দুর্গাপুরে দুংসাহসিক চুরি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক: নেত্রকোনার দুর্গাপুরে এক দুংসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার মধ্যরাতে কেনো এক সময়ে দুর্গাপুর পৌর শহরের তেরীবাজারে অবস্থিত পৌর মেয়র আলা উদ্দিনের স্বর্না ব্রিকস অফিস কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।

সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় অফিস করে শুক্রবার রাতে কর্মকর্তাগন অফিসে তালা লাগিয়ে বাসায় চলে যায়। শনিবার সকালে অফিস স্টাফ জয়দেব চত্রুবর্তী অফিসের তালা খুলে ভিতরে গিয়ে দেখতে পায় উপরে ঘরের টিন খুলা এবং অফিসের আলমারী ড্রয়ার খুলা অবস্থায় রয়েছে। এরপর পুলিশকে খবর দেয়া হয়। এ বিষয়ে পৌর মেয়রের ম্যানেজার ধনেশ পত্রনবীশ বলেন ইট বিক্রির টাকা সহ অনুৃমানিক ৩০ লক্ষ টাকা ছিলো ড্রয়ার ও আলমারিতে।

ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফখরুজ্জামান জুয়েল, দুর্গাপুর সার্কেলের এএসপি মাহমুদা শারমীন নেলী, থানা তদন্ত ওসি মীর মাহাবুবুর রহমান।

[৬] এ বিষয়ে দুর্গাপুর সার্কেলের এএসপি মাহমুদা শারমীন নেলী বলেন , এখনো অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পাওয়া মাত্র আইন আনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।




করোনা নিয়ন্ত্রণে মাস্কের বিকল্প নেই

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

সাবেক রাষ্ট্রপতি মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, ‘মার্চের শুরুতেই করোনা সংক্রমণ আবার বাড়তে শুরু করেছে। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। হাটে বাজারে, বিপণিবিতানে মাস্ক ছাড়া চলাফেরা করছে মানুষ। করোনা থেকে বাঁচতে মাস্ক ব্যবহারের বিকল্প নেই। আমি মনে করি যথাযথভাবে মাস্ক ব্যবহার করলে ৮০-৯০ ভাগ করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।’ গতকাল তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘প্রতিদিনই করোনা আক্রান্ত রেকর্ড ছাড়াচ্ছে। জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির দিকনির্দেশনা অবশ্যই আমাদের মানতে হবে। বিশেষ করে সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। আমি মনে করি মাস্ক ব্যবহার করলেই করোনা নিয়ন্ত্রণ অনেকাংশেই সম্ভব। সরকারকে এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। সবাইকে বলব আপনারা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলুন। প্রয়োজনে বাইরে গেলে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করুন। করোনা সংক্রমণ কমে আসায় সামাজিক অনুষ্ঠান, পিকনিক, কনসার্টের হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। ভিড়, গাদাগাদিতে উপেক্ষিত ছিল স্বাস্থ্যবিধি। এর ফলে সংক্রমণ হার বেপরোয়াভাবে বাড়তে শুরু করেছে।




সোমবার থেকে আবারো সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ফের লকডাউনে যাচ্ছে পুরো দেশ। সোমবার থেকে সারাদেশে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় আগামী সোমবার ৫ এপ্রিল থেকে সারাদেশ এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করতে যাচ্ছে সরকার।

অন্যদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও এ কথা বলা হয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে, দ্রুত ছড়াতে থাকা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার দুই-তিন দিনের মধ্যে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউনের চিন্তা করছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

গেল কয়েকদিন ধরেই প্রতিদিন ছয় হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার একদিনে শনাক্ত সাত হাজারের কাছাকাছি পৌঁছায়।

এছাড়া করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ইতোমধ্যে বন্ধ করা হয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানের পর্যটন কেন্দ্র। বাতিল করা হচ্ছে হোটেল-মোটেলে আগাম নেয়া বুকিং। পাশাপাশি নতুন বুকিংও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

এছাড়া কোথাও সন্ধ্যার পর জনগণের চলাচল সীমিত করা হয়েছে। আবার কোথাও ওষুধ এবং কাঁচামালের দোকান ও বাজার বাদে অন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এসব নির্দেশনার প্রায় সবই স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে এসেছে। বৃহস্পতিবার থেকে এ নিষেধাজ্ঞা থাকবে মধ্য এপ্রিল পর্যন্ত।

প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অমান্য করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারিও আছে। এর আগে গত বছর ২৬ মার্চ থেকে দেশের পর্যটন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রথমে লকডাউনের আওতায় ছিল। পরে লকডাউন উঠে গেলেও অনেক প্রতিষ্ঠান প্রায় ৫ মাস বন্ধ ছিল।