ইরানে করোনার চতুর্থ দফা ঢেউ শুরুর আশঙ্কা

করোনাভাইরাস রূপ বদলের কারণে ইরানে সংক্রমণের চতুর্থ দফা ঢেউ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী। শনিবার তিনি এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন।

শুক্রবার ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। সংক্রমণের বিস্তার রোধে ওই অঞ্চলের ৯টি শহরকে রেডজোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

একই দিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাইদ নামাকি ইরানের মেডিকেল কলেজগুলোর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে বলেছেন, ‘আমাদের জন্য কঠিন দিন শুরু হয়েছে এবং আপনাদেরকে অবশ্যই সবচেয়ে অনিয়ন্ত্রিত রূপান্তরিত ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে হবে, যেটি দুর্ভাগ্যবশত আমাদের দেশে সংক্রমণ ঘটাচ্ছে।’

তিনি জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহে মারা যাওয়া তিন জনের দেহে ব্রিটেনে শনাক্ত হওয়া করোনার নতুন রূপটি পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে এক জন ৭১ বছরের বৃদ্ধও রয়েছেন। অথচ তার কোনো ভ্রমণ ইতিহাস নেই। রূপান্তরিত ভাইরাসটি ছড়াতে শুরু করেছে এবং শিগগিরই এটি শহর, গ্রাম কিংবা পরিবারের মধ্যে সংক্রমণ ঘটাবে বলেও সতর্ক করেন নামাকি।

ঢাকা/আলো




ভালোবাসার মানুষদের কী উপহার দিলেন বুবলি?

শবনম বুবলি

ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত চিত্রনায়িকা শবনম বুবলি। খুব অল্প সময়ের মধ্যে সবার নজর কাড়েন এই অভিনেত্রী। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ভালোবাসার মানুষদের জন্য গিটারের সুর উপহার দিলেন তিনি।

রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বুবলি তার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। তাতে একটি গানের অংশ বিশেষ গিটারে তুলেন তিনি। এ সময় বুবলি বলেন—সবাইকে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা। আমার মনে হচ্ছিল, বিশেষ দিনটি ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে বিশেষভাবে কাটাই। যারা একটু হলেও আমাকে পছন্দ করেন, তাদের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।

ছোটবেলা থেকেই গিটারের প্রতি বুবলির বাড়তি আগ্রহ রয়েছে। তা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, আমি চলচ্চিত্রের মানুষ। কিন্তু মিউজিক ভীষণ পছন্দ করি। বিশেষ করে ইন্সট্রুমেন্ট। ছোটবেলা থেকেই গিটার ও পিয়ানো আমার কাছে বিশেষ। সেই জায়গা থেকেই আজকে আপনাদের জন্য গিটার প্লে করেছি। আমার অভিনীত ‘পাসওয়ার্ড’ সিনেমার একটি গানের অংশ গিটারে তুলেছি। আমি পেশাদার কোনো মিউজিশিয়ান না। সুতরাং কেউ সিরিয়াসলি নেবেন না। জাস্ট মজা করে বাজিয়েছি।

 

ঢাকা/আলো 




একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে ভালোবাসার ধুকধুকানি বেড়ে যায়

মৌসুমী-ওমর সানি

প্রেম-ভালোবাসা চিরন্তন। দেবদাস-পার্বতী, লাইলী-মজনুসহ অসংখ্য কালজয়ী প্রেমিকজুটি সৃষ্টি করেছেন ইতিহাস। সমাজের প্রতিটি নারী-পুরুষের মতো তারকারাও প্রেম-ভালোবাসার বাইরে নন। ভালোবাসার দুর্নিবার আকর্ষণ তাদের জীবন-যাত্রায় ব্যাপক প্রভাব ফেলে। দেশের অনেক তারকা পর্দার মতো বাস্তব জীবনে ভালোবেসে ঘর বেঁধেছেন। দেশের সফল তারকা জুটির মধ্যে ওমর সানি-মৌসুমী জুটি অন্যতম। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে নন্দিত এই তারকা জুটি রাইজিংবিডিকে শুনিয়েছেন তাদের প্রেম-বিয়ের গল্প।

প্রথম ভালোলাগা, প্রথম প্রেমের অনুভূতির স্মৃতিচারণ করেন মৌসুমী বলেন—‘‘সানির প্রথম সিনেমা ‘চাঁদের আলো’ দেখেই তাকে ভালো লেগে যায়। বিশেষ করে ওর ম্যানলি ভাবটা আমাকে দারুণভাবে আকৃষ্ট করে। পরে একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বুকের ভেতর ভালোবাসার ধুকধুকানি আরো বেড়ে যায়। কিন্তু কখনো সরাসরি বলতে পারিনি। আকারে ইঙ্গিতে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু ওর হাব-ভাব দেখে ঠিকই বুঝতে পেরেছিলাম ও আমাকে ভালোবাসে। একদিন সকালে আমার অনুমান সত্যি হলো। কারণ সেদিন সকালে আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। আমি মনে মনে এই দিনটির অপেক্ষা করলেও সেদিন সানির কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়ে হেসে দিয়েছিলাম। সানি বলেছিল, ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’। তখন সানিকে খুব নার্ভাস লাগছিল। তাই হেসে দিয়েছিলাম। এর পর থেকেই দুজন-দুজনেক বোঝা শুরু।’’

দাম্পত্য জীবনের ২৫ বছর পার করছেন ওমর সানি-মৌসুমী। সংসার জীবনের বোঝাপড়ার কথা জানিয়ে মৌসুমী বলেন, ‘আসলে সব সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে যে বিষয়টি খুব জরুরি তা হলো—সত্য বলতে জানা। সানিকে আমি বিশ্বাস করি, সে কখনো আমার কাছে মিথ্যা বলে না। যে কারণে কে কী বলল, সেটা আমার কাছে বড় বিষয় নয়, সানি কী বলল সেটাই আমি জানতে চাই।’

সংসার জীবনে পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস ও সম্মান গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন ওমর সানি। তিনি বলেন, ‘সংসার জীবনে বিশ্বাস ও সম্মানটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। মিডিয়াতে এটা আরো বেশি দরকার, কারণ এখানে কাজ করতে গেলে নানাজন নানা কথা বলেন। আমি গর্ব করি যে মৌসুমী ক্যারিয়ারে আমার চেয়ে এগিয়ে। বিষয়টিকে আমি সম্মান করি। আমি সব সময় পাশে থাকার চেষ্টা করি।’

ওমর সানির কোন বিষয়টি বেশি প্রিয়? এমন প্রশ্নের জবাবে মৌসুমী বলেন—‘সানি অন্যদের মতো নয়। যে কারণেই দীর্ঘ সময় আমরা সুখ-শান্তিতে একই ছাদের নিচে বসবাস করছি। আজ পর্যন্ত সানিকে নিয়ে কোনো অভিযোগ করতে হয়নি। সানির সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হচ্ছে, খুব সহজে মানুষকে ভালোবাসে, বিশ্বাস করে। যত সহজে রাগে, তার চেয়ে তার দ্রুত রাগ কমে যায়। মানুষকে ক্ষমা করে দেয়। এটি আমার খুব পছন্দ।’

একই প্রশ্নের উত্তরে ওমর সানি বলেন, ‘আমার সবচেয়ে ভালো লাগে, তার অসাধারণ ব্যক্তিত্ব। এ ছাড়া মৌসুমীর নাচ ও অভিনয়ের মধ্যে নিজস্বতা রয়েছে। সব মিলিয়ে সে ভালোবাসার মতোই একজন মানুষ।’

 

ঢাকা/আলো 




মনির খানের হারিয়ে যাওয়া প্রেমিকা অঞ্জনা এখন কোথায়?

‘অঞ্জনা’ মনির খানের শ্রোতাপ্রিয় একটি গান। ‘একটি গান’ না-বলে একে গায়কের ট্রেডমার্কও বলা যায়। কেননা, মনির খানের অধিকাংশ অ্যালবামে অঞ্জনার কথা ঘুরেফিরে এসেছে। এই শিরোনামে তিনি একাধিক গান গেয়েছেন। ফলে অঞ্জনাকে নিয়ে ভক্তদের রয়েছে বাড়তি কৌতূহল। ভক্তদের অনেকে মনে করেন- অঞ্জনা মনির খানের হারিয়ে যাওয়া প্রেমিকা!

বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে মনির খানের কাছে জানতে চাওয়া হয় অঞ্জনা সর্ম্পকে। তিনি অকপটে জানান তার হারিয়ে যাওয়া সেই প্রেমের গল্প।

অঞ্জনাকে ভালোবেসেই জীবন কাটালাম। সে আমার কৈশোরের ঘটনা। না-হলে এত বছর তাঁকে মনের ঘরে পুষে রাখতে পারতাম না’- বলেন মনির খান। বর্তমানে অঞ্জনা সৌদি আরব প্রবাসী। জীবনের এতটা বছর পেরিয়ে এসেও তাঁকে ভুলে যাননি শ্রোতাপ্রিয় এই সংগীতশিল্পী।

স্কুলজীবনে অঞ্জনার প্রেমে পড়েন মনির খান। তিনি বলেন, ‘পাশাপাশি স্কুলে অঞ্জনা পড়তো ক্লাস সেভেন-এ। আমি নাইন-এ। আমাদের প্রেম আসলে সেভাবে প্রপোজ করে হয়নি। একসঙ্গে চলাফেরা; এর মধ্যে দিয়ে দারুণ একটা বোঝাপড়া তৈরি হয় দুজনের মধ্যে। এখন প্রেম-ভালোবাসা কমার্শিয়াল লাইনে চলে গেছে। কে কতটুকু পাচ্ছে- এ নিয়ে হিসাব হয়। তখন এমন ছিল না। রিয়েল লাভ তখন ছিল। যদিও আমাদের দুজনের স্বপ্ন পূরণ হয়নি। ঈশ্বর হয়তো চাননি, তাই আমাদের প্রেম পূর্ণতা পায়নি।’

প্রেমের ক্ষেত্রে বাধা কোথায় ছিল? এ প্রশ্নের জবাবে মনির খান বলেন, ‘আমাদের রিলেশন সাত বছর পর্যন্ত ছিল। বুঝতে পেরে ওর বাবা অঞ্জনাকে বিদেশ পাঠিয়ে দেয়। তখন আমাদের আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না। বিত্তের মাঝে চিত্তের সুখ খুঁজছিলেন তারা। আমরা বিত্তশালী ছিলাম না বলেই হেরে গিয়েছিলাম।’

অঞ্জনার সঙ্গে মনির খানের সর্বশেষ ৩৩ বছর আগে দেখা হয়েছে। এরপর আর হয়নি। এখন দুজনেই যে যার মতো ঘর-সংসার করছেন। দুজনেই সুখী। অঞ্জনাকে নিয়ে গান গাওয়াতে মনির খানের স্ত্রীর কোনো আপত্তিও নেই। বরং অঞ্জনার গান ভালো না-হলে তিনি আরো সুন্দর করে গাওয়ার অনুপ্রেরণা দেন। এ প্রসঙ্গে মনির খান বলেন, ‘কারণ সে জানে এটা শ্রোতাদের ডিমান্ড। এই ডিমান্ড ফুলফিল করতে উল্টো সে আমাকে তাগিদ দেয়।’

অঞ্জনাকে নিয়ে ২৬টি গান গেয়েছেন মনির খান। সর্বশেষ গত বছর বাজারে আসে ‘অঞ্জনা-২০২০’ শিরোনামে গান। এই গানে অঞ্জনাকে মীরজাফর, রাজাকার, বেঈমানের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।

ঢাকা/আলো




অপূর্বকে টপকে গেলেন নিশো

বাংলা নাটকের ইতিহাসে ইউটিউবে দ্রুততম ভিউয়ের তালিকায় এক নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে আফরান নিশো-মেহজাবিন চৌধুরী অভিনীত একক নাটক ‘শিল্পী’। এর মধ্য দিয়ে জিয়াউল ফারুক অপূর্বকে টপকে গেলেন নিশো। এমনটাই দাবি করেছেন নাটকটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিএমভি।

এর আগে টানা ৪ বছর এই অবস্থান ধরে রেখেছিল অপূর্ব-মেহজাবিন অভিনীত মিজানুর রহমান আরিয়ানের নাটক ‘বড় ছেলে’। এটি কোটি ভিউ অতিক্রম করতে সময় নিয়েছে ৩৪ দিন। কিন্তু ২৬ দিন ৯ ঘণ্টায় এই রেকর্ড অতিক্রম করেছেন ‘শিল্পী’ নাটকটি। অর্থাৎ ৮ দিন আগেই এই মাইলফলক স্পর্শ করেছে নাটকটি।

গত ১৮ জানুয়ারি নাটকটি সিএমভির ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পায়। এটি কোটি ভিউয়ের ঘর অতিক্রম করেছে ১৩ ফেব্রুয়ারি। শুধু তাই নয়, নাটকটিতে ব্যবহার করা ‘বুক চিন চিন’ ও ‘বিধি তুমি বলে দাও’ শিরোনামের দুটো পুরোনো সিনেমার গানের রিমেক ভার্সনও সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন ভাইরাল।

নির্মাতা মহিদুল মহিম বলেন, পুরো বাঙালির বুক চিন চিন ধরিয়ে আমাদের ‘শিল্পী’ দেখিয়ে দিলো তার প্রভাব। এটাকে আমি অবিশ্বাস্য অর্জন বলব। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই এই নাটকের প্রধান দুই শিল্পী নিশো ভাই ও মেহজাবিন আপুকে। তাদের অভিনয়গুণেই এটা সম্ভব হয়েছে। কৃতজ্ঞতা জানাই আমার প্রযোজক পাপ্পু ভাইকে, তার সাহস ছাড়া এই কাজ সম্ভব হতো না। সবচেয়ে বেশি ধন্যবাদ জানাই দর্শকদের। তারাই আমাদের মূল কারিগর।

এদিকে এমন অর্জনে খুবই উচ্ছ্বসিত প্রযোজক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু। তিনি বলেন, আরও ভালো ভালো কাজ উপহার দেওয়ার জন্য এই অর্জনটি আমাদের উৎসাহ যোগাবে। অভিনন্দন জানাই নির্মাতা মহিদুল মহিম, শিল্পী আফরান নিশো ও মেহজাবিন চৌধুরীকে। ধন্যবাদ জানাচ্ছি গণমাধ্যমের সকল বন্ধুদের, যারা সবসময় আমাদের সাপোর্ট দিয়ে আসছেন। কৃতজ্ঞতা জানাই দর্শকদের প্রতি, যাদের ভালোবাসা না থাকলে এই সফলতা সম্ভব ছিল না।

সিএমভির হেড অব ডিজিটাল কমিউনিকেশনস সালেহ খান শাওন জানান, ইউটিউবের ভিউ বিচারে দ্রুততম সময়ে ১০ মিলিয়ন বা এক কোটির ঘর অতিক্রম করা ১০টি বাংলা নাটকের মধ্যে এখন এক নম্বরে আছে ‘শিল্পী’। এটি সময় নিয়েছে মাত্র ২৬ দিন। দ্বিতীয় স্থানে এখন ‘বড় ছেলে’ (৩৪ দিন)। এরপরই আছে সিএমভি প্রযোজিত পর পর দুটি নাটক—‘এক্সচেঞ্জ’ (৫৩ দিন) ও ‘মিস্টার অ্যান্ড মিস চাপাবাজ’ (৭৩ দিন)।

দুজন স্ট্রিট সিঙ্গারের জীবন, প্রেম ও প্রতিযোগিতা নিয়ে গড়ে উঠেছে ‘শিল্পী’ নাটকের কাহিনি।