কোরআন আবমাননার প্রতিবাদে রাজধানীতে বি’ক্ষো’ভ মিছিল

ভা’রতে কোরআন অবমাননার প্রতিবাদে রাজধানীর কুড়িলে মঙ্গলবার বিশাল এক বি’ক্ষো’ভ মিছিল বের হয়।

মঙ্গলবার সকাল ৮টায় প্রগতি সরণির বসুন্ধ’রা গেট থেকে বি’ক্ষো’ভ মিছিলটি শুরু হয়ে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।

পরে সেখানে তারা সংক্ষিপ্ত একটি সমাবেশ করেন। ভা’রতের সুপ্রিমকোর্টে পবিত্র কোরআন শরিফ সংশোধনের দাবিতে মা’ম’লা দায়েরকারী ওয়াসিম রিজভিকে গ্রে’প্তা’রের দাবি জানান তারা।

তার ছবি পদদলিত করার পাশাপাশি পোস্টারে আ’গু’ন দিয়ে বি’ক্ষো’ভ প্রদর্শনের ঘটনাও ঘটেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধ’র্মপ্রা’ণ মু’সলমানদের মতো বাংলাদেশেও এ নিয়ে বি’ক্ষো’ভ চলছে।

ভা’রতের উত্তরপ্রদেশ শিয়া ওয়াকফ বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান রিজভির অ’ভিযোগ, কোরআন শরিফের ২৬টি আয়াতে নাকি সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করা হয়েছে। তাই সেগুলোকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

ওয়াসিম রিজভির ওই আবেদন বাতিল করার দাবি জানিয়েছে অল ইন্ডিয়া মু’সলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের মহাসচিব মা’ওলানা মাহমুদ দরিয়াবাদী।

তিনি বলেন, ‘বিগত ১৪০০ বছর ধরে পবিত্র কোরআন শরিফ অবি’কৃ’ত অবস্থায় রয়েছে। এই ঐশী গ্রন্থের একটি শব্দও পরিবর্তন করার অ’পচেষ্টা কেউ করেনি। কোরআন শরিফের কোনো আয়াতেই স’হিং’সতাকে সম’র্থন করা হয়নি।

ভা’রতের শিয়া পার্সোনাল ল’ বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে— কোরআনের প্রত্যেকটি আয়াত চিরন্তন সত্য। এর সত্যতা নিয়ে কোনো বিতর্ক চলতে পারে না। প্রখ্যাত শিয়া আলেম মা’ওলানা কালবে জাওয়াদ তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ‘ভা’রতের আইনশৃঙ্খলা খা’রা’প করার জন্য এবং মু’সলিম’দের মনোযোগ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য ওই চেষ্টা নিন্দনীয়। ওয়াসিম রিজভির বি’রু’দ্ধে গুরুতর অ’ভিযোগ রয়েছে। কেন্দ্রীয় ত’দ’ন্ত সংস্থা সিবিআইয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে তিনি ওই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।

মা’ওলানা কালবে জাওয়াদ আরও বলেন, এ ধরনের ব্যক্তির ই’স’লা’ম ধ’র্মে কোনো স্থান নেই। কেননা শিয়া সম্প্রদায় পবিত্র কোরআনকে চিরন্তন ও শাশ্বত সত্য বলে মনে করেন। কেয়ামত পর্যন্ত তা অবি’কৃ’ত অবস্থায় থাকবে। কারও কোনো অধিকার নেই যে, এই পবিত্র ধ’র্মগ্রন্থে সামান্যতম কোনো পরিবর্তনের দাবি জানানোর।’

ভা’রতের মুম্বাইয়ের রাজা একাডেমি রিজভির ওই আবেদন বাতিল করার দাবি জানিয়েছে।




দুর্গাপুরে ব্যতিক্রমধর্মী পাঠাগার উদ্বোধন করলেন ইউএনও

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সিনিয়র সিটিজেন ও তরুণ প্রজন্মসহ সব শ্রেণির মানুষকে বই পড়ায় আগ্রহী করে তোলার লক্ষে দুর্গাপুর পৌরশহরের নাজিরপুর মোড় এলাকায় উদ্বোধন করা হয়েছে পথ পাঠাগার এর ১৫তম শাখা।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার  (ইউএনও) মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান শনিবার দুপুরে এ ব্যতিক্রমধর্মী পাঠাগার উদ্বোধন করেন।

পৌরশহরের নাজিরপুর মোড় এলাকায় অলম্যান জেন্স সেলুনে এ শাখা উদ্বোধনের সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রেসক্লাব আহবায়ক সাহাদাত হোসেন কাজল, সাবেক সভাপতি মো. মোহন মিয়া, সহসভাপতি মো. তোবারক হোসেন খোকন, পথ পাঠাগারের সভাপতি কবি নাজমুল হুদা সারোয়ার, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা প্রমুখ।

ইউএনও মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান বলেন, নতুন প্রজন্ম সহ সর্ব শ্রেণির মানুষকে বই পড়া ও সাহিত্য আড্ডায় মনোনিবেশ করতে এই পাঠাগারের সূচনা।

