স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে শহীদ স্মরণ

১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর দমন অভিযানের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বাঙালিরা।

বরাবরের মতোই রাষ্ট্রীয়ভাবে দিনটিকে পালন করা হচ্ছে জাতীয় দিবস হিসাবে। তবে বাংলাদেশের জন্মের ৫০ বছর পূর্তিতে এবারের স্বাধীনতা দিবস এসেছে অনন্য এক উদযাপনের মুহূর্ত হয়ে।

সুবর্ণজয়ন্তীর সঙ্গেই বাংলাদেশ উদযাপন করছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, যার হাত ধরে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকীতে শুক্রবার ভোর ৬টায় সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।

তিন বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল এ সময় রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়, বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

 

পরে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

শ্রদ্ধা জানানোর পর রাষ্ট্রপতি স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন।

এই জোড়া উদযাপনে ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যে ১০ দিনের এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে ১৭ মার্চ, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে। শুক্রবার স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির দিনে তা শেষ হবে।

প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুরোর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা যোগ দিচ্ছেন বাংলাদেশের এই আয়োজনে। শুক্রবার স্বাধীনতা দিবসে ঢাকায় আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।




জাতীয় দিবস উদযাপনে অপেক্ষায় আছি: মোদি

বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) এক ভিডিও বার্তায় ভিডিও বার্তায় নরেন্দ্র মোদি এ প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আগামীকাল জাতীয় দিবস উদযাপনে অংশ নেওয়ার জন্য অধীর অপেক্ষায় আছি, যাতে শততম জন্মবার্ষিকীতে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেও স্মরণ করা হবে। গত শতাব্দীর অন্যতম শীর্ষ নেতা বঙ্গবন্ধু, যার জীবন ও আদর্শ এখনও লাখ লাখ মানুষকে অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাচ্ছে।’

ওই বিবৃতিতে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্যও অধীর অপেক্ষার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

মোদি বলেন, করোনা মহামারির এই সময়ে এমন এক প্রতিবেশী বন্ধু দেশে সফর করতে পেরে আমি আনন্দিত, যার সঙ্গে ভারতের গভীর সাংস্কৃতিক, ভাষাগত এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক বিদ্যমান।

সাতক্ষীরা ও গোপালগঞ্জে মন্দির পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করে মোদি বলেন, সাতক্ষীরায় পৌরাণিক যশোরেশ্বরী মন্দিরে মা কালীর প্রতিও পূজা দিতে চাই আমি। বিশেষ করে ওড়াকান্দিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের সঙ্গেও মিথস্ক্রিয়া করতে চাই আমি, যেখানে শ্রী হরিচরণ ঠাকুর পবিত্র বাণীর প্রচার করেছিলেন।

তিনি বলেন, ‘গত ডিসেম্বরে ভার্চুয়াল বৈঠকের প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমার বিশেষ আলাপ-আলোচনা হবে। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও অন্য ব্যক্তিদের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হবে।’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বাপ্নিক নেতৃত্বে তাৎপর্যপূর্ণ অর্থনৈতিক ও উন্নয়নমূলক অগ্রগতির জন্য বাংলাদেশকে সাধুবাদ জানানোয় আমার সফর সীমাবদ্ধ থাকবে না; এরসঙ্গে এই অর্জনে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতিও থাকবে।’

এসময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করে বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহযোগিতা ও সংহতির বার্তাও সফরে দেয়া হবে।




দুর্গাপুরে সীমান্তবর্তী আদিবাসীরা বর্ডার হাট চান

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বসবাস করা আদিবাসী নারীরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করেই চলছে তাদের জীবন জীবিকা। এ কষ্ট থেকে পরিত্রাণের জন্য সীমান্তবর্তী হাট চান পাহাড়ি আদিবাসীরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এপারে বাংলাদেশের উত্তর ভবানীপুর গ্রাম, ওপারে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের বাঘমারা উপ-শহর। দুই দেশের সীমান্তসংলগ্ন গ্রাম দুইটির আশপাশে দীর্ঘদিন কোনো বর্ডার হাট না থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে যেতে হতো দূরের কোনো গঞ্জে বা শহরে।

এ দুর্ভোগের কারণে এসব এলাকার সীমান্তে চোরাচালানের ঘটনাও বেড়ে গিয়েছিল অস্বাভাবিক হারে। কিন্তু সে দুর্ভোগ বা চোরাচালানের দৃশ্যপট এখন সবই পাল্টে গেছে।

দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশ থেকে শাকসবজি, মাছ, মুরগী, বুট, কাঁচা সুপারি, সিগারেট আর ওপার থেকে বিস্কুট, চিনি, ডাল, লবন, কসমেটিক ও জিরা আনা নেয়ার কাজ করে কোন রকম দিন পার করছে স্থানীয় আদিবাসী নারীরা।

আদিবাসী নারী প্রেমলা হাজং বলেন, ‘মলা তো গুরিব মানুষ, উন্য বিবুসা কুরিবো ট্যাংকা কুবায় পায়’ (আমরা গরীব মানুষ, জীবন জীবিকার জন্য অন্য ব্যবসা করতে টাকা কোথায় পাবো) মাঝে মধ্যে খুব কষ্টে পড়তে হয় আমাদের, ওপারের দোকানিরা সুযোগ বুঝে আমাদের মালগুলো বাকিতে রাখতে চায়।

আমরা একদিন কাজ না করলে আমাদের না খেয়ে থাকতে হয়। বেচাকেনা শেষে কোন দিন ৫০০, কোন দিন ৪০০ টাকা লাভ হয়। এদিয়েই কোন রকম চলে আমাদের সংসার।

মাটি কাটার কাজে নারী শ্রমিকদের চেয়ে পুরুষদের চাহিদা বেশি থাকায় আমরা এ ব্যবসা করছি। মালামাল পারাপারের জন্য কাউকে কোন টাকা দিতে হয় কিনা জিজ্ঞাসা করলে জানান, আগে টুকরি প্রতি বাংলাদেশ সীমান্তে ১০০ টাকা দিতে হতো, এখন ওদের চোক ফাঁকি দিয়েই আমাদের জীবিকা নির্বাহ করছি।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজিবি বলেন, আমরা অত্যন্ত সতর্কভাবে সীমান্তে টহল দিচ্ছি, আমাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে স্থানীয় আদিবাসীরা জীবন জীবিকার তাগিদে যে কাজটি করে খাচ্ছে, তা দোষের কিছু নয়। তবে কোন প্রকার মাদক পেলে কাউকে ছাড় দেই না। মাদকের বিরুদ্ধে আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছি।

এনিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব-উল-আহসান প্রতিনিধিকে বলেন, আমি এই উপজেলায় নতুন এসেছি, বর্ডার হাট ও এই এলাকা দিয়ে এলসি খোলাসহ নানা বিষয়ে ইতোমধ্যে দু‘দেশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়েছে বলে জেনেছি।

আশাকরি অল্প কিছু দিনের মধ্যে এসব প্রস্তাবনা বাস্তবায়িত হবে। এতে সীমান্তবর্তী খেটে খাওয়া আদিবাসী শ্রমিদের দুর্দশা কিছুটা হলেও লাঘব হবে।




মাওলানা তারেক জামিলের বিশেষ ১০ উক্তি

 

ইসলামের প্রচার-প্রসার ও দেশের অগ্রগতিতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য উপমহাদেশের প্রখ্যাত ইসলামি ব্যক্তিত্ব ও দায়ী আলেম মাওলানা তারেক জামিলকে পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও  ২০১৩ সালে জর্ডানের রয়্যাল আল-বাইত ইনস্টিটিউট থেকে ফর ইসলামিক থট কতৃক বিশ্বের ৫০০ জন প্রভাবশালী মুসলিম ব্যক্তির মধ্যে একজন নির্বাচিত হন মাওলানা তারেক জামিল।

নিজের বয়ানের মাধ্যমে ইসলামের প্রচার-প্রসারে জনপ্রিয় মার্কিন অনলাইন ভিডিও-শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবে  ১০ লাখ সাবস্ক্রাইবারের মাইলস্টোন পার করে ২০১৯ সালে ৩০ মার্চ প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে ‘গোল্ডেন প্লে বাটন’ সম্মাননাও পেয়েছেন মাওলানা তারেক জামিল

উপমহাদেশের জনপ্রিয় ও প্রখ্যাত ইসলামি ব্যক্তিত্ব মাওলানা তারেক জামিল তার বয়ানের মাধ্যমে মানুষের মাঝে ভালোবাসা ছড়িয়ে থাকেন। তার বয়ানে কল্যাণ আত্মশুদ্ধি ও  ইসলামের পথে অবিচল থাকার অনুপ্রেরণা পেয়ে থাকেন বর্তমান সময়ের  কিশোর, তরুণ,  যুৃব সমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ।

