নাইজারে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ১৩৭ জন

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ১৩৭ জন নিহত হয়েছেন। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় মোটরসাইকেলে এসে সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালায়। সোমবার দেশটির সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এর আগে স্থানীয়দের বরাতে রোববার গণমাধ্যম জানায়, মৃতের সংখ্যা একশ’র কম। তবে সোমবার সরকারের পক্ষ থেকে প্রকৃত সংখ্যা জানানো হয়। একই সঙ্গে এ হামলাকে স্মরণকালের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী হামলা বলে উল্লেখ করে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোকও ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। খবর- রয়টার্স। সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট বলেছেন, এমন বর্বর ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।

সম্প্রতি নাইজারের মালি সীমান্তবর্তী অঞ্চলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক হারে বেড়েছে সন্ত্রাসী হামলা। বর্তমানে নাইজারে দুটি জিহাদি গোষ্ঠী সক্রিয় আছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির সাংবিধানিক আদালত প্রেসিডেন্ট হিসেবে মোহামেদ বাজৌমের নির্বাচনকে বৈধ ঘোষণা করে। এর কয়েক ঘণ্টা পরই রোববার (২১শে মার্চ) বিকেলে বন্দুকধারীরা মালি সীমান্তের কাছাকাছি তিনটি গ্রামে সশস্ত্র তল্লাশি শুরু করে। তারা সেখানে সাধারণ মানুষকে জিম্মি ও গুলি করে হত্যা শুরু করে।

দেশটির সামরিক বাহিনীর সৈন্যরা ওই এলাকায় পৌঁছালে বন্দুকধারীদের সঙ্গে নাইজার সেনাদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এদিকে মালির তিল্লিয়ারি সীমান্তে এই হামলার ঘটনাকে ‘বর্বরোচিত’ আখ্যায়িত করেছে দেশটির বিদায়ী প্রেসিডেন্ট মোহামাদু ইসৌফু। তিনি হতাহতদের পরিবার-পরিজনদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।




শহীদ মিনার সংস্কারের মাধ্যমে শুরু হলো পৌর শহরের উন্নয়নমুলক কাজ

ডেস্ক  রিপোর্ট: নেত্রকোনার দুর্গাপুরে স্থানীয় শহীদ মিনার (শহীদ সন্তোষ পার্ক) সংস্কারের মাধ্যমে পৌরসভার নানা উন্নয়ন মুলক কাজ উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার উন্নয়নমুলক কাজের উদ্ধোধন করেন মেয়র আলা উদ্দিন।

 

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে দীর্ঘদিন জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে থাকা স্থানীয় শহীদ সন্তোষ পার্কের  মাঠে ময়লার স্তুপ অপসারণ, শহীদ মিনারের ভাঙ্গা নানা অংশের সংস্কার কার্যক্রমের মাধ্যমে শুরু করেন এ কাজ। এছাড়া পৌর শহরের পান মহল থেকে সোমেশ্বরী নদী পর্যন্ত সিসি ড্রেন নির্মান কাজের শুভ উদ্বোধন সহ শহরের সকল ড্রেনেজ ব্যবস্থা সচল রাখার কাজ উদ্বোধন করা হয়। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলাম, পৌর সচিব তৌহিদুল ইসলাম, পৌর প্রকৌশলী মো. নওশাদ আলম, নারী নেত্রী ও সাংবাদিক রাখী দ্রং প্রমুখ।

 

মেয়র আলা উদ্দিন বলেন, আমি দায়িত্ব গ্রহনের পর সকল ষ্টাফদের নিয়ে পৌরশহরের সমস্যা গুলো চিহ্নিত করেছি। সঠিক পরিকল্পনা মোতাবেক পর্যায়ক্রমে নতুন করে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, মশক নিধন স্প্রে করণ সহ পৌর শহরের সকল নাগরিক সমস্যা গুলো সমধান করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ কাজ গুলো বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা ও দোয়া চেয়েছেন।




কোটালিপাড়ায় শেখ হাসিনার সমাবেশস্থলে বোমা: ১৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় ৭৬ কেজি বোমা পুঁতে রাখার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ১৪ আসামির সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।

আজ (মঙ্গলবার) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালত এ আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আবু আবদুল্লাহ ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

হরকাতুল জিহাদের শীর্ষনেতা মুফতি আবদুল হান্নান এই মামলায় মূল আসামি ছিলেন। কিন্তু অন্য মামলায় তার ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় এই মামলার রায়ে তার নাম বাদ দেয়া হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. আজিজুল হক ওরফে শাহনেওয়াজ, মো. লোকমান, মো. ইউসুফ ওরফে মোছহাব মোড়ল, মোছহাব হাসান ওরফে রাশু, শেখ মো. এনামুল হক, মো. মফিজুর রহমান ওরফে মফিজ, মো. মাহমুদ আজহার ওরফে মামুনুর রশিদ, মো. রাশেদুজ্জামান ওরফে শিমুল, মো. তারেক, মো. ওয়াদুদ শেখ ওরফে গাজী খান, মো. আনিসুল ইসলাম ও সারোয়ার হোসেন মিয়া। আসামিদের মধ্যে মাওলানা আমিরুল ইসলাম ওরফে জেন্নাত মুন্সী ও মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান জামিনে রয়েছেন।

