বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ: বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় ৪ নেতাকে রাখা হলো শীর্ষে

ডেস্ক রিপোর্ট: স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এসে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নামের চূড়ান্ত একটি তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৩৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রকাশ করেন। ১৯১ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর নামের তালিকাও একই সঙ্গে প্রকাশ করা হয়।

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামানের নাম।

তালিকায় ঢাকা বিভাগের বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ৩৭ হাজার ৩৮৭ জন। চট্টগ্রাম বিভাগে ৩০ হাজার ৫৩ জন, বরিশাল বিভাগে ১২ হাজার ৫৬৩ জন, খুলনা বিভাগে ১৭ হাজার ৬৩০ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ হাজার ৫৮৮ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৩ হাজার ৮৯৯ জন, রংপুর বিভাগে ১৫ হাজার ১৫৮ জন, সিলেট বিভাগে ১০ হাজার ২৬৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন।

তৃণমূল থেকে যাচাই-বাছাইয়ের পর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকার প্রথমটি প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। সেটা অপূর্ণাঙ্গই থাকছে।

মন্ত্রী মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমরা ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমে এন্ট্রি করেছি ১ লাখ ৮২ হাজার ৮৩৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম। তবে প্রায় ৩৫ হাজার জনের বেসামরিক গেজেট জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের অনুমোদন না থাকায় এ তালিকার বাইরে রাখা হয়েছে।’

ইতিমধ্যে এসব গেজেট নিয়মিতকরণের উদ্দেশ্যে ৪৩৪ উপজেলার প্রতিবেদন হাতে পেয়েছে মন্ত্রণালয়। যাচাই-বাছাই ও আপিল শুনানি শেষে চলতি বছরের ৩০ জুন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম চূড়ান্ত তালিকায় প্রকাশ করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।

বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রণয়ন প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল বলেন, ‘১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করলেও তাঁদের কোনো তালিকা করতে পারিনি। বিলম্ব হলেও সে তালিকা করা শুরু করেছি।’

স্বাধীনতার পর থেকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা নিয়ে বিতর্ক উঠেছে বারবারই। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু হলে নতুন করে প্রায় দেড় লাখ আবেদন আসে। কিন্তু যাচাই-বাছাই কমিটি গঠন থেকে শুরু করে পুরো প্রক্রিয়ায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় শেষ পর্যন্ত নতুন তালিকা প্রকাশ স্থগিত করতে হয় সরকারকে।




ইউনিয়ন পরিষদের অনুমতি ছাড়া যত্রযত্র ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান করা যাবে না: মন্ত্রণালয়

ইউনিয়ন পরিষদের অনুমতি ছাড়া যত্রযত্র ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা বাড়ি নির্মাণ করা যাবে না। সারা দেশের ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার জন্য সমন্বিত পথনকশা (রোডম্যাপ) প্রণয়ন করছে সরকার। এই পথনকশা প্রণয়ের আগে কোথাও কোনো ধর্মীয় স্থাপনা বা বাড়ি নির্মাণ করতে হলে সংশ্লিস্টদের ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অনুমতি বা ছাড়পত্র নিতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা, রেবেকা মমিন, মো. শাহে আলম, মো. ছানোয়ার হোসেন ও আব্দুস সালাম মূর্শেদী এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কমিটি সূত্র জানায়, সারাদেশে ইউনিয়ন পরিষদ আওতাধীন এলাকাকে একটি পরিকল্পিত পরিকল্পনার আওতায় আনতে একটি পথনকশা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। এই পথনকশা প্রণয়ন করার আগে কোন ব্যক্তি চাইলেই যত্রযত্র কোন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা বসতভিটা বা কোনো স্থাপনা নির্মাণ করতে পারবে না। যদি কোন ব্যক্তি কোন স্থাপনা করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন -সেক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদের অনুমতি নেওয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।

সূত্র আরো জানায়, এর আগে সংসদীয় কমিটির পরামর্শ অনুযায়ী স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে সমন্বিত পথনকশা প্রণয়নে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সরকারের এই সিদ্ধান্ত সঠিকভাবে যাতে অনুসরণ করা হয় সেজন্য সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে তাগিদ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে ইতোপূর্বে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য বলা হয়।

এদিকে কমিটির আগামী বৈঠকে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’-এর কার্যক্রম বাস্তবায়নের হালনাগাদ তথ্য প্রজেকশনের মাধ্যমে উপস্থাপনের জন্য বলা হয়েছে।