প্রখ্যাত ও জনপ্রিয় এই ইসলামি ব্যক্তিত্বের বিভিন্ন বয়ান থেকে বিশেষ ১০টি উক্তি তুলে ধরা হল আওয়ার ইসলামের পাঠকদের জন্য:

১. সফলতা কোথায় খুঁজছো? সফলতা তোমাকে দিনে পাঁচবার ডাকে, ‘ এসো সফলতার দিকে।’ অবশ্যই নামাজই সঙ্গী হবে, দুনিয়া থেকে কবর পর্যন্ত, কবর থেকে হাশর পর্যন্ত এবং হাশর থেকে জান্নাত পর্যন্ত। তুমি তোমার জীবনে নামাজ নিয়ে আসো, নামাজ তোমার জীবনে শান্তি নিয়ে আসবে।

২. কেউ তোমাকে কষ্ট দিয়ে কথা বললে তার সাথে তর্কে না জড়িয়ে উল্টো তার জন্য দোয়া কর। নিশ্চয় তুমি যা করবে, তার অনুরূপ পাবে।

৩. ঘৃণা গুনাহকে করো, যে গুনাহ করেছে তাকে নয়। হতে পারে তোমার ভালোবাসার কারণে সে গুনাহ করাই ছেড়ে দিবে।

৪. চারটি বিষয়ে লজ্জা পাবেন না।-

১. পুরাতন কাপড়।

২. বয়স্ক মা-বাবা।

৩. দরিদ্র বন্ধু বান্ধব।

৪. সাধারণ জীবন যাপন।

৫. জীবনে ভালো মানুষের খোঁজে না থেকে তুমি নিজেই ভালো হয়ে যাও, হয়তো কারো খোঁজ পূরণ হয়ে যাবে।

৬. শুধু টাকার নাম রিজিক নয়, নেক সন্তান, উত্তম আখলাক, নেককার বন্ধুও রিজিকের অন্তর্ভুক্ত।

৭. তোমার মালিক আল্লাহ তায়ালা। তার কাছেই চাও, তার কাছেই হাত তোলো, তার কাছেই পাবে, তিনিই একমাত্র তোমার আশা পূরণ করতে পারেন।

৮. নামাজকে ভালোবাসার সহিত আদায় করলে দেখবে, আল্লাহ পাক নিজেই তোমাকে পরবর্তী নামাজের জন্য দাঁড় করিয়ে দিবেন।

৯. এমন নামাজী হও যেন এক মুহুর্তও নামাজ বিহীন থাকতে না পারো।

১০. কত আফসোস! জানাজার নামাজ পড়ার জন্য মানুষ অন্য দেশ থেকে এসে পড়ে কিন্তু ফজরের নামাজের জন্য মহল্লার মসজিদেও যায় না।




ছাত্রলীগের হামলায় দুই সাংবাদিক আহত

ছাত্রলীগের হামলায় প্রথম আলো ও বাংলা ট্রিবিউনের দুই সাংবাদিক আহত হয়েছেন। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ছাত্রলীগের হামলার শিকার হন তারা। বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পৃথক দুই জায়গায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা হলেন- প্রথম আলোর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আসিফ হিমাদ্রী ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আবিদ হাসান রাসেল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ‘বাংলাদেশের জনগণ’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ‘জেয়াফত’ নামে একটি কর্মসূচি দেয়। কিন্তু কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের মারধর করে তাদের ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে য়ায়।

এসময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আবিদ হাসান রাসেল এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করলে তাকে মারধর করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এবং তার আইডি কার্ড ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

এ হামলার নেতৃত্ব দেয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি উৎপল দাস। হামলা থেকে বাঁচতে রাসেল টিএসসির ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা করলেও টিএসসির গেট বন্ধ থাকায় সেখানে গিয়ে তাকে পেটায় হামলাকারীরা। পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে আহত আবিদ হাসান রাসেল বলেন, টিএসসিতে একটি সংগঠনের কর্মসূচি ছিল। সেখানে হঠাৎ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসে তাদেরকে মারধরে করে তাদের ব্যানার ছিনিয়ে নেয়। সেখানে আমি ছবি তুলতে গেলে তারা আমাকে বেধড়ক মারধর করে।

তিনি আরও বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক পরিচয় দিলেও তারা তা না শুনে আমাকে মারধর করতে থাকে। আমি আমার প্রেস কার্ড বের করে দেখালে তারা আমার থেকে তা ছিনিয়ে নেয়। তারা আমার মুঠোফোনটিও নিয়ে যায়।

