মক্তব থেকে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুর মৃত্যু

মক্তব থেকে বাসায় ফেরার পথে তাকিয়া নামে এক শিশু মাহিন্দ্রের নিচে পড়ে নিহত হয়। রোববার সকালে ময়মনসিংহের ফুলপুর পৌরসভার ইন্দিরাপাড় বাঁশবাড়ি জামে মসজিদ সংলগ্ন স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, প্রথমে তাকে ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের সময় সে মারা যায়।

তাকিয়া পৌরসভার কাজিয়াকান্দা বাঁশবাড়ি গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী তোলা মিয়ার শিশু কন্যা। ৪ বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সে সবার ছোট।

তাকিয়ার উস্তাদ বাঁশবাড়ি জামে মসজিদের ইমাম ও মক্তবের শিক্ষক মাওলানা শফিকুল ইসলাম জানান, তাকিয়া মক্তব শেষে বাড়ি যাওয়ার সময় মাহিন্দ্রের নিচে পড়ে যায়। পরে তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকিয়াকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের সময় সে মারা যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমারত হোসেন গাজী জানান, এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলার প্রস্তুতি চলছে। আইনি প্রক্রিয়ায় লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। সিএনজিটি জব্দ করা হয়েছে তবে চালক পালিয়ে গেছে। চালককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।




জনকন্ঠ সম্পাদক আতিক উল্লাহ খান মাসুদ আর নেই

জনকন্ঠ সম্পাদক আতিক উল্লাহ খান মাসুদ ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া লিল্লাহি রাজিউন।

আজ সোমবার ভোরে রাজধানীর নিজ বাসায় শ্বাসকষ্ট শুরু হলে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। জনকণ্ঠের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর তোফায়েল আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জনকণ্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি তপন কুমার বিশ্বাস জানান, আতিক উল্লাহ খান মাসুদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা হয়েছিল। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও নাতি-নাতনি রেখে গেছেন। তিনি দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকাটির সম্পাদক, মুদ্রাকর ও প্রকাশক।

জনকণ্ঠের প্রধান প্রতিবেদক ও ডেপুটি এডিটর ওবায়দুল কবির জানান, সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন আতিক উল্লাহ খান মাসুদ। তাকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত এভারকেয়ার হসপিটালে নেয়া হয়। এসময় সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকরা জানান, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মৃত্যু হয়েছে তার।




রমজানে মাছ-মাংসের দাম বাড়ানো যাবে না

আসন্ন পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে মাছ, মাংস, দুধ, ডিমের মূল্য কোনোভাবেই অস্বাভাবিক করা যাবে না বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। রোববার (২১ মার্চ) বিকেলে সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাজার স্থিতিশীল রাখা এবং সরবরাহ চেইন নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত এক সভায় এ কথা বলেন মন্ত্রী । তিনি বলেন, ‘মূল্য বৃদ্ধি করা তো যাবেই না বরং যতটা সম্ভব সহনীয় পর্যায়ে কমিয়ে আনতে হবে। বাজারের স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে হবে। একইসঙ্গে সরবরাহ চেইনকে অবশ্যই স্বাভাবিক রাখতে হবে। এক্ষেত্রে মৎস্য অধিদফতর

ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতর সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় সকল সহায়তা দেবে। অধিদফতরের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক সহযোগিতা দেবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘রমজান মাসে মাছ, মাংস, দুধ ও ডিমের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়ের জন্য জেলা পর্যায়ে ১০টি করে ভ্যান দেয়া হবে। মৎস্য অধিদফতর ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের সহায়তায় এসব ভ্যানের মাধ্যমে খামারিরা উৎপাদিত পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবে। যাতে জনগণের কাছে এই বার্তাটি পৌঁছে যায়, বাজারে মূল্য বেড়ে গেলেও এর বিকল্প ব্যবস্থা আছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বড় বড় ধর্মীয় উৎসবে পণ্যের দাম কমে যায় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার পথ চাইলেই খোঁজা সম্ভব। প্রয়োজনে এসময় ব্যবসায়ে লাভের পরিমাণ কম করতে হবে। নির্দিষ্ট সময় দ্রব্যমূল্যে ছাড় দিয়ে নিজ প্রতিষ্ঠানকে ক্রেতাদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করাও সম্ভব।’