দুর্গাপুরে গণহত্যা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট: নেত্রকোনার দুর্গাপুরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ২৫শে মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব-উল-আহসানের সভাপতিত্বে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সিনিয়র এএসপি মাহমুদা শারমীন নেলী (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) সার্কেল,সহকারী কমিশনার ( ভূমি) রুয়েল সাংমা, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারভীন আক্তার, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আলা উদ্দিন আল আজাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব উদ্দিন তালুকদার, কর্মকর্তা ইন-চার্জ (ওসি) শাহ নুর-এ আলম, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আবদুল হান্নান। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাগন ও উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ। সভায় ২৫ মার্চের কালো রাত্রির সেইদিনের ঘটনা তুলে ধরে বক্তারা বলেন- বাংলাদেশের ইতিহাসে জগন্যতম দিন ছিল ২৫ মার্চ। ঐ দিনের ঘটনার সাথে জড়িতদের হোতা এখনো দেশে বাস করছে। তাদের প্রতিহত করার আহবান জানান মুক্তিযোদ্ধারা।




মুক্তি পেয়েছেন মাও. রফিকুল ইসলাম নেত্রকোণা

রাজধানীর মতিঝিলে যুব অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ আয়োজিত বিক্ষোভ থেকে আটক বক্তা রফিকুল ইসলাম নেত্রকোণা মুক্তি পেয়েছেন। কিছুক্ষণ পূর্বে পুলিশ তাকে ছেড়ে দিয়েছে বলে জানা গেছে।

বিষয়টি বক্তা রফিকুল ইসলাম তার নিজের ফেসবুক আইডি থেকে এক লাইভে এসে নিশ্চিত করেছেন। লাইভে তিনি বলেন, ‘আমি এখন সম্পূর্ণ মুক্ত। আমি কিছুক্ষণ ছিলাম পল্টন থানায়। এখন আমি অনেক টায়ার্ড (ক্লান্ত)। আমি সব বিষয় পরে বলবো। তিনি আরও বলেন, আমি কাউকে দেখানোর জন্য মিছিলে যাইনি। বরং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই গিয়েছি। আমার গ্রেফতারের খবরে অনেকেই সমবেদনা জানিয়েছেন। আমাদের পাশে ছিলেন। সবার জন্য আমি দোয়া করি। আমাদের ভালবাসা হোক আল্লাহর জন্যই।’

এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে মাওলানা রফিকুল, নুরুজ্জামানসহ বেশ কয়েকজনকে ধরে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের প্রিজনভ্যানে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের ভ্যানে বসেই আটক নুরুজ্জামান নামে একজনের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভেও এসেছিলেন বক্তা রফিকুল ইসলাম।

প্রিজনভ্যান থেকে মাত্র ২৯ সেকেন্ডের ওই লাইভে রফিকুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ, সম্মানিত দেশবাসী আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমাদের পুলিশ প্রিজনভ্যানে নিয়ে এসেছে। এই যে আমাদের আরও কিছু ভাই। আমরা বলব- আমরা আসলে দেশের বিরুদ্ধে না, ইসলামের বিরুদ্ধে না, আমাদের পুলিশ ভাইয়েরা আহত করেছেন, আঘাত করেছেন, আমরা তাদের বলব- আমাদের আঘাত করা আর দেশকে আঘাত করা একই কথা। আমরা ইসলামবিরোধী না দেশবিরোধী না।’

বক্তা রফিকুল ইসলাম নেত্রকোণা রাজধানীর জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদরাসায় লেখাপড়া করেছেন। সেখান থেকে ২০১৯ সালে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) সমাপণ করেছেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর ঘরে রাজধানীর মতিঝিল শাপলাচত্বরে যুব অধিকার পরিষদের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল ডাকা হয়। মিছিলে যুব, ছাত্র অধিকারসহ কয়েকটি সংগঠনের কর্মীরা অংশ নেন। পুলিশ মিছিলের গতিরোধ করতে চাইলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। মিছিলকারীরাও পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।




আজ সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তার প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ প্রচার করা হবে।

দীর্ঘ সংগ্রামের পথ ধরে ১৯৭১ সালে উদিত হয়েছিল বাঙালির স্বাধীনতার সূর্য। সেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে শুক্রবার।

