্ট্যও বটে৷
দুই.যতটুকু সম্ভব প্রয়োজনের তুলনায় স্বল্পহারে দূর-দুরান্তের সফরকে সীমাবদ্ধ করতে হবে,চাইলে সবধরনের সফর,বেড়ানোর কাজ এখন থেকেই শেষ করে নিতে হবে৷ বড় ধরনের কোনো কাজ থাকলে রমযানের আগে বাড়তি শ্রম দিয়ে তা সেরে ফেলা উচিত। যাতে করে রমযানে সফর করে ক্লান্ত শরীর নিয়ে এবাদতে অনিহা প্রকাশ না পায় কিংবা কোন কাজ করতে গিয়ে দৈনন্দিন আমলের রুটিনে ব্যতিক্রম না ঘটে ৷
তিন. রোজার জন্য প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সম্ভব হলে ঈদের বাজারও রমযানের আগেই শেষ করে নেয়া বুদ্ধিমানের কাজ৷ কারণ,রমযানের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কেনা-কাটা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয়ে যে অতিরিক্ত সময় ব্যয় হবে,এতে দৈনন্দিন রুটিনে বিঘ্ন ঘটবে৷সে জন্য রমযানের পূর্বেই যার যার সাধ্যানুযায়ী কেনা-কাটা ও খাদ্যসামগ্রী ক্রয় সম্পন্ন করে ফেলা উত্তম৷যাতে করে খতমে কুরআনের মাধ্যমে তারাবিহের নামাজ আদায় এবং কোরআন তেলাওয়াত সহ অন্যান্য নফল এবাদত-বন্দেগিতে ত্রুটি-বিচ্যুতির সমূহ সম্ভাবনা কম থাকে৷
চার.অতঃপর যারা ব্যবসা বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত রমযান মাসে অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি না করে সবার জন্য সহনশীল হওয়াও জরুরি। প্রকারান্তে তাদের এরূপ আচরণ ধর্মপ্রাণ মুসলমাদের রমজান মাসে পূর্বপ্রস্তুতির অন্তরায় হয়ে যায়৷কেননা অতিরিক্ত মুনাফা লাভে রমযানের দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি করা রোজাদারের হক নষ্ট করার শামিল।সুতরাং ব্যবসায়ী ভাইরা!নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য বৃদ্ধি না করে রোজাদারের যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণে আপনারাও সহায় হউন৷ এটাও আপনাদের এক ধরণের রমযানের সহায়ক প্রস্তুতি ও সওয়াবের কাজ ৷
পরিকল্পনা: রমযান মাসে প্রতিটা দিন আপনি কিভাবে কাটাবেন- সেজন্য দৃঢ় সঙ্কল্পবদ্ধ হয়ে একটি পরিকল্পনা ছক তৈরী করুন। এ পরিকল্পনা আপনাকে দ্বীনের পথে আরো অগ্রসর হতে সহায়তা করবে। রমযানের পরিকল্পনায় নিম্নোক্ত বিষয়গুলো রাখা যেতে পারে—
(ক) কোরআন তেলাওয়াত: মহাগ্রন্থ আল-কোরআন নাজিলের মাস মাহে-রমযান,তাই এ মাসে যত বেশি পারা যায় কোরআন তেলাওয়াত করতে হবে,নিয়মিত কোরআন পাঠের অভ্যাস গড়ার মুখ্যম সময় মাহে-রমযান৷ এ মাসে আপনি কতটুকু কোরআন তেলাওয়াত করতে চান বা পারবেন তা আপনার শক্তি, সামর্থ্য ও সময় বিবেচনায় টার্গেট করুন।