অন্যদিকে, সন্ধ্যায় মোদি বিরোধী মশাল মিছিল করে বাম ছাত্রসংগঠনগুলো। মিছিলটি টিএসসি থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে রোকেয়া হলের সামনে সমাবেশ করে। পরে তারা ভিসি চত্বর দিয়ে চলে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগ তাদের ওপর হামলা করে।

এসময় পেশাগত দায়িত্ব পালনে প্রথম আলোর সাংবাদিক আসিফ হিমাদ্রীকেও মারধর করা হয়। পরে আহত অবস্থায় সেখান থেকে উদ্ধার করে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় বাম ছাত্র সংগঠনের চার নেতা আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

আহতরা হলেন- বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের সভাপতি আতিফ অনিক, ছাত্র ফেডারেশনের নেতা শাকিল হোসেন, আজাদ, ছাত্র ফন্টের নেতা সজিব চৌহান।




অতিথি

ফারুক আহমেদ

 

মেঘালয়ের কোলে জন্মেই শুনেছি

বুনো পাখির ডাক

সুমেশ্বরীর চঞ্চল ধারায়

বুঝে উঠার আগেই কেটে গেছে

শৈশব!

ভাগ্যচক্রে মগ্রার আলো বাতাস

গায়ে মেখেছি,

গুর” বলেছিল মানুষের ভিতর

আর এক মানুষ

তার দর্শন মাত্রই দেখি পরে ইষ্টিশন।




ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের ১ কোটি ডলার দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শোক প্রকাশ করে এ সহায়তার ঘোষণা দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেরিস পেইন।

তিনি বলেন, “কক্সবাজারে রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় গোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তা বজায় রাখতে অস্ট্রেলিয়া প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এই বিধ্বংসী ঘটনার আলোকে আমি আজ আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আমাদের বিদ্যমান মানবিক সহায়তার অতিরিক্ত ১০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার জরুরি সহায়তা ঘোষণা করছি।”

গত সোমবার বিকালে উখিয়ার বালুখালীর ৮-ডব্লিউ ক্যাম্পে আগুন লাগে। পরে পাশের ৯, ১০ ও ১১ নম্বর ক্যাম্পেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সরকারি হিসাবে, এ ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ১৫ জনের তথ্য দিয়েছে।

এ অগ্নিকাণ্ডে রোহিঙ্গাদের ৯ হাজার ৩০০ বসত ঘর এবং আনুমানিক ৪৫ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের দুই শতাধিক বসত বাড়ি ও স্থাপনাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

অগ্নিকাণ্ডের তিনদিন পর বিবৃতিতে প্রিয়জন হারাদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এই অগ্নিকাণ্ডের প্রভাবে ১২০,০০০ এরও বেশি মানুষ, খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র, স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাগুলো ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যা অস্ট্রেলিয়া এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়।”

তিনি বলেন, অতিরিক্ত এই সহায়তা জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম), বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডাব্লিউএফপি) এবং জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) মাধ্যমে খরচ হবে। ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে ২৬০ মিলিয়ন এরও বেশি অস্ট্রেলিয়ান ডলার বরাদ্দকৃত তহবিল এর সাথে সংযুক্ত হচ্ছে যা এবং স্থানীয় গোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তা হিসেবে প্রদান করা হচ্ছে।




শাল্লায় হামলাকারী নেতা দেশের শত্রু : ধর্মপ্রতিমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট: সুনামগঞ্জের শাল্লায় হিন্দুপল্লীতে যে হামলা হয়েছে তা অত্যন্ত ঘৃণ্যকাজ।

হামলাকারী নেতা দেশের শত্রু, জাতির শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু বলে মন্তব্য করেছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এমপি।

বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এমপি এ কথা বলেন।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী চান এ ঘটনার ন্যায়বিচার হোক। এমন বিচার হোক যেন এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর দুঃসাহস কেউ না দেখাতে পারে।

তিনি আরও বলেন, যারা দেশের সংবিধানকে উপেক্ষা করে তাদেরকে দেশে ঠাঁই দেয়া যাবে না।

এই ঘৃণ্য কাজের জন্য তিনি তীব্র নিন্দা জানান। সঠিকভাবে এদের বিচার হোক এটা দেশবাসীর মতো সরকারও চায়।

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য মনোরঞ্জন শীল এমপি, সুনামগঞ্জ ৫ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক।




বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ: বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় ৪ নেতাকে রাখা হলো শীর্ষে

ডেস্ক রিপোর্ট: স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এসে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নামের চূড়ান্ত একটি তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৩৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রকাশ করেন। ১৯১ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর নামের তালিকাও একই সঙ্গে প্রকাশ করা হয়।

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামানের নাম।

তালিকায় ঢাকা বিভাগের বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ৩৭ হাজার ৩৮৭ জন। চট্টগ্রাম বিভাগে ৩০ হাজার ৫৩ জন, বরিশাল বিভাগে ১২ হাজার ৫৬৩ জন, খুলনা বিভাগে ১৭ হাজার ৬৩০ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ হাজার ৫৮৮ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৩ হাজার ৮৯৯ জন, রংপুর বিভাগে ১৫ হাজার ১৫৮ জন, সিলেট বিভাগে ১০ হাজার ২৬৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন।

তৃণমূল থেকে যাচাই-বাছাইয়ের পর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকার প্রথমটি প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। সেটা অপূর্ণাঙ্গই থাকছে।

মন্ত্রী মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমরা ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমে এন্ট্রি করেছি ১ লাখ ৮২ হাজার ৮৩৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম। তবে প্রায় ৩৫ হাজার জনের বেসামরিক গেজেট জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের অনুমোদন না থাকায় এ তালিকার বাইরে রাখা হয়েছে।’

ইতিমধ্যে এসব গেজেট নিয়মিতকরণের উদ্দেশ্যে ৪৩৪ উপজেলার প্রতিবেদন হাতে পেয়েছে মন্ত্রণালয়। যাচাই-বাছাই ও আপিল শুনানি শেষে চলতি বছরের ৩০ জুন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম চূড়ান্ত তালিকায় প্রকাশ করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।

বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রণয়ন প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল বলেন, ‘১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করলেও তাঁদের কোনো তালিকা করতে পারিনি। বিলম্ব হলেও সে তালিকা করা শুরু করেছি।’

স্বাধীনতার পর থেকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা নিয়ে বিতর্ক উঠেছে বারবারই। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু হলে নতুন করে প্রায় দেড় লাখ আবেদন আসে। কিন্তু যাচাই-বাছাই কমিটি গঠন থেকে শুরু করে পুরো প্রক্রিয়ায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় শেষ পর্যন্ত নতুন তালিকা প্রকাশ স্থগিত করতে হয় সরকারকে।




ইউনিয়ন পরিষদের অনুমতি ছাড়া যত্রযত্র ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান করা যাবে না: মন্ত্রণালয়

ইউনিয়ন পরিষদের অনুমতি ছাড়া যত্রযত্র ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা বাড়ি নির্মাণ করা যাবে না। সারা দেশের ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার জন্য সমন্বিত পথনকশা (রোডম্যাপ) প্রণয়ন করছে সরকার। এই পথনকশা প্রণয়ের আগে কোথাও কোনো ধর্মীয় স্থাপনা বা বাড়ি নির্মাণ করতে হলে সংশ্লিস্টদের ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অনুমতি বা ছাড়পত্র নিতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা, রেবেকা মমিন, মো. শাহে আলম, মো. ছানোয়ার হোসেন ও আব্দুস সালাম মূর্শেদী এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কমিটি সূত্র জানায়, সারাদেশে ইউনিয়ন পরিষদ আওতাধীন এলাকাকে একটি পরিকল্পিত পরিকল্পনার আওতায় আনতে একটি পথনকশা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। এই পথনকশা প্রণয়ন করার আগে কোন ব্যক্তি চাইলেই যত্রযত্র কোন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা বসতভিটা বা কোনো স্থাপনা নির্মাণ করতে পারবে না। যদি কোন ব্যক্তি কোন স্থাপনা করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন -সেক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদের অনুমতি নেওয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।

সূত্র আরো জানায়, এর আগে সংসদীয় কমিটির পরামর্শ অনুযায়ী স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে সমন্বিত পথনকশা প্রণয়নে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সরকারের এই সিদ্ধান্ত সঠিকভাবে যাতে অনুসরণ করা হয় সেজন্য সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে তাগিদ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে ইতোপূর্বে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য বলা হয়।

এদিকে কমিটির আগামী বৈঠকে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’-এর কার্যক্রম বাস্তবায়নের হালনাগাদ তথ্য প্রজেকশনের মাধ্যমে উপস্থাপনের জন্য বলা হয়েছে।