আর যার হাত ধরে স্বাধীনতা এসেছিল, সেই মহান নেতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর উদযাপন চলছে গতবছরের মার্চ থেকে। এবারের মার্চে তা মিলছে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর উদযাপনের সঙ্গে। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জন্ম নেন বাঙালির মুক্তির মহানায়ক শেখ মুজিব। তার হাত ধরেই বিশ্ব মানচিত্রে নতুন দেশ হিসেবে স্থান করে নেয় বাংলাদেশ। ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মের শত বছর পূর্ণ হয়।

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে আটক হওয়ার ঠিক আগে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু। এরপর শুরু হয় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ।

নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।

গত ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন থেকে দশ দিনের বড় আয়োজনে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে বাংলাদেশ।

প্রতিবেশী পাঁচ দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরাও এ আয়োজনে বাংলাদেশের সঙ্গী হচ্ছেন। শুক্রবার স্বাধীনতা দিবসে প্যারেড গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।




ঢাকায় বিদেশী মেহমানদের চলাচলের জন্য ২৬ ও ২৭ মার্চ যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত থাকবে

ডেস্ক রিপোর্ট:

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আগত বিদেশি ভিভিআইপিদের গমনাগমনের জন্য আগামী ২৬ ও ২৭ মার্চ (শুক্রবার ও শনিবার) ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান সড়কগুলোতে যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত এবং কিছু কিছু সময়ের জন্য বন্ধ থাকবে।

এ সাময়িক অসুবিধার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে।

উপপুলিশ কমিশনার, মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ, ডিএমপির স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।




নেত্রকোণায় পিকআপভ্যান ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহত

ডেস্ক রেোপর্ট:

নেত্রকোণায় পিকআপভ্যান-মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ২টার দিকে নেত্রকোণা-ময়মনসিংহ সড়কের সদর উপজেলার বাগড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা হয়।

নিহত পুলিশ সদস্য কনষ্টেবল মো: সাইফুল (৮১৪) নেত্রকোণা আদালতে কর্মরত ছিলেন । তার বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায়।

নেত্রকোণা মডেল থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান , কনষ্টেবল সাইফুল মোটরসাইকেলে করে নেত্রকোণার দিকে আসছিলেন। আর পিকআপভ্যানটি নেত্রকোণা থেকে ময়মনসিংহের দিকে যাচ্ছিল। পথে বাগড়া এলাকায় পৌছলে সড়কে একটি ছাগলকে বাঁচাতে গিয়ে পিকআপ ও মোটরসাইকেলটি মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

এ সময় পিকআপ ভ্যান ও মোটরসাইকেল ছিটকে সড়কের পাশে গিয়ে পড়ে। মোটরসাইকেলে থাকা সাইফুলও ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

 




দুর্গাপুরে ১৪৪ বোতল ভারতীয় মদ আটক

ডেস্ক রিপোর্ট :

নেত্রকোনার সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) অভিযান চালিয়ে ১৪৪ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ করেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের (৩১ বিজিবি) এর অতিরিক্ত অধিনায়ক মেজর নুরুদ্দীন মাকসুদ।

প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, গত বুধবার দিনগত রাত সোয়া ১১টার দিকে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নে বিজয়পুর বিওপি’র (বর্ডার অবজারবেশন পোষ্ট) বিজিবি’র একটি দল টহলে নিযুক্ত ছিল। এসময় টহল দল অভিযান পরিচালনা করে সীমান্ত পিলার ১১৪৮/২-এস হতে ৮০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আড়াপাড়া নামক এলাকা থেকে ১৪৪ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ করে।
জব্দকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক বাজার মূল্য দু্ই লক্ষ ১৬ হাজার টাকা এবং এ বিষয়ে দুগার্পুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। তবে এ অভিযানে চোরাকারবারী আটক করা সম্ভব হয়নি ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান বিজিবি’র এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।




ঈদের পর স্কুল-কলেজ খোলার ইঙ্গিত শিক্ষামন্ত্রীর

তিনি বলেছেন, পরিস্থিতি এরকম থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মত অন্য সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও মে মাসে ঈদের পর খুলতে পারে। জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বৈঠক করে শুক্রবারের মধ্যে সে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার ঢাকায় আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত ‘গণগত্যা দিবসের’ আলোচনা সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রীর এই উত্তর আসে।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী, অভিভাবক- সকলের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং সার্বিক নিরাপত্তার দিকেই সরকার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।