কোরআন তেলাওয়াতের সহিহ শিক্ষা অর্জনের জন্য যথাসাধ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করুন৷কারণ,সহিহ তেলাওয়াত বিশুদ্ধ ভাবে নামাজ আদায়ের প্রধান শর্ত। তাই সব ধরণের জড়তা ও ব্যস্ততাকে পিছনে ফেলে যে কোন বিশুদ্ধ কোরআন প্রশিক্ষণ কোর্সে শামিল হওয়া অথবা ব্যক্তিগতভাবে একজন ভালো ক্বারী সাহেবের কাছে বিশুদ্ধ তেলাওয়াতের প্রশিক্ষণ নেয়া অত্যান্ত জরুরী৷এতে
নিবিড় ভাবে প্রচেষ্টা চালালে এক মাসেই আপনি বিশুদ্ধ তেলাওয়াত শিক্ষায় একটা ন্যূনতম মানে চলে আসতে পারবেন,ইনশাল্লাহ ৷আর যারা কোরআন তেলাওয়াত জানেন আপনারাও এ মহৎ কর্মে অংশ নিলে আপনাদের তেলাওয়াতের মানকে আরো সুন্দর করবে।
(খ) কোরআন অধ্যয়ন: যেহেতু পবিত্র কোরআন নাজিল করা হয়েছে মানুষের পথপ্রদর্শক রূপে,তাই অর্থ ও ব্যাখ্যাসহ কোরআন বোঝা এবং তদনুযায়ী আমল করা আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে৷ তাই এ মাসে অবশ্যই একটা উল্লেখযোগ্য সময় আল্লাহর কালাম বোঝার জন্য বরাদ্দ করুন। তাছাড়া তাফসির, হাদিস, ইসলামি সাহিত্য, আকাবিরদের জীবনী গ্রন্থ ইত্যাদি সহ অন্যান্য ধর্মীয় বই-পুস্তক সময়স্বাপেক্ষ পাঠ করুন৷এ বইগুলো আপনার জ্ঞানকে করবে আরো সমৃদ্ধ,চরিত্রকে করবে মার্জিত।পাশাপাশি পরিবার পরিজনের মধ্যে দ্বীনের সৌরভ ছড়িয়ে দিতে আপনার জন্য সেগুলো হবে সহায়ক সোপান ৷
(গ) ইবাদত-বন্দেগি: তারাবি, নফল নামায ও অন্যান্য ইবাদত-বন্দেগির ব্যাপারেও আপনি পরিকল্পনা নিতে পারেন। এ পরিকল্পনা আপনাকে অলসতা থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে। সেহরির কারণে এ মাসে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা খুবই সহজ৷রাসুল সা. এর একটি দায়মী অভ্যাস নিজের মধ্যে বাস্তবায়ন করার দ্বারা আপনি হতে পারেন আখেরি নবীর একজন সৌভাগ্যবান উম্মত,কিয়ামতের দিন যখন নেকীর পাল্লা ভারি দেখবেন তখন এর কদর্য উপলব্ধিতে আসবে৷ এছাড়া নিয়মিত জিকির, মাসনুন দোয়া-দরুদ পাঠ ও আল্লাহর দরবারে গোনাহ মাফ, তওবা ও কান্নাকাটি করে ইত্যাদি মাধ্যমে পরম সৌভাগ্য অর্জন করতে হবে।
(ঘ) এতেকাফ: রমযানে বিশেষ এক এবাদত হলো এ’তেকাফ৷ চাইলে আপনিও এ ব্যাপারে আরো দৃঢ় পরিকল্পনা করতে পারেন৷ কারণ,এ’তেকাফরত অবস্থায় যে কেউ নিবিড়ভাবে আল্লাহর ধ্যানে মগ্ন থেকে হাজার মাসের উত্তম রজনী লাইলাতুল কদরের যথাযথ মুল্যায়ন করতে পারেন৷ বিধায় সে নেক ইচ্ছাকে বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পারিবারিক কাজগুলো আপনাকে আগেই শেষ করতে হবে৷ অতিরিক্ত আমল দ্বারা সেই ভাগ্যের রজনীকে আরো স্বার্থক করে তুলার জন্য এ’তেকাফই উপযুক্ত সময় ৷