আজ বেলা ১২টা ১৫ মিনিটে আসামিদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। ১২টা ২০ মিনিটে এজলাসে হাজির হন বিচারক। এরপর বিচারকের নির্দেশে মামলার রায় পড়া শুরু করেন সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের স্টোনোগ্রাফার।




জামালপুরে মাদ্রাসা ছাত্রের মাথাহীন লাশ উদ্ধার

জামালপুরের সদর উপজেলায় অপহরণের ২৮ দিন পর এক মাদ্রাসাছাত্রের মাথাহীন দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে দিগপাইতের গান্দাইল গ্রামের বামুনঝি বিল থেকে দেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত হাবিবুর রহমান হবদেশ দাখিল মাদ্রাসার ১০ম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
তার চাচা দুলাল মিয়া জানান, বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রতিবেশী ময়নালের হকের স্ত্রী মোর্শেদা বেগমের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলত হাবিবুর। বিষয়টি নিয়ে অনেকবার সালিশ-দরবার হয়। ঘটনার ১০ থেকে ১৫ দিন আগে ময়নাল হককে তালাক দেন মোর্শেদা বেগম।
তিনি অভিযোগ করে জানান, এই রাগে ২২ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ির সামনে থেকে অপহরণ করা হয় হাবিুবরকে। ময়নাল হকসহ চার-পাঁচজন মুখে গামছা পেঁচিয়ে হাবিবুরকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়। অপহরণের পরপরই নারায়ণপুর তদন্ত কেন্দ্রে জিডি করেছিল হাবিবুরের বাবা।
নারায়ণপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল লতিফ জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে মাথাহীন দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পরিবারের লোকজন প্যান্ট-শার্ট ও হাত-পায়ের আঙুল দেখে তাকে শনাক্ত করেন।
তিনি আরও জানান, লাশটি অর্ধগলিত অবস্থায় ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, অনেক দিন আগে তাকে হত্যা করে বিলে ফেলে দেয়া হয়। তার মাথা পাওয়া যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হচ্ছে।
ওসি আব্দুল লতিফ জানান, হাবিবুরের পরিবার যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে তারা সবাই পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।




ভুয়া টিভি চ্যানেলে সাংবাদিক নিয়োগকারী ১০ প্রতারক আটক

অনলাইনভিত্তিক ভুয়া টিভি চ্যানেলে সাংবাদিক নিয়োগকারী প্রতারক চক্রের দুই মূল হোতাসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৪। ফাঁদে ফেলতে চক্রটি ব্যবহার করত নামিদামি ব্রান্ডের গাড়ি। প্রতিষ্ঠিত চ্যানেলের লোগো ফটোশপ করে নিউজ করার ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্নজনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

রোববার রাজধানীর হাতিরঝিল ও মতিঝিল এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট টিভি (বিএসটিভি নিউজ ২৪)’ নামক একটি ভুয়া স্যাটেলাইট অনলাইন টিভির নামে প্রতারণা করছিল তারা।

সোমবার (২২ মার্চ) র‍্যাব-৪ এর অধিনায়ক মো. মোজাম্মেল হক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এ চ্যানেলের কোনো অনুমোদন নেই, শুধুমাত্র একটি ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে তারা এ ব্যবসায় জড়িত।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন, ঢাকার শাহীন খান (৫০), শরীয়তপুরের নূর হোসেন ওরফে নুরুল ইসলাম নাহিদ (৩৭) ও মো. রিয়াদ মাহমুদ (২৪), গাজীপুরের মো. রিমন পারভেজ (২৬), নেত্রকোনার মো. জয়নুল আবেদীন (৫৫), নারায়ণগঞ্জের মো. আকবর হোসেন (৩৯), ঢাকার মো. রাজিব হোসেন (৩৯) ও রায়হান পারভেজ (২১), পটুয়াখালীর ইমরুল কাইয়েচ ওরফে ফয়েজ (২৫) ও নেত্রকোনার আইয়ুব খান (৩০)। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের স্ট্যান্ডসহ ক্যামেরা, কম্পিউটার, ভিজিটিং কার্ড ও ব্যানার উদ্ধার করা হয়।




ফজিলতের মাস শাবান: যেভাবে নেব রমজানের প্রস্তুতি

হিজরি বর্ষের অষ্টম মাস হলো ‘শাবান’। এটি বিশেষ মর্যাদা ও ফজিলতপূর্ণ মাস। হিজরতের প্রায় দেড় বছর পর এ মাসেই কিবলা পরিবর্তন হয়; অর্থাৎ পূর্ব কিবলা বায়তুল মুকাদ্দাসের পরিবর্তে কাবা শরিফ কিবলা হিসেবে নির্ধারিত হয়। (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৪৪)