যেভাবে আমাদের দেশে সংক্রমণ কমে গিয়েছিল, তাতে আমরা খুব আশাবাদী হয়েছিলাম যে আমরা আমাদের মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক এমনকি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দিতে পারব এবং পর্যায়ক্রমে আমরা খুলব। কিন্তু হঠাৎ করেই সারা বিশ্বে, শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বে নতুন যে ঢেউ এসেছে, তাতে আমাদের এখানেও খুব দ্রুততার সঙ্গে গত কয়দিনে সংক্রমণের হার বেড়েছে। মৃত্যুর সংখ্যাও কিছুটা বেড়েছে।”

কবে নাগাদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পরিকল্পনা রয়েছে- এ প্রশ্নের উত্তরে দীপু মনি বলেন, ৩০ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার তারিখ পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে এবং বৃহস্পতিবারই জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। “আশা করছি আগামীকালের মধ্যে আমরা সিদ্ধান্ত জানাতে পারব। এই মুহূর্তে যেটুকু বলতে পারি যে… যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় আমরা খুলছি ঈদের পরে, আমাদের এই মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক হয়ত বা সেই সময়ের কাছাকাছি নিয়ে যেতে হবে। কারণ আমরা অবশ্যই চাই, আমাদের কেউ যেন সংক্রমিত না হয়।”

মহামারীর শুরুতে গত বছরের ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। ডিসেম্বরের মধ্যে পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি না হওয়ায় এইচএসসির পাশাপাশি পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনী এবং কোনো ক্লাসের বার্ষিক পরীক্ষাও নেওয়া যায়নি।

এ বছরের শুরুর দিকে সংক্রমণের হার কমে এলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি শুরু হয়। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের পর শিক্ষামন্ত্রী জানান, আগামী ৩০ মার্চ স্কুল ও কলেজ খোলার তারিখ ঠিক করেছে সরকার।

এছাড়া রোজার ঈদের পর ২৪ মে থেকে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার সিদ্ধান্ত জানানো হয় তার আগেই।

কিন্তু মার্চের শুরু থেকে দেশে সংক্রমণের হার আবার বাড়ছে এবং দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে সাড়ে তিন হাজার ছাড়িয়ে গেছে। উদ্বেগজনক এই পরিস্থিতিতে সরকারকেও নতুন করে স্বাস্থ্যবিধির কড়াকড়ি নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে ডা. দীপু মনি বলেন, “সবাই যেন মাস্ক পরিধান করি এবং সবাই যেন নিরাপদ দূরত্ব রাখি। এর কোনোটাই কোনো জায়গায় হচ্ছে না। কিন্তু আমরা সবাই যেন এটি করি। কারণ এই সংক্রমণ কমানোর এটিই একমাত্র উপায়।”




ডাকসু’র সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর আহত

স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমণ বিরোধী বিক্ষোভ মিছিলে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন ডাকসু’র সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজের একটি পোস্ট থেকে তার গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার বিষয়টি জানানো হয়েছে।

এদিকে একই মিছিল থেকে আলোচিত ওয়ায়েজ মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীকে গ্রেফতারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ওই মিছিল চলাকালীন একটি লাইভে দেখা যায়, রাজধানীর মতিঝিল থানাধীন শাপলা চত্বর এলাকা থেকে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করছে এবং তাকে থানায় নেয়ার জন্য পুলিশ ভ্যান সন্ধান করছে।

গ্রেফতারের পর পর নিজের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশভ্যান থেকে তিনি তার ফেসবুক আইডিতে স্টেটাস দেন। এতে লিখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ ধরা পরে গেছি সমস্যা নেই মরতেও রাজি আছি তবুও মোদি আসতে পারবে না!’

এ স্টেটাসের দু’মিনিট পর তিনি তার ফেসবুক থেকে লাইভে আসেন। লাইভে দেখা যায় তাকে ভ্যানে করে থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তার সঙ্গে আরো কয়েকজন সহযোদ্ধা। এ সময় তিনি লাইভে বলেন, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। সম্মানিত দেশবাসী! আপনার দেখছেন, পুলিশ আমাদেরকে গ্রেফতার করে প্রিজনভ্যানে নিয়ে এসেছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা বলতে চাই, আমরা দেশের বিরুদ্ধে নই এবং ইসলামের বিরুদ্ধে নয়। আমাদেরকে পুলিশ ভাইয়েরা আঘাত করেছে। আমরা তাদেরকে বলবো, আমাদের আঘাত করা আর দেশকে আঘাত করা একই কথা। আমরা দেশের বিরুদ্ধে নই এবং ইসলামের বিরুদ্ধে নয় আমরা মোদির বিরুদ্ধে ’।