তিনি আরও বলেন, ‘করোনাসহ বুলবুল, আম্ফানের মত প্রাকৃতিক দুর্যোগ সরকারকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে ত্রাণ পৌঁছে দিতে হচ্ছে। বিভিন্ন খাতে প্রণোদনা দিতে হচ্ছে। করোনার টিকার ব্যবস্থা করতে

হচ্ছে। এজন্য সরকার কোথাও অতিরিক্ত কর ধার্য করেনি। এক্ষেত্রে সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে যাতে, কোনোভাবেই দেশের মানুষ কষ্ট না পায়।’এ সময় মাছ, মাংস, দুধ, ডিম বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কম মূল্য নির্ধারণের জন্য সুপারশপের প্রতিনিধিদের অনুরোধ জানান মন্ত্রী।

সভায় অংশগ্রহণ করেন-মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল জব্বার শিকদার, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজ, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান কাজী হাসান আহমেদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ্ মো. ইমদাদুল হক ও শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, মন্ত্রণালয়, মৎস্য অধিদফতর ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল, বাংলাদেশের ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, সুপারশপ ‘স্বপ্ন’, বেঙ্গল মিট, যাত্রাবাড়ী মাছ ব্যবসায়ী সমিতিসহ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা।




কোয়ারেন্টাইন থেকে পালানো ৯ প্রবাসী ছয় ঘণ্টা পর ফিরে এলেন

সিলেটে কোয়ারেন্টাইন থেকে পালিয়ে যাওয়ার ৬ ঘণ্টা পর ফের হোটেলে এসেছেন যুক্তরাজ্য ফেরত একই পরিবারের ৯ সদস্য। রোববার বেলা ২টার দিকে হোটেল কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায় তারা। বিষয়টি নজরে আসার পর তাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু হয়। হোটেল কর্তৃপক্ষের দীর্ঘ চেষ্টার পর রাত আটটায় ফিরে আসেন তারা।হোটেল অবস্থানরত জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সিভিল সার্জনের প্রতিনিধিরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। এর আগে গত ১৮ মার্চ যুক্তরাজ্য থেকে দেশে এসে ৭ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য হোটেল ওঠেন তারা। আগামী ২৬ মার্চ কোয়ারেন্টাইন শেষে তাদের হোটেল ছাড়ার কথা। তাদের বাড়ি সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায়। এদিন ওই হোটেলে ৩৫ জন প্রবাসী কোয়ারেন্টাইনে যান।

কোয়ারেন্টাইন ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার পর ফেরত আসা প্রবাসীরা হলেন আবদুল মালিক, রুনা আক্তার, তামিমা আক্তার, তায়্যিবা আক্তার, রুবাবা আক্তার , রাহিমা বোগম, রাদিয়া আক্তার, সায়মা বেগম ও এম তাহমিদ চৌধুরী। তারা সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা।

হোটেল ব্রিটানিয়ার মার্কেটিং ম্যানেজার কাওসার খান বলেন, ১৮ মার্চ একই পরিবারের ওই নয় সদস্য হোটেলের ২০৩ ও ২০৪ নম্বর কক্ষে ওঠেন। প্রতিদিন দুইবার কোয়ারেন্টাইনে থাকা প্রবাসীদের চেক করা হয়। রোববার সকালে চেক করার সময় তারা হোটেলে ছিলেন। দুপুরে ফের তাদের চেক করতে গেলে ওই পরিবারের ৯ সদস্যের কাউকেই পাওয়া যায়নি। পরে তাদের দেয়া মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করলে তারা জানান একজন মুমূর্ষু রোগীকে দেখতে তারা বাড়িতে চলে গেছেন। পরে ফোন দেয়া হলে তারা এক ঘণ্টার মধ্যে আসছেন বলে জানান। পরে অসংখ্যবার যোগাযোগ করে রাত আটটার দিকে তারা হোটেলে আসেন।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমশিনার (মিডিয়া) বি এম আশরাফ উল্ল্যাহ তাহের জানান, রাত আটর দিকে কোয়ারেন্টাইন ভেঙে পালিয়ে যাওয়া একই পরিবারের ৯ সদস্য হোটেলে ফিরে এসেছেন। কি কারণে তারা পালিয়ে গেছেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।তিনি বলেন, ওই হোটেলে আমাদের একজন এএসআইসহ চারজন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু কিভাবে তারা পালিয়ে গেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।