কোরআনের ঘোষণায় রজব হল সম্মানিত চার মাসের একটি। তাই সচেতন মুমিনেরা এর গুরুত্ব দিয়ে থাকে। জাহেলিয়াতের যুগেও পুরো বছরের মধ্যে তারা রজব মাসকে অধিক গুরুত্ব দিত। অন্যদিকে মুসলিম সমাজ রমযান মাসকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মনে করে। কিন্তু দুইয়ের মধ্যখানে শাবান মাস সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষই গাফেল থাকে। অনেকের ভাবনা, রমযান হল ইবাদত ও রোজার মাস। কাজেই শাবান মাসে খাওয়া-দাওয়া করে শরীরে শক্তি যোগানো দরকার।

ইসলাম এ চিন্তাধারাকে অগ্ৰাহ্য করে শাবান মাসকে নফল রোজা পালনের সেরা সময় বলে ধার্য করলো। নবীজি এ মাসেই সবচেয়ে বেশি নফল রোজা রাখতেন। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, আমি নবীজিকে রমযান ছাড়া পুরো মাস রোজা রাখতে আর কখনো দেখিনি। আর শাবান ছাড়া অধিক (নফল) রোজা রাখতে আর কোন মাসে দেখিনি। -সহিহ বুখারি ও মুসলিম

তাই রমযানের ফরজ রোজা পালনে যাতে কোন ত্রূটি না হয় এজন্য রমযানের প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতির মাস হল শাবান। অতএব রমযান হলো ফরজ রোজার মাস এবং শাবান হলো তার প্র্যাকটিস করার মাস।

হযরত উসামা বিন যায়েদ রাদিয়াল্লাহু আনহু নবীজিকে জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসুল, শাবান মাসে আপনাকে যত রোজা রাখতে দেখি, অন্য মাসে এতো পরিমাণ রোজা রাখতে দেখিনি। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, এটি রজব এবং রমযানের মধ্যবর্তী একটি (গুরুত্বপূর্ণ) মাস, অধিকাংশ মানুষ তা সম্পর্কে উদাসীন থাকে। এটি এমন একটি মাস, যে মাসে আল্লাহর সামনে (বান্দাদের) আমলগুলো পেশ করা হয়। তাই আমি পছন্দ করি রোযাদার অবস্থায় আমার আমল আল্লাহর কাছে উঠানো হোক ।-সুনানে নাসাই,২:২০৪

লক্ষণীয় হল, মুমিন বান্দার আমলের বার্ষিক রিপোর্টিং হয়ে থাকে শাবান মাসে। সুতরাং ভালো রিপোর্টের জন্য নফল রোজায় ব্যস্ত থাকতে নবীজিও পছন্দ করতেন।

উল্লেখ্য যে, ৩ পদ্ধতিতে মুমিন বান্দাদের আমলের রিপোর্টিং হয়ে থাকে অর্থাৎ ফেরেশতারা আল্লাহর সামনে বান্দাদের আমল দৈনিক, সাপ্তাহিক ও বার্ষিক তিনভাবে পেশ করে থাকেন।

হযরত আবু মুসা আশআরি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহর কাছে দিনের আগেই রাতের আমল এবং রাতের আগেই দিনের আমল পেশ করা হয়। (সহিহ মুসলিম-১/৩১৯)

হাফিজ ইবনে হাজার আসকালানি রাহিমাহুল্লাহ বলেন, আমলগুলো দিনের শেষে পেশ করা হয়। সুতরাং এ সময় কেউ ভাল কাজে লিপ্ত থাকলে তার রিজিক ও আমলে বরকত দান করা হয়।-ফাতহুল বারি, ২:৩৩০)

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামবলেছেন, প্রতি সোমবার এবং বৃহস্পতিবার আমলগুলো পেশ করা হয়। তাই আমি পছন্দ করি যে, রোজাদার অবস্থায় আমার আমল পেশ করা হোক।-জামিউত তিরমিযি, সুনানে ইবনে মাজাহ

ইমাম ইবনে তাইমিয়া রাহিমাহুল্লাহ বলেন, আল্লাহর সামনে আমলগুলো বিস্তারিত ও সংক্ষেপে দুরকমই পেশ করা হয়।রাতের আগেই দিনের আমল এবং দিনের আগেই রাতের আমল ও সোমবারেও বৃহস্পতিবারে দৈনিক ও সাপ্তাহিক বিস্তারিত পেশ করা হয়।-মাজমুউল ফাতাওয়া ৪:২৫২

আর পুরো বছরের আমল সমষ্টিগতভাবে শাবান মাসে পেশ করা হয়।

লেখক- প্রধান শিক্ষিকা, মানারাতুল উলুম মহিলা মাদরাসা, সিলেট।