আমরা পথ পাঠাগার স্থাপনের মাধ্যমে মানুষের কাছে বই পৌঁছানোসহ জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে চাই। পর্যায়ক্রমে এই পাঠাগারের কার্যক্রম দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে দেয়ার জন্য সাহিত্যপ্রেমীদের এগিয়ে আসার আহবান জানান ইউএনও।




আড়ংয়ের সব পণ্য ফিরিয়ে দিলেন কিশোরগঞ্জের এক ব্যবসায়ী

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় বয়কট আড়ং আন্দোলন সক্রিয়মান। এরই সূত্র ধরে কিশোরগঞ্জের স্টেশন রোডস্থ নেয়ামত স্টোরের মালিক মো. মিজানুর রহমান শাহীন তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অর্ডারকৃত আড়ংয়ের সকল পণ্য ফেরত দিয়েছেন।
আওয়ার ইসলামের পক্ষ থেকে এর কারণ জানতে চাইলে ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান শাহীন বলেন, গতরাতে আমি একটি ভিডিও দেখেছি। যেখানে দাড়ি থাকায় একটি ছেলেক চাকুরী দেয়নি ‘আড়ং’ কর্তৃপক্ষ। যা দেখে অবাক হয়েছি। মুসলমানদের এই দেশে আমার নবীর সুন্নতের জন্য চাকরি দেবে না তা হতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, আড়ং কর্তৃপক্ষ নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে দাড়িওয়ালা ব্যক্তিকে চাকরি দিলে তবেই আমরা তাদের পণ্য গ্রহণ করব। অন্যথায় আড়ংয়ের পণ্য বর্জন করলাম।
এদিকে গত দুইদিন আগে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া আট মিনিটের একটি ভিডিওতে দেখা যায় এক যুবক, নিজেকে ইমরান হোসেন ইমন নামে পরিচয় দিয়ে বলছেন, তিনি আড়ংয়ে বিক্রয়কর্মীর একটি নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন, মুখে মাস্ক পরেই তিনি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন, সাক্ষাৎকারগ্রহীতারা তার সাথে সন্তুষ্ট বলে তার মনে হয়েছিল। কিন্তু এক পর্যায়ে সাক্ষাৎকারগ্রহীতাদের চাহিদা মোতাবেক তিনি মাস্ক খোলেন এবং তার মুখভর্তি দাড়ি প্রকাশিত হয়ে পড়লে সাক্ষাৎকারগ্রহীতারা তাকে বলেন, তাদের নীতিমালা অনুযায়ী তারা দাড়িওয়ালা ব্যক্তিদের বিক্রয়কর্মী হিসেবে নিয়োগ দিতে পারেন না।
‘তারা বললো আপনি যদি ক্লিন শেভ করতে পারেন তাহলে আপনার জবটা আমরা এখানে কনফার্ম করতে পারবো, সাক্ষাৎকারগ্রহীতাদের বক্তব্যের বরাত দিয়ে ভিডিওটিতে বলেন এই যুবক। এরই সূত্র ধরে সারা দেশে ‘বয়কট আড়ং’আন্দোলন সক্রিয়মান।



কলমাকান্দায় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান

কলমাকান্দা বাজারকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে উদ্যোগ নিয়েছেন ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সহযোগীতায় কলমাকান্দা নারী উন্নয়ন ফোরাম।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার ১১ টায় উপজেলার নারী উন্নয়ন ফোরামের উদ্যোগে এ উপলক্ষে মধ্যবাজার এলাকা থেকে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি আফরোজা বেগম।
এই কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করেন ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি কাজল দে সরকার ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহবাজ মিয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাফর আহম্মেদসহ ব্যবসায়ী মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দও নারী উন্নয়ন ফোরামের সদস্যরা পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের অংশ হিসাবে সড়কের দু পাশে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার কাজে অংশ নেন। এছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।



সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করুন, সরকারকে ফয়জুল করীম

রমজানকে সামনে রেখে চাল-তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।

তিনি বলেছেন, সরকারের মাঝে ঘাপটি মেরে থাকা মুনাফাখোর ও বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সিন্ডিকেটের কারণে চাল-তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য আজ আকাশচুম্বি। ভোট ডাকাতির সরকার এদেরকে পুষে রাখার কারণে চালের বাজার কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না।

সোমবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে মুফতী ফয়জুল করীম এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, আজ নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ চরম বিপাকে পড়ছে। গত একদিনে চালের দাম প্রতি বস্তায় পাইকারি বেড়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। যে কারণে খুচরা বাজারে প্রতি কেজিতে ২ থেকে ৪ টাকা বেড়েছে; যা স্পষ্টতই সরকারের চরম ব্যর্থতার পরিচয় বহন করে। বর্তমান চালের দাম বৃদ্ধিতে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে; যা দেশবাসীকে বিস্মিত করেছে।

জনগণকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে ফয়জুল করীম বলেন, জনবিরোধী সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করুন। তাদের শাস্তির আওতায় আনুন। বাজারকে সিন্ডিকেট মুক্ত করে জনগণকে অন্তত সাধ্যের মধ্যে খাবার খাওয়ার ব্যবস্থা করুন। মাহে রমজানে যেন সাধারণ মানুষের কোনো ভোগান্তি না হয়।