দুর্গাপুরে শিশুর আত্মহত্যা

রান্না ঘরে বাঁশের আড়ার সাথে গলায় গামছা প্যাঁচিয়ে খাইরুল (১০) নামে এক শিশু আত্মহ্ত্যা করেছে। রবিবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যায় নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় সদর ইউনিয়নের ফারংপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সে সোলায়মানের পাঁচ সন্তানের মধ্যে সবার ছোট ছেলে । পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পরিবারের অজান্তে বিকেলে কোন এক সময় রান্না ঘরে বাঁশের আড়ার সাথে গলায় গামছা প্যাঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। সন্ধ্যায় খাইরুলের বোন রাজিয়া গোয়াল ঘরে গরু বেঁধে রান্না ঘরে এসে দেখে গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় তার ভাই ঘুংড়াতে থাকে। বোনের ডাক-চিৎকারে পরিবারের অন্যান্য লোকজন আহত অবস্থায় উদ্ধার করে খাইরুলকে। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপেক্সে নিয়ে আসার পথে খাইরুলের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ রাতে মৃতের বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে এবং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসে। দুর্গাপুর থানার ওসি মো. শাহনুর-এ আলম জানান, মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হবে এবং এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।




কলমাকান্দায় বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদ গঠন

কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদের কমিটি গঠন করা হয়েছে। রোববার জেলা বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি এড. মো. আল-আমীন হোসেন ও সম্পাদক মো. সাজ্জাদ হোসেন খান ১১ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটির অনুমোদন দেন। এতে মো. সাইফুল ইসলাম আহŸায়ক ও সদস্য হিসেবে রয়েছেন মো. আবু সায়েম, মো. বাছির উদ্দিন, সারোয়ার ইবনে হাবিব মিল্টন, শরীফ আহমেদ, হযরত আলী, কার্তিক মন্ডল, কাজল ঘোষ, আবু হায়াত, ইকবাল আহমেদ রুবেল ও জিএম ওবায়দুল ইসলাম।




কলমাকান্দার দ্বীপক বিসিএস এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত

কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি: নেত্রকোনার কলমাকান্দার কৃতি সন্তান কৃষিবিদ দ্বীপক কুমার পাল বিসিএস (কৃষি) এ্যাসোসিয়েশন ২৮তম ব্যাচের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। শনিবার রাতে ঢাকার ধানমন্ডির ফরেষ্ট লাউঞ্জ রেস্টুরেন্টে বার্ষিক সভায় সদস্যদের ভোটে সভাপতি হিসেবে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (কৃষি) এ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি কলমাকান্দা সদরের চানপুর রোড এলাকার ডা. দীনেশ কুমার পালের ছেলে। কৃষিবিদ দ্বীপক বর্তমানে ঢাকার খামারবাড়ি উপপ্রকল্প পরিচালক হিসেবে লেবু জাতীয় ফসলের স¤প্রসারণ, ব্যাবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের দায়িত্বে আছেন।




সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি প্রকাশ

চলতি বছরে রমজান মাসের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি প্রকাশ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা)। চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে আগামী ১৪ বা ১৫ এপ্রিল থেকে রমজান শুরু হবে।

রোববার (২১ মার্চ) গণমাধ্যমে এ চিঠি পাঠিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। গত ১৩ মার্চ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ১৪৪২ হিজরির রমজান মাসের সেহরি ও ইফতারের এ সময়সূচি চূড়ান্ত করে।

সময়সূচিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী ১৪ এপ্রিল প্রথম রমজানে ঢাকায় সেহরির শেষ সময় ভোর ৪টা ১৫ মিনিট ও ইফতারির সময় ৬টা ২৩ মিনিট।

তবে দূরত্ব অনুযায়ী ঢাকার সময়ের সঙ্গে সর্বোচ্চ ১১ মিনিট পর্যন্ত যোগ করে ও ১০ মিনিট পর্যন্ত বিয়োগ করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ সেহরি ও ইফতার করবেন বলেও উল্লেখ করেছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন।




দুর্গাপুরে পুলিশের মাক্স বিতরণ

বাংলাদেশ পুলিশ দুর্গাপুর থানার উদ্যোগে বর্তমান করোনা কালীন সময়ে সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতাবৃদ্ধির লক্ষে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ শুরু করেছে। রোববার পৌরশহরের ব্যস্ত এলাকা প্রেসক্লাব মোড় থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়।

এ সময় সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(সার্কেল) মাহমুদা শারমীন নেলী, ওসি শাহ নুর-এ আলম, প্রেসক্লাব সভাপতি এস.এম রফিকুল ইসলাম-রফিক, সাবেক সভাপতি মো. মোহন মিয়া, নির্মলেন্দুর সরকার বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মো. জামাল তালুকদার, এইচ. এম সাইদুল ইসলাম, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকগন সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিগন উপস্থিত ছিলেন।

বিতরণ পুর্ব আলোচনায় পুলিশ সুপার মাহমুদা শারমীন নেলী বলেন, দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে প্রানঘাতি করোনা পুনরায় আমাদের মাঝে হানা দেয়া শুরু করেছে, গ্রামের সাধারণ মানুষ অনেকেই এ খবর রাখেন না। সে বিষয়টি মাথায় রেখে গ্রামে কৃষক, শ্রমিক, অসচেতন হতদরিদ্র মানুষদের করোনা কালীন সময়ে আমাদের কি করনীয় সে বিষয়ে ধারণা দেয়া সহ বিনা মুল্যে মাস্ক বিতরণ কার্যক্রম চলবে। এ কাজে সহযোগিতা করতে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।




বসতবাড়ি লিখে না দেওয়ায় মায়ের পা ভাঙল ছেলেরা

বসতবাড়ি লিখে না দেওয়ায় নেত্রকোনা দুর্গাপুর উপজেলায় মজিদা খাতুন (৬৫) নামে এক নারীর পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে।

শনিবার রাত ১০টার দিকে এমন অভিযোগ করেন পৌর শহরের ৬নং ওয়ার্ডের দশাল গ্রামের মা মজিদা খাতুন। তিনি ওই এলাকার দিনমজুর সাহেব আলীর স্ত্রী।

এ বিষয়ে মজিদা খাতুন বলেন, প্রতিদিনের মতো সাংসারিক কাজ শেষে মাগরিবের নামাজের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

এমন সময় তার ছেলে মঞ্জুল মিয়া (৪৩) ও হালিম মিয়া (২৫) তার মায়ের বসতবাড়ি তাদের দুজনের নামে লিখে দেওয়ার জন্য বাবার সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু করে। এর একপর্যায়ে বাবার গায়ে আঘাত করে।

মা মজিদা এরই প্রতিবাদ করতে গেলে ঘরের বারান্দার সঙ্গে বেঁধে বেদম মারধর করে বাম পা ভেঙে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। পরে দড়ি দিয়ে গলায় চাপ দিয়ে মেরে ফেলবে বলে জানায় ছেলেরা।

এ সময় বাবা-মায়ের আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে গুরুতর আহতাবস্থায় মজিদাকে দুর্গাপুর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ নিয়ে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মো. মনির হোসেন মানিক বলেন, ছেলেরা এক টুকরো জমির জন্য বাবা-মায়ের গায়ে হাত তুলতে পারে— এটি সত্যিই দুঃখজনক; আমি এর শাস্তি দাবি করছি।

মারধরের বিষয় নিয়ে দুর্গাপুর থানার ওসি শাহনুর-এ-আলম যুগান্তরকে বলেন, বিষয়টি সত্যিই অমানবিক, এ নিয়ে মামলার প্রস্তুতিও চলছে। অভিযোগ পেলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।