(ঙ) পারিবারিক সংশোধন: রমযানে আপনি পারিবারিক সংশোধনের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিতে পারেন। এ জন্য আপনি দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় তালিমের জন্য বেছে নিন। কারণ পবিত্র রমযানে মানুষের মধ্যে দ্বীনের কথা শোনার আগ্রহ বৃদ্ধি পায়। কোনো বদ অভ্যাস থাকলে তা ছাড়ার নসিহত করুন প্রয়োজনে দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিন। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কেউ যাতে রোজাহীন না থাকে তার জন্য রমযানের আগেই তাদের সতর্ক করুন।এ ক্ষেত্রে আপনার ব্যক্তিত্ব, অভিভাবকত্ব ও প্রয়োজনে কঠোরতা অথবা দরদভরা উপদেশ সবাইকে রোজা রাখতে উদ্বুদ্ধ করবে।মনে রাখবেন,পরিবার কিংবা সমাজে আপনার দায়িত্বের পরিধি যত বেশি,রমযানের পবিত্রতা রক্ষায় আপনার কর্তব্যও তত বেশি।সুতরাং রমযানের আগেই এসব ব্যাপারে একটি উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করুন।
(চ) ছদক্বাহ-খয়রাত: এই মাসে বেশি-বেশি করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের আশায় দান-খায়রাত করবেন ৷ যাকাত-ফিতরা এগুলো আদায় করা আপনার প্রতি যেমন আল্লাহ প্রদত্ত নির্দেশ তেমনি ভাবে এগুলো প্রকৃত গরীব-দুঃখীর হতে তুলে দেওয়া আপনার দায়িত্ব এতে কোনোরূপ বড়ত্ব কিংবা লোকদেখানোর বহিঃপ্রকাশ না রাখা চাই৷এ মাসে দান-ছদক্বাহ করার দ্বারা পরকালে আপনি যেমন অধিক লাভবান হন তেমনি ভাবে গরীবরাও অন্য সময়ের তুলনায় আরো বেশি উপকৃত হয়৷ তাই আপনি জাকাতের দাতা হলে জাকাত হিসাব-নিকাশ ও বিলিবণ্টনের কাজটি এ মাসে সেরে নিতে পারেন।
উপরোল্লিখিত প্রস্তুতিমূলক গৃহীত পরিকল্পনাগুলো নিয়ে যতটুকু সম্ভব পর্যালোচনা করুন।যাচাই-বাছাই করুন,হিসাব কষে দেখুন এ পর্যন্ত আপনার প্রস্তুতি কতটুকু, পরিকল্পনায় কতটুকু এগিয়েছেন৷ কোথাও কমতি অথবা গাফলতি পরিলক্ষিত হলে তা দূরকরার চেষ্টা করুন।এ মহত পরিকল্পনা ও প্রস্তুতির সফল বাস্তবায়নের জন্য আল্লাহর সাহায্য কামনা করুন।
রমজানের মহত্বকে সামনে রেখে, আল্লাহর উপর ভরসা করে, হিম্মতের সহিত এখনই আমাদের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে ৷ প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ঐকান্তিকতা ও নিষ্ঠা একান্ত জরুরি।
এবং সাথে সাথে এ বিশ্বাষ রাখতে হবে যে,করোনা নামক গজব চাই সেটি দুনিয়ার সৃষ্টি হউক অথবা খোদা প্রদত্ত হউক,তা মহান আল্লাহর হুকুম ছাড়া কাউকে আক্রান্ত করতে পারবে না আবার কাউকে মৃত্যুও দিতে পারবে না৷ তবে এক্ষেত্রে এবাদত-বন্দেগি ও চাল-চলনে আরো সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন৷ আল্লাহ আমাদের সবাইকে তৌফিক দান করুন৷